![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুম অথবা জাগরনে,কল্পনার জগতে থাকতে ভালোবাসি।মাঝে মাঝে জীবন রংহীন,গন্ধহীন মনে হলেও আমার কল্পনার জগৎ সব সময় রঙিন।
বাবার সাথে সামনা সামনি সম্পর্কটা খুব একটা ভালো নয়।মনে মনে খুব ভালোবাসলেও বাবার প্রতিটা কথায় দ্বিমত পোষণ না করলে শান্তিই লাগতো না!
কিন্তু বাবার বলা গল্প গুলা মুগ্ধ হয়ে শুনতাম,এই একটা বিষয়ে বাবাকে উল্টা পাল্টা কিছু বলে রাগান্বিত করাতাম না।
যাই হোক,গ্রামের বাড়িতে কয়েকজন আত্মীয় আসলেই সন্ধ্যার পর সবাই একসাথে বসতো বাবার গল্প শুনার জন্য।কয়েকটা মাত্রই কাহিনী ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলতেন।কিন্তু কিভাবে যে এতো তেল মসলা দিয়ে মজা করে বলতেন,শুনা গল্প শুনেও বিরক্ত হতাম না।প্রত্যেকবারই মনে হতো প্রথম বার শুনছি!এমন ভাবে বলতেন মনে হতো সব চোখের সামনে ঘটছে।
আমার খুব ইচ্ছা বাবার বলা প্রতিটা গল্প লিখে রাখার।
কয়েকটা গল্প আবার আমার খুব পছন্দের।তার মধ্যে একটা আজ লিখার চেষ্টা করবো!
অনেক অনেক বছর আগে এক দেশে এক রাজা ছিলেন।হঠাৎ রাজার এক অদ্ভূত খায়েশ হলো,সারা রাজ্যে ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করলেন যে রাজাকে গল্প বলে সন্তুষ্ট করতে পারবে তাকে অর্ধেক রাজ্য দান করবেন।সে যদি ছেলে হয় তার সাথে রাজকন্যার বিয়ে দিবেন।আর যদি রাজা সন্তুষ্ট না হন তাহলে তার গর্দান নিবেন!
রাজ্য আর রাজকন্যার লোভে অনেকে দুর দুর থেকে ঘোড়ার গাড়ি ভর্তি করে গল্পের বই সহ আসতে লাগলো।রাজা কাহিনী শুনেন আর বলেন তারপর কি হলো,কাহিনীকার তার পরের অংশ বলেন।রাজা আবার বলেন তারপর কি হলো?এক সময় না এক সময় কাহিনী শেষ হয়ে যায়,কিন্তু রাজার তারপর কি হলো বলা শেষ হয় না।হাজার হাজার পৃষ্টার কাহিনী শুনেও রাজা সন্তুষ্ট হন না।তারপর কি হলো বলা বাদ দেন না।রাজাকে সন্তুষ্ট না করায় শর্ত অনুযায়ী অনেকের গর্দান গেলো!
হঠাৎ একদিন এক রাখাল ছেলে খালি হাতে রাজাকে গল্প শুনিয়ে সন্তুষ্ট করতে রাজ দরবারে গেলো।রাজা তাকে দেখে তাচ্ছিল্যের সাথে বললেন অনেক অনেক নাম করা কাহিনীকার হাজার পৃষ্টার কাহিনী শুনিয়ে আমায় সন্তুষ্ট করতে পারলো না।তুমি কুনো বই পুস্তক ছাড়াই আমায় সন্তুষ্ট করবে?তোমারও গর্দান যাবে....
রাখাল বল্লো,শর্ত পুরন করতে না পারলে তো গর্দান যাবেই,আমায় বলার সুযোগ দেন।
রাজা বল্লেন শুনাও তোমার কাহিনী।
রাখাল শুরু করলো....একটা আম গাছে এক জোড়া চড়ুই পাখি বাসা বেধেছে।রাজা বল্লেন তারপর কি হলো?তারপর তাদের দুইটা ছানার জন্ম হলো।রাজা আবার বলেন তারপর কি হলো?তারপর ছানা দুটি উড়তে শিখলো।একডাল থেকে আরেক ডালে ফুরুৎ করে উড়ে যায়।রাজা বলেন তারপর কি হলো?আবার ফুরুৎ করে ঊড়ে।
রাজা বলেন তারপর?রাখাল বলে আবার ফুরুৎ করে ঊড়ে।
রাজা বলেন তারপর?রাখাল বলে আবার ফুরুৎ করে ঊড়ে।
রাজা বলেন তারপর?রাখাল বলে আবার ফুরুৎ করে ঊড়ে
একসময় রাজা বিরক্ত হয়ে বলেন তোমার ফুরুৎ কখন শেষ হব?রাখাল বলে আপনার তারপরে কি হলো বলা যখন শেষ হবে!
শেষ পর্যন্ত রাজা সন্তুষ্ট হতে বাধ্য হন,আর শর্ত মতো রাজকন্যার সাথে রাখালের বিয়ে দিয়ে অর্ধেক রাজত্ব দান করেন।
ভাবছি আর যদি লিখি তবে,বাবা যে ভঙ্গিতে বলেন সেই ভাবে লেখার চেষ্টা করবো..........
ছবিঃগুগল
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০৬
গন্ধহীন বেলী ফুল বলেছেন: আসলেই যদি সে জমানা থাকতো!তাহলে তো রাজ্য আর রাজকন্যা দুটোই আপনার
৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাবার কাছ থেকে শোনা গল্পগুলো ধারণ করে রাখার আপনার এ প্রয়াসটুকু ভাল লাগলো, সাধুবাদ।
বাবা মা উভয়েই সন্তানকে ভালবাসেন। মায়ের স্নেহের বিকল্প নেই, তুলনাও নেই। কিন্তু অনেকের মায়ের প্রতি মাত্রারিক্ত আবেগের আতিশয্যে বাবার বুকে বেঁধে রাখা অপ্রদর্শিত গোপন স্নেহটুকু লোকচক্ষুর অগোচরে রয়ে যায়। বাবার অপত্য স্নেহের স্বীকৃ্তি দেখতে পেলে তাই মনটা ভরে ওঠে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

ভালতো!
ইশ এখন যদি রাজা আর রাজকন্যার জমানা থাকতো, আমি রাখাল বালক হতাম
হা হা হা
গল্পে +++