নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার ।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদ্যানন্দ কি ফিরে পাবে পুরনো খ্যাতি?

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

২০২০ সালের মে মাসে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নিয়ে একটি লেখা লিখেছিলাম। তখন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নিয়ে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছিল তবে ঐ আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ভিন্ন। ঐ বছর ৫ মে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার দাশ প্রতিষ্ঠানটির সর্বোচ্চ পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে ছিলেন। ‘পড়বো, খেলবো, শিখবো’ স্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন আর বিদ্যানন্দ নামের সাধারণ বিশ্লেষণ ছিল আন্দন্দের সাথে বিদ্যা অর্জন। আমার ঐ লেখা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও এর প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার দাশকে নিয়ে আমার জানা প্রায় সব টুকু তথ্যই আমি তুলে ধরতে চেষ্ঠা করেছি। লিখার মাধ্যমে বিদ্যানন্দকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। যদি ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল অসহায় সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের লেখা পড়া শিখিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা। পরবর্তীতে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন আলোচিত হয় " এক টাকায় আহার " নামে মাত্র এক টাকার বিনিময় গবীর ক্ষুধার্ত মানুষকে খাবার বিতরনের মাধ্যমে। যা ছিল নিসন্দেহে একটি মানবিক কাজ। কারন যে ই যা বলুক আমাদের দেশের দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা কত তার প্রমান মিলে টিসিবির পন্য বিক্রির ট্রাকের সামনে দাড়ালে। বিদ্যানন্দ আমাদের সাধারন গরীব মানুষের জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যি মানবিক। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেই ভবঘুরে মানুষদের জন্য সমান্য নাম মাত্র বিনিময়ে খাদ্য বিতরন কর্মসূচি পরিচালনা করে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন।

সম্প্রতি আবারো আলোচনা ও সমালোচনার মুখে পরেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এবার তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো খুবই গুরুতর বিষয় নিয়ে। এ সব অভিযোগ তোলার মত অনেক কাজ ও করেছেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন কতৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে এবারের আলেচনার সুত্রপাত বঙ্গবাজারে গত ৪ মে ২০২৩ তারিখে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর। তারা কোন এক নারী উদ্যোক্তার ফেইসবুক পেইজ থেকে কাপরের তৈরির গহনা ছবি নিয়ে নিজেদের ফেইসবুকে পেইজে বঙ্গবাজারের আগুনে পুরে যাওয়া কাপরের অংশবিশেষ দিয়ে তৈরি গহনা বলে চালিয়ে দিয়েছেন। তাতেই বাধে বিপত্তি। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের মত এত বড় একটি বহুল পরিচিত সংগঠন কিভাবে পারলো একজন নারী উদ্যোক্তার নিজস্ব পন্যের ছবি তাদের বলে চালিয়ে দিতে? এর পর বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও তাদের " এক টাকার আহার " এর ফেইসবুক পেইজ ঘেটে তাদের বিরদ্ধে অনেক নেটিজেন ই অনেক অভিযোগ তুলেছেন। তার মধ্যে আছে মজিদ চাচা নামের একজন ছদ্মনামের ব্যক্তি, একই গরুর ছবি বার বার ব্যবহার করা, যাকাতের টাকা নেওয়া আমাদের পার্বত্যজেলা বিশেষ করে বান্দরবানের জমি টাকার বিনিময় দানপত্র, লীজ নিয়ে অনাথালায় বা এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করা। অবশ্য বান্দরবানে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের এই জমি নিয়ে ২০২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর হিল ভয়েস নামের একটি অনলাইন পোর্টাল " আলিকদমে স্কুলের নামে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন কর্তৃক ম্রো সম্প্রদায়ের জমি দখল " শিরোনামে একটি প্রতিবাদ প্রকাশ। যদিও ঐ প্রতিবেদনকে আমি কখনোই তেমন গুরুত্ব দেই নাই। কারন বিদ্যানন্দ সহ যে কোন প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের ভাল কাজকে সব সময় ই যথাসম্ভব সমর্থন ও সহযোগিতা করাই আমার নৈতিক দায়িত্ব।

অনেকে ই বিভিন্ন সেবাদাতা বা সামাজিক সংগঠনে জাকাত দিয়ে থাকেন। তারই অংশ হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জাকাত গ্রহন করে আসছে। সম্প্রতি এই ফাউন্ডেশনে জাকাত দেওয়া নিয়ে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিদ্যানন্দে জাকাত দেওয়া যাবে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আবার অনেকে ই বিদ্যানন্দকে জাকাতের টাকা দেওয়া ইসলাম ধর্মে শরিয়তসম্মত নয় বলেও জানাচ্ছেন। কারন এটা যেহেতু ধর্মীয় বিধান তাই আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন পবিত্র কুরআনেই বলে দিয়েছেন কারা কারা জাকাত পাবার অধিকার রাখে। সেখানে আট শ্রেণীর লোকের কথা বলা হয়েছে।
প্রথম ও দ্বিতীয় খাত হলো ফকির ও মিসকিন। আরবিতে ফুকারা এবং মাসাকিন দুটি শব্দ দিয়েই দারিদ্রকে নির্দেশ করলেও এ দুটির অর্থ ভিন্ন। ফেকাহ শাস্ত্রের গ্রন্থগুলোতে এর সংজ্ঞায়ন করা হয়েছে এভাবে, ফুকারা বা ফকির হলেন এমন শ্রেণীর দরিদ্র ব্যাক্তি যে তার আয় থেকে মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারে না। অনেক জায়গায় এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ফকির হলো এমন মানুষ যার জীবিকা নির্বাহ করার মতো সম্পদ নেই এবং আয়েরও ব্যবস্থা নেই। আর মিসকিনের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আছে কিন্তু তার জীবিকা নির্বাহের মতো পর্যাপ্ত আয় হয় না। অনেক পরিশ্রম করেও যে তার অন্নসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খায় সেই হচ্ছে মিসকিন। কেউ কেউ আবার বলেছেন, ফকির মিসকিনের পার্থক্য হলো সাহায্য চাওয়ার দিক থেকে। ফকির হচ্ছে সে যে মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে বেড়ায়। আর মিসকিন হলো যে ফকিরের মতই অর্থাভাবে থেকেও কারো কাছে সাহায্য চায় না আত্মসম্মানের জন্য।

জাকাত প্রদানের তৃতীয় খাত হলো আমিলীন এটি একটি আরবি শব্দ । যার বাংলা অর্থ এমন যে, কর্মচারী যারা জাকাত ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত। পবিত্র কুরআনের ভাষ্যমতে এই শ্রেণিও জাকাত পাবার অধিকার রাখে। যারা সরকারি বা বেসরকারিভাবে জাকাত আদায় এবং বণ্টনের কাজে লিপ্ত তারাও জাকাতের অর্থ গ্রহণ করতে পারে। তবে বেশিরভাগ শরিয়ত বিশেষজ্ঞের মতে , এই ক্ষেত্রে আদায়কৃত জাকাতের সাড়ে ১২ ভাগের বেশি খরচ করা যাবে না এই খাতে। এর পরের খাত গুলি হলো হৃদয় জয় করা উদ্দেশ্য, দাসত্ব থেকে মুক্তি, ঋণগ্রস্তকে ঋণ মুক্ত করা, আল্লাহর পথে ব্যয় করা আর অস্টম খাত হলো ইবনুল সাবিল বা মুসাফির অর্থাৎ সফরে থাকাকালীন একজন মুসাফিরের নানা রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। সর্বস্ব হারিয়ে ফেলার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। এছাড়া নাগরিকত্ব হারিয়ে অভিবাসী হয়ে ভিনদেশে বাস করা লাগ তে পারে এমন মানুষ । এরকম বিপদে মুসাফিরকে জাকাত দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য উৎসাহ দিচ্ছে ইসলাম। দুর্ঘটনা বা দুর্যোগে অনেক মানুষ তাদের সর্বস্ব হারিয়ে ফেলে তাদেরকেও জাকাত দেয়া বৈধ। রাজনৈতিক সংকটের কারণে যারা গৃহহীন হয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের জাকাত দেয়া বৈধ।পবিত্র কুরআনে জাকাতের এই আটটি খাতের বাইরে জাকাত পাবার অধিকার দেয়া হয়নি কাউকে। বিশেষ করে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক, অমুসলিম, আত্মীয়-স্বজন, শিশু, সেবার প্রতিদানে, কর্মচারীকে, মসজিদে, মৃত ব্যক্তির দাফনের কাজে, ঋণ হিসেবে, উপহার হিসেবে এবং পাপী ব্যক্তিকে জাকাত দেবার বিষয়ে শরিয়তে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই শরিয়তের বিধান অনুযায়ী বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন জাকাতের অর্থ সম্পদ পাওয়ার যোগ্যাতা বা অধিকার রাখে কি না সেটা ই একটা প্রশ্ন?

বিদ্যানন্দের মুল উদ্দেশ্য ই ছিল শিক্ষা তারা সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের লেখাপড়া শিখিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করবে এটা ই ছিল অনেকের ধারনা। কিন্তু বিদ্যানন্দ তাদের সেই লক্ষ্য থেকে অনেকটাই দুরে সরে এসেছে। বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ও আমেরিকা প্রবাসী রাজকুমার ধর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ ইমতিয়াজ তারা দুই জন ই বিদ্যানন্দ নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন। রাজকুমার ধর তার ফেইসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন বিদ্যানন্দের, ২০২১ সালে বিদ্যানন্দে বাৎসরিক একটা এমাউন্ট ডোনেট করে ওদের অনাথালয়ের একজন বাচ্চার দায়িত্ব নেওয়ার পোস্ট দেখি। যোগাযোগ করি, কথা হয় ৪ কিস্তিতে ৩ মাস পরপর টাকা দিতে হবে। প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার পর বাচ্চার ডিটেইলস জানিয়ে দিবে। আমি প্রথম কিস্তির টাকা দেই, ওরাও ছবি, ভিডিওসহ বাচ্চার সবকিছু পাঠায়। ওদের পক্ষ থেকেই আরো বলা হয় যে প্রতিমাসে একবার বাচ্চার সাথে কথা বলানো হবে, আর বাচ্চার পড়ালেখার আপডেট দেওয়া হবে। সবকিছুতে স্বচ্ছতা দেখে আমি বেশ খুশি হই। এট পর থেকে নাকি বাধে বিপত্তি। এর পর বিদ্যানন্দ থেকে তার সাথে ঐ সম্পর্কে কোন তথ্য বা ঐ বাচ্চার আপডেট জানননো হয় নাই। বিদ্যানন্দের এমন কাজ মোটও গ্রহনযোগ্য বলে কেউই মনে করেন না। পাহার জমি নিয়ে বিদ্যানন্দ যে অনাথালয় অর্থাৎ এতিম খানা নির্মানের যে পরিকল্পনা হাতে নিয়ে ছিল তা নিয়ে ও বিতর্কের কমতি নাই। যদিও বিদ্যানন্দের প্রতিষ্ঠা কিশোর কুমার দাস নাকি দক্ষিণ আমেরিকার পেরুতে বসেই এর কার্যক্রম পরিচলনা করেন। জানিনা সুদুর পেরুতে বসে কিশোর কুমার দাসের পক্ষে বিদ্যানন্দের মত এত বড় একটি প্রতিষ্ঠান সঠিক ভাবে চাালানো আদৌ সম্ভব কি না? যেহেতু বিদ্যানন্দ সাধারণ মানুষের টাকা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। কিশোর কুমার দাসের সম্প্রতি একটি মন্তব্য আমাকে খুবই পিড়া দিয়েছে তা হলো তিনি এবং তার স্ত্রী নাকি বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সঠিক ভাবে চালানোর জন্য ই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা কখনো সন্তান নিবেন না। কারন কেউ যাতে বলতে না পারে তারা তাদের বাচ্চার ভবিষ্যতের জন্য সম্পদ রেখে গেছেন। প্রতিটা মানুষ ই তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কিছু সঞ্চয় রেখে যেতে চান এবং চেস্টা ও করেন। তবে সেটা সৎ পথের হলে দোষের কোথায়? তবে কিশোর কুমার দাসের এমন মন্তব্য সত্যি পিড়া দায়ক সেই সাথে কিছুটা অস্বস্তির ও বটে। বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিরুদ্ধে আমাদের বিশেষ বুদ্ধিজীবি শ্রেণী মুসলমান সম্প্রদায়ের অনেক আলেম সহ অনেক মুসলমানদের দোষারোপ করলে ও বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক কিন্তু বিদ্যানন্দকে ঠিক ই কয়েক হাত দিয়েছেন। তার বক্তব্য বিদ্যানন্দ ও নাকি হিন্দুদের সাথে এক প্রকার প্রতারণা করেছে। তার মতে হিন্দু ধর্মের সাধু সন্ন্যাসীদের নামের পরে আনন্দ যুক্ত থাকে তাই তারা নামের শেষে আনন্দ যুক্ত করে সকলের কাছে নাকি প্রমান করতে চায় এটা একটি হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন। তার অভিযোগ তারা ইফতার বিতরন করছে গরু জবেহ করছে কোরবানি দিচ্ছে ইত্যাদি। এমনকি গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বিদ্যানন্দের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার দাসের দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে আয়েসি জীবন যাপন নিয়ে ও প্রশ্ন তুলেন।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য যাই হউক তবে আজ পর্যন্ত তাদের প্রায় কর্মকান্ড ই মানব কল্যানের সাথে ই সম্পৃক্ত। তবে আমাদের দেশে এই মুহুর্তে কিছু কিছু বিতর্কিত ব্যক্তি আছে যাদের আমাদের সাধারন মানুষ কোন ভাবে ই সমর্থন করেন না বা তাদের কথার কোন গ্রহনযোগ্যতা আছে বলে ও মনে করেন না। বরং তারা যখন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে কথা বলে বা তাদের সমর্থন করে তখন সাধারন আমাদের সাধারণ মানুষের ধারনা জন্ম হয় যে ঐ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে কেন ঘাবলা আছে। আর সেই ঘাবলাকে জনসম্মুখ থেকে আরাল করতে ই ঐ সকল বির্তকিত ব্যক্তিদের সোচ্চার হওয়া। ঠিক বিদ্যানন্দের বেলায় ও তেমনটি ঘটছে। বিদ্যানন্দ প্রথমে তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রতিটি মানুষের সমর্থন থাকলে ও যখনই ঐ সকল বির্তক মানুষ গুলি বিদ্যানন্দের পক্ষ নিজেদের অবস্থা দৃঢ় করার প্রমান করতে নেমেছে তখন ই সাধারন মানুষ বিদ্যানন্দের কর্মকাণ্ডে সন্দেহ পোষন করতে শুরু করেন। সেই সাথে বিদ্যানন্দের বেশ কিছু কর্মকাণ্ড ও ছিল বির্তকিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন যেহেতু মানুষের কল্যানের জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠন তাই সব সময় বিদ্যানন্দ মানব কল্যানের জন্য ই তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে এমনটি সকলের চাওয়া । তাদের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ গুলি বিদ্যানন্দ সুষ্ঠু ও যুক্তি সঙ্গত ভাবে খন্ডন করে ভবিষ্যতে স্বচ্ছতা সাথে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে এমনটাই তাদের কাছে কামনা করছি। বিদ্যানন্দ আবার তার পুরনো ঐতিহ্যে ফিরে আসবে একটা প্রত্যাশা।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৫২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: খ্যাতিমান কোন প্রতিষ্ঠান এর খ্যাতি আসলে সহজে নষ্ট হয়না।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: যদিও তথ্যপূর্ণ লেখা তবুও নতুন করে তেমন কিছু জানতে পারলাম না।
আপনার বিদ্যানন্দের প্রতি বেশ সহানুভূতি আছে বোঝা যায়। যতদিন পর্যন্ত মুল সত্যটা বের হয়ে না আসবে ততদিন পর্যন্ত মানবিক মুল্যবোধ সম্পন্ন মানুষদের তাদের প্রতি সহানুভূতি থাকাটাই স্বভাবিক।
গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক 'আনন্দ' নিয়ে যে কথাগুলো বলেছেন সেটা ফালতু ফ্যাসাদ করার জন্য বলেছেন।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিশোর কুমার দাস একই সাথে হিন্দু কট্টরপন্থী এবং মুসলমান কট্টরপন্থীদের রোষানলে পড়েছে। একটা হিন্দু কট্টরপন্থী ইউটিউব চ্যানেলে তাকে উপহাস করা হচ্ছে। কারণ সে গরুর মাংস খাওয়াচ্ছে। তাদের কথা হোল হিন্দু ধর্ম বিরোধী কাজ করছো এবং মুসলমানদের জন্য কাজ করছো, এখন ঠ্যালা সামলাও। আর মুসলমান উগ্রবাদীরা এই প্রতিষ্ঠানকেই হিন্দু প্রতিষ্ঠান বানিয়ে দিয়েছে। তাদের মতে এরা জাকাতে হস্তক্ষেপ করেছে। আরও অনেক দুর্নীতি নাকি করেছে। ইসকনের এবং র য়ের এজেন্ট এরা।

এই দেশে কোন ভালো উদ্যোগ বেশী দিন বাঁচতে পারে না। বিদ্যানন্দ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:২৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


পাবে। অবশ্যই ফিরে পাবে।

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৬:৪০

কামাল১৮ বলেছেন: সাচুর পরে আর কিছু বলার নাই।

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮

বিটপি বলেছেন: বিদ্যানন্দকে ভালো প্রতিষ্ঠান বলতাম, যদিঃ
- তারা কেবল খেলবো, পড়ব, শিখবো - এই নিয়ে থাকত, এর সাথে 'খাবো' যুক্ত না করত।
- তাদের আয়ের উৎস স্বচ্ছ্ব হত।
- দানের টাকায় এত এত জমি না কিনত।
- কাল্পনিক চরিত্র দিয়ে গল্প না সাজাত।
- তাদের পোস্ট ডিলিট না করে উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিত।

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:০২

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: মানুষ সন্দেহ করবে, এ কারণে প্রতিষ্ঠানের জন্য সন্তান না নেয়ার সিদ্ধান্ত এবং তা ফলাও করে প্রচার, এসবে আচরণে সন্দেহ করা যুক্তিযুক্ত।

৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯

শাওন আহমাদ বলেছেন: তারা বেশকিছু উল্টাপাল্টা কাজ করেছে যেগুলোর প্রমাণও আছে ঢের। আরও ভালোভাবে খুঁতিয়ে দেখলে হয়তো আরও অনেক কিছুই সামনে আসবে। এতিম বাচ্চাদের দায়িত্ব নিয়ে অনেকেই প্রবলেম ফেইস করেছেন, বিদ্যানন্দ টাকা নিয়েছে ঠিকই কিন্তু দাতাদের সাথে বাচ্চাদের দেখা বা ফোন কলে কথাও বলায়নি। তারা এটা সেটা বলে দাতাদের হয়রানি করিয়েছে।

এটাও ভীষণ বিরিক্তিকর ও সেই সাথে হাস্যকর ছিলো যে তারা বাচ্চা নিবেন না আর তার জন্য যে কারণ দেখিয়েছেন তাতে অনেক মানুষই তার উপর মহা বিরক্ত! আসছে মহামানব একজন।দুইদিন পর জানা যাবে তারা বাচ্চা জন্মদানে অক্ষম অন্যথায় লুকিয়ে বাচ্চা নিয়ে মানুষ করছে। ক্যান রে ভাই তুই বাচ্চা ক্যান নিবিনা? তোর টাকায় তোর বাচ্চা মানুষ হবে, তোর সৎ পথের সম্পদ তোর বাচ্চা্রা ভোগ করবে।রিডিকিউলাস!

৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: বিদ্যানন্দ এগিয়ে যাক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.