নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপূর্ণতা......আর অতৃপ্তি......

ভেজা চশমা

ভেজা চশমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মের কল ও অন্যান্য

১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

ছোটবেলায় সমাজ বইয়ে পড়েছিলাম- চরাঞ্চলের মানুষ বেশী মারামারি প্রিয় হয়। প্রথম দেখায় আমার কাছে ব্যাপারটাকে "নোয়াখালী-কুমিল্লা-ব্লাব্লা-ব্লাব্লা" টাইপের একটা রেসিস্ট স্টেটমেন্ট মনে হয়েছিল। কিন্তু পরে বুঝেছিলাম কথাটার মানে এটা না যে চরাঞ্চলের মানুষ খারাপ। এটার মানে চরগুলোতে প্রাকৃতিক আবহ, জীবনযাত্রা, ওখানকার সামাজিক সমস্যাগুলো মানুষকে মারামারি, সংঘাতের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় খুব ছোট থেকেই। তাই তাদের কাছে এগুলা আর কোন ব্যাপার মনে হয় না। তাদের মেন্টালিটিই মারমুখী হয়ে যায়। অনেকটা "দারিদ্রতা সন্ত্রাসের জন্ম দেয়" টাইপ একটা ব্যাপার।
এই টাইপ গবেষণাগুলো স্ট্যাস্টিকাল হয় মেইনলি। সবই পারসেন্টেজের হিসাব, আর তার সাথে থাকে কিছু সাপোর্টিং ব্যাখ্যা। যুক্তিতর্ক। শুধু যুক্তি দিয়ে কিছু হয় না, কারন এগুলা সাইন্স। সোশ্যাল সাইন্স, পলিটাকাল সাইন্স- সো, ডেটা লাগবেই ভেলিডেট করার জন্য। আসলে ডেটাই ঠিক করে দেয় কোনটা ফ্যাক্ট। লজিক আসে ফ্যাক্টকে ব্যাখ্যা করার জন্য। কজ এই টাইপ বিষয়ে কোনদিকেই দেয়ার মত লজিকের অভাব নাই। তাই ফ্যাক্টের দিকে তাকাতে হবেই।
আমি কয়েক বছর আগে আমার ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে দেখতাম দুনিয়ার সব বড় বড় গ্যাঞ্জামে মুসলমান কমন। উপমহাদেশের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, আমেরিকার বালছাল, মিডিল ইস্টের যুদ্ধ, আফ্রিকার মুমূর্ষু অবস্থা, ইউরোপে বোম্বিং - সবখানে মুসলমান আছেই। কেন? এটা তো নরমাল প্রোবাবিলিটিতে পড়ে না- সব ধর্ম নিয়ে সমানভাবে ঝামেলা হয় না। ইসলাম নিয়ে বেশী হয়। এখানে একটা ফ্রেজ খুব ইম্পর্ট্যান্ট- "ধর্ম নিয়ে" আমি যদি এখন টাকার জন্য একজনকে খুন করি- সেখানে আমার আব্বু আসবে না, ধর্ম আসবে না। আমি যদি বলি আমি আমার আব্বুকে বাজে কথা কথা বলায় আমি খুন করেছি, তখন পুলিশ আব্বুর কাছে যাবে ঘটনা ইনভেস্টিগেট করার জন্য। আব্বুতো পুরাই টাস্কি। "কোনদিন আমার সামনে বিড়ি খাইসে ছেলেটা- এর জন্য খুন? শিট ম্যান... আমি তো এটা নিয়ে সিয়ামকে কিছু বলিও নাই" ব্যাস। এইটুকুই আমার আব্বুর পার্ট। এই কেসের সাথে আমার আব্বুর আর কোন সম্পর্ক নাই।
কিন্তু আমি যদি আমার চাচাকে খুন করে বলি আমার আব্বু আমাকে বলছিল খুন করতে- সম্পত্তির জন্য। তখন কিন্তু কাহিনী আলাদা। তখন জেলে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কাহিনী বের করার জন্য। যদি দেখা যায় যে হ্যা, তার কোন কথায় বা কাজে আমি উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম- সেও গিল্টি হবে।
সুতরাং, একটা মানুষ যদি বলে যে তার রিলিজিয়ন তার কোন একটা খারাপ কাজে তাকে উদ্বুদ্ধ করেছে, তাহলে কিন্তু ওই রিলিজিয়ন নিয়ে প্রশ্ন করাটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আর রিলিজিয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মানে এটার সব অনুসারীকে প্রশ্নবিদ্ধ করা না। এরকম অনেক হয়েছে ইতিহাসে যে এক টিচার স্কুলে উল্টাপাল্টা জিনিস শেখায় বাচ্চাদেরকে। বাচ্চারা সবাই উল্টাপাল্টা কথা বলে, কাজ করে বেড়াচ্ছে। এটা নিয়ে তদন্ত হবার পর টিচারের চাকরী গেছে। বাচ্চাদেরকে কিন্তু কেউ বের করে দেয় নাই স্কুল থেকে। তারা ভিকটিম। কিন্তু টিচারটা ক্রিমিনাল, স্কুলটা খারাপ। এই ব্যাপারটাই অনেক বেশী ভয়াবহ হয় যখন একটা নির্দিষ্ট ধর্মের বা ধর্ম না বলে "মতবাদের" অনেকগুলো মানুষ ওই মতবাদকে নিয়ে অশান্তি করে বেড়ায়। তখন ওই মতবাদকে অন্যরা কাঠগোড়ায় তুলবে এটাই স্বাভাবিক।
এখন মতবাদটা গিলটি হবে কিভাবে? যখন এর মাঝে এমন কিছু ইলেমেন্ট পাওয়া যাবে যা আসলে উস্কানিমুলোক। এখানে এসেই আসল ঝামেলা বাঁধে। একটা মতবাদের ব্যাখ্যা অনেক রকম হতে পারে। তাই কেউ এটার জন্য আকাম করলে ডিরেক্ট মতবাদের নাম দেয়াটা সহজ নয়। যেমনটা হয়েছে "কমিউনিজম" শব্দটার প্রতি। কমিউনিস্ট মানেই যুদ্ধবাজ- এটা ছড়িয়ে গেছে একটা সময়। কিন্তু অনেকেই তা মনে করবেন না।
যাই হোক, এরকম অবস্থায় আমার মনে হয় খুব সহজ একটা আইডিয়া পাওয়া যেতে পারে কো-রিলেশন করে।
আমার কয়েক বছর আগের ধর্মীয় উগ্রপন্থীদেরকে নিয়ে ধারনাটা আসলে ভুল ছিল। দুনিয়ায় ইসলাম ছাড়া অন্যান্য ধর্মগুলোরও অনেক টেরোরিস্ট গ্রুপ আছে। আবার বলি- একটা "ধর্মের টেরোরিস্ট" সেই ব্যাক্তি যে ওই ধর্মকে বেস করে টেরোরিজম করে বেড়ায়। একটা কামাতুর রেপিস্ট মানুষ রিলিজিয়াস ফ্যানাটিক না। কিন্তু কেউ যদি ধর্মযুদ্ধের নামে রেপ করে, তাহলে সে রিলিজিয়াস ফ্যানাটিক। ( আমার কাছে সংজ্ঞা এটা)
ইসলাম এই গ্রহের অন্যতম "বড়" ধর্ম। ( সংখ্যার দিক থেকে) এর সমান আরেকটা হল খ্রিস্ট ধর্ম। এটা সবথেকে "বড়"।
খ্রিস্টান টেরোরিস্ট গ্রুপও কিন্তু অনেক ছড়ানো। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক নামের একটা গ্রুপ আছে- এরা চরম মাত্রায় আগ্রাসী এবং ইসলাম বিদ্বেষী। এই মিলিশিয়া বাহিনী আফ্রিকায় এখনো ম্যাসাকার করে বেড়ায়। ইভেন মুসলমান ভিক্টিমদেরকে খেয়ে ফেলার অভিযোগও আছে এদের বিরুদ্ধে। হ্যা, এই যুগের কাহিনী। এদের খবর মিডিয়ায় খুব একটা আসে না। আফ্রিকার জনগন তো আসলে মানুষ না- তাই তাদের কথা জানানোর প্রয়োজন মিডিয়ার নাই।
খুব অবাককর ব্যাপার হল পাশের দেশ ভারতে অনেকগুলো খ্রিস্টান টেরোরিস্ট গ্রুপ আছে। ত্রিপুরায় ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা যুদ্ধ করছে নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য। এরা হিন্দু বিদ্বেষী। বেশ কিছু মানুষকে তারা খুন করেছে খ্রিষ্ট ধর্মের নামে। নাগাল্যান্ডে আছে ন্যাশনাল সোশ্যাল কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড। এদের উদ্দেশ্য আলাদা খ্রিস্টান রাষ্ট্র। এরা অন্তত ৯০০ কুকি আদিবাসীকে হত্যা করেছে ২০১৫ এর আগে। ২০১৫ তে শান্তিচুক্তি হওয়ার পর এখন এরা বেশ ঠান্ডা।
এই দুটো ছাড়া ইন্ডিয়ার আসামেও এই টাইপ আরো পাওয়ারফুল খ্রিস্টান টেরোরিস্ট গ্রুপ আছে। আছে লেবাননে, উগান্ডায়। উগান্ডার সবথেকে বড় খ্রিস্টান গ্রুপটা অবশ্য আমার ঠিক "খ্রিস্টান টেরোরিস্ট গ্রুপ" মনে হয়নি। ওদের আলাদা ধর্ম প্রচারক আছে। হ্যা, এই যুগের মানুষই ওদের নবী। অদ্ভুত না?
এখন ইউনাইটেড স্টেটের কথা বলা উচিৎ। দ্যা মাইটি আম্রিকা। বাংলাদেশের শিক্ষিত মানুষ বিদেশ বলতে আম্রিকাকেই বোঝে। আবার ইসলামের সবথেকে বড় শত্রু হিসেবেও এর নাম এক নাম্বারে। আম্রিকায় বিশাল কিছু খ্রিস্টান ফ্যানাটিক গ্রুপ আছে। এরা অ্যাবর্শন করা হাসপাতালে হামলা চালায়, স্টেডিয়ামে বোম্বিং করে, লেসবিয়ান নাইটক্লাবে গিয়ে মানুষ মারে ( সিরিয়াসলি ম্যান, একটা ছেলে কিভাবে লেসবিয়ান মেয়েদেরকে মেরে ফেলে? ড্যাম... ) এরা আবার ব্যাংকও লুট করে। হাহাহা...
একই জিনিস ইহুদী, হিন্দু সবার জন্য সত্য। ব্যাপারটাকে আর লম্বা এবং সিউডো রেসিস্ট না করে আসল প্রসংগে যাই। এই মুহুর্তে পৃথিবীতে সবথেকে বেশী ধর্মীয় উগ্রবাদী ইসলামকে পুঁজি করে বা আসলেই ইসলামের নামে সন্ত্রাস করে বেড়ায়। কে আসল মুসলমান, কে নকল এটা জাজ করার ক্ষমতা আমার, আপনার নাই। তাই এই টাইপ কথা বাদ দেয়াটা বেটার। কিছুদিন ধরে সকল মুসলমান আর ইসলামিক টেরোরিস্টের অনুপাত দেখায় অনেকে বলছে সব মুসলমান টেরোরিস্ট না। কি হাস্যকর। এটা এরকম অংক দিয়ে বলার কি আছে? সোমালিয়ারও সবাই যোদ্ধা না। এটা সবাই জানে। ইসলামিক টেরোরিস্ট টু টোটাল মুসলমান অনুপাত করলে জিনিসটা যে খুব নগন্য হবে সেটাই স্বাভাবিক । কিন্তু এই মুহুর্তে ইসলামিক টেরোরিস্ট টু টোটাল রিলিজিয়াস টেরোরিস্ট অনুপাত করলে সেটা কিন্তু বেশ বড় একটা ভগ্নাংশ হবে। হাফের বেশী। রাফলি আমার মনে হয় চার ভাগের তিন ভাগের মত হবে। কিন্তু হওয়ার কথা ছিল ৬ ভাগের একক ভাগ। কারন মোট ৬০০ কোটি মানুষের ১০০ কোটি মুসলমান। আবার "কৃতিত্বের" বেসিসে অনুপাত করলে ভগ্নাংশটা তো প্রায় এক। তারমানে আসলেই এই ধর্ম থেকে টেরোরিস্ট বেশী তৈরী হচ্ছে। অস্বীকার করার কোন ওয়ে নাই। এটার কারন নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে। কিন্তু ফ্যাক্টকে অস্বীকার করা যাবে না। ইসলামিক টেরোরিজমের আরেকটা ডিফ্রেন্ট ব্যাপার হল এটা সবখানেই আছে। যেখানে মুসলমান বেশী সেখানেও আছে, যেখানে কম সেখানেও আছে। তাই দেশের বা সমাজের দোষ আমি ডিরেক্ট দিতে পারছি না। বলতে পারছি না নিগৃহীত হয়ে হয়ে তারা টেরোরিস্ট। এখানে অন্য কোন ব্যাপার আছে। একদম উপরের লেভেলে আছে হার্ডকোর পলিটিক্স আর টাকা। কিন্তু রুট লেভেলে যারা কাজগুলো করে, তারা আসলেই ধর্মের নামেই করে, তারা বিশ্বাস করে যে এটা সওয়াব। তারমানে আইএস টাইপ সংগঠন, যেটাকে ইদানীং মুসলমানরা ইসরাইলের সৃষ্টি বা আম্রিকার সৃষ্টি বলে দাবী করে ( আম্রিকা আছে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ইসরাঈল যদি জড়িত হয়ে থাকে আসলেই, তারা বিশাল একটা রিস্কি বিজনেস করছে) সেখানেও লোয়ার এন্ডে ইসলামকেই ইউজ করা হল। ব্যাপারটা আরো খারাপ। যদি পুরোটাই ধর্ম থেকে উদ্ভুত হয়ে থাকে- তাহলে শিওরলি বলতে হবে এটায় ধর্মের প্রভাব আছে। যেভাবেই হোক। হয়ত সবই "ভুল ইন্টারপ্রিটেশন"। কিন্তু তখনও- অন্য ধর্মগুলোর থেকে এটাকে সহজে ভুল ভাবে নেয়া যায়, মানুষ বিভ্রান্ত হয়। এটা একটা সমস্যাই। আর যদি পেছনে ইহুদী নাসারারাই থেকে থাকে তার মানে হল- এই ধর্মের মানুষকে এই ধর্মেরই গ্রন্থ দিয়ে বোকা বানাচ্ছে অন্য ধর্মের কিছু মানুষ। শিট ম্যান.... সামথিং ইজ রিয়েলি রং হিয়ার...
ধর্মীয় চরমম্পন্থী- সব ধর্মে আছে, ছিল এবং ধর্ম ব্যাপারটা যতদিন থাকবে, এটাও থাকবে যদি আমরা এটাকে কোশশেন না করি। বিশ্লেষণ না করে মানুষ যতদিন ধর্ম মানবে- এটা প্রবলেম ক্রিয়েট করবেই। অন্য সব জ্ঞানের শাখার মত এনালিটিক্যালি এটাকেও দেখা উচিৎ। তবে ধর্ম তো সাইন্স না যে আমরা ডিরাইভ করবো, ভুল বের করে আবার সেটাকে শুধড়ে দিয়ে এগিয়ে যাব। কিন্তু নিদেনপক্ষে মেইন বই পড়ে ধর্ম সম্পর্কে জানা উচিৎ। তবে এই সাইডেও সমস্যা আছে। পাকিস্তানের ২৪%, মালয়শিয়ার ১১ না জানি কত পার্সেন্ট মানুষ আইএস সাপোর্ট করে। ইন্দোনেশিয়া, আম্রিকা সবিখানেই সংখাটা ১ এর বড়। এদের অনেকেই কুরআন "বুঝে" পড়েছে বলে দাবী করা মানুষ। তাহলে সে কি বুঝল আর বাংলাদেশের গনু মোল্লার মত শান্তিপ্রিয় মুসলমান কি বুঝলো একই স্ক্রিপচার পড়ে- আমি কিছুই বুঝলাম না..
আসলে সবাই খারাপ। ইউরোপে "উইচ" বলে প্রকৃতি পুজারীদেরকে খ্রিস্টানরা পুড়িয়ে মেরেছে বেশী দিন হয়নি। এখন তারা কিছুটা ম্যাচিউরড। তাও পুরোপুরি না। ইসলাম খ্রিষ্ট ধর্মের প্রায় ৬০০ বছরের ছোট। তো ওই হিসেবে ৫-৬ শ' বছর পর তারা ওই কাজটা করছে- এটা আসলে ওই ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি... আর কিছু না। সামির মত সেক্ষেত্রে বলতে হবে- "এগুলা না ভেবে চিল করেন। দেয়ার ইজ নো কিউর।"
আমি ভাবি না। শুধু চিলই করি। টিভি দেখি না, পেপার পড়ি না, ফেসবুকে জ্ঞানগর্ভ জিনিস দেখলে এড়িয়ে যাই, আনফলো করে রাখি। চলমান বিশ্বের খবর বলতে যা বোঝায়, সেটা আমি এখন আর রাখি না। কারন মাথায় হুদাই জাস্ট ইনপুট নেয়ার কোন মানে নাই। ধর্ম, পলিটিক্স, সমাজ- এগুলা নিয়ে ভেবে, বলে, জেনে আসলে কোন লাভ নাই। কিছুই করতে পারবো না আমি। তাই শুধু শুধু খুন-ধর্ষণ আর লুটপাটের কাহিনী শুনে মন খারাপ করার কোন মানে নাই। এই টাইপ ফ্যান্সি বিষয় নিয়ে জীবনেও আর টাইম ওয়েস্ট করবো না বলে ঠিক করেছিলাম আমি। তাও আজকে একটা আর্জ ফীল করলাম কেন যেন... হুদাই। সময়টা নষ্ট হল। এর থেকে একটা লেসবো পর্ন দেখলে লাভ হত... কিছু ওয়েবসাইটের ভিউ বাড়তো, কিছু বিজ্ঞাপনে ক্লিক পড়ত, মেয়েগুলো কিছু টাকা পেত, আর আমার শরীরেরও কিছু ব্যায়াম হত... :P

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.