নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তনু হত্যার ঘটনায় আজ প্রতিবাদমুখর দেশ । সোহাগী জাহান তনু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সেই সাথে ভিক্টোরিয়া থিয়েটারের ও কর্মী বাবা ইয়ার হোসেন সেনানিবাস বোর্ডে একটি ছোট্ট কর্মচারী । কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের ভিতরেই ছিল তনুদের বাসা । বাবার যৎসামান্য বেতনে সংসার চালনো ই যেখানে দায় সেখানে আবার লেখাপড়া ? মেধাবী তনুকে দারিদ্রতা কখনো ই লেখাপড়ার উৎসাহে ভাটা ফেলতে পারে নি নিজের লেখাপড়া চালানোর জন্য টিউশনি ই ছিল একমাত্র নির্ভরতা । প্রতিদিনের মত ২০ মার্চ সন্ধ্যা ও টিউশনি শেষে যথাসময়ে বাসার ফেরার কথা ছিল তনুর কিন্তু তা আর হয়নি মেয়ের ঘরে ফিরতে দেরি দেখে বাবা ইয়ার হোসেন মেয়ের খোঁজে নেমে আসেন রাস্তায় কিছু দূর এগুতেই সেনানিবাসের পাহাড় হাউস এলাকায় মিললো সন্তানের লাশ । প্রথমে ফেইসবুক সহ নানা সামাজিক যোগাযোমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও সেই ঝড়ো হাওয়া আচরে পড়ে দেশের প্রতিটি বিবেকবান মানুষের মনে। সাড়াদেশ আজ উত্তাল তনু হত্যার বিচারের দাবিতে । ঘটনার এক সপ্তাহের বেশি পার হলেও মামলার আগের জায়গাতেই আছে। আসামিরা আজো ধরাছোয়ার বাহিরে । তদন্তের নামে শুধু তনুর বাবা-মা সহ আত্মীয়স্বজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বলে আইনশৃংখলা রক্ষা বাহীনি কি যে তামসা করছে তা কেন জানি বোধগম্য নয় । সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার মত সেই একই গদ বাধা কথা অতি শীঘ্রই সত্যিকার আসামিরা ধরা পরবে ।সাগর-রুনি হত্যার পর তো তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিনে মাত্র আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যেই নাকি আসল খুনিরা ধরা পরবে হায়রে কপাল সেই আটচল্লিশ ঘন্টা আজ ও শেষ হয় নি। তনু হত্যার আসল রহস্য শেষ পর্যন্ত কোথায় যাবে সেটা বলা মুসকিল । প্রতি দিন ই আমাদের শুনতে বা দেখতে হচ্ছে এ ধরনের কোন না কোন ঘটনা আর সেই নতুন ঘটনার ছায়ায় আমরা ভুলে যাই পুরোনো সেই ঘটনা কে বা একটি আলোচিত ঘটনার ছাযার মাঝে হারিয়ে যায় অন্য কোন ঘটনা । ঠিক তেমনি তনু হত্যার ঘটনায় ছায়ার মাঝে হারিয়ে গেছে অন্য আরেক দুঃখিনী মায়ের কান্না গত ২৭ মার্চ দৈনিক আমাদেরঅর্থনীতি একটি সংবাদ আমাকে বিশেষ ভাবে ব্যথিত করেছে কণ্ঠশিল্পী কৃষ্ণকলির বাসার গৃহকর্মী হত্যা সম্পর্কিত খবর। কৃষ্ণকলি ও তার স্বামী খালিকুর রহমানের নেশার কারণেই নাকি অকাল মৃত্যুর শিকার হতে হয়েছে গৃহকর্মী জান্নাত আক্তার শিল্পীকে। কৃষ্ণকলির রাজধানীর আগারগাঁওয়ের তালতলার বাসায় দেড় মাস আগে গৃহকর্মী হিসেবে নেত্রকোনা থেকে আনা হয় জান্নাত আক্তার শিল্পীকে। গত ২৩ মার্চ ওই বাসা থেকে ই অচেতন অথবা মৃত অবস্থায় শিল্পীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান খালিকুর রহমান। সেখানে জান্নাতকে মৃত ঘোষণা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক । এ সময় খালিকুর রহমানের মুখে খামচি ও আঁচড়ের দাগ দেখে তাকে আটক করে পুলিশ। ২৪ মার্চ সন্দেহজনক ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয় খালিকুর রহমানকে অবশ্য পুলিশ আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। জান্নাত আক্তার শিল্পী পেটের দায়ে পরিবার পরিজন ফেলে দুবেলা দু মুঠো ভাতের আশায় গ্রাম ছেড়ে ইট পাথরের এই রাজধানী ঢাকাতে এসেছিল দেশের একজন খ্যাত নামা কণ্ঠশিল্পী কৃষ্ণকলির বাসার গৃহকর্মী হিসেবে । অথচ কৃষ্ণকলি ও তার স্বামী নেশগ্রস্হ্য হওয়ার করনেই সব সময় খিট খিটে মাজাজে থাকতেন আর সমান্যতেই রেগে গিয়ে নির্যাতন চালাতেন গৃহকর্মী শিল্পীর উপর ।অবশেষে এর পরিনতি গড়ায় শিল্পীর মৃত্যু । যদিও শিল্পীর এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্ঠা করছিল কৃষ্ণকলি ও পরিবার । মাত্র কিছুদিন আগে দেশের খ্যাত নামা ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহান এগারো বছরের শিশু গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে নির্যাতনের অভিযোগে জেলে যেত হয়েছিল । তনু বা শিল্পীদের হত্যার পর বিচারের দাবিতে উত্তাল হয় দেশ দেশের রাজনীতি কিন্তু কেন জানি সেই উত্তাল হওয়ার ধাক্কা আমাদের মনের মাঝে লেগে ও পাশ কেটে যায় । বিচারের বাণী শুধু নীরবে নিভৃতে কাঁদে ই যায় । তার পর ও আশা করবো তনু হত্যাকারীরা ধরা পরবে শিল্পী হত্যাকারিরা আইনের আওতায় আসবে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে ।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২৪
বিপরীত বাক বলেছেন: এদেশে মানুুষ গুলো নিজেরাই যার যার অবস্থানে অত্যাচারী। এজন্যে এদেশের শাসকরাও অত্যাচারী ও জালেম হয়। এই কুলাঙ্গার বাংলা জাতের জন্যে জাহেলিয়াতের শাসনই প্রযোজ্য।
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৪
ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: বিজন দা শুধু দুঃখজনক ই নয় লজ্জা জনক ও বটে ।
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৫
ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: বিপরীত বাক আমি আশা করবো আপনি আপনার মন্তব্যের ভাষার প্রতি দৃষ্টি দিবেন । উত্তেজিত হয়ো কোন মন্তব্য না করাই উত্তম । ধন্যবাদ
৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১
বিপরীত বাক বলেছেন: সুড়সুড়ি পেলে উত্তেজিত হবো না? তাহলে তো অনুভুতি শক্তিহীন জীবনযাপন করতে হবে।!
৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৩
ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: বিপরীত বাক আমি তো সুর সুরি কাউকে দেই না তো উত্তেজিত হওয়ার কিন আছে । যান বাশের খুটির সাথে সুর সুরি নিয়ে আসেন ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৪৬
বিজন রয় বলেছেন: দুঃখজনক।