নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিয়ানমারের সাধারন নির্বাচনে বিশাল ভোটের ব্যবধান জয়ের পথে এগিয়ে চলছে মিয়ানমারের গনতন্ত্রকামী মানুষের প্রতীক নবেল বিজয়ী অংসানসুচির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি ( এনএলডি ) । যদিও এখন পর্যন্ত বিজয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষনা আসেনি মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন থেকে তবে ইতোমধ্যে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন বর্তমান সেনাসমর্থিত ক্ষমতাসীনদল ইউনিয়ন সলিডারিটি এ্যান্ড ডেভলাপমেন্ট পার্টি ( ইউএসডিপি ) নেতা ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ।এর আগে বুধবার (১১ নভেম্বর) থেইন সেইনকে আলোচনার আহ্বান জানান এনএলডি নেতা অং সান সু চি। এ সময় জাতীয় ঐক্যের কথা বলেন এই নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী। দেশটিতে গত রোববার অনুষ্ঠিত সাধারন নির্বাচন । মিয়ানমারের এর আগের নির্বাচনেও অংসানসুচির দল যুগান্তকারী বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। কিন্তু সে সময় ক্ষমতায় যেতে ব্যর্থ হয় তার রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি ( এনএলডি ) । ঐ বিজয়কে প্রত্যাখ্যান করে জান্তা সরকার সুচির ঘনিষ্ঠ মিত্রদের কারারুদ্ধ করে তাকেও গৃহবন্দি থাকতে হয় দুই দশক। ২৭ বছরের বেশি সময় ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই করতে গিয়ে তিনি অনেক অত্যাচার নির্যাতন জেল-জুলুম সহ্য করেছেন এর পর ও প্রতিপদেই তিনি ধৈর্য, সহিষ্ণুতা ও সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন, হিংসা বা হানাহানির আশ্রয় নেননি। দীর্ঘ ২৫ বছর পর অনুষ্ঠিত এবারের সাধারন নির্বাচনের চিত্র ও ভিন্ন নয় মিয়ানমারের সাধারন মানুষ বিপুল উৎসাহে ভোট দিয়েছেন তাদের ই স্বাধীনতার নায়ক অংসান কন্যা গনতন্ত্রের প্রতীক নবেল বিজয়ী অং সান সুচির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি ( এনএলডি ) কে । ২০১১ সালে মিয়ানামারে এক ধরনের আধা বেসামরিক সরকার গঠিত হয়। এ সরকার নানা ধরনের সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। পরিবর্তন আসে অনেক কিছুতেই। সেই পরিবর্তনের ফলেই এবারের নির্বাচনে জয়ী হলেও প্রেসিডেন্ট হতে পারছেন না অং সান সুচি । কারণ সামরিক শাসিত সরকারের সংবিধানে বিধান রাখা হয়েছে যার স্ত্রী/স্বামী অথবা পুত্র/কন্যা কেউ বিদেশী হলে তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সুচিকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যেই এ বিধান রাখা হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তবে সুচি সংবিধান সংশোধনের দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ। সম্প্রতি তিনি বলেন, দল জয়ী হলে প্রেসিডেন্টের উপরের কোন পদে তিনি থাকবেন। আর তাই যদি হয় তা হলে মিয়ানমারের রাজনীতির আগামী নাটকের কেন্দ্রবিন্দুতেও থাকবেন সুচি। দীর্ঘ সেনাশাসনের প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারে একটি অবাধ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ । প্রতিবেশী মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানকার সব ধর্মের ও জাতিসত্তার মানুষ তাদের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবে এটাই আমরা আশাকরি । আমাদের সঙ্গে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যাসহ আরো যেসব সমস্যা আছে, তা সুরাহার নতুন পথ উন্মচিত হবে শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর কাছে এটুকু প্রত্যাশা করা নিশ্চয়ই অযৌক্তিক নয়। আবশেষে আমরা গণতন্ত্রের এই ক্লান্তিহীন যোদ্ধাকে জানাই লাল সালাম ও অভিনন্দন ।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৯
ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ @ মানবী
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেখা যাক, বার্মার মানুষের কাছে তিনি রোহিংগাদের অধিকার প্রতিস্ঠা করটে পারেন কিনা।
তবে, রোহিংগাদের উচিত বার্মা ছেড়ে চলে যাওয়া।
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৩
আজাদ মোল্লা বলেছেন: মানতে পাড়লাম না ।
মিয়ানমারের কথা আমরা সবাই জানি ।
মুসলিম দের সাথে কি হয় ,
আপনি জানেন কি ?
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৭
মানবী বলেছেন: মিয়ানমারের রোহীঙ্গাদের অবস্থার উন্নয়ন ও তাঁদের সার্বিক নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতীষ্ঠিত করা হবে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক শাসক হিসেবে আং সান সুকীর এ্যসিড টেস্টের মতো।
বিশ্ব তাকিয়ে আছে একজন সুকীর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে!
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন।