নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অযথা এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে জগাখিচুড়ি পাকিয়ে ফেলায় আমি সিদ্বহস্ত। ব্যাপারটা লেখার ক্ষেত্রে যতটুকু সত্য রান্নার ক্ষেত্রেও তাই।

জোলারোভিচপইজোলারোভিচ

অদ্ভুত দুনিয়ার অদ্ভুত মানুষ! কি বিভৎস আবার কি সুন্দর! আমি তিন নম্বর টাইপের লোক যার কাজ তামাশা দেখতে থাকা মানুষগুলোকে দেখা, বাকি দু টাইপ তো তামাশা করা আর তামাশা দেখায় ব্যস্ত।

জোলারোভিচপইজোলারোভিচ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই রাস্তার গল্প

০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২৪

যেকনো রাস্তার কিছু বৈশিষ্ট থাকে। এই রাস্তাটার বৈশিষ্ট হল এটা ব্যস্ত শহরের সাধারণ এক রাস্তা যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫০০ মিটার, রাস্তার দুপাশ জুড়ে আছে বিভিন্ন ব্র্যন্ডের শোরুম, শপিং মল, ফার্ট ফুড জয়েন্ট, এলোপাথাড়ি চায়ের টঙ দোকান, ময়লা ফেলার জায়গা আর পুরো ১৫০০ মিটারে মাত্র তিনটে গাছ। তবে সাধারণ এই রাস্তার একটা অসাধারণ বিশেষত্ব আছে। অন্যসব রাস্তা রাত দশটার পর থেকে ফাকা হতে থাকে। রাতের আঁধার সেখানে এতটাই জাকিয়ে বসে যে নিয়ন আলোতেও রাস্তাগুলোকে অন্ধকার দেখায়। কিন্তু এখানে কয়েকটা রোডসাইড ল্যাম্পগুলো কখনো জ্বলে না। তাই সন্ধ্যার পর রাস্তার আলোর চাহিদাটুকু মেটায় দোকানের জানালার কাচ ভেদ করে আসা আলো আর দোকানের সামনে সাইনবোর্ডের আলো। কিন্তু আটটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে দোকান গুলো বন্ধ হতে শুরু করে, লোকে লোকারণ্য রাস্তাটা ফাকা হয়ে যায় আধ ঘণ্টার মধ্যে। ঘড়িতে যখন নয়টা তখন এই রাস্তায় কুকুর বিড়াল ছাড়া কদাচিৎ কোনো গাড়ি দেখা যায়। তবে মনে করবেন না এটাই এই রাস্তার সেই অসধারণ বৈশিষ্ট।

রাত যখন এগারটা রাস্তাটা হঠাৎ আলোকিত হয়ে উঠে। এই আলো সাধারণের চোখে নিষিদ্ধ। এই আলো আসে তাদের শরীর থেকে। এই আলো সাধারণ চোখে ধরা পড়ে না। এই আলো দেখে জৈবিক তাড়নায় ক্ষুধার্ত মানুষরূপী উইপোকাগুলো। তারা আলো জলার সাথে সাথে পাখা মেলে ঝাপিয়ে পড়ে। আর আলোগুলো ক্ষুধা মেটায়, তিলে তিলে। এই আলোগুলো এক একটা নিশ্চুপ প্রাণ। এরা হেলেন অব ট্রয় কিংবা ক্লিওপেট্রা অথবা মমতাজের বংশধর। এত মোহিত এরা করতে পারবে আপনাকে যে আপনার তাই মনে হবে। ভুল, এটা আপনার ভুল। আপনি যদি একবার এমনটা ভেবে বসেন নির্ঘাত ফেসে জাবেন। জানেনতো হেলেন অব ট্রয় কিংবা ক্লিওপেট্রা অথবা মমতাজের গল্পে কি হয়ে ছিল। না জেনে থাকলে আজ আমি সে গল্প আপনাকে জানাব না, হয়ত অন্য কোনো দিন।

এদের সব কিছুতে একটা লুকায়িত অর্থ আছে যে অর্থ আপনার অবচেতন বুঝবে কিন্তু আপনি বুঝবেন না। আপনি কি মনে করেছেন ওই লিপস্টিক খুব বীভৎস লাগছে, হাহ আপনি এখনো সাধারণ চোখে দেখছেন। একটু ক্ষুধাটা বাড়ান জৈবিক তাড়ানায় ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েন। কি মনে হচ্ছে? হ্যা ওই লিপস্টিকটা শোভা বর্ধনের জন্য নয় ওটা ডাকার জন্য। এই লিপস্টিকটাই তার মুফত প্রচারণা। আলো শুধু আলো নয় সে আলোর রঙ আছে। সেই রঙ হল তার আকর্ষনীয় শরীর। সুউচ্চ স্তন, সরু কোমর আর সুন্দর নিতম্ব তৃপ্তি মিটিয়ে ক্ষুধা নিবারণে আর কি চাই আপনার? এদের সব কিছুতে আপনি আনন্দ পাবেন তবে ভুলেও চোখের দিকে তাকাবেন না। ওই চোখজোড়া ঢাকার জন্য কি সে ব্যবহার করে নি, কিন্তু তারপরও সে ব্যর্থ, দুনিয়ার তাবৎ প্রসাধন সামগ্রী ব্যর্থ। সেখানে কি আছে আমি বলে দিচ্ছি। সেখানে আছে আপনার প্রতি ঘৃণা, আমার প্রতি ঘৃণা, দুনিয়ার সবার প্রতি তার লুকানো ঘৃণা। মনে আছে খানিক আগে বলেছিলাম এদের সব কিছুতে একটা লুকায়িত অর্থ আছে। যদি একবার তাকান আর কখনো আপনি পারবেন না। মনে রাখবেন এরা সবার, অতএব ঐ চোখের দিকে তাকিয়ে নিজেকে কষ্ট দিবেন না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:২১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: শুরুটা দারুণ! ব্লগে পদচারণা শুভ হোক আপনার!!

এই শ্রেণির মানুষদের জন্য কিছু করতে হবে। সরকারের ওপর আশা করাও একটা দূরহ ব্যাপার আজকাল। :|

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

জোলারোভিচপইজোলারোভিচ বলেছেন: ধন্যবাদ। আমিও আপনার সাথে একমত পোষণ করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.