নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গনপরিবহনে গনধর্ষণ !

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:০০

দিন দিন আমাদের দেশের মানুষদের ভিতর মনুষ্যত্ব বোধ কেন জানি কমে যাচ্ছে আমি সমগ্র দেশের মানুষকে যদিও ঢালাও ভাবে বলছিনা আবার কাউকে বাদ দিতে ও পারছি না । হয়তো আমার এমন কথায় অনেকই কষ্ঠ পাবেন কেউ হয়তো ভাববেন হয়তো আমি সমগ্র দেশের মানুষের ই মানহানী করছি যদি এমনটি কেউ ভাবেন সেটা হয়তো পুরোপুরিই ভুল হবে । কারন একটি সমাজ বা রাষ্ট্রে যদি কোন অন্যায় বা অপরাধ সংগঠিত হয় তার দায় ভার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সেই সমাজ বা রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিককে ই বহন করতে হয় । আজ থেকে বেশ কিছুদিন আগে অর্থাৎ ২০১২ সালের শেষ দিকে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক মেডিকেল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্হায় মৃত্যু হয় ২৩ বছর বয়সী ঐ তরুনীকে । যে ধর্ষন নাড়া দিয়েছিল ভারত সহ সমগ্র বিশ্ব বিবেক কে প্রতিবাদে ফুসে উঠেছিল ভারত সহ সমগ্র বিশ্ব । ঐ রেশের মধ্যেই হিন্দি সিনেমার ট্র্যাডিশন কপি হয় আমাদের দেশে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষনের শিকার হতে হয় এক পোষাকশিল্প শ্রমিক তরুনীকে ।যদিও এ নিয়ে আমাদের দেশের সংবাদ মাধ্যম গুলি সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে জাতিকে স্বচ্চার করতে পেরেছিল ।তার পর ও থেমে থাকে নি এ ধরনের অপরাধ বরং সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে গনপরিবহনে নারী নির্যাতন ধর্ষন ও ধর্ষনের পর খুনের ঘটনা ।এধরনে ঘটনার পর পর ই তথা কথিত আন্দোলন বা প্রতিবাদ মুখরিত হয়ে উঠে সমগ্র জাতি । আমি তথা কথিত প্রতিবাদ বলছি এ কারনে যে প্রতিবাদ বা আন্দোনের পরে ও কোন ঘটনার সুষ্ঠ বিচার হয়েছে বা ঐ ধরনের ঘটনা কমেছে তা আমরা লক্ষ করিনি বরং ঐ ধরনের ঘটনা আরো বেড়ে গেছে অপরাধীরা ভয়ের পরিবর্তে আরো বেশি উৎসাহী হয়ে উঠে । মানিকগঞ্জে চলন্ত বাসে তরুনী ধর্ষিত হওয়ার পর থেকে পাল্লা দিয়ে বেড়ে ই চলছে এ ধরনের ঘটনা সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী গত দুই বছরে অন্তত্য আঠারো জন নারীকে ধর্ষন ও শারিরীক নির্যাতনের শিকার হতে হয় গনপরিবহনে যাদের মধ্যে অনেক কে ই ধর্ষনের পর হত্যা পর্যন্ত করা হয়েছে । সর্বশেষ গত পহেলা এপ্রিল টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ধর্ষনের শিকার হতে হয় এক নারীকে যদি ও এ ঘটনায় পুলিশ তিন গ্রেফতার করতে স্বক্ষম কয়েছে ।. গত বছর রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে জোড় পূর্বক এক গারো তরুনীকে চলন্ত মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গনধর্ষন করা হয় এর পর সাড়া দেশে এ নিয়ে প্রতিবাদ উঠলে ধর্ষকদের গ্রেফতার করা হয় এর পর এই মামলা কি অবস্হা তা আর আমাদের জানা নেই । ইদানিং গনপরিবহন আমাদের নারীদের কাছে এক আতংকে পরিনত হয়েছে । এক ধরনের নিরুপায় হয়েই আমাদের নারীরা গনপরিবহান ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে । এ নিয়ে নানা জনের নানা মত থাকলে ও বিনা দ্বিধায় বলা যায় একুশ শতকে এসে ও আমাদের দেশের নারীরা অনেক স্হানেই মোটেই নিরাপদ নয় । জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০১১ সালে ৬২০ জন, ২০১২ সালে ৮৩৬ জন, ২০১৩ সালে ৭১৯ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্যমতে, ২০১৪ সালের প্রথম ছয় মাসে ৪৩১টি ধর্ষণের ঘটনা চিহ্নিত হয়েছে এবং এর মধ্যে ৮২টি ছিল গণধর্ষণ অপরাধ ।প্রতিবছরের ধর্ষণ চিত্রের পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। কোনও কোনও সূত্রমতে পুলিশি খাতায় ২০১৪ সালে ধর্ষণ মামলার সংখ্যা ৪৬৪২টি এবং ২০১৩ সালে ধর্ষণ মামলার সংখ্যা ছিল ৪৫৩৮টি।প্রকৃত সংখ্যাটা যদিও অনেক বেশি হবে তার পর ও ধরে নিলাম স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে আদ্যবধি প্রতিবছর গড়ে ১০০০ জন ধর্ষিত হয়েছে। তাহলে গণিতের হিসাবে স্বাধীন বাংলাদেশে ৪৫ বছরে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪৫ হাজার নারী। পরিসংখ্যান যাই বলুক আমাদের দেশে নারীর অবাধ চলাচল আজ ও যে মোটে ও নিরাপদ নয় এটাই বাস্তব সত্য । আমাদের দেশে নারীর এ দুরাবস্হ্যার জন্য সামগ্রিক ভাবে ই দায়ী আমাদের বিচার ব্যবস্হা যদি ও আমাদের মানসিকতা ও দৃষ্টি ভংগির ও পরিবর্তন জরুরী । তার পর ও বিচার ব্যবস্হাই প্রথম কারণ প্রত্যেক টি ঘটনার যদি সুষ্ঠ বিচার হতো তা হলে অন্তত বিচারের ভয়ে ও অপরাধীরা অপরাধ করতে অনেকটা দ্বিধা করতো তাতে ক্রমানয়ে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ও ঘটতো । কিন্তু বিচারহীনতা বা বিচারে দীর্ঘ সূত্রিতার করনেই অপরাধীরা পার পেয়ে নতুন অপরাধের প্রতি উৎসাহ বোধ করছে । শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা , অফিস আদালত বা গনপরিবহন যে জায়গা ই হউক আমরা চাইবো আমাদের নারীরা নিরাপদে থাকবে তাদের প্রতি যদি কোন অন্যায় হয় তাহলে আইন তথা বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে দেশে আইনের শাষন প্রতিষ্ঠার উদাহরন সৃষ্টি করবে ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৪৯

কানিজ রিনা বলেছেন: নামাজ পড়ে উঠে আপনার পোষ্ট দেখে
চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না।
আজ আমার মেয়েটি যে পিতার আশ্রয়ে
নিজেকে নিরাপদ ভাবতে পারেনা। পিতার
নিরলজ্জতায় পরিচিত জনের কাছে মাথা
নিচু করে থাকে। ওর পিতা মাদকা শক্ত
ব্যাভিচারীর রাজত্ব্য তার হাতের মুঠোয়।
তার কন্যা সন্তান কিভাবে অফিস আদালতে
নিরাপদে কাজ করবে,ভয় পাই মেয়েটার
উপর বাবার পাপ নেমে আসবে নাতো।
মেয়েটার বিয়ে বাধা গ্রোস্ত বাবার কলং
মেয়েটা ভয়পায় বিয়ের পিরিতে বসতে।
বাবাকে অন্যায় কাজে বাধা দিলে নিরযাতিত
হতে হয়। ওরা দুই ভাই বোন আমি ওদের
মা। ওদের বাবার দ্বারা নিরযাতিত নিপীরিত
বন্চিত অপমানিত। এবার বলুন কোথায়
নিরাপদ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৩

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: আপু পাপ পূর্ণের হিসাব আমি তেমন বুঝি না । তার পরে ও বলবো হয়তো একজনের পাপের বোঝা হয়তো অন্য একজনকে বহন করতে হবে না বা হয় না আর যদি এমন টি হ্য় তাহলেতো সে অবিচার । বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে আর মানুষের পরিচয় তার গুনে । কে পিতা কে মাতা এটা কোন বড় পরিচয় । তার পর ও যেহেতু সমাজ বলতে একটা কথা আছে । আমি জানি না আপু এটা আবনার বাস্তব সাংসারিক জীবন কি না ? যদি এমন টি ই হয় তবে এটা সত্যি দুঃখ জনক । আপনার এ কষ্ট ভাগ নেয়ার ক্ষমতা হয়তো কারোই নেই । তার পর ও আমি বলবে আপনাকে প্রতিবাদী হতে হবে আপনার সন্তাদের প্রতিবাদী হতে হবে লোক লজ্জার ভয়ে চুপ করে থাকলে হবে । এই প্রতিবাদ ই আমাদের সংসার সমাজ ও রাষ্ট্রকে কলংক মুক্ত করতে পারে ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫৮

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: আজকের ( ০৫/০৪/২০১৬ ) দৈনিক আমাদের অর্থনীতি তে আমার কলাম :
http://www.amaderorthonete.com/content/2016/04/05/Page4.jpg

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

বিজন রয় বলেছেন: আমাদের আবার বোধ?

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫৮

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: আজকের ( ০৫/০৪/২০১৬ ) দৈনিক আমাদের অর্থনীতি তে আমার কলাম :
http://www.amaderorthonete.com/content/2016/04/05/Page4.jpg

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৪

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: একটু সুর-সুরি দিতে হবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.