![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রায় প্রতি রাতেই অন্তত একবার হলেও নিজের সাথে দেখা হয়ে যায়। তখন নিজের সাথে নিজেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি। দ্বিধা, দ্বন্দ, ক্ষোভ, আনন্দ, দুঃখ আর প্রতিবাদে মুখর থাকে সেই ক্ষণ। এসব অনুভূতি প্রকাশ করার মতো কাউকে যখন পাই না। তখন লিখতে বসে যাই। হয়তো কেউ পড়ে। কেউ পড়ে না। তাতে আমার কোনো দুঃখ নেই। আমি লিখেই শান্তি পাই। কখনো কখনো লিখতে লিখতেই নিজের নানা প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাই।।
ডাক্তার রকিব। সারাদিন রোগীদের চিকিৎসা করে একটু ক্লান্ত । গাড়ী নিয়ে বাড়ীর দিকে ছুটছেন। খুব ক্ষিদে পেয়েছে। বাসায় গিয়েই ভাত খাবেন। একজন রোগীকে নিয়েও খুব চিন্তা হচ্ছে। এইসব ভাবতে ভাবতেই রকিব ঘাড় ফিরিয়ে বামে তাকালেন। একটা আগুনের কুন্ডলী তেড়ে আসছে তার গাড়ী লক্ষ্য করে। কিছু বোঝার আগেই চারিদিকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠলো। হরতালের জ্বালাময়ী উৎসবের বলি হলেন ডাক্তার রাকিব, ফারুক ও রায়হান। ডাক্তার রকিবের আর বাড়ী ফেরা হলো না। ভাত খাওয়া হলো না। নিজেরদের শরীরে জ্বলতে থাকা আগুন দেখেও তাদের বিস্মিত চোখ দুটি হয়তো প্রশ্ন রেখেছিলো, আমাদের কি দোষ?
১৮ বছরের কিশোর শ্রমিক সোহেল। সারাদিন কাজ করে যা দু পয়সা আয় হয় তা দিয়েই তার পেট চলে। ঘরে হয়তো মা আছে। ছোট বোন আছে । যাদের ক্ষুদার্ত দৃষ্টি শুধুমাত্র সোহেলের উপর। কাভার্ড ভ্যান থেকে পণ্য নামানোর সময় হরতালের সমর্থকরা সোহেলের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায় তার। নিজের শরীরে জ্বলতে থাকা আগুন দেখেও সোহেলের বিস্মিত চোখ দুটি হয়তো সেই একই প্রশ্ন রেখেছিলো, আমাদের কি দোষ?
সত্যিইতো । আমাদের কি দোষ। আমাদের দেশটা কি দোষ করছে? কি দোষ করেছে এই সাধারণ মানুষ গুলো? যেখানে সেখানে মানুষ পুড়ছে। দেশের সম্পদ পুড়ছে। গোটা দেশটা পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। কিছু স্বার্থলোভী মানুষের লালসার আগুনে, ক্ষোভের আগুনে জ্বলে পুড়ে মরছে গোটা দেশ। আমাদের নাকে এখনো হিন্দু-বোদ্ধদের পোড়া মাংসের গন্ধ লেগে আছে। মন্দিরের প্রতিমার পোড়া গন্ধ এখনো ঝাঝালো। একটা পোড়ার গন্ধ মিলিয়ে যাবার আগেই আরেকটা পুড়ছে।
আর কত ? আর কতবার আগুন জ্বলবে বাংলার পবিত্র মাটিতে? আর কতবার আগুনে পুড়বে বাংলাদেশ? আমরা কার কাছে বিচার চাইবো? কেউ তো আমাদের কথা বোঝে না। শুনেও শোনে না। তবুও আমরা স্বপ্ন দেখে যাই। নতুন করে বাচার স্বপ্ন। সুন্দর একটি শান্তিময় বাংলাদেশের স্বপ্ন। একদিন স্বপ্ন সত্যি হবেই হবে।
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
যখন নিজের সাথে দেখা হয় বলেছেন: অন্তহীন অপেক্ষা।।
২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫
নায়করাজ বলেছেন: এই বস্তাপচা নেতাদের ভোট দিয়ে দেশে শান্তি আসবে না। নতুন নেতা দরকার। বিএনপি-আওয়ামী লীগের বাইরে নতুন নেতা নির্বাচিত করুন।
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
যখন নিজের সাথে দেখা হয় বলেছেন: নেতার কর্মীদেরকেও বদলাতে হবে। আগুন কিন্তু নেতারা লাগাচ্ছেনা। তারা বসে বসে শিষ বাজায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮
নন্দনপুরী বলেছেন: time will say....what people do