![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ৭ জুন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে মহাসচিবের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে শামীম হায়দার পাটোয়ারিকে মহাসচিব পদে নিয়োগ দিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। সেই সাথে আরো যেই ঘটনা ঘটেছে তা হলো দলের জ্যেষ্ঠ তিন নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে দলীয় সব পদ-পদবী থেকে ও অব্যাহতি দিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। জাতীয় পার্টি কাকে কোন পদে বসলো বা কাকে সরালো তা নিয়ে দেশের মানুষের ভিতর তেমন কোন উৎসাহের জন্ম কখনোই হয় নাই আর এখন তো প্রশ্ন ই আসে না । আর জাতীয় পার্টি আদৌ কোন জনমানুষের রাজনৈতিক দল কি না তা নিয়ে ও যথেষ্ট প্রশ্ন থেকে যায়। বাংলাদের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি ভুমিকা সব সময় ই প্রশ্নবিদ্ধ। এই দলটি গুটিকয়েক ব্যক্তির স্বার্থ ছাড়া দেশ ও জাতির স্বার্থে কোন ভুমিকাই রাখে নাই।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একটি রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন।এর পর তিনি নিজেকে ‘চিফ মার্শাল ল’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর’ ঘোষণা করেন এবং দেশে সামরিক শাসন জারি করেন।আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে তিনি "নির্বাচন ও গণতন্ত্র" ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেন।
এরই অংশ হিসেবে ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতীয় পার্টি গঠনের কয়েক মাস পর ১৯৮৬ সালের ৭ মে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করেন তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেন মুহম্মদ এরশাদ। এই নির্বাচন শুধু একটি বির্তকিত নির্বাচনই না এটা ছিল একটি সমালোচিত মিরজাফর মার্কা নির্বাচন। কারন ১৯৮৬ সালের ১৯ মার্চ চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানের এক বিশাল জনসভায় তৎকালীন আওয়ামীলীগের প্রধান শেখ হাসিনা এরশাদের নির্বাচন বর্জনের পক্ষে বক্ত দিয়ে বলে ছিলেন যারা ই এরশাদের এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তারা " জাতীয় বেইমান মিরজাফর "। ঠিক তার দুই দিন পরেই অর্থাৎ ২২ মার্চ ১৯৮৬ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আওয়ামীলীগ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এর পর থেকেই দেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনা জাতীয় বেঈমানী আর তার দল আওয়ামীলীগ মিরজাফরের দল হিসেবে দেশের মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করে। কথিত আছে ১৯৮৬ সালের ২০ মার্চ রাতে শেখ হাসিনা তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাথে লং ড্রাইভে বের হয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময় নাকি ঐ নির্বাচনে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এরশাদকে।
১৯৮১ সালের ৩০ মে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যার পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত আছে বলে অনেক রাজনৈতিক ও কুটনৈতিক মহলই মনে করেন। তার জন্য ভারত শেখ হাসিনা ও তৎকালীন কিছু উচ্ছৃঙ্খল সেনাবাহিনীর সদস্যকে ব্যবহার করেছেন। এবং ঐ সময় সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মজিবর রহমান হত্যার সময় শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন। এর পর ১৯৭৫ সালের ২৪ শে অগাস্ট ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আশ্রয়ে থেকে ভরতীয় গোয়েন্দা সংস্থা " র " এর তত্বাবধানে দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর ভারতে অবস্হান করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহযোগিতায় বাংলাদেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার ঠিক ১৩ দিনের মাথায় অর্থাৎ ৩০ মে জীবন দিতে হয় রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। সব কিছু মিলে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যার পেছনে যে ভারতরের হাত আছে বলে যেই সকল রাজনৈতিক ও কুটনৈতিক মহল ধারণা করেন এই ধানা মোটেও অবহেলা করার নয়।
ভারতের ষড়যন্ত্রের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খুন হওয়ার পর ভারত বাংলাদের তাদের অধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে হঠাতে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে। বাংলাদেশ নতুন করে পতিত হয় এক স্বৈরশাসকের কবলে। পরবর্তীতে ভারতীয় চর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করতেই ভারতের পরামর্শে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামীলীগ ১৯৮৬ সালের ৭ মে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও তার রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টিকে বৈধতা দেয়। এর ই ফলশ্রুতিতে জাতি আরো সারে চার বছর স্বৈরশাসক এরশাদের কব্জায় বন্দি হয়।
১৯৯০ ছাত্র- জনতার গনঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক এরশাদের পতন হলেও এর পরবর্তীতে বাংলাদেশে সুষ্ঠু গনতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব না হলে ও গনতন্ত্রের পথে হাটছিল বাংলাদেশে। যা আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের মোটেও সহ্য করতে পারে নাই । ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ভারতের ইন্ধনে তৎকালীন বিরোধী জোট আওয়ামিলীগ ও তার দোসররা লগি-বৈঠা নিয়ে তন্ডব চালিয়ে দেশে এক ভয়াবহ অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। শেখ হাসিনার হুকুমে ঢাকার রাজপথে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ মানুষকে। দেশে চলতে থাকে এক নৈরাজ্যকর পরস্হিতি। এর ই ধারাবাহিকতায় ভারতের মদদে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশ চলে যায় আরো এক অন্ধকারের পথে। তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদে তত্বাবধানে গঠিত হয় নামকাওয়াস্তে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর এই সরকারের অধীনেই ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনের ফলেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে বাংলাদেশকে পুরোপুরি গ্রাস করে নেয় ভারত । বাংলাদেশের মানুষ পনের বছরের জন্য সম্পুর্ন ভাবে হারায় তাদের বাকস্বাধীনতা, মানবাধিকার সহ সকল গনতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার। শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট ও ভয়ংকর স্বৈরশাসকে পরিনত করার পিছনে দেশের ভিতরে সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে কাজ করেছে জাতীয় পার্টি।
২০১১ সালের ৩০ জুন তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্হা বাতিল ও দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবস্হা করে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্হা ও গনতন্ত্রকে সম্পুর্ন রূপে ধ্বংস করে দেয়। এরই ফলশ্রুতিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে দেশের প্রায় অধিকাংশ রাজনৈতিক বর্জনের ঘোষণা দিয়ে রাজপথে আন্দোলনে নামলে ঠিক তখনি ভারত বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে বিশেষ তৎপরতা শুরু করে। ভারতের তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার এবং বিশেষ করে তখনকার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেনন সরাসরি বা পরোক্ষভাবে শেখ হাসিনার সরকারকে সমর্থন দেয়। ভারত তখন নানা ভাবে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে যোগাযোগ করে বিএনপি ও তাদের জোটকে নির্বাচনে আনতে চেস্টা চলিয়ে গেলেও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন মনোভাবের কারনে ভারতের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হলেও ভারত জাতীয় বেঈমান খ্যাত জাতীয় পার্টিকে কব্জায় নিয়ে আসে খুবই সামান্য চেস্টায়। ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফরকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে বৈঠকে সুজাতা সিংয়ের ধমকেই এরশাদ কাবু হয়ে সিএম এইচ চিকিৎসার জন্য চলে যায়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ঐ তথাকথিত নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নিয়ে বিরোধী জোটের বর্জনের সুযোগে আওয়ামী লীগকে একচেটিয়া জয়ের পথ করে দেয়। এবং বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে এক কলংকময় ইতিহাসের জন্ম দেয়। আর সেই নির্বাচন "আংশিক বৈধতা" পায় বিশ্বের অনেক দেশে বিশেষ করে ভারতে। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনার একনায়কতান্ত্রিক ধারার শাসন দীর্ঘমেয়াদে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। শেখ হাসিনা পরিনত হয় এক ভয়ংকর ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসকে। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদেম জাতীয় পার্টির ভূমিকা ছিল অত্যন্ত বিতর্কিত ও নিন্দমীয় । একদিকে তারা ছিল বিরোধী দলে অন্যদিকে সরকারে যোগ দিয়ে মন্ত্রিত্বও নেয়। যা বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতিতে একটি নিকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে আছে। এর ফলে সংসদ একটি প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়ে বাংলাদেশে হয়ে পরে এক অকার্যকর রাষ্ট্রে দেশে গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, দুর্নীতি সহ সকল অপকর্মের আখড়ায় পরিনত হয় বাংলাদেশ। তার পর ও জাতীয় পার্টির নেতাদের ভিতর থেকে নিলজ্জ ক্ষমতার লোভের ঘাটতি হয় নাই বরং আরো বেড়ে যায়। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামীলীগের মহাজোটের অংশীদার হয়ে রাতের ভোটে ২৬ টি আসন দেওয়া হয়েছিল। যদিও ঐ বির্তকিত রাতের ভোটে বিএনপি তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে কয়েক জন খুচরা রাজনীতিবিদের প্ররোচনায় জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র ৭ টি আসন পায় যার মধ্যে বিএনপির ভাগ্যে জোটে মাত্র ৫ টি আসন। আর সেই সুবাদে জাতীয় পার্টি আবারো সংসদের নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে বিরোধী দলের স্হান দখল করে। যাকে সবই গৃহপালিত বিরোধী দল হিসেবে আখ্যায়িত করলেও রাজনৈতিক পতিতা দল জাতীয় পার্টির নেতারা মোটেও লজ্জা বা বিব্রত বোধ করে নাই। ২০২৪ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি নিলজ্জ ভুমিকা থেকে বের হতে পারে নাই। একেক সময় একেক কথা শোনা গেছে তাদের মুখে।
২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে৷ অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২০ থেকে ২৩ আগস্ট ভারত সফর করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এই সফর নিয়ে সে সময় ব্যাপক আলোচনা হয়। সফর শেষে দেশে ফিরে তিনি সংবাদিকদের মুখোমুখি হলে সাংবাদিকরা জিএম কাদেরর কাছে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে আলোচনায় কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জবাবে জিএম কাদের বলেছিলেন, " ভারতে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে তার খোলামেলা আলোচনা হয়েছে, তবে কার কার সঙ্গে এবং কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা তিনি বিস্তারিত বলতে পারবেন না। তিনি বলেন, ভারত সরকার যদি কিছু প্রকাশ করতে চায়, তবে তা তাদের বিষয়, তাদের অনুমতি ছাড়া তিনি কিছু বলতে পারবেন না। " জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের উপরোক্ত বক্তব্যই প্রমান করে শুধু মাত্র ক্ষমতার হালুয়া রুটির ভাগ পেতে জাতীয় পার্টির নেতারা দেশ ও জাতির স্বার্থ কিভাবেই না ভারতের কাছে বিলীন করে দিয়ে ছিলেন।
২০২৪ সালের জুলাই - আগষ্টে ছাত্র - জনতার গনঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামীলীগ। দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় শেখ হাসিনা সহ অনেক আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী। পৃথিবীর ইতিহাসে ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের এমন পতন হয়েছে যেখানে রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী থেকে মসজিদের ইমাম পর্যন্ত পালিয়েছে। তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো গত পনের বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী হয়ে হাসিনাকে ভয়ংকর ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসকে পরিনত করতে যেই জাতীয় পার্টি ও এর নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে স্বৈরশাসক হাসিনার ক্ষমতার বৃহৎ অংশীদার হয়েও বহাল তবিয়তে বাংলাদেশের মাটিতে বড় বড় কথা বলে যাচ্ছে যা সত্যি দেশের জনগনকে ভাবিয়ে তুলছি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের জনগনের ভোটাধিকার ও গনতন্ত্র হরন, মানবাধিকার লংঘন, দুর্নীতি লুটপাট গন হত্যা সহ নানান অপকর্মের দায়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সাময়িক সময়ের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে এমন কি আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। তবে আওয়ামিলীগের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও দোসর হয়ে জাতীয় পার্টি কিভাবে বাংলাদেশে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে এবং গত পনের বছর খুনি হাসিনার থেকে বিশেষ সুবিধা পাওয়া জাতীয় পার্টির নেতা আদৌ কিভাবে মুক্ত বাতাসে ঘুরছে সেটাই প্রশ্ন। গত ৭ জুলাই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের দলের মহাসচিব পরিবর্তন করে দল থেকে কয়েকজন নেতাকে বাদ দিয়ে জাতীয় পার্টিকে পূতপবিত্র করার চেস্টা করছে বলে মনে হলেও রাজনৈতিক সচেতন মহলের ধারনা মহাসচিবের পদ পরিবর্তন করে জাতীয় পার্টি পূতপবিত্র হচ্ছে না বরং খুনি হাসিনার দোসর ও নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের অপচেষ্টায় লিপ্ত। তাই বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা প্রতিষ্ঠা করতে হলে সেই সাথে চব্বিশের বর্ষা বিপ্লবের ফসল ঘরে তুলতে হলে খুনি হাসিনার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাতীয় পার্টি ও এর সুবিধা ভোগী সকল নেতাদের আইনের আওতায় এনলেই প্রকৃত স্বাধীন গনতান্ত্রিক বাংলাদেশে গঠন করা সম্ভব
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১:২০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জাপার কানেকশান আছে গোপন জায়গায় ।