![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নবম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বইয়ের ৮২ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে "দেবদেবীর বা আল্লাহ ব্যাতিত অন্যের নামে উৎসর্গকৃত গোশত খাওয়া'' হারাম। আজ উল্লিখিত লাইনের অর্থ বিকৃত করে রাজনৈতিক ভাবে ফায়দা হাসিলের চেষ্ঠা করছে অনেকে। কিন্তু এই লাইনের প্রকৃত অর্থ যে কোন সুবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছে বোধগম্য।
"আল্লাহ ব্যাতিত অন্যের" কথাটির আরবী অনুবাদ হল "গয়রুল্লাহ"। এখন লাইনটির ব্যাখ্যা এরকম হবে - দেবদেবীর বা গয়রুল্লাহর নামে উৎসর্গকৃত গোশত খাওয়া হারাম। অর্থ্যাৎ দেবদেবীর নামে উৎসর্গকৃত গোশত খাওয়া হারাম এবং গয়রুল্লাহ তথা আল্লাহ ব্যতিত অন্যের নামে উৎসর্গকৃত গোশত খাওয়াও হারাম। এখানে দেবদেবী এক অংশ আর আল্লাহ ব্যতিত অন্যের কথটি আরেক অংশ। দেবদেবীর সাথে আল্লাহকে সমান করা হয় নি। তাই বাক্যটির প্রকৃত অর্থ হল - কোন দেবদেবীর নামে উৎসর্গকত গোশত খাওয়া হালাল নয় অথবা গয়রুল্লাহ তথা আল্লাহ ব্যতিত অন্যের নামেও উৎসর্গকৃত গোশত খাওয়া হালাল নয়। একমাত্র আল্লাহর নামে উৎসর্গকৃত গোশত খাওয়া হালাল।
উল্লেখ্য যে, যদি বাক্যটিতে দেবদেবীর না লিখে দেবদেবী লিখা হত তাহলে বাক্যটির অর্থ বিকৃত হয়ে যেত। অর্থ্যাৎ দেবদেবী বা আল্লাহ লিখার কারণে আল্লাহকে দেবদেবীর সাথে সমান করা হয়ে যেত।
কিন্তু এর সঠিক ব্যাখ্যা না দিয়ে সরকার দেবদেবীর শব্দটি কেটে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছেন। অথচ বাক্যটি ১০০% শুদ্ধ আছে।
©somewhere in net ltd.