নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যখন নিজের সাথে দেখা হয়

প্রায় প্রতি রাতেই অন্তত একবারহলেও নিজের সাথে দেখা হয়ে যায়। তখন নিজের সাথে নিজেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি। দ্বিধা, দ্বন্দ, ক্ষোভ, আনন্দ, দুঃখ আর প্রতিবাদে মুখর থাকে সেই ক্ষণ। এসব অনুভূতি প্রকাশ করার মতো কাউকে যখন পাই না। তখন লিখতে বসে যাই।

যখন নিজের সাথে দেখা হয়

প্রায় প্রতি রাতেই অন্তত একবার হলেও নিজের সাথে দেখা হয়ে যায়। তখন নিজের সাথে নিজেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি। দ্বিধা, দ্বন্দ, ক্ষোভ, আনন্দ, দুঃখ আর প্রতিবাদে মুখর থাকে সেই ক্ষণ। এসব অনুভূতি প্রকাশ করার মতো কাউকে যখন পাই না। তখন লিখতে বসে যাই। হয়তো কেউ পড়ে। কেউ পড়ে না। তাতে আমার কোনো দুঃখ নেই। আমি লিখেই শান্তি পাই। কখনো কখনো লিখতে লিখতেই নিজের নানা প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাই।।

যখন নিজের সাথে দেখা হয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মকে কেন অসম্মান?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

যার যার ধর্ম তার তার। কোনো সন্দেহ নেই। যে কেউ তার বিশ্বাসকে উপস্থাপন করতে পারে। তাতে কোনো সমস্যাও নেই। কিন্তু একটা বিষয় আমার কাছে খুব অপরিষ্কার। কিছু মানুষকে দেখা যায় শুধুশুধুই ধর্ম নিয়ে ঠাট্টা/ফাইজলামি/কটাক্ষ/ পরিহাস/ কৌতুক করতে। এক কথায় বললে, কিছু মানুষ ধর্মকে অবমাননা করে লেখালেখি করে। এই কাজটা তারা কেন করে , কি উদ্দেশ্যে করে তা পরিষ্কার নয়। একজন লেখকের কাজ হতে পারে জ্ঞানের চর্চা করা, সমাজের নানা অসঙ্গতির চিত্র পাঠকের সামনে তুলে ধরা, মানুষকে যে কোনো বিষয়ে স্বচ্ছ ধারনা দেয়া। কিন্তু মানুষের বিশ্বাসের অনুভূতিতে আঘাত করা কখনোই কাম্য নয়।



ধর্মীয় অনুভূতি মানুষের ভেতরে লালিত এক বিশ্বাস, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। নিজের পিতা-মাতা, ভাই-বোন কিংবা ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে কেঊ বাজে কোনো মন্তব্য করলে যে কষ্ট হয়, ধর্ম কে নিয়ে করলে তারচেয়ে বহুগুন বেশী কষ্ট হতে পারে। একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ, সুশীল সমাজের মানুষ সে ব্লগার হোক কিংবা লেখক হোক, কখনোই মানুষের একান্ত অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারেন না।



একজন লেখক কিংবা ব্লগারকে মুক্তচিন্তা প্রকাশের স্বাধীনতা যে রাষ্ট্র দিয়েছে, সে রাষ্ট্রই এই স্বাধীনতার অপব্যবহার করতে নিষেধ করে দিয়েছে। কোনো ভাবেই কারও ব্যক্তিগত অনুভূতিতে আঘাত করা যাবে না। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, “অবশ্যই আমি সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করি না”।



সীমা লঙ্ঘনকারীদের কেউই ভালবাসেনা।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

মাকনুন মাহজুব বলেছেন: মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, “অবশ্যই আমি সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করি না”।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

শার্লক বলেছেন: একমত।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: কারণ (সে যে ধর্মই হোক না কেন ..)অন্য ধর্ম কে অসম্মান করতে শেখায় ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮

যখন নিজের সাথে দেখা হয় বলেছেন: বুঝতে পারলাম না। কে অন্য ধর্ম কে অসম্মান করতে শেখায়?

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

খুব সাধারন একজন বলেছেন: ---ডিভাইড এন্ড রুল---

আমরা সত্যর পক্ষে আবেগের আন্দোলন করি অরা দেয় দাবা-পাশা খেলার গুটির চাল। আমরা বিচার চাই আর অরা নানা দিকে দৃষ্টি ঘোরায়- গাঁজা, গান বাজনা, নাস্তিকতা, সাগর রুনী, ছাত্রলীগ, ধর্মীয় অবমাননা, বিশ্বজিৎ, চাউলের দাম, সীমান্ত, 'আর সব'যুদ্ধাপরাধী... এখনো আজো একাত্তুরেও।

রাজীব থাবা বাবা হওয়ায় মারা গেলে অনেক আগে যেত। সে মারা গেছে শাহবাগে যাওয়ায়। সে মারা গেছে বাংলাদেশে একাত্তর সালে যারা ৩০ লাখ খুন, ৪ লাখ নারীকে ধর্ষণ, এখনো মুক্তিযুদ্ধাদের প্রকাশ্যে লাথি দেয়, গৃহযুদ্ধের ঘোষণা দেয় আর একাত্তরের খুনীদের রক্ষা করতে প্রতিদিন আটশো কোটি টাকা গচ্চা দেয় হরতাল দিয়ে সেই জামাতির বিচার চাইতে গিয়ে।

রাজীবের জানাযার কথা ভোলেন। মূল প্রসঙ্গে আসো বাংলাদেশের মানুষ। রাজীব নাস্তিক এইজন্য খুন হয় নাই। রাজীব শাহবাগে যায় তাই খুন হয়েছে।

প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, একজন মুসলমানের পাঁচটি কর্তব্য। তার মধ্যে এক কর্তব্য হল, যখন কোন লাশ যায়, তার যা বিশ্বাসই হোক না কেন, সম্মান দেখিয়ে উঠে দাঁড়াবে।

বাংলার মানুষ, আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে। দশটা কথার জবাবে একটা কথা হলেও বল। বাংলাদেশ সবার দেশ। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান-নাস্তিক-বাংগালী-চাকমা-মারমা সবাই একাত্তুরে খুন হয়েছে পাকিস্তানিদের হাতে। মনে রেখ, তোমার শত্রু তোমাকে চেনে বাংগালী বাংলাদেশী হিসাবে, কিন্তু মুখে বলে, নাস্তিক-আওয়ামী-শাহবাগী

কয়দিন পরে বলবে, খুন হইসে ভাল হইসে, ঠিকই তো করসে, ওই পোলা সিগারেট খায় জিন্সের পেন্ট পড়ে।
এক পলকে একাত্তর---এভাবে দেখাও---এবং এভাবে---পাকিস্তানে উল্লাস---চাই সতর্কতা,---ইনডাইরেক্টলি,---ভিন্নখাত

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

যখন নিজের সাথে দেখা হয় বলেছেন: ভাই, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আপনার মন্তব্যটি এই লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক নয়।

ব্লগার ও লেখকদের একে অপরের ধর্ম ও বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকাটাই কাম্য। এইটাই এই লেখার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: প্রতিটি ধর্ম অন্য ধর্ম কে ।
যেমন ভাবে ইহুদি রা মুসলিম কে ,মুসলিম রা ইহুদি দের ।
সেমেটিক রা নন সেমেটিক দের ।
প্রটেস্টান্ট দের সাথে অর্থডক্স দের ।
যেকারণে প্রত্যেকটা ধর্মের মানুষ ই ভাবে তাদের ধর্মই সত্য ।প্রতিটা ধর্ম গ্রন্থে এই দাবি করা হয় ।বিধর্মী দের জন্য জান্নাতের ব্যবস্থা করা হয় না ।
দেখুন যেমন ভাবে ইহুদি রা ভাবে তারা ই কেবল মাত্র ইশ্বরের সাথে হ্যান্ডশেক করতে পারে ,তেমন ভাবে হিন্দু রাও ভাবে তারা ই কেবল মাত্র ইশ্বরের সাথে হ্যান্ডশেক করতে পারে,আবার ঠিক একই ভাবে মুসলিম রাও ভাবে তারা ই কেবল মাত্র ইশ্বরের সাথে হ্যান্ডশেক করতে পারে।ধর্ম নিয়ে পৃথিবীতে যে এত মারা মারি তার মূল কারণ তো এটাই ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

যখন নিজের সাথে দেখা হয় বলেছেন: ভাই, আপনার কথা ঠিক আছে কিন্তু আমি একটা লাইন যোগ করতে চাই। প্রতিটি ধর্মেই বলা হয়েছে অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে আর এই কথাটা মানলেই কোনো ঝামেলা নেই।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: ভাই এটা একটা হিপোক্রেসী ।ধরুন আপনি মুসলিম ,আপনি জানেন যে হিন্দু ধর্ম সত্য নয় ।তাহলে আপনি হিন্দু ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন কি করে ?আপনি যদি পূজা অর্চনা কে পুতুল পূজা হিসাবে দেখেন তাহলে শ্রদ্ধা তো দুরের কথা নিজের মতো করে নিতেও পারবেন না ।

মালাউন ,কাফির ,বিধর্মী ...এই ধরনের ঘৃনা বাচক শব্দ গুলি ধর্মই বহন করে ।আপনি পৌত্তিলিকতা কে নিচু নজরে দেখবেন ,আবার বলবেন আপনি সব সব ধর্ম কে শ্রদ্ধা করেন ।দুটো বিপরীত মুখী ।আবার আপনি ইহুদি দের সাথে অন্তিম লড়াই এর জন্য প্রস্তুত হবেন(ইহুদি দের কেমন ভাবে মারতে হবে কোরানের একটি আয়াতে তার বর্ণনাও আছে ..আপনি নিশ্চই জানেন ) আবার বলবেন আপনি ইহুদি দের প্রতি শ্রদ্ধা শীল ...সেটা দ্বিচারিতা ।এখানে ইসলামের কিছু উদাহরণ দিলাম আসলে পৃথিবীর সব ধর্মগ্রন্থ গুলো তেই দ্বিচারিতা তে ভর্তি ।শো অফ করবার জন্য "যার যার ধর্ম তার তার" নামক বাণী পৃথিবীর সব ধর্ম গ্রন্থেই আছে ।কিন্তু তারপেরই বিষ মাখানো কথা বার্তা লেখা আছে ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

যখন নিজের সাথে দেখা হয় বলেছেন: তাহলে আর কি করা। নিজের বিবেক বুদ্ধিকে ব্যবহার করতে হবে। মনোভাবকে বদলাতে হবে। সবার প্রতি সম্মান রাখতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার লেখা পড়ে সত্যিই চিন্তিত হয়ে পড়লাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.