নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের পৃথিবী নামক গ্রহের ৭০ ভাগই হচ্ছে পানি, যখন ল্যাবরেটরীতে পানির বিন্দুকে তার মৌলিক উপাদান অক্সিজেন ও হাইট্রোজেন এ বিভক্ত করে ফেলা হয় তখন আমরা তা আর দেখতে পাই না। এই মৌলিক পদার্থগুলোকে আরো বিভক্ত করলে ইলেকট্রন, প্রেট্রোন, নিউট্রনের মত অসংখ্য মৌলিক কণিকা পাওয়া যাবে। এগুলোকে আরো বিভক্ত করলে পাওয়া যাবে কোয়ার্ক। কোয়ার্ক হচ্ছে পদার্থের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অংশ। এভাবে যে কোনো বস্ত্তকে বিভক্ত করতে করতে তার মৌলিক গঠন উপদান ‘কোয়ার্ক’ পর্যায়ে নিয়ে গেলে তাকে দর্শন লাভ করার প্রশ্নই সম্পূর্ণরূপে অবাস্তব হয়ে পড়ে। অথচ মহাসুক্ষ্মতার কোয়ার্ক জগৎ কোনো কল্পকাহিনী নয় বরং শতভাগ প্রমাণিত সত্য ঘটনা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সমগ্র মহাবিশ্বের সৃষ্টি যে কোয়ার্ক থেকে, মানবজাতি সে কোয়ার্ককেই যেখানে দর্শন লাভ করতে সমর্থ নয়, সেখানে সমগ্র মহাবিশ্বের স্রষ্টাকে কি করে দেখার জেদ ধরতে পারে? হয়ত মহান স্রষ্টা তার অস্তিত্বের প্রমাণ খুঁজে বের করার জন্যই তিনি নিজে অদৃশ্যে অবস্থান করে মহাবিশ্বের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে অদৃশ্যে স্থাপন করেছেন। সুতরাং স্রষ্টাকে অস্বীকার করা বর্তমান বিজ্ঞানকেই অস্বীকার করার শামিল।
©somewhere in net ltd.