নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাশের মিছিলে সুশাসনের সংলাপ !

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

একের পর এক লাশের মিছিল শুধু দীর্ঘ ই হচ্ছে । হামলায় চলতি বছর খুন হয়েছেন চারজন ব্লগার ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মৃত্যুর মিছিলে নাম লেখিয়েছে ৫ জন ব্লগার । মুক্ত চিন্তার ব্লগারদের পর এবার দূর্বৃত্তের চাপা কেড়ে নিল মুক্তচিন্তার প্রকাশকের জীবন । হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আরো তিন জন । এখন প্রশ্ন হচ্ছে আর কত তাজা প্রাণকে নাম লেখাতে হবে এই লাশের মিছিলে ? কেন ই বা দীর্ঘ হচ্ছে এই লাশের মিছিল ? ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্লগার রাজীব হাদারকে হত্যার মধ্যদিয়ে যে শব যাত্রার শুরু তা কেন বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে আমাদের সরকার ও আইন-শৃংখলা রক্ষা বাহিনী ? তার একটি উত্তর ই বার বার খুজে পাই সরকারের উদাশীনতা ও বিচারহীনতা ই এর জন্য মূল দায়ী । ৩১ অক্টেবর ২০১৫ ধর্মীয় উগ্রবাদীদের এক হালায় নিজ কার্যালয়ে খুন হন প্রকাশনা সংস্থা ‘জাগৃতি’র স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপন অপর হামলায় ভীষন ভাবর আহত হন প্রকাশনা সংস্থা ‘শুদ্ধস্বর’ র স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল ও ব্লগার তারেক রহিম, রনদীপম বসু । টুটুল ও দীপন তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে এ বছরের শুরুতে খুন হওয়া ব্লগার ও বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়ের অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশ করেছেন। কয়েকদিন আগেই আশঙ্কা করেছিলাম, খুনিরা সম্ভবত প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে আবার কারো উপর হামলা আসন্ন ৷ সেই শঙ্কা সত্যি হলো অথচ আমাদের সরকার ও আইন-শৃংখলা রক্ষা বাহিনী কেউ এগিয়ে আসলো না ৷গণমাধ্যমে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের' ই-মেল দেখে সেই শঙ্কা হয়েছি ৷ গণমাধ্যমে সেই সংবাদ প্রকাশের পরও পুলিশ প্রশাসন যে সতর্ক হয়নি, সেটা বোঝা গেল এ ঘটনার মধ্য দিয়ে ই । নিহত ফয়সাল আরেফিন দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বাবা পুত্রের লাশের সামনে দাঁড়িয়ে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন যে " তিনি পুত্র হত্যার বিচার চান না। তিনি বলেছেন, 'উভয় পক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। এটুকুই আমার কামনা। জেল-ফাঁসি দিয়ে কী হবে? " এ নিয় আজ রাজনীতি উত্তপ্ত আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উল আলম হানিফ বলেই ফেললেন দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক খুনিদের রাজনৈতিক ‘মতাদর্শে’ বিশ্বাসী বলে মন্তব্য করেছেন । হানিফ সাহেব হয়তো অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ধ্যন ধারনার কাছে পৌছতে পারেন নি হানিফ সাহেব রাজনৈতিক নেতা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য যতটুকু বলার ততো টুকু ই বলেছে । আমার ধরনা অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক স্যার একজন পিতা হিসেবে, একজন শিক্ষক ও প্রগতিশীল নাগরিক হিসেবে তিনি বুঝাতে চেয়েছেন জেলা বা ফাঁসি দিয়ে হয়তো তার ছেলের খুনিদের বিচারের আওতায় আনা যবে কিন্তু কখনো ই এ ধরনের খুন বন্ধ করা যাবে না যতক্ষন না আমাদের ভিতরে মানবতাবোধের জন্ম না হবে যতক্ষন না আমাদের ভিতর শুভ বুদ্ধির জন্ম না হবে ততক্ষন এধরনের খুন কোন ভাবেই বন্ধ করা সম্ভব না । অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক স্যারের এ মন্তব্য যে আমাডের জাতির জন্য এক নতুন পথের সূচনা করলো । যদিও আমদের শাষক গোষ্ঠি হয়তো তার এ মন্তব্য থেকে আদৌ কোন শিক্ষা গ্রহন করবে না । প্রথা গত ভাবে আমাদের বর্তমান সরকারে কর্তাব্যাক্তিরা ও এ হামলার দায় ও চাপাতে চাচ্ছেন বিরোধী রাজনৈতিকদের কাধে । সরকারে কর্তাব্যাক্তিরা হয়তো কখনোই ভাবেন না যে বিরোধী রাজনৈতিকদের কাধে দোষ চাপানোর প্রবনতা ই আসল খুনিদের রক্ষার পথ সুগম করে নতুন খুনের উৎসাহ যুগিয়েছে ! তাই প্রত্যশা প্রগতিশীল শক্তিকে এক হতে হবে এই অশুভ শক্তির মাথা কেটে দিতে !

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

নীলপদ্ম হিমেল বলেছেন: মৃতুই কী জীবনের শেষ

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৭

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: কখনো ই না একটা মৃত্যু থেকে হাজার জীবনের জন্ম হয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.