![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার কাছে পৌছতে পারিনি পথে হয়েছে দেরী। তবু আজো স্বপ্ন দেখি - বন্ধ দড়জায় কড়া নাড়ি ।। আমি এক অতি সাধারণ মানুষ, আড়ালে থাকতেই পছন্দ করি ...
আলী এমবিএ করছে। সে চমৎকার ইংরেজি বলে।সাধারণত সৌদিদের, বিশেষ করে স্টুডেন্টদের কাছ হতে এত ভালো ইংরেজি শুনিনি। জানতে পারলাম সে ইউকে গিয়ে ৬ মাসের ইংলিশ কোর্স করে এসেছে। প্রায় সময়ই সে আমার কাছে আসে।আমরা গল্প করি ... তার খুব ইচ্ছে পড়াশোনা শেষ করে সে হোটেল বিজনেস শুরু করবে। আগেই বলেছি “আভা” একটি টুরিস্ট সিটি, তাই Summer এ এখানে Hotel Business খুব জমজমাট থাকে।আমার কাছে বিজনেস সম্পর্কে জানতে চায়, নতুন ট্রেন্ড কি, কি করলে সে একজন সফল বিজনেসম্যান হবে, ইত্যাদি।আমি বলি, সে হা করে মনযোগ সহকারে শোনে।
... একদিন সে আমতা আমতা করে বলল, “দক্তর, একটা কথা বলি?” (এখানে টিচারদের আরবিতে দক্তর/ডক্টর বলা হয়; মাঝে মাঝে মজা লাগে- PhD না করেও ড. হয়ে গেছি) আমি বললাম, অবশ্যই; ভাবলাম হয়তো নতুন কিছু জানতে চাইবে।
--- “তোমরা বাংলাদেশিরা তো ভালো না, তবে আমার ভাগ্য ভালো যে তুমি অন্য সবার মতো নও” (You, Bangladeshi people are not good. I am lucky that you are not like others.)
ততোক্ষণে আমার চেহারা ‘লাল’ হয়ে গেছে; কোনমতে বললাম, কেন?
--- “তোমরা সৌদি আরবে চুরি করো, মানুষ মেরে ফেল, রেপ কর, সব সময় ঝগড়া ফ্যাসাদ সৃষ্টি করো, তোমাদেরকে কেউ পছন্দ করে না...”
আমি অল্প ক’দিন হলো এখানে এসেছি, এখনও অনেক কিছু বুঝার বাকী আছে। আলী একজন শিক্ষিত ছেলে- সে এভাবে চিন্তা করছে, প্রকৃতপক্ষে ব্যপারটা জানি কতটা ভয়াবহ। সে আরো বলল- “তোমাদের Government কেন শিক্ষিত লোক পাঠায় না? অশিক্ষিত লোকেরা এখানে মাসে ৩০০ রিয়াল বেতনে জব করে, আর অবৈধ কাজ করে বেশী রিয়াল পেতে চায়।”
সে তার লেপটপ আমার দিকে ঘুরিয়ে দিল। ইউটিউবের একটা ভিডিও (http://www.youtube.com/watch?v=সঙ্গত কারনেই লিংকটি সরিয়ে ফেললাম) চলছে। আমার মাথা হেট হয়ে এল। আমি দেখতে পাচ্ছিলাম আমার দেশের মানসন্মান ধুলোয় গড়াগড়ি খাচ্ছে ... ভেতরে তীব্র যন্ত্রণা, তাড়ণা অনুভব করছিলাম তার ভুল ভেঙ্গে দেবার জন্যে। অল্প সময়ের মাঝে চিন্তা করলাম কি বলা যায়। ৩ টি পয়েন্ট তার সামনে তুলে ধরলাম।
১. ইন্ডিয়ান’রা এখানে সাংগঠনিকভাবে বেশ গোছাল। তারা অপকর্ম করে বাংলাদেশিদের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়। ইন্ডিয়ানদের নিজস্ব পত্রিকা আছে, তারা সবসময় বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে প্রোপাগেন্ডা চালায়। সৌদিরা এত কিছু না বুঝেই বিভিন্ন ঝামেলায় বাংলাদেশিদের দায়ী করে, অনেকটা prejudiced।
কলকাতার লোকেরা অপকর্ম করে নিজেদের বাংগালী বলে পরিচয় দেয়, আর সৌদিরা ধরে নেয় সে বাংলাদেশি।
২. মায়ানমার রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে এখানে আসছে, এবং সংখ্যাটা অনেক। আমি স্বীকার করলাম এটা বাংলাদেশ সরকারের ব্যর্থতা। রোহিঙ্গারা অপকর্ম করলে বাংলাদেশের নাম হচ্ছে।
Click This Link
৩. সত্যিই কিছু বাংলাদেশি আছে যারা খারাপ কাজে লিপ্ত। তাদের আইন অনুযায়ী শাস্তি হওয়া উচিত।
মনে হলো আলী কিছুটা বুঝতে পারলো। ইউটিউব হাতড়ালাম – তাকে Beautiful Bangladesh, Dr. Muhammad Yunus এর Social Business এর উপর clips দেখালাম। বললাম, YouTube এর একজন হচ্ছে বাংলাদেশি জ়ায়েদ করিম। সে অবাক হয়ে দেখলো, শুনলো। বাংলাদেশে এত সুন্দর! এমন লোকও আছে! আগেতো সে তা জানেনি ...
আলী’র কাহিনী এখানেই শেষ ... আলী’র মতো পৃথিবী’র বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক লোক আছে যারা বাংলাদেশকে নিয়ে একটা ভ্রান্তি’র মধ্যে আছে। বাংলাদেশের অর্জনগুলো তাদের কাছে পৌছেনি। আমরা বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং কী দিয়ে করবো? ২১ শে ফেব্রুয়ারি International Mother Language Day- অথচ বিদেশে আমাদের রাষ্ট্রদূতদের কোন ভূমিকাই নেই, তারা জানেনা কখন কি করতে হবে। আমাদের দেশের খুনীরা হয় রাষ্ট্রদূত।“পাট” – সেতো সোনালী অতীত। সিলেট, কক্সবাজার অথবা সুন্দরবনকে কি আমরা সেভাবে তুলে ধরতে পারছি?
কী দিয়ে আমরা ব্র্যান্ডিং করবো?
ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেদিন নোবেল পুরষ্কার পেলেন, সারা পৃথিবী জেনে গেলে বাংলাদেশের কথা। মানুষ যতবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জানলো, তার চেয়েও বেশী জানলো বাংলাদেশকে। কয়েকদিন আগে আমার এক বড়ভাই ফেসবুকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি YouTube Clip শেয়ার করলেন। আমি তন্ময় হয়ে শুনলাম তার Social Business এর কথা। কতটা জৌলুস তার বক্তৃতার মাঝে। বাংলাদেশে কি আর একজন ব্যক্তি আছে যে এত চমৎকারভাবে ইংরেজিতে বলতে পারবে? সবাইকে মোটিভেট করতে পারবে?
সারা পৃথিবী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জানে, জানে আমাদের এ দেশটাকে। আজ আমরা তাঁকে টেনে হিঁচড়ে মাটিতে নামাচ্ছি, তাতেও বোধয় শান্তি পাচ্ছিনা। আজ আমরা হিসেবের খাতাপত্র খুলে বসেছি। হিসাব কষছি- ব্যক্তি ইউনূস কতটুকু পেল, খুঁজে বের করছিনা বাংলাদেশ কতটুকু পেল।
একবার বিরিশিরি গিয়েছিলাম বেড়াতে। কথায় কথায় গ্রামের মানুষদের জিঙ্গেস করি গ্রামীন ব্যাংকের কথা, ব্র্যাকের কথা। তাদেরকে অসহায় মনে হলো। তারা আগে কখনও ঋণ কি জানতোনা, এখন তারা ঋণের চাপে জর্জরিত। তারা নতুন ঋণ পায় পুরুনো ঋণ শোধ করার জন্য। আছে উচ্চ সুদ। তার মাঝে অনেক ব্যতিক্রমি সফল মানুষও আছে।
কিন্তু উপরের YouTube Clip টিতে যেভাবে Microcredit এর ধারণা আছে, তাতে কিন্তু গরীব লোকদের সফল হবারই কথা। তাহলে সমস্যা কোথায়? সমস্যা হলো আমাদের কথা ও কাজে মিল নেই। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন একরকম, কিন্তু হয়তো করেছেন আরেক রকম।
... তারপরেও আমি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দোষ দেই না। তিনি আমাদের দিয়েছেন অনেক। আমরা তাকে ছুড়ে ফেলে না দিয়ে তার ভুলটুকু শোধরাতে পারতাম। এখনো তার অনেক কিছু দেয়ার আছে। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ। উনি বলেছিলেন, (হুবুহু এরকম নয়) একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে উঠে প্রথম প্রজন্মের দূর্নীতির উপর ভিত্তি করে, ইউরোপের শিল্প বিপ্লব দূর্নীতির ফসল- আজ আমরা তার সুফল ভোগ করছি ...
আমাদের দরকার যোগ্য নেতৃত্ব, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্ব- যারা আজীবন দেশের জন্য কাজ করে যাবেন। যাদেরকে কোন প্রকার বয়সসীমা দিয়ে আটকে রাখবোনা। বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং অবশ্য একদিক দিয়ে হয়েই আছে। শেখ হাছিনা আর খালেদা জিয়া’র প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি আমাদেরকে বিশ্বের দরবারে খুব দ্রুতই পরিচিত করে তুলছে। তাদের বোধয় অবসরে যাবার বয়সসীমা নেই !!!
বিশেষ নোটঃ
আজ (মার্চ ১৫) সামহয়ারইনব্লগে একটা YouTube Clip পেয়ে গেলাম। খুবই interesting মনে হলো। ড. মুহাম্মদ ইউনূস কাছ হতে প্রথম ঋণ গ্রহনকারি সুফিয়া বেগমের কথা জানি, আরো জানি তিনি মারা গেছেন- নিঃস্ব অবস্থায়। কিন্তু এই YouTube Clip দেখাচ্ছে সুফিয়া বেগম এখনও বেঁচে আছেন।
১৩ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৩
মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ ...
২| ১৩ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের দরকার যোগ্য নেতৃত্ব, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্ব- যারা আজীবন দেশের জন্য কাজ করে যাবেন। যাদেরকে কোন প্রকার বয়সসীমা দিয়ে আটকে রাখবোনা। বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং অবশ্য একদিক দিয়ে হয়েই আছে। শেখ হাছিনা আর খালেদা জিয়া’র প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি আমাদেরকে বিশ্বের দরবারে খুব দ্রুতই পরিচিত করে তুলছে। তাদের বোধয় অবসরে যাবার বয়সসীমা নেই !!!
দারুন বলেছেন।++++++++
আচ্ছা আলীর প্রশ্ন ধরেই বলতে পারি.. সত্যি আপনার যারা ওখানে ভালভাবে আছেন তারা.. ব্যভসা না হোক এই ব্রান্ডিং বা সোশাল জব হিসেবেওতো কিছূ শিক্ষিত বাংলাদেশীকে প্রোভাইড করার উদ্যোগ নিতে পারেন। পারেন নাকি?
১৩ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫
মধুমিতা বলেছেন: ... বেশ কয়েক বছর ধরে এখানে অনেক শিক্ষক আসছেন ... ডাক্তাররা আসছেন ... তবে সরকার যা করতে পারে তা আমরা কখনো পারবনা । ভূমিকাটা আমাদের সরকারেরই বেশী ...
৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৩১
িনদাল বলেছেন: +++++++++++
১৩ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৩৩
মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ ...
৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:১৮
মোটামানুষ বলেছেন: পজিটিভ ব্রান্ডিং করতে হবে।
সরকার বিদেশে কামলা পাঠানোর জন্য চেষ্টা করে, কিন্তু শিক্ষিত পেশাজীবি পাঠানোর কোনো সরকারী উদ্যোগ খুব একটা দেখা যায় না। মাঝে মাঝে ডাক্তার আর নার্স পাঠাতে চায়, কিন্তু এই ২টা তো বাংলাদেশেই ঘাটতি আছে।
প্রচুর প্রকৌশলী আর এমবিএ করা ছাত্র মন মত কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে দেশের এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের জন্য সরকার কিছু করতে পারে। এটা একটা পজিটিভ ব্রান্ডিং হবে। যদি বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা ১০০০ ছাত্রের জন্য আমরা প্রতিবছর বিদেশে কর্মসংস্হান করতে পারি।
১৩ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৪৩
মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ ... মনের কথাটি বলেছেন।
৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৪৭
শাহীনএখন বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। আচ্ছা বাংলাদেশও তো্ ঋনের ভারে জর্জরিত তাহলে প্রধানমন্থীদের বা রাস্ট্রপতিদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো যায় না?
১৩ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:০৮
মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ ...ভাল বলেছেন।
৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:২৩
জোবায়েন সন্ধি বলেছেন: সুদখোর ইউনুস মিয়ার দালালী করার জন্য উত্তম জায়গাই বেছে নিয়েছেন ভাই। শিরোনামটা আকর্ষণীয় ছিল, অনেকটা গ্রামীণফোন এর "কাছে থাকুন" এর মতো। কিন্তু কাছে থাকার মতো আচরণ জিপি করে না। আপনি এই সুদখোর ইউনুস এর জন্য ওকালতি করার জন্যই তাহলে সামুকে বেছে নিয়েছেন?
মনে রাখা উচিত, ইউনসু একজন অর্থনীতিবিদ। কিন্তু তিনি অর্থনীতিতে নোবেল প্রাইজ পান নি। পেয়েছেন শান্তির জন্য।
ইউনসু মিয়া বাংলাদেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় কী অবদান রেখেছেন সেটা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন? নোবেল প্রাইজ সাম্রাজ্যবাদীদের একটা অফিসিয়াল ঘুষ পদ্ধতি। এ বিষয়ে প্রয়োজনে আলাদা ব্লগ দেয়া যেতে পারে। যে কারণেই নোবেল প্রাইজ উনি পেয়ে থাকুন তা জানার দরকার নেই। তবে নোবেল এর কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি পরিচিত দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
আর প্রফেসর ইউনুস নোবেল প্রাইজ পাওয়ার মানে এই নয় যে, উনি ফেরেস্তা বা অবতার হয়ে গেছেন! উনার কোন অপরাধ-এর বিচার করা হবে না। একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে উনার অপরাধ এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়া উচিত নয়।
বরং উনাকেই এখন ধিক্কার দেয়া উচিত। কারণ, একটি পদ রক্ষার জন্য উনি সারা বিশ্বের কাছে শুধু বর্তমান সরকার (আওয়ামী লীগ) এরই নয় সমগ্র দেশের সম্মান ভুলুণ্ঠিত করছেন। দেশের সুনাম ও মর্যাদার স্বার্থেই উনার ব্যক্তিগত স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ বহির্বিশ্বের মানুষদের কাছে না জানানো উচিত ছিল। অথচ আমরা এখন কী দেখছি?
তার মানে দেশের চেয়ে তার গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদটাই বড় হয়ে গেল? উনি যে টাইপের মানুষ তাতে এরকমটাই আশা করা বাঞ্ছনীয়। এর বেশি আশা করা বোকার স্বর্গে বসবাস করার নামান্তর। প্রফেসর ইউনুস-এর মতো এলিট ব্যক্তিত্বের সমালোচনা করার মতো স্পর্ধা আমার নেই। কিন্তু দেশের সম্মানের স্বার্থে যে কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কলম ধরতে আমি বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবো না।
মনে রাখা উচিত সবকিছুর ঊর্ধ্বে তিনিও একজন সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে প্রফেসর ইউনুস এবং একজন অতি হতদরিদ্র কৃষক একই অধিকার রাখেন। এক্ষেত্রে ইউনুসকে আইনের বাহিরে রাখার পিছনে কী যুক্তি? এটা বলবেন কী?
১৩ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:১৮
মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ ... লেখাটি আপনার আরেকবার পড়া উচিত। কেউই আইনের বাহিরে নয়। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাজা হবার আগে তাদের সাজা হওয়া উচিত যারা বিগত ১০টি বছর ঘুমিয়ে ছিল। আমাদের নেত্রীদ্বয় কবে অবসরে যাবেন বলবেন কি? ...
৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৫৩
কঠিনলজিক বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
আচ্ছা আলীর প্রশ্ন ধরেই বলতে পারি.. সত্যি আপনার যারা ওখানে ভালভাবে আছেন তারা.. ব্যভসা না হোক এই ব্রান্ডিং বা সোশাল জব হিসেবেওতো কিছূ শিক্ষিত বাংলাদেশীকে প্রোভাইড করার উদ্যোগ নিতে পারেন। পারেন নাকি?
১৩ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫
লেখক বলেছেন: ... বেশ কয়েক বছর ধরে এখানে অনেক শিক্ষক আসছেন ... ডাক্তাররা আসছেন ... তবে সরকার যা করতে পারে তা আমরা কখনো পারবনা । ভূমিকাটা আমাদের সরকারেরই বেশী ...
===============================================
@লেখক । আপনার দেওয়া প্রথম ভিডিওর লিন্কেই ডঃ ইউনুস কিন্তু বলছেন সরকারী ব্যাবস্হাপনার সিমাব্ধতা এবং জোর দিয়ে বলছেন কিছু যদি করতে হয় তা হলে সেটা সম্ভব একমাত্র ব্যাক্তি উদ্দ্যোগে ।
ভারত মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার দখলের লক্ষ্য সিংহভাগ ব্যাক্তি উদ্দ্যোগেই সফল হয়েছে ।
১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১:৫৪
মধুমিতা বলেছেন: ... যথার্থই বলেছেন। তবে পলিসিগত কিছু বিষয় আছে যা ব্যক্তি পর্যায়ে সম্ভব নয়। এখানে যেসব শিক্ষকরা আসছেন তারা ব্যক্তি পর্যায়ের যোগাযোগ হতেই আসছেন।
৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:০৯
জোবায়েন সন্ধি বলেছেন: কার আগে সাজা হওয়া উচিত আর কার পরে সেটা বিবেচ্য নয়। আপনি অপরাধ করেছেন, আপনার বিচার হয় নি বলে আমার বিচার হবে না। এটাকে বেস করে যদি আপনি বলেন ইউনুস-এর বিচার করা হবে না। তাহলে এটা কী আরও একটা অন্যায়কে সমর্থন দেয়া হচ্ছে না? রাষ্ট্রযন্ত্র গত ১০ বছর ধরে ইউনুসের ওই অন্যায় কর্মকাণ্ডের বিচার করে নি এটা নিঃসন্দেহে সত্য। গত ১০ বছরের পিছন দিক থেকে যদি আমরা হিসেব করি তাহলে সমীকরণটা এরকম দাঁড়ায় (বর্তমান আওয়ামী লীগ মহাজোট সরকারের ২ বছর + ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের ২ বছর + বিএনপি-জামাত জোটের ৫ বছর + ইয়েসউদ্দিনের ৩ মাস + বিগত আওয়ামী লীগের ১ বছর) = ১০ বছর। তাই নয় কী?
আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা ফখরুদ্দিনের দোষ দিয়ে এখন লাভ নেই। কারণ একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে ইউনুস ফায়দা নিয়েছিলেন। আমার জানামতে মরহুম কিবরিয়া সাহেব এর কারণেই প্রথমবার ইউনুসের টাকা আত্নসাৎ কাহিনী প্রকাশ হয়ে পড়ে। সেসময় যে কারণেই হোক বিষয়টা তখন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রকাশ হয় নি। এরপরে ওই আত্নসাতের টাকার গোজামিল হিসাব ও তথাকথিত একটি সমঝোতা (ইউনুসের ভাষায়) নরওয়ের দাতা গোষ্ঠীর সাথে হয়েছিল। তবে বিষয়টির চূড়ান্ত মিমাংশা হয় নি। আমার জানামতে টেলিনর এর সাথে যৌথ ব্যবসা গ্রামীণফোনের শেয়ার-এর পরিমাণ ছেড়ে দেয়ার শর্তে নরওয়ের দাতা গোষ্ঠী তখন ওই তথাকথিত সমঝোতা করে।
মজার বিষয় হলো- ফখরুদ্দিন আমলে সেনাবাহিনীর ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে গ্রামীণফোনের শেয়ারের পরিমাণ ছেড়ে দেওয়াতো দূরের কথা উল্টো টেলিনরের কাছ থেকে আরও শেয়ার ইউনুসের প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নেয়ার জন্য ব্যর্থ অপচেষ্টা চালায়। যা তখন মিডিয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
এই ঘটনায় দুটো দিক পরিস্কার হয়-
১) ইউনুসের অর্থ আত্নসাতের প্রবল ইচ্ছা, এবং সেটা করেছেন এবং ধরাও খেয়েছেন
২) যাবতীয় সম্পদের মালিকানা নিজের দখলে ধরে রাখার অদম্য চেষ্টা।
যে বিষয়ে প্রসঙ্গটির অবতারণা হলো তা হচ্ছে গত ১০ বছর ধরে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকলেও তখন বিচার না করে এখন বিচার কেন, তাইতো?
তাহলে ছোট্ট একটি গল্প বলি-
রংপুর রেল স্টেশন থেকে একজন ভদ্রলোক (?) তাড়াহুড়ো করে ট্রেনে চড়েছেন, তার গন্তব্য রাজধানী ঢাকা। তাড়াহুড়োর কারণে উনি স্টেশনে টিকিট কাটতে পারলেন না। ট্রেনে উঠার পর এটেনডেন্ট উনার আসন নিশ্চিত করার সময় বললেন স্যার আপনার টিকিট কোথায়? যাত্রী ভদ্রলোক (?) বললেন ট্রেনের টিটি-কে আমার একটি টিকিট কাটার জন্য অনুরোধ করেছি। অপরদিকে সমগ্র পথে রেলের কোন কর্মকতা-কর্মচারী আর ওই ভদ্রলোক (?) যাত্রীকে টিকিটের জন্য তাগিদ দেন নি। আশপাশের অন্য কোন যাত্রীও বুঝতে পারলেন না তিনি টিকিট ছাড়াই ট্রেন ভ্রমণ করছেন।
এরপর সমগ্র পথ পেরিয়ে জয়দেবপুর পর্যন্ত চলে এলেন ওই ভদ্রলোক (?) যাত্রী। বিপত্তি বাঁধলো জয়দেবপুর রেলস্টেশনে আসার পরই। বিশেষ কোন কারণে ওই ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনে ২ ঘণ্টা বিলম্ব করে ফেলে। ট্রেনের টিটি এবার এসে উনার টিকিট দেখতে চাইলে উনি বললেন আমি টিটির অনুমোদন নিয়েই এই সিটে বসে আছি। টিটি বললেন, তাহলে টিকিট দেখান। ভদ্রলোক (?) যাত্রী বার বারই বলছেন আমার অনুমতি আছে। আশপাশের যাত্রীরাও এবার একটু দৃষ্টি ফেরালেন। ব্যাপারটা কী? এতো নামী-দামী একজন ভদ্রলোক (?) এতো পথ এই আসনে বসে আসছেন আর দু'পয়সার বেতনে চাকুরি করা এই টিটি ভদ্রলোকটি (?)-কে অসম্মান করছে! ইতোমধ্যে ওই যাত্রী টিটিকে সতর্ক করে দিলেন এই বলে যে রেল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-সচিব-আমলাদের সাথে তার পারিবারিক বন্ধুত্ব রয়েছে। টিটিও কম যায় না, সেও ঘাড় ত্যাড়া! ওই ভদ্রলোক (?) যাত্রীর কোন কথাকেই তিনি আমলে নিলেন না। সোজা ট্রেন থেকে নামিয়ে দিলেন।
এখন বুঝুন ঠেলা! ভদ্রলোক (?) এভাবে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেবার জন্য কিছু যাত্রী সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠলেন। এতো পথ আসতে পারলেন আর মাত্র দুটো স্টেশন গেলে কী অপরাধ হতো? পরবর্তীতে ওই ভদ্রলোক (?) যাত্রী তার পারিবারিক বন্ধু রেল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-সচিব-আমলাদের কাজে লাগিয়ে টিটির কী অবস্থা করেছে সেটা জানা না গেলেও তথাকথিত ভদ্রলোক (?) যাত্রীর তকমা গায়ে লাগিয়ে তিনি অন্যায় কাজ নির্দ্বিধায় করে যেতে চান এটাই তার অপরাধ। এই যাত্রীকে অন্য সকলে ভদ্রলোক বললেও আমি কোনভাবেই তাকে ভদ্রলোক বলতে রাজী নই। কারণ, এই বক্তি ইচ্ছে করেই বিনা টিকিটে ট্রেনে চড়ে সমগ্র পথ অবৈধভাবে পাড়ি দিয়ে শেষে আবার গলাবাজি করে নিজের ক্ষমতাকেই প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন, দেশের আইন-কানুন ও সভ্যতাকে শ্রদ্ধা জানানোর বিন্দুমাত্র লেশ তার মধ্যে ছিল না।
আমার মতে গল্পটি প্রফেসর ইউনুসের ক্ষেত্রে শতভাগ প্রযোজ্য।
এরপরও আপনি নিশ্চয়ই আর বলতে চাইবেন না অধ্যাপক ইউনুসের বিচার বাদ দিয়ে গত ১০ বছর তাকে যারা বহিস্কার করে নি তাদের বিচার করতে! হ্যাঁ তাদেরও আইন-কাঠামোর মধ্যে আনা উচিত। তারা আর কেউ নয়, এই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। ফাইলটা ওদের হাতেই থাকে। ওরাই জানে কার মেয়াদ কতদিন পর শেষ হবে, কে বৈধ আর কে অবৈধ। সরকার শুধু ওটা ব্যবস্থা নেয় মাত্র।
আর নেত্রীদ্বয় কবে অবসরে যাবেন এই প্রশ্নটা আমাকে না করে উনাদেরই করুন। নেত্রীদ্বয় নিশ্চয়ই আপনাকে আপনার যথার্থ উত্তর দিয়ে দিবেন।
১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ২:০০
মধুমিতা বলেছেন: ... ধান ভানতে শীবের গীত হয়ে গেল। ... আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আপনি সম্পূর্ণ লেখাটি পড়েননি।
... আমাদের মেধাবী লোকের বড় প্রয়োজন, যার দেবার ক্ষমতা আছে তাকে লালন পালন করতেই হবে ...
মাথামোটা নেত্রীদ্বয়ের চেয়ে ১ জন ইঊনূস অনেক ভালো।
৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৩:৪৯
মোঃমোজাম হক বলেছেন: এখানেও রাজনীতি ঢুকে যাচ্ছে।দেখবেন বেশী কথা বলে ছাগু উপাধী না পেয়ে বসেন!
আমি সোজাসাপ্টা একটা কথাই বলবো একমাত্র প্রবাসীরাই জানেন ডঃ ইউনূস আমাদের দেশ ও জাতীর জন্য কতোটা সন্মান বয়ে এনেছেন।
ধন্যবাদ প্রফেসর মধুমিতা।
১৪ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৫৩
মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ .. হুম ... কুরাজনীতির কারনেইতো আমাদের এ অবস্থা...
১০| ১৪ ই মার্চ, ২০১১ ভোর ৫:০৭
আমি একাত্তর বলেছেন: +++++++++++++++
১৪ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৫৩
মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ ...
১১| ১৪ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৩৭
ম্যাকানিক বলেছেন: ভাই আপনার সবগুলি পর্ব পড়লাম।
আমিও একদা সৌদীতে ছিলাম তাই সৌদী আরব এর লেখা দেখলেই ঢু মারি।
সৌদীতে থাকতে উইকএন্ডে মানে বৃহস্পতিবার বিকেলে কম্পানীর গাড়ী নিয়ে বের হয়ে পড়তাম আশে পাশের শহরে , নাজরানে থাকতে গন্তব্য ছিলো আবহা , খামিস মুশায়াত ঘুরে শুক্রবার বিকেলে আবার কাজের যায়গায় ফিরে যেতাম।
সৌদীতে শরীর ঠিক রাখার জন্য জিম আর বেছে খাওয়ার বিকল্প নাই নতুবা ছয় মাসেই কুমড়ো পটাশ হয়ে যাবেন।
ভালো থাকবেন আর জলদি জলদি পরের পর্ব ছাড়েন।
১৪ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:১১
মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ ম্যাকানিক ভাই। এখন কি বাংলাদেশে থাকেন?
১২| ১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৩১
সুরঞ্জনা বলেছেন: খুব সুন্দর গোছালো বক্তব্য-পুর্ন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৪৩
মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ ..
১৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:১৫
মধুমিতা বলেছেন: Click This Link
১৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৩০
মধুমিতা বলেছেন: Click This Link
১৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৩২
এম আরিফ রহমান বলেছেন: আমি ব্যক্তিগতভাবে 80/20 rule খুবই বিশ্বাস করি । এখানে হয়তো দেখা যাবে ২০% প্রবাসী ৮০% রেমিটেন্স দিচ্ছে । ৮০% যারা ২০০ /৩০০ ডলার মাসে কামাচ্ছে তাদের খরচের টাকা উঠতেই ৩/৪ বছর পার হয়ে যায় । আমার গ্রাম এর কয়েকজনকে আমি চিনি যারা কোনদিনই সেই অর্থে লাভবান হবেন না ।
আমরা ডলার উপার্জন করছি নাকি জমি জমা বিক্রি করে ডলার কিনছি এটা ভেবে দেখার সময় হয়েছে । গনহারে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করা খুব জরুরী ।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৪৮
মধুমিতা বলেছেন: ভালো বলেছেন ...
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৩
মদন বলেছেন: ++++++++++