![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক দিন ধরে অনেক খোজা খুজির পর পিরের থিছিসটা শেষ করলাম । আশা করি বুঝতে পারবেন ।
“হাক্কানী পীর” বনাম “ভন্ড পীর”
দেওয়ানবাগী, চরমোনাই এবং মাইজভান্ডারী পীরের পোষ্টমর্টেমঃ
আমাদের এই উপমহাদেশে বহুকাল ধরে ইসলামের লেবাস ধরে পীর-মুরিদীর ব্যাবসা চলে আসছে। কেউবা নিজেকে দাবি করছে হক্কানী পীর আবার কেউবা নিজেকে মুক্তির কান্ডারী হিসেবেও জাহির করছে! মূলত এরা সবাই ধর্মের লেবাস ধরে শতাব্দীর পর শতাব্দী নিজেদের বিনা পূঁজির ব্যাবসা টিকিয়ে রাখছে যেখানে এদের অনেকেই মোশরেক, আবার একমাত্র হক্কানী তেলের ডিলারধারী হয়েও চরম ফাসেক। আসুন দেখে নেই এই ধর্ম ব্যাবসায়ী পীরদের আকীদা কি?
দেওয়ানবাগী মোশরেকের আকিদাঃ-
১. “দেওয়ানবাগী স্বপ্নে দেখেন ঢাকা এবং ফরিদপুরের মধ্যবর্তী স্থানে এক বিশাল বাগানে ময়লার স্তূপের উপর বিবস্ত্র অবস্থায় নবীজীর প্রাণহীন দেহ পড়ে আছে। মাথা দক্ষিন দিকে, পা উত্তর দিকে প্রসারিত। বাম পা হাঁটুতে ভাঁজ হয়ে খাড়া আছে। আমি উদ্ধারের জন্য পেরেশান হয়ে গেলাম। তাঁর বাম পায়ের হাঁটুতে আমার ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করার সাথে সাথে দেহে প্রাণ ফিরে এল। এবং তিনি আমাকে বললেন, “হে ধর্মের পুনর্জীবনদানকারী, ইতিপূর্বে আমার ধর্ম পাঁচবার পুনর্জীবন লাভ করেছে।”
[সূত্রঃ রাসূল কি সত্যিই গরিব ছিলেনঃ দেওয়ানবাগ থেকে প্রকাশিত]
২. “একদিন ফজরের পর মোরাকাবারত অবস্থায় আমার
তন্দ্রা এসে যায়। আমি তখন নিজেকে লুঙ্গি-গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় রওজা শরীফের নিকট দেখতে পাই। দেখি রওজা শরীফের উপর শুকনা পাতা এবং আগাছা জমে প্রায় এক ফুট পুরু হয়ে আছে। আমি আরো লক্ষ্য করলাম, রওজা শরীফে শায়িত মহামানবের মাথা মোবারক পূর্ব দিকে এবং মুখমণ্ডল দণি দিকে ফিরানো। এ অবস্থা দেখে আমি আফসোস করতে লাগলাম। এমন সময় পাতার নীচ থেকে উঠে এসে এ মহামানব বসলেন। তার বুক পর্যন্ত পাতার উপর বের হয়ে পড়ে। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনি দয়া করে আমার রওজা পরিষ্কার করে দেবেন
না? আমি বললাম, জী, দেব। তিনি বললেন, তাহলে দিন
না। এভাবে বারবার তিনবার বলায় আমি এক একটা করে পাতা পরিষ্কার করে দেই। এরপর আমার তন্দ্রা ভেঙে যায়।”
[সূত্রঃ রাসূল কি সত্যিই গরিব ছিলেন- দেওয়ানবাগ থেকে প্রকাশিত]
৩. “দেওয়ানবাগী এবং তার মুরীদদের মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ্, সমস্ত নবী, রাসূল (সা), ফেরেস্তা, দেওয়ানবাগী ও তার মুর্শিদ চন্দ্রপাড়ার মৃত আবুল ফজলসহ সমস্ত ওলি আওলিয়া, এক বিশাল ময়দানে সমবেত হয়ে সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়ানবাগীকে মোহাম্মাদী ইসলামের প্রচারক নির্বাচিত করা হয়। অতঃপর আল্লাহ সবাইকে নিয়ে এক মিছিল বের করে।
মোহাম্মাদী ইসলামের চারটি পতাকা চারজনের, যথাক্রমে আল্লাহ, রাসূল (সা), দেওয়ানবাগী এবং তার পীরের হাতে ছিল। আল্লাহ, দেওয়ানবাগী ও তার পীর প্রথম সারিতে ছিলেন। বাকিরা সবাই পিছনের সারিতে। আল্লাহ নিজেই স্লোগান দিয়েছিলেনঃ “মোহাম্মাদী ইসলামের আলো, ঘরে ঘরে জ্বালো।”
[সূত্রঃ সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগী পত্রিকা- ১২/০৩/৯৯]
৪. “অন্তর্দৃষ্টি খোলা এক আশেক দেখতে ছিলেন এই অনুষ্ঠান রাহমাতুলি্লল আলামীন তাশরীফ নিয়েছেন। এবং রাব্বুল আলামীন দয়া করে তাশরীফ নিয়েছেন। রাব্বুল আলামীন এসে একটা নির্দেশ করেছেন যে, এ বিশ্ব আশেকে রাসূল সম্মেলনে যত আশেকে রাসূল অংশগ্রহণ করেছেন রাব্বুল আলামীন ফেরেস্তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন সমস্ত আশেকে রাসূলদের তালিকা তৈরী করতে। এই তালিকা অনুযায়ী তারা বেহেস্তে চলে যাবে। এটা কি আমাদের জন্য বুলন্দ নসীব নয় কি ? যারা গত বিশ্ব আশেকে রাসূল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের জন্য কি এটা চরম পাওয়া নয়?”
[সুত্র: মাসিক আত্মার বাণী, নভেম্বর : ১৯৯৯]
৫. দেওয়ানবাগীর একজন খাদেম (নাম
মাওলানা আহমাদুল্লাহ যুক্তিবাদী) এক আশেকে রাসুল
সম্মেলনে বলেন- "আমি স্বপ্নে দেখলাম হযরত ইব্রাহীম (আ) নির্মিত মক্কার কাবা ঘর এবং স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা) বাবে রহমতে হাজির হয়েছেন। আমাকে উদ্দেশ্য করে নবী করীম (সা) বলছেন ''তুমি যে ধারণা করছ যে, শাহ্ দেওয়ানবাগী হজ্জ করেননি আসলে এটা ভুল। আমি স্বয়ং আল্লাহর নবী মোহাম্মাদ (সাঃ) তার সাথে আছি এবং সর্বক্ষণ থাকি। আর কাবা ঘরও তার সামনে উপস্থিত আছে। আমার মোহাম্মাদী ইসলাম শাহ্ দেওয়ানবাগী প্রচার
করতেছেন।”
এখন আপনারাই বলেন, এই পেটমোটা দাজ্জাল মিথ্যুক লোকটা একটা মানুষ নাকি একটা শয়তান????????
চরমোনাই এর শিরকি কুফুরী আকীদাহ -
১. চরমোনাই পীর সাহেব লিখেছেনঃ “হযরত থানবী লিখিয়াছেন, জনৈক দরবেশসাহেবের মৃত্যুর পর এক কাফন চোর কবর খুড়িয়া (দরবেশের) কাফন খুলিতে লাগিল। দরবেশ সাহেব চোরের হাত ধরিয়া বসিলেন। তা দেখে চোর ভয়ের চোটে চিৎকার মারিয়া বেহুঁশ হইয়া মরিয়া গেল। দরবেশ স্বপ্নযোগে তার এক খলীফাকে আদেশ করিলেন
চোরকে তার পার্শ্বে দাফন করিতে। খলীফা এতে আপত্তি করিলে দরবেশ বলিলেনঃ কাফন চোরের হাত আমার হাতের
সঙ্গে লাগিয়াছে, এখন কেয়ামত দিবসে ওকে ছাড়িয়া আমি
কেমনে পুলছেরাত পার হইয়া যাইব?”
(ভেদে মারেফতঃ ২৭-২৮ পৃঃ)
নোট – ভুয়া কাহিনী বলে মানুষদেরকে মুরীদ হয়ে পীরের হাতে পায়ে পড়ার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। যে দরবেশের হাতে লাগলে দরবেশ যদি একজন চোরকে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারে, তাহলে পীরের হাতে ধরে মুরীদ হলে কত বড় উপকার পরকালে?
২. তিনি আরো লিখেছেনঃ
কেয়ামতের সেই মহাবিপদের সময় হক্কানী পীর সাহেবগণ আপন মুরীদগণকে হযরত নবী করীম (সঃ) এর কাছে পৌঁছাইয়া দিবেন। এবং হুজুরে আকরাম (সাঃ) তাহাদিগকে হাউজে কাউছারের পানি পান করাইবেন।” (আশেক মাশুক পৃঃ ৬৬)
নোট – কুরান ও সহীহ হাদীসের কোথাও নাই পীরেরা মুরীদগণকে হযরত নবী করীম (সঃ) এর কাছে পৌঁছাইয়া দিবে। মিথ্যা ধোকা দিয়ে মানুষদেরকে মুরিদ বানিয়ে হাদিয়া তোহফা খাওয়ার ফন্দি। ব্যবসা বাণিজ্য না করেই আজকে পীরের গোষ্ঠী কোটি কোটি টাকার মালিক।
৩. চরমোনাই পীর সাহেব আরো লিখেছেনঃ
“ এরূপভাবে পরকালেও তাঁহাদের (ওলীদের) ক্ষমতার সীমা থাকিবে না। হাশরের মাঠে একজন আওলিয়ায়ে কেরামের উছিলায় হুজুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া ছাল্লামের হাজার গুনাহগার উম্মতকে আল্লাহ্ পাক মাফ করিয়া দিবেন।”
(আশেক মাশুক পৃঃ ৮১)
নোট – নবী-রাসুলরাই ইয়া নফসী ইয়া নফসী করবে নিজেদের চিন্তায় – আর ভুয়া কথা বলে আওলিয়ার উসীলায় হাজার হাজার লোক মাফ করে দিবেন। মাফ করার মালিক আল্লাহ, এখানে বলছে নবী (সাঃ) – এই লোকটার মাথা ঠিক আছে কিনা সন্দেহ। একেতো জাল কথা বলে পীরপূজায় লাগাতে চায়, আর নবী মাফ করার মালিক এই শিরকি কথা বলে বেড়ায়?
৪. কথিত হাক্কানী পীর চরমোনাই সাহেব মুরীদ বাড়ানোর জন্যে বলেন, “বান্দা অসংখ্য গুণাহ করার ফলে আল্লাহ্ পাক তাহাকে কবুল করিতে চাননা। পীর সাহেব আল্লাহ্ পাকের দরবারে অুননয় বিনয় করিয়া ঐ বান্দার জন্য দুআ করিবেন, যাহাতে তিনি তাহাকে কবুল করিয়া নেন।” (ভেদে মারেফতঃ ৩৪ পৃঃ)
নোট – ডাইরেক্ট কুরান, হাদীস ও ইজমা বিরোধী কথা। কেউ ১০০টা খুন করেও যদি তোওবা করে তাকেও আল্লাহ তাআ’লা ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ সুরা যুমারে বলছেন, যারা অনেক বেশী যুলুম (পাপ) করে ফেলেছো তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হবেনা, এমনও বলেছেন – তোমরা আমাকে ডাকো আমি ডাকে সাড়া দেবো – আর এই পীর সাহেব নামের লোকটা বিনা দলীলে বলে – আল্লাহ নাকি তোওবা কবুল করতে চান না? তাদের মতো ধর্মব্যবসায়ীরা দুয়া করলে আল্লাহ নাকি তোওবা কবুল করবে। এর পরেও অন্ধ পীর ভক্তদের চোখের পর্দা সড়েনা?
৫. চরমোনাই পীরের লেখা ‘ভেদে মারেফত’ বইয়ের ১৫ পৃষ্ঠায় মৃতকে জীবিত করার যে গল্পটা আছে তা নিম্নরূপঃ শামসুদ্দীন তাব্রীজী নামের এক লোক ছিলেন। লোকেরা তাকে পীর সাহেব কেবলা বলত। একদা হযরত পীর সাহেব কিবলা রোম শহরের দিকে রওয়ানা হইলেন। পথিমধ্যে ঝুপড়ির ভেতর এক অন্ধ বৃদ্ধকে লাশ সামনে নিয়া কাদঁতে
দেখিলেন। হুজুর বৃদ্ধকে প্রশ্ন করিলে বৃদ্ধ উত্তর করিলেন, “হুজুর এই পৃথিবীতে আমার খোঁজ খবর করিবার আর কেউ নাই, একটি পুত্র ছিল সে আমার যথেষ্ট খেদমত করিত, তাহার ইন্তেকালের পর সে একটি নাতি রাখিয়া যায়। সেই ১২ বছরের নাতি একটা গাভী পালিয়া আমাকে দুগ্ধ খাওয়াইত এবং আমার খেদমত করিত, তার লাশ আমার সম্মুখে দেখিতেছেন। এখন উপায় না দেখিয়া কাঁদিতেছি”।. হুজুর বলিলেন এ ঘটনা কি সত্য? বৃদ্ধ উত্তর করিলেন এতে কোন সন্দেহ নেই। তখন হুজুর বলিলেন"হে ছেলে আমার হুকুমে দাঁড়াও"।
তো ছেলে উঠে দাঁড়াল এবং দাদুকে জড়াইয়া ধরিল, বৃদ্ধ তাকে জিজ্ঞেস করিল “তুমি কিরূপে জিন্দা হইলে”। ছেলে জবাব দিল, “আল্লাহর
অলি আমাকে জিন্দা করেছেন”।. (নাউজুবিল্ লাহ) তারপর ঐ অঞ্চলের বাদশাহ হুজুরের এই খবর পেয়ে উনাকে তলব করিলেন। উনাকে পরে জিজ্ঞেস করিলেন"আপনি কি বলিয়া ছেলেটিকে জিন্দা করিয়াছেন"। হুজুর বলিলেন আমি বলেছি “হে ছেলে আমার আদেশে জিন্দা হইয়া যাও”। অতঃপর বাদশাহ বলিলেন,
“যদি আপনি বলিতেন আল্লাহর আদেশে”।.
হুজুর বলিলেন “মাবুদ! মাবুদের কাছে আবার কি জিজ্ঞেস করিব। তাহার আন্দাজ নাই (নাউজুবিল্লাহ)।
এই বৃদ্ধের একটি মাত্র পুত্র ছিল তাহাও নিয়াছে, বাকী ছিল এই নাতিটি যে গাভী পালন করিয়া কোনরুপ জিন্দেগী গোজরান করিত, তাহাকেও নিয়া গেল। তাই আমি আল্লাহ পাকের দরবার থেকে জোরপূর্বক রুহ নিয়ে আসিয়াছি”। (নাউজুবিল্লাহ)।
এরপর বাদশাহ বলিলেন আপনি শরীয়াত মানেন কিনা? হুজুর বলিলেন “নিশ্চয়ই! শরীয়াত না মানিলে রাসূল (সাঃ) এর শাফায়াত পাইব না”।. বাদশাহ বলিলেন, “আপনি শির্ক করিয়াছেন, সেই অপরাধে আপনার শরীরের সমস্ত চামড়া তুলে নেয়া হবে”।. এই কথা শুনিয়া আল্লাহর কুতুব নিজের হাতের অঙ্গুলি দ্বারা নিজের পায়ের তলা থেকে আরম্ভ করে পুরো শরীরের চামড়া ছাড়িয়ে নিলেন, তা বাদশাহর কাছে ফেলিয়া জঙ্গলে চলিয়া গেলেন। পরদিন ভোরবেলা যখন সূর্য উঠিল তার চর্মহীন গায়ে তাপ লাগিল তাই তিনি সূর্যকে লক্ষ করিয়া বলিলেন “হে সূর্য, আমি শরীয়াত মানিয়াছি, আমাকে কষ্ট দিওনা”।. তখন ওই দেশের জন্য সূর্য অন্ধকার হইয়া গেল। দেশের মধ্যে শোরগোল পড়িয়া গেল। এই অবস্থা দেখিয়া বাদশাহ হুজুরকে খুঁজিতে লাগিলেন। জঙ্গলে গিয়া হুজুরের কাছে বলিলেনঃ শরীয়াত জারি করিতে গিয়া আমরা কি অন্যায় করিলাম, যাহার জন্য আমাদের উপর এমন মুসিবত আনিয়া দিলেন। তখন হুজুর সূর্য কে লক্ষ করিয়া বলিলেনঃ আমি তোমাকে বলিয়াছি আমাকে কষ্ট দিওনা, কিন্তু দেশবাসীকে কষ্ট দাও কেন? ইহা বলা মাত্র সূর্য্য আলোকিত হইয়া গেল। আল্লাহ্ পাক তাহার ওলীর শরীর ভাল করিয়া দিলেন।
মাইজভান্ডারী এর ভণ্ডামিঃ-
এই যে আহলে সুন্নাত বা সুন্নি নামে বর্তমানে বেশ ব্যপক প্রচারনা করছে- তারা মূলত মাইজ ভান্ডারী। এদের আকিদা গুলি নিচে দেওয়া হলঃ-
১. মাইজভান্ডার দরবার শরীফের দেয়ালে লিখা আছে ---
“আমি স্রষ্টার গুনে গুনাম্বিত, তাই প্রকৃতির মত নিরব
(গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারী)
নোট – নিজেকে আল্লাহর সাথে তুলনা করেছে এই শোয়তান, বড় শিরিক যার কারণে মানুষ কাফের মুর্তাদ হয়ে যায়।
২. যে কেহ আমার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করিবে আমি তাকে উন্মুক্ত সাহায্য দান করিব।
(আহমদুল্লাহ মাইজভান্ডারী)
৩. ১৯২৬ সালে গাউছুল আজম (!) হযরত আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ) মাইজ ভান্ডারীর প্রতিষ্ঠা করেছেন, যিনি এর নেতা- ১৯৯১ সনে ১১ এপ্রিল তার প্রকাশিত একটা বই আছে যার নাম ‘বাইয়াতে সামথিং’ সেখানে স্পষ্ট লিখেছেনঃ
“কেউ যদি জান্নাত পেতে চায় তাকে মুসলমান না হলেও চলবে, তাকে ভাল মানুষ হতে হবে”।
নোট – এই শয়তান বলছে – মুসলমান না হলেও চলবে, আর আল্লাহ বলেছেন, তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করোনা। কার কথা নেবেন, আল্লাহর নাকি এই শয়তান মাযার পূজারী ভন্ডের।
পীরদের দলীল একটাইঃ “যার পীর নাই তার পীর শয়তান।”
এই রকম আটরশি, ফরিদপুরের জাকের পার্টি, কুতুববাগি, হেন তেনরা এমন সব বক্তব্য এবং কথা বলেন এবং তাদের মুরিদদের মাঝে প্রচার করে তা তসলিমার প্রচারিত ও লিখিত মিথ্যা কথা হতে কম কি????
নোট ঃ পির তো সারাদিন মাজারেই বসে থাকে । যেখানে একজন দিনমুজুরের এক দিন কাজ না করলে তার খাবার জুটে না সেখানে পিরের সংসার চলে কিভাবে ? পির বা পিরের মুরিদের কি বউ বাচ্চা নেই ? নাকি তারা চিরো কুমার ? পির আর তার সাথিদের ইনকাম সোর্স্ টা কি তাহলে ?
চলতি সময়ে ধর্ম নিয়ে রমরমা ব্যাবসা চলছে । চলতেই থাকবে কারণ ধর্মের মুল ভিত্তি faith / bishwah . ব্যাবসার মুল ভিত্তি ও faith ।
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৪:৪১
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
হুম!!
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:০১
বিষণ্ন মন বলেছেন: ইসলামে কোন পীর-মুর্শিদ নাই। পীর-মুর্শিদ মানে পুরোটাই ভন্ডামী। অতএব ভন্ডদের ভীড়ে আসল-নকল পীর-মুর্শিদ চেনার দরকার নাই।
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৭
ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: অত্যান্ত চমৎকার একটি পোস্ট
পীর মাজার দরবার নিয়ে আমাদের দেশের সাধারণ ধর্মপরায়ন মানুষ গুলো চরম দন্ধে পরেছেন ,এই দেশে কাউকে দেখছিনা এমন সমস্যা থেকে মানুষ গুলোকে উদ্ধার করার, এখন হেফাজতে ইসলাম বেড়িয়েছে,তারা নাকি ইসলামকে হেফাজত করবেন বা করছেন, কিন্তু তারা এমন সব ভয়ংকর বিষয় গুলো না দেখে শুধু ব্লগার গুলোকেই দেখছেন ইসলামের শত্রু হিসেবে। অথচ তারা যেখানে আন্দোলন করেছিলো সেই জায়গার মধ্যেই দেওয়ানবাগী হাত পা খুলে বসে আছেন যা হেফাজতের কেউ দেখেনি।অথবা তাকে ইসলামের শত্রু মনে করছেনা,কেন করছেনা জানিনা।উপরের কথা গুলো যেই ব্যক্তিরা বলেছে এবং বলে যাচ্ছে তারা কিভাবে ইসলামের বন্ধু হলো হেফাজতের চোখে আমরা জানিনা।
চরমানাইয়ের মুরিদ আযহারুল ইসলাম সিদ্দিকি তিনিও পরে পীরের দায়িত্ব পান,তার একটা বইয়ে আমি পড়েছি যে - আল্লাহকে পাইতে হলে এসো পীরের পায়ের তলে,
দুর্ভাগ্য যে আমাদের দেশের সুশিক্ষিত মানুষরাও কিন্তু এই তথাকথিত পীর বা দেওয়ানবাগিদের খুব বিশ্বাস ভক্তি করেন, আমি আরামবাগের দেওয়ানবাগির খুব কাছা কাছি একটা জায়গায় ছিলাম এক সময় তখন দেখেছি ওখানে কাদের আনা গোনা এবং রীতিমত অবাক হয়েছি।
আপনার উপরের লেখা গুলো পড়ার পর আর কিছু বলার থাকেনা, কিন্তু কথা হলো এখানে এসব কয়জন দেখতে পায় বলুন?যারা এখানে আছে তাদের মধ্যে পীর বা মাজার দরবার বিশ্বাস করার মত এত নির্বোধ ব্লগার এখানে নেই বলেই আমি মনে হয়,
এমন সব বিষয় গুলো নিয়ে মাঠে স্বশরীরে কাজ করতে পারলে মানুষ উপকৃত হতো।সরকারি ভাবে এমন ভয়ংকর বিষয় গুলো পতিরোধ করা খুব জরুরী।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৪
মাতাল ভাবনা বলেছেন: আসলে কুস্নচকার সব শেষ করে ফেলসে । ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে ।
৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০১
চারশবিশ বলেছেন: খুব ভাল লাগল
ধর্মের মুল ভিত্তি faith / bishwah . ব্যাবসার মুল ভিত্তি ও faith ।
৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮
ইউরো-বাংলা বলেছেন: সংগ্রহে রাখলাম, কাজে লাগবে।
৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
সত্যের পথে আরিফ বলেছেন: তো আপনারা কোন পীরের মুরিদ জানতে পারি? হা বেশীর ভাগ পীর মুরিদি ব্যাবসা/ভন্ডামীতে ভরপুর। তবে চরমোনাই সম্পর্কে যা বললেন তা আমি যুক্তি প্রমান সহকারে ভুল প্রমান করতে পারবো ইনশাআল্লাহ! মতিউর রহমান মাদানী সাহেবের পর্যালচনার আলোকে "মুমিনের হাতিয়ার"নামক কিতাবে সুন্দর জবাব দেও্য়া হইছে। এছাড়া বর্তমান হকপন্থি ওলামায়ে কেরাম(মোউদুদি নাপাক/আসেকে জিলাপী গুলা ছাড়া) ইজমা জেনে নেও্য়ার বিনীত আহ্বান রইলো।
৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪০
নতুন বলেছেন: @ আরিফ ভাই.... >> আপনি কি ভাবে
চরমোনাই পীরের লেখা ‘ভেদে মারেফত’ বইয়ের ১৫ পৃষ্ঠায় মৃতকে জীবিত করার যে গল্পটা আছে তা নিম্নরূপঃ
এই গল্পটাকে যুক্তি সহকারী ভুল প্রমানের যুক্তি গুলি দেবেন কি??
পরদিন ভোরবেলা যখন সূর্য উঠিল তার চর্মহীন গায়ে তাপ লাগিল তাই তিনি সূর্যকে লক্ষ করিয়া বলিলেন “হে সূর্য, আমি শরীয়াত মানিয়াছি, আমাকে কষ্ট দিওনা”।. তখন ওই দেশের জন্য সূর্য অন্ধকার হইয়া গেল।
৯| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫
সাদামাটা একটি ছেলে বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সবাইকে সহজ সরল ও সঠিক পথ দেখিয়ে দিন--আমিন!
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:০১
বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: ভন্ডদের ভীড়ে আসল নকল পীর-মুর্শিদ চেনা আত্যন্ত কঠিন ব্যাপর হয়ে দাঁড়িয়েছে।