নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের চার মাস ১৬ দিন পর ৫০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেছে বিএনপি।অনেক মতে বর্তমান বিএনপির এত বড় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, দলটির রাজনৈতিক একটি বড় কমেডি ও বটে । অথচ এত বিশাল আকারের কমিটি দিয়ে ও স্বস্তিতে নেই দলটির নিতীনির্ধারকরা বরং পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়ে মহা বেকায়দায় আছে বিএনপি হইকমান্ড ।প্রথম দিনেই ২ জন নেতার কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষনায় দলের ভিতর এক চরম অস্হিরতার জন্ম দিয়েছে ।বিশেষ করে মোসাদ্দেক আলী ফালুর পদত্যাগ । প্রত্যাশা অনুযায়ি পদ না পাওয়া দলের ভিতরে চলছে নানা তোড়পাল অনেক নেতারা ই নাকি আবার ফালুর পথেই এগুতে যাচ্ছেন তাই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনার পর থেকে দেশের অন্যতম বৃহত্তম এই রাজনৈতিক দলের ভিতরে কেমন জানি একটা অস্হিরতা বিরাজ করছে ।বাজতে শুরু করেছে ভাঙ্গের সুর । বিএনপির অনেক অবহেলিত পদ বঞ্চিত নেতার ই মন্তব্য যেই ফালু সাহেব জিরো থেকে হিরো হয়েছেন শুধু মাত্র বিএনপি আর বেগম খালেদা জিয়ার আশীর্বাদে তিনি ই যদি পদ ছেড়ে দল থেকে দূড়ে সরে যেতে পারেন তা হলে আমরা কেন খলি মাটি কামড় দিয়ে পরে থাকবো ।
১৯ মার্চ, ২০১৬ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের পর থেকে দেশবাসীর মনের ভিতর নানা জল্পনা কল্পনা চলে আসছিল । আমাদের অনেকের ই ধারনা ছিল বিএনপি হয়তো এবার আমাদের রাজনীতির প্রচলিত ধারা বাহিরে আসছে সক্ষম হবে । তাদের দলের রাজনীতিতে হয়তো অনেক চমক দেখা যাবে দেখা যাবে পরিবর্তন ও কিন্তু এবার ও বিএনপি আমাদের সেই প্রত্যাশ পূরনে ব্যর্থ হলো । এবারের কমিটি ও পরিবার তন্ত্রের শিকল থেকে বের হয়ে আসতে পারে নি । যোগ্যতার ভিত্তিতে নয় শুধু মাত্র পারিবারিক প্রভাবের কারনেই হয়তো আফরোজা আব্বাস , খন্দকার মারুফ হোসেন বা অর্পণা রায় রা বাগিয়ে নিয়েছেন দলের বড় বড় পদ । এই জন্যই হয়তো নতুন কমিটিতে সিনিয়রিটি লঙ্ঘনের অভিযোগ আজ চরমে পৌছেছে । এই অভিযোগ তুলেই কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক সহদপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান । শামীমুর রহমানের মতে আমি পাঁচ মাসের বেশি সময় জেলে ছিলাম। দৈনিক ষোল ঘণ্টা রাজনীতি করেছি। ছিলাম সহদপ্তর। এখন আরও নিচের পদে সহপ্রচার করা হয়েছে। আমাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। তাই, মহাসচিব বরাবর চিঠি দিয়ে নিজের নাম প্রত্যাহার চেয়েছি।প্রত্যাশ অনুযায়ী পদবঞ্চিত অনেক সিনিয়ার নেতাই আজ চরম হতাশার মধ্যে সময় পার করছেন । অনেকের ই মন্তব্য এখন ও যদি কমিটি পূঃর্ন গঠন না করা হয় তা হয় তা হলে খুব শীঘ্রই কেন্দ্র থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীদের দল থেকে পদত্যাগের হিরিক পড়ে যাবে । তখন দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাড়াবে ।
বিএনপির এবারের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির একটি মজার পদ হলো সম্পাদক (বিশেষ দায়িত্বে) । আমি মজার বলতে বাধ্য হলাম এই কারনে যে বিএনপি গঠনতন্ত্রে আদৌ এমন পদ আছে বলে আমার জানা নেই । তার পর ও তারা গঠনতন্ত্রর বিরোধী এমন একট পদ সৃষ্টি করে খুশী করতে চেয়েছেন দলের ত্যাগী নেতা ড. আসাদুজ্জামান রিপন ও আবু নাসের মুহাম্মদ ইয়াহিয়া কে । বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল ( বিএনপি ) জন্মলগ্ন থেকে ই তাদের বিরুদ্ধে আমাদের মাহান মুক্তি যুদ্ধের বিরোধীতাকারিদের আশ্রয় - প্রশ্রয় দেয়ার আভিযো আছে । যদি অভিযোগ বলি তবে আমার ও ভুল হবে বরাবরই তারা মহান মুক্তি যুদ্ধের বিরোধীতাকারিদের সহযোগি হিসেবে কাজ করে আসছে এমন কি যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতার অংশীদার ও করেছেন । হয়তো ভেবে ছিলাম দলটির কাছ থেকে এবার কিছুটা হলেও সু-আক্কেলের পরিচয় পাবো কিন্তু আমাদের সে আশায় শুধু গুড়ে বালি । তাদের নির্বাহী কমিটিতে এবার স্হান করে নিয়েছেন একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ও মৃত্যুদন্ড কর্যকারী আসামী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরির ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরি একই পরিবারের গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরি আরো আছেন আজীবন সাজা দন্ডে দন্ডিত আসামী আব্দুল আলীমের ছেলে ফয়সাল আলীম ।হয়তো অনেকে বলবেন হুম্মাম কাদের বা ফয়সাল আলীমের পূর্বপুরুষরা তো অপরাধী তাদের জন্য কি এর দায় ভার এদের ও নিতে হবে ? যাদি ও আমি তেমন টি বলছি না তার পর ও কিন্তু হুম্মাম কাদেররা তাদের পূর্বপুরুষের কৃতকর্মের জন্য মোটে ও অনুশোননা দেখায় নি বরং প্রতিশোধের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন ।বিএনপির অনেক নেতার ই অভিযোগ নতুন ঘোষিত কমিটিতে ও নাকি জামাত পছন্দের অনেককেই বড় বড় পদ দেয়া হয়েছে ।
প্রথা অনুসারে বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর দিন পদ পাওয়া নেতারা শেরে বাংলানগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত: রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে গিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। কিন্তু এবার এত বড় কমিটি গঠনের পরও এখন পর্যন্ত নতুন নেতারা জিয়ার মাজারে যাননি। এতেই নতুন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা পর বিএনপির অভ্যন্তরিন অবস্হা বাহির থেকে কিছুটা আচ করা যায় ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি ) বেশ কয়েকবার যেমন রাষ্ট্র পরিচালনার ভার গ্রহন করেছে তেমনি সংসদে প্রধান বিরোধীদলের দায়িত্ব ও পালন করেছে । এই বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের দিকে চেয়ে আছে সমগ্র জাতি এবং তাদের কর্মকান্ডের উপর অনেকটাই ভিত্তি করে জাতির ভবিষ্যৎ । তাই একটি গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির নিকট আমাদের তথা জাতির প্রত্যাশা তারা তাদের দলের ভিতর সুষ্ঠ গনতান্ত্রিক ধারা বজায় রেখে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের দেশে সুষ্ঠ গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারা বজায় রাখবে ।
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ সাহেবের কবরের উপর গড়ে উঠেছে এই বিষাক্ত দল, ইহার পতন ঘটানো দরকার।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:৪৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পারিতান্ত্রিক দলের কাছে গনতান্ত্রিক কিছু আশা করাইতো বোকামী, যেরকমটি হওয়ার কথা ছিল তেমনটিইতো হয়েছে অবাক হয়ারতো কিছু নাই , এরকম তো তাদের জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি, তবে এবার যে মির্জা সাহেবের বুকের ভার টা নামানো হয়েছে সেটাকেই বড় প্রাপ্তি ধরে নেয়া যায় ।