নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজনৈতিক দলের পরিচয় ও প্রতীকে স্থানীয় সরকারভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যেমনটি আমরা দেখি আমাদের পাশ্ববর্তীদের ভারত-পাকিস্তানসহ পৃথিবীর আরো অনেক দেশে । যদি ও বিগত দিনগুলিতে আমাদের স্হানীয় সরকার নির্বাচন র্নিদলীয় হওয়া সত্যে ও দলীয় প্রভাব মুক্ত থাকতে পারেনি । বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রার্থীরা ই বরাবর আমাদের স্হানীয় সরাকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছেন আর সে ক্ষেত্রে দলের শীর্ষ নেতারা প্রচার প্রচারনায় নেমে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজ দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করতে প্রাণ পণ চেষ্ঠা করছেন । তাতে জনগনের ভোটে তাদের পছন্দের প্রার্থী জয়যুক্ত হয়েছে । কিন্তু গাজীপুর ,সিলেট , রাজশাহী সিটি মেয়র সহ বেশ কিছু পৌর মেয়রের বরখাস্ত আমাদের ধরনা অনেকটা পাল্টে দিয়েছে । বিভিন্ন অজুহাতে এসব নির্বাচিত স্হানীয় সরকার প্রতিনিধিদের বরখাস্ত করে সেখানে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সরকার দলীয় প্রতিনিধিকে । কিন্তু আমরা দেখছি সরকারীদল সমর্থিত বিভিন্ন স্হানীয় সরকার প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্যে ও তাদের বিরুদ্ধে নূন্যতম ব্যবস্হা নিতে সরকার ব্যর্থ । সব সময় ই স্হানীয় সরকার নির্বাচনে সরকার ও তার প্রশাসনের হস্তক্ষেপের অভিযোগ আসে । যা কোন ভাবেই মিথ্যা বলে প্রমানিত হয় না । তাই আমাদের আগামী স্হানীয় সরকার নির্বাচন যখন দলীয় পরিচয়ে অনুষ্ঠিত হবে তখন আমরা দেখবে ব্যক্তির চেয়ে দল বড় এই স্লোগান ই কার্যকর হবে । সরকার তার দলীয় প্রার্থীকে নির্বাচিত করার জন্য নিলজ্জ প্রশাসন ও দলীয় সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করবে । অনেক সময় আমরা দেখি স্হানীয় সরকার নির্বাচনে বিশেষ করে ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ভোটার রা তাদের পছন্দের যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করেন । কিন্তু স্হানীয় সরকার নির্বাচন যদি দলীয় পরিচয়ে হয় সে ক্ষেত্রে দলের স্বার্থ রক্ষায় স্ব-স্ব দলীয় প্রার্থীকে ই ভোট দিবেন কর্মী ও সমর্থকরা হউক সে চরম অযোগ্য । আর আমাদের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে যেখানে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভাবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে র্যর্থতার অভিযোগ । সে ক্ষেত্রে আমাদের নির্বাচন কমিশন দলীয় পরিচয়ে স্হানীয় সরকার নির্বাচনে কত টুকু স্বার্থক হবে এবং প্রশাসন ই বা কতটুকু নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে সেটা একটা বড় প্রশ্ন ?
©somewhere in net ltd.