নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাওয়া না পাওয়ার পৌরনির্বাচন

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২২

৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ দেশের ২৩৪টি পৌরসভার নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম দলীয় মনোনয়নের ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ দেশের ২৩৪টি পৌরসভার নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম দলীয় মনোনয়নের ভিত্তিতে অর্থাৎ দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হলো স্হানীয় সরকার নির্বাচন এই নির্বাচন নিয়ে সমগ্র জাতির মনেই ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। এ নির্বাচনের আরো একটি বিশেষত্ব হলো দীর্ঘ সাত বছর পর দেশের বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দল ভোটের ময়দানা মুখো-মুখি হয়েছিল । রাজনীতি সচেতন সব মানুষের ধারনা ছিল নির্বাচন কমিশন সরকারের সহযোগিতায় একটি অবাধ সুষ্ঠ স্হানীয় সরকার নির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়ে বর্তমান সরকারে আমলের গত কয়েকটি নির্বাচনের কালিমার দাগ কিছুটা হলেও মুছার চেষ্টা করবে , দেশের মানুষ হয়তো পৌরনির্বাচনের পর বিগত কয়েকটি নির্বাচনের দুঃখ তাপ কিছুটা হলেও ভুলে যাবে । কিন্তু না বর্তমান নির্বাচন কমিশন তাদের অতীতের ধারাবাহিকতার পথ থেকে বের হয়ে আসতে পারে নি । হাজারো অনিয়মের অভিযোগ মাথায় নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে শেষ করতো হলো পৌরনির্বাচন এ নির্বাচনের ফলাফল সাধারন মানুষ আদৌ সুষ্ঠ ভাবে গ্রহন করবে কি না সে ব্যাপারে হয়তো নির্বাচন কমিশন ও সরকার কেউই গুরুত্ব দেয়নি । নির্বাচন কমিশন ভেবেছে যে রুটিন মাফিক একটি পৌর নির্বাচন দেয়া দরকার পৌরনির্বাচনের দায় থেকে মুক্তি আর সরকার ভেবেছে যে ভাবেই হউক নিজস্ব প্রার্থীকে নির্বাচনে জয়ীকরে নিজেদের জনপ্রিয়তা যে আকাশচুম্বী তা দেশের মানুষ ও বহিঃবিশ্বের কাছে প্রকাশ করা ।অথচ নির্বাচন কমিশন ও সরকার কেউই তাদের দায়িত্ব ও ইজ্জতের কথা একটি বার ও ভাবেনি ।

এই পৌরনির্বাচনের ফলাফল হলো ১৮০টি পৌরসভায় আওয়ামীলীগ ১৭টি পৌরসভায় তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয় পেয়েছে অন্যদিকে বিএনপি ২২ টি তে ও তাদের বিদ্রোহী প্রার্থী ১ টি তে জয়ী হয়েছে । ২০০৮ সালের জাতিয় নির্বাচনে শেষ বাবরের মত জাতিয় নির্বাচনে মুখো মুখি হয়েছিল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি ঐ নির্বাচনে বিএনপি ২৯ টি আসনে জয় পেলেও ভোটের ব্যবধানে তারা কিন্তু অতটা পিছিয়ে ছিল না। কিন্তু সাত বছরের মাথায় পৌরনির্বাচনে বিএনপির এমন ভরাডুবি কেবল মেয়র পদের সংখ্যা হারানোর মধ্যেই সীমিত নয়, তারা অধিকাংশ স্থানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও ভোটের ব্যবধান অনেক বেশি। অথচ ২০১১ সালের পৌর নির্বাচনে ও ২৩৬টি পৌরসভার মধ্যে বিএনপির সমর্থকেরা ৯২টি আর আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা ৮৮ টি পৌরসভায় জয়ী হয়েছিলেন যদি ও সেটা কাগজে কলমে ছিল অদলীয় নির্বাচন । এরপর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল ব্যতিক্রম হয়নি । আওয়ামীলীগের দূর্গ খ্যাত গাজীপুর সিটির মেয়র পদ ও জয় করে নিয়েছিল বিএনপি ।

পৌর নির্বাচন সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন নয়। সবগুলো পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করলেও বেগম জিয়া ও তার দল ক্ষমতায় যেতে পারতেন না তাই যথার্থই প্রশ্ন আসে কেন বার বার নির্বাচন কমিশন ও সরকার জাতিকে প্রহসনের নির্বাচন উপহার দিচ্ছে ? আর সেই প্রহসনের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগ কেন ই বা উল্লাস করছে ? যদি বর্তামন ক্ষমতাশীন আওয়ামী জোট সরকারের জনগনের প্রতি সেই আস্হা ই থাকে তবে তাদের উচিত হবে কাল বিলম্ব না করে অতি শীঘ্রই একটি মধ্যবর্তী জাতীয় নির্বাচন দিয়ে ৫ই জানুয়ারির ২০১৪ জাতিয় নির্বাচনের গ্লানি মুছে দেওয়া ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.