নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশের বর্তমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন আমাদের রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রী বা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কর্তা ব্যাক্তিদের মত তা এক বাক্যে বলতে চাইনা । অতি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অঘটন ই জানান দিচ্ছে দেশের বর্তমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্হা । রাজধানীর জনাকীর্ণ শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে নিজ অফিসে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন ও একই সময় লালমাটিয়ায় নিজ অফিসে হামলার শিকার অন্য আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক তারেক রহিম ও ব্লগার রণদীপম বসু । যে হামলা ও হত্যা এখনো সারা বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমে খবর হয়ে আসছে । আর এর ই রেশ না কাটতে গত ৪ নভেম্বর ২০১৫ সাভারের বড়পাড়ায় দূর্বৃত্তের হামলায় খুন হন শিল্প পুলিশ সদস্য মুকুল সেই সাথে আহত হন আরো চার শিল্প পুলিশ সদস্য । এর আগে ২১ অক্টোবর, ২০১৫ ঠিক একই কায়দায় খুন হয় রাজধানীর গাবতলীতে দারুসসালাম থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইব্রাহিম মোল্লা । যদিও সরকার ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কর্তাব্যক্তিরা বার বার ই বলে আসছে এগুলি বিচ্ছিন্ন ঘটনা কিন্তু অবস্হার দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এগুলির কোনটাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় । এসব ঘটনা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ই একটি অংশ । এ যাবত ঘটে যাওয়া প্রায় প্রত্যেক টি ঘটনার প্রক্ষেপট বিশ্লেষন করলে দেখা যায় ঘটনা ঘটিয়েই দূর্বৃত্তরা তাদেরর মত করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে । এর পর পর ই আমরা দেখছি যে কিছু উগ্রবাদি ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠি এ হামলার দায় শিকার করে নিচ্ছে যদিও সম্প্রতিক এসব ঘটনার জন্য আমাদের সরকার ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহীনি এগুলিকে ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠির কাজ হিসেবে মেনে নিতে নারাজ । ঘটনা যারাই করুক আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহীনি আসল অপরাধীদের খুজে বের করবে এটা কিন্ত আমাদের সাধারন মানুষের প্রত্যাশা । গভীর আঁধারের সীমাহীন রহস্যময়তায় ডুবে আছে আজ সমগ্র জাতি বাতাশে ভাসছে রকমের গুজব আর আতঙ্ক। প্রতি টি ঘটনার পর ই সরকার ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহীনি নড়েচড়ে বসে শুরু হয় কর্তাব্যক্তিদের দৌড়ঝাপ কিন্তু অপরাধীদের ছায়া পর্যন্ত বের করতে পারছে না তারা । আসল অপরাধীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সীমাহীন ব্যর্থতাই আপরাধীদের বর্তমান ধরাবাহিক হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কোন ভাবেই রহস্যের জাল থেকে বের হতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী ।সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উম্মোচনে অক্ষমতার ঘোষণা থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর্ব শুরু হয়েছে । আর সেই ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়ে খুনিরা একের পর এক তাদের নিজ টার্গেট পূরন করে নিরাপদে আশ্রয় স্হলে পৌছতে সক্ষম হচ্ছে । আর এর পরে ই আমাদের সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তা ব্যক্তিদের কাছ থেকে শুনা যায় নানান আশার বানী ‘ঘটনার ক্লু মিলেছে, শনাক্ত হয়েছে খুনি কিংবা খুনিদের ঘিরে আছে গোয়েন্দা জাল’ ইত্যাদি ইত্যাদি কিছুদিন না যেতেই যে কপাল সে মাথা আবার ঘটছে নতুন কোন আলোচিত হত্যাকান্ড শুরু হয় নাটকের নতুন পর্ব । দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের পর দেশে কোনও ‘জঙ্গি নাই, জঙ্গি নাই’ বলে সরকারে মন্ত্রী নেতারা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কর্তা ব্যক্তিরা যে কথা বলে আসছিলেন দীপন হত্যার পর তারাই আবার বলছেন যে এটা জঙ্গি সংগঠন আনসারউল্লা বাংলা টিমের ই কাজ হতে পারে আমরা ও তাই দেখলাম মুহুর্তের আনসার আল ইসলাম নামের জঙ্গি সংগঠন এর দায় স্বীকার করে নিলো । সাভারের পুলিশ হত্যার দায় ও এড়িয়ে যা নি জঙ্গিরা আই এস নাকি এঘটনা ঘটিয়েছে ।আবার আওয়ামী লীগের মুখপাত্র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ তিনি বলেছেন, " বিএনপির একটি খণ্ডিত অংশ এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে "।এসব হত্যাকান্ডের সাথে যারা ই জড়িত থাকুক না কেন তা সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে ই খুজে বের করা সরকার ও সরকারের দায়িত্বশীল প্রত্যেকটি সংস্থার উচিত জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে আরো কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া।প্রত্যেকটি ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে ঘাতক ও তাদের গডফাদারদের চিহ্নিত করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নেয়া ।তা হলে আমাদের সাধারন মানুষের মনে আইন শৃঙ্খলারক্ষায় দায়িত্বশীল সংস্থা কিংবা বাহিনীগুলোর সক্ষমতা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে ষে ক্ষতের বিস্তৃতি কিছুটা হলে ও লোপ পাবে ।
©somewhere in net ltd.