নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুন ব্লগার হিসাবে কিছু বলার নাই...

মিঃ এলিয়েন

আমি রিফাত সুমন আমি নতুন ব্লগার..তাই সাজিয়ে গুজিয়ে লিখতে পারি না. আমার ভাললাগে লিখতে মনের সব রঙ দিয়ে আমার সব লেখা.

মিঃ এলিয়েন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরছে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রজাতন্ত্রের উপজাতীয় কর্মচারীরা দেখার যেন কেউ নেই......

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরছে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রজাতন্ত্রের উপজাতীয় কর্মচারীরা
দেখার যেন কেউ নেই.......
সম্প্রতি সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে প্রত্যেক্ষভাবে জড়িয়ে পরার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে।
এক সময়ের "শান্তিবাহিনী " নামে যে সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিলো ৯৭ সালের "পার্বত্য চুক্তির" পর জেএসএস, ইউপিডিএফ, জেএসএস সংস্কারপন্থী নামে বর্তমানে তারা তিনটি দলে বিভক্ত। প্রত্যেকটি দলের রয়েছে সশস্ত্র শাখা। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় প্রতিটি উপজাতি পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এই তিনটি দলের সাথে সম্প্রিক্ততা রয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষিত - অশিক্ষিত উপজাতীয় যুবকের রয়েছে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ।
চাকুরিতে কোটা সুবিধার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সরকারি, আধাসরকারী, বিভিন্ন এনজিওতে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ ভাগ কর্মকর্তা কর্মচারী উপজাতীয়। এক কথায় একছত্র প্রভাব উপজাতীয়দের।
প্রজাতন্ত্রের এসব কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রায়ই দেখা যায় আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর বিভিন্ন মিছিল, মিটিং, মানব বন্ধনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যা সরকারি আচরণবিধির সম্পূর্ণ লঙ্গন।
গত ২৭. ১০. ১৫.ইং তারিখে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, পার্বত্য যুব সমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন "রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের" কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় দেখা যায় রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সচিব, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও অংশ নেয়। যার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে। ঐদিন সকাল ১০ টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সদর উপজেলার (পৌরসভার বাহিরে) বিভিন্ন ইউনিয়নের সচিব ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা কে কোথায় ছিলো তার খোজ নিলেই সত্য ঘটনা বেড়িয়ে আসবে।
সাধারণ জনগণসহ সচেতন মহলের প্রশ্ন উচ্চ শিক্ষার বিরোধিতা করে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা এভাবে জড়িয়ে পরছে অথচ সরকার কেন নিরব ভূমিকা পালন করছে?
এভাবে যদি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা রাজনৈতিক দলের সাথে একাকার হয়ে যায় তবে পার্বত্য চট্টগ্রামে আরও ভয়াবহ পরিনতির আশংকা রয়েছে। কারণ পার্বত্য চট্টগ্রামের সরকারি বেসরকারি অফিসের সিংহভাগ রয়েছে উপজাতীয়দের দখলে।
এর আগে "শান্তিবাহিনী" হতে ফিরে আসা যেসব সদস্য সরকারি চাকুরি পেয়েছে তাদের সরকার ও দেশের প্রতি কতটা অনুগত তা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশে নিয়োগ প্রাপ্ত সাবেক শান্তিবাহিনীর কতিপয় সদস্য পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র পাচার করতে গিয়ে ধরা পরেছে।
পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়োগসহ দেশের বিভিন্ন নিয়োগে যেসব উপজাতী বিশেষ করে চাকমারা নিয়োগ পাচ্ছে তাদের নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে। কারণ পাহাড়ের সাধারণ জনগণের ধারণা ছাত্রজীবনে প্রত্যেক পাহাড়ি উপজাতীয় যুবক অস্ত্রবাজী সন্ত্রাসের সাথে জড়িত।ছাত্রজীবনে এরা পাহাড়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত তিনটি আঞ্চলিক দলের সাথে যুক্ত থাকে।
তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি এখনই যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন না করে তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ার আশংকা অনির্বায্য।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.