![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সুনিশ্চিতভাবে দুশ্চিন্তিত।
জীবনে দুবার প্ল্যানেটোরিয়ামে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে; একবার দেশের বিজয় সরণীতে অবস্থিত নভোথিয়েটারে, আরেকবার কলকাতার বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামে। এর মাঝে দেশের নভোথিয়েটার এর কথা আমার সারাজীবন মনে থাকবে। ঋতুর পালাবদল, রাতের আকাশে কন্সটেলেশন, গ্রহ নক্ষত্রের আবর্তন, বা ডায়নোসর যুগ- সবটাই এত সুন্দর ও বাস্তবসম্মতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল সেই অর্ধগোলাকার থিয়েটারে, মনে হচ্ছিল যেন আমি আসলেই সেই জায়গাগুলোতে পৌছে গেছি। খুবই চমৎকার অভিজ্ঞতা ছিল।
তো সেই নভোথিয়েটার এর কাহিনী অ্যানিমে গ্রুপে কেন বলছি? বলার কারণ হল, কাল রাতে দেখে শেষ করেছি ৫ এপিসোডের ওএনএ, “প্ল্যানেটারিয়ানঃ চিসানা হোশি নো ইউমে”।
মেলোড্রামা সাধারণত আমাকে অতটা টানে না, কেঁদেকেটে ভাসিয়ে ফেলার মত তো অবশ্যই না। কেই এর ভিজ্যুয়াল নভেল অ্যাডাপ্টেশন কয়েকটা দেখেছি, ভালই লেগেছে, তাই প্ল্যানেটেরিয়ান দেখা শুরু করেছিলাম। এবং এই অ্যানিমের যে পার্টটা আমাকে মুগ্ধ করেছে, সেটা হল ওই নভোথিয়েটারে ইউমেমির পারফরমেন্স। হঠাৎ দেখে মনে হচ্ছিল, যেন আমি নিজেই বসে আছি ওই থিয়েটারে দর্শকের আসনে। পুরনো মুগ্ধতাটা নতুন করে ফিরিয়ে এনে দিয়েছে এই অ্যানিমেটা।
অ্যানিমের কাহিনী পোস্ট অ্যাপোক্যালিপ্টিক পৃথিবী, যেখানে বোমা হামলার কারণে বেশিরভাগ শহরই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমনই এক শহরের একটি প্ল্যানেটোরিয়ামে ইউমেমিকে একা ফেলে তার মালিকেরা সবাই চলে গিয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। ইউমেমি খুবই লয়াল, তাই সে সেই পরিত্যক্ত নভোথিয়েটারেও রুটিন মেনে তার দায়িত্ব পালন করে যায়; কাস্টোমার আসুক, বা না আসুক।
এমন অবস্থায় হঠাৎ একদিন প্ল্যানেটোরিয়ামে একজন কাস্টোমার এসে হাজির হয়। প্রাণ বাঁচানোর লড়াইয়ে ব্যস্ত সেই কাস্টোমারকে কী ইউমেমি দেখাতে পারবে তারাভরা আকাশ?
ডেভিড প্রোডাকশন নামটা শুনলে আমার মাথায় সবসময় যে অ্যানিমেটার নামটা আসে, তা হল জোজোর অদ্ভুতুড়ে কীর্তিকলাপ। জানা নেই, তাদের অন্য কোন মোয়ে অ্যানিমে আছে কিনা, কিন্তু প্ল্যানেটেরিয়ানের আর্ট দেখে কেন যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না, এই স্টুডিওই জোজো বানায়! জোজোর আর্ট ভালই লাগে আমার, আর্টটা ওভার দ্য টপ বলেই একই স্টুডিওর করা মোয়ে ডিজাইন দেখে অবাক হয়েছি। ইউমেমিকে অতিরিক্ত কিউট লেগেছে, যদিও শুরুতে তার একঘেয়ে গলায় টানা কথা বলে যাওয়া শুনতে অতিরিক্ত বিরক্ত লাগছিল, কিন্তু পারফরমেন্স এর সময় তার গলাটা অতিরিক্ত সুন্দর আর সাবলীল লাগছিল। আর সেটাকে যোগ্য সাপোর্ট দিয়েছে অ্যানিমের মনোমুগ্ধকর আর্ট। অ্যানিমেটার সেরা মুহূর্ত নিঃসন্দেহে ইউমেমির পারফরমেন্স। আর শেষটা আমি যেমন আশা করেছিলাম হুবহু তেমন হয়েছে, তবে ভাল লেগেছে।
মাত্র ৫ পর্বের অ্যানিমে, গড়ে ১৮ মিনিট করে পড়ে একেক পর্বে, দেড় ঘন্টা হাতে থাকলে দেখে ফেলতে পারেন এই সুন্দর ওএনএ টা।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১১
Yami No Tenshi বলেছেন: দেখে ফেল। ছোটই তো।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
"ভাসানী নভোথিয়েটার নামটা পালটে অন্য কিছু রাখা হয়েছে এখন, আমার মনে নেই"।
ভাই আপনার ব্রেন ওয়াশ হয়ে গেছে। তাই এই নাম মুখে আনাও হারাম।
এই নভোথিয়েটারের নামটা পালটে অন্য কিছু রাখা হয় নি।
বরং নবনির্মিত বংগবন্ধু নভোথিয়েটার নামটি সহ্য করতে না পেরে বিম্পি-জামাত সরকার এই নামটা পালটে ভাসানী নভোথিয়েটার নামকরন করে। পরে সেই সরকার বিদায় হলে এটি পূর্বনামে ফিরে আসে। নাম পাল্টানো হয় নি।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৫
Yami No Tenshi বলেছেন: ব্রেন কেন ওয়াশ হয়ে গিয়েছে ব্যাপারটা বিশদভাবে ব্যাখ্যা করলে খুব চমৎকার হত, আসলে ওয়াশ হওয়া ব্রেন তো, সবকিছু বড় করে ব্যাখ্যা না করলে নিতে চায় না
তথ্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি যেসময় গিয়েছিলাম, সে সময় যে নামটা চোখে পড়েছিল সেই নামটাই ব্যবহার করেছি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫
রুফিয়াস মিলেনিয়াম বলেছেন: দেখতে হবে তো। ডোভিড প্রোডাকশন আসলেই একটা চিজ।