![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রায় প্রতি রাতেই অন্তত একবার হলেও নিজের সাথে দেখা হয়ে যায়। তখন নিজের সাথে নিজেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি। দ্বিধা, দ্বন্দ, ক্ষোভ, আনন্দ, দুঃখ আর প্রতিবাদে মুখর থাকে সেই ক্ষণ। এসব অনুভূতি প্রকাশ করার মতো কাউকে যখন পাই না। তখন লিখতে বসে যাই। হয়তো কেউ পড়ে। কেউ পড়ে না। তাতে আমার কোনো দুঃখ নেই। আমি লিখেই শান্তি পাই। কখনো কখনো লিখতে লিখতেই নিজের নানা প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাই।।
আমেরিকাতে হোম-স্কুলিং কে আইন করে বৈধতা দেয়া হয়েছে। যে কোন পিতা-মাতা চাইলেই তার সন্তানকে বাসায় রেখে নিজেরাই পড়াতে পারে। এসব শিশুরা অন্যান্য স্কুল পড়ুয়া শিশুদের মত প্রচলিত পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারে। বাংলাদেশে যেমন প্রাইভেট এ ও-এ লেভেল পরীক্ষা দেয়া যায় ঠিক সে রকমই। আমেরিকাতে বর্তমানে দুই মিলিয়ন শিশু বাসায় থেকে পিতা-মাতার তত্ত্বাবধায়নে পড়াশুনা করছে। অনেকে বাসায় শিক্ষক রেখেই শিশুকে পড়াচ্ছেন। এসব শিশুদের সাথে কথা বলেন আল-জাজিরা'র সাংবাদিক টম একারমেন। শিশুরা জানায় তারা খুব খুশি। বাসায় কোনো বাধাধরা কঠিন নিয়ম নেই। তারা খুশিমনেই খেলতে খেলতে শিখছে। শিশুরা আরও জানায় তারা নিজেদের কখনোই নির্বাসিত মনে করে না, প্রতিদিনই তারা বিকালে পাড়ার বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করে এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে। মূলত বিগত কয়েক বছরে আমেরিকার বিভিন্ন স্কুলে নাশকতার ঘটনায় অনেক পিতা-মাতাই হোম-স্কুলিং এর সিদ্ধান্ত নেয়। অভিভাবকদের মতে, তারা কাজে গেলে খুবই নিশ্চিন্ত থাকেন। কারন সন্তান বাসায় হোম-ওয়ার্ক করছে। নানা রকম বন্ধুদের সাথে মিশে নষ্ট হয়ে যাওয়ারও ভয় নেই কারন নির্দিষ্ট কিছু পরিচিত প্রতিবেশীর সন্তানের সাথেই এরা খেলাধুলা করে।
এই সংবাদটি আজ সকালে পড়লাম। এই মার্চ মাসের ২৮ তারিখের একটা ঘটনা মনে পড়লো। হরতালের নাশকতায় ১৪ বছরের স্কুলছাত্রী অন্তু বড়ুয়া তার চোখ হারালো। দেশে হরতালের কবলে পড়ে স্কুলগামী শিশুরা নানা সময়ে আহত হচ্ছে। নানা রকম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। নিষ্পাপ শিশু মনে ঢুকে যাচ্ছে এক ভয়ানক ভীতি। আজকে আমেরিকার হোম-স্কুলিং নিয়ে সংবাদটি দেখার পড় মনে হলো আমাদের সরকারও কিন্তু এমন একটি আইন করতে পারে। বাংলাদেশের এখন যা অবস্থা তাতে করে হোম-স্কুলিং এর বৈধতা কিন্তু খুবই প্রয়োজন।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫
যখন নিজের সাথে দেখা হয় বলেছেন: দোয়া করি যেন রাজনীতিবিদরা জনগনের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধের প্রতিফলন ঘটায়।
আপনাকেও ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪
বোকামন বলেছেন:
হরতালের নামে ভয়তালে জনগন চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। সবটুকু তো আর পত্রিকা, টেলিভিশনে আসা সম্ভব নয়। শুধু কী আইন করে হবে!
রাজনীতিবিদদের জনগনের প্রতি দায়িত্ববোধ এই সমস্যার সমাধান .....
আপনাকে ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।