![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, গতকালের পর আজ পরিবেশ পরিচিতি বিজ্ঞান বিষয়ের ৬ নম্বর অধ্যায় ‘প্রাথমিক চিকিৎসা’ থেকে নমুনা প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব।
# শুদ্ধ হলে ডানপাশে-শুদ্ধ এবং অশুদ্ধ হলে-অশুদ্ধ লিখ।
প্রশ্ন: বড় কোনো দুর্ঘটনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
উত্তর: বড় কোনো দুর্ঘটনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। —অশুদ্ধ
প্রশ্ন: ছোটখাটো দুর্ঘটনায় কেউ আহত, অসুস্থ বা পীড়িত হলে তাৎক্ষণিকভাবে তার জন্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলে।
উত্তর: ছোটখাটো দুর্ঘটনায় কেউ আহত, অসুস্থ বা পীড়িত হলে তাৎক্ষণিকভাবে তার জন্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলে। —শুদ্ধ
প্রশ্ন: হাড় ভাঙা জায়গায় কোনো ওষুধ মালিশ করা যাবে না।
উত্তর: হাড় ভাঙা জায়গায় কোনো ওষুধ মালিশ করা যাবে না।—শুদ্ধ
প্রশ্ন: সব ধরনের সাপ বিষধর।
উত্তর: সব ধরনের সাপ বিষধর।—অশুদ্ধ
প্রশ্ন: ক্ষত স্থানে দুটি দাঁতের দাগ স্পষ্ট দেখা গেলে বুঝতে হবে, সাপটি বিষধর ছিল।
উত্তর: ক্ষত স্থানে দুটি দাঁতের দাগ স্পষ্ট দেখা গেলে বুঝতে হবে, সাপটি বিষধর ছিল।—শুদ্ধ
প্রশ্ন: কেউ যদি তড়িতাহত হয়, তবে তাকে স্পর্শ করতে হবে।
উত্তর: কেউ যদি তড়িতাহত হয়, তবে তাকে স্পর্শ করতে হবে।—অশুদ্ধ
প্রশ্ন: অনেক সময় তড়িতাহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হয়।
উত্তর: অনেক সময় তড়িতাহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হয়।—শুদ্ধ
# সংক্ষিপ্ত প্রশ্নে উত্তর দাও।
প্রশ্ন: প্রাথমিক চিকিৎসা কাকে বলে?
উত্তর: দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির জীবন বাঁচানোর জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। দুর্ঘটনায় পড়ে কেউ আহত, অসুস্থ বা পীড়িত হলে তাৎক্ষণিকভাবে তার জন্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলে। প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে আহত ব্যক্তির যন্ত্রণা কিছুটা লাঘব করা যায়।
প্রশ্ন: বিষধর সাপের কামড় কীভাবে চেনা যায়?
উত্তর: সব ধরনের সাপ বিষধর নয়। বাংলাদেশের সবচেয়ে বিষধর সাপ হলো গোখরা ও কেউটে। কোন সাপ বিষধর তা এর কামড়ের কারণে সৃষ্ট ক্ষত দেখে নির্ণয় করা যায়। ক্ষত স্থানে দুটি দাঁতের দাগ স্পষ্ট দেখা গেলে বুঝতে হবে যে এটা বিষধর সাপের কামড়। কখনো কখনো বিষধর সাপের কামড়ে মানুষ ও জীবজন্তু মারা যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪৫
ওয়াজীহ উদ্দীন বলেছেন: প্রশ্ন: বিদ্যুতায়িত বস্তু থেকে তড়িতাহত ব্যক্তিকে কীভাবে আলাদা করা যায়?
উত্তর: তড়িতাহত বলতে আমরা তড়িৎ বা বিদ্যুৎ দ্বারা আহত হওয়া বুঝি। বিদ্যুতায়িত বস্তুটি থেকে তড়িতাহত ব্যক্তিকে তৎক্ষণাৎ আলাদা করার জন্য প্রথমে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে। মেইন সুইচ বন্ধ করা সম্ভব না হলে শুকনো কাঠ বা বাঁশ দিয়ে এমনভাবে তড়িতাহত ব্যক্তিকে ধাক্কা দিতে হবে, যেন বিদ্যুৎবাহী বস্তুটির সংস্পর্শ থেকে সে আলাদা হয়ে যায়। কোনো অবস্থায় তড়িতাহত ব্যক্তিকে স্পর্শ করা যাবে না।
প্রশ্ন: তড়িতাহত ব্যক্তিকে বিদ্যুতায়িত বস্তু থেকে আলাদা করার সময় তুমি কোন কোন বিষয়ের দিকে লক্ষ রাখবে?
উত্তর: তড়িতাহত বলতে আমরা তড়িৎ বা বিদ্যুৎ দ্বারা আহত হওয়া বুঝি। তড়িতাহত ব্যক্তিকে বিদ্যুতায়িত বস্তু থেকে আলাদা করার সময় আমাদের লক্ষ রাখতে হবে—
১. কেউ যদি তড়িতাহত হয়, তবে তাকে কোনো অবস্থায়ই স্পর্শ করা যাবে না। কারণ, মানুষের দেহ বিদ্যুৎ পরিবাহী। তড়িতাহত ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে সেও তাৎক্ষণিকভাবে তড়িতাহত হয়ে পড়বে।
২. ভেজা কাঠ ও বাঁশের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে। অথচ শুকনা কাঠ ও বাঁশ বিদ্যুৎ অপরিবাহী। এ জন্য বিদ্যুতায়িত বস্তুটি থেকে তড়িতাহত ব্যক্তিকে আলাদা করার জন্য শুকনা কাঠ ও বাঁশ ব্যবহার করতে হবে।
৩. অনেক সময় তড়িতাহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হয়। প্রয়োজনে রোগীর জন্য কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসক ডাকতে হবে বা রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
প্রশ্ন: কী কী কারণে একটি বস্তু বিদ্যুতায়িত হতে পারে লেখো?
উত্তর: একটি বস্তু বিদ্যুতায়িত হওয়ার কারণগুলো নিম্নরূপ:
১. বিদ্যুৎসংযোগে কোনো ত্রুটি থাকলে বস্তু বিদ্যুতায়িত হতে পারে।
২. বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে বাড়ি বা অফিসের কোনো বস্তু বিদ্যুতায়িত হতে পারে।
৩. বিদ্যুতায়িত তার বা বস্তুর সংস্পর্শে এলে মানুষ বা অন্য প্রাণী বিদ্যুতায়িত বা তড়িতাহত হয়।
এ সময় সঠিক ব্যবস্থা না নিলে তড়িতাহত মানুষ বা প্রাণীটি মারা যায়।
প্রশ্ন: মনে করো তোমার এক বন্ধুর হাত ভেঙে গেছে, তুমি এখন কীভাবে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেবে লেখো।
উত্তর: আমার কোনো বন্ধুর হাত ভেঙে গেলে প্রাথমিক অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে আমি যা করব তা নিম্নরূপ:
১. আঘাত পাওয়া অঙ্গে বরফ বা ঠান্ডা পানির পট্টি দেব, এতে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানের ফোলা ও ব্যথা কমে যাবে।
২. অঙ্গটি স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে হবে। দুই পাশে দুটি বাঁশের চটা বা পাতলা কাঠের সঙ্গে তুলা জড়িয়ে প্রথমে বেঁধে দেব। ফলে ভাঙা হাড়খানা সহজে নড়বে না, রোগীও কষ্ট কম পাবে।
৩. ভাঙা অংশ বাঁধার কাজে ব্যান্ডেজও ব্যবহার করতে পারি। হাতের কাছে ব্যান্ডেজ না পাওয়া গেলে পরিষ্কার শাড়ি বা লুঙ্গি ছিঁড়ে ব্যবহার করতে পারি।
৪. ভাঙা জায়গায় কখনো কোনো ওষুধ মালিশ করব না।
৫. ভাঙা হাড় টেনে সোজা করার চেষ্টা করব না।
৬. যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগীকে চিকিৎসকের কাছে অথবা হাসপাতালে নিয়ে যাব।