নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

facebook.com/yousuf.khan221b

ইউসুফ খান

\"যদি তুমি নাহি বোঝো আমার নীরবতা, বুঝিবেনা-এর আড়ালে লুকিয়ে থাকা কথা\"\n©না জিগায়া কপি করিবেন না,পিলিজ©

ইউসুফ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"র- নগরের বাঁশিওয়ালি"..... (থিম- হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার,চেষ্টা অন্য কিছু বলার ;))

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১১





এক আশ্চর্য সুন্দর শহর। নাম তার ‘র- নগর’।

শহরের পশ্চিমে বয়ে গেছে শাড়ীর আঁচলের মতো ঝলমলে এক নদী। নাম তার ‘ওল্ড রিভার’।

শহর সুন্দর হলেও কিছু মানুষের কারনে শহরটা বেশ ভয়ানক একটা জায়গায় পরিনত হয়ে গিয়েছিলো।

কারনটা ছিলো ই.টি-

শহরে ই.টি’র সংখ্যা এতোটাই বেড়ে গিয়েছিলো যে, মেয়েরা ঘর থেকে বের হতে পারতো না। একা বের হওয়ার কথা তো কল্পনাও করতে পারতো না। পুরো ‘র- নগর’ ছেয়ে গিয়েছিলো ছোট- বড় নানা ধরনের ই.টি’তে। তার কিছুটা নমুনা এরকম-

















কারোই কিছু করার ছিলো না। সমাজের উচ্চ ব্যাক্তিবর্গরা মেয়রের অফিসে এ নিয়ে মিটিং বসালো। কেউই বুঝতে পারছিলো না- কিভাবে তারা এই ঝামেলা থেকে মুক্ত করবে প্রিয় শহরকে।



কি করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়...

সবাই মনে মনে চাচ্ছিলো এমন কোন চমৎকার হোক, যাতে করে শহরের সবগুলো ই.টি একসাথে কোথাও গায়েব হয়ে যায়।

কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব? কিভাবে?



----- ঠিক এমন সময়......

মেয়রের অফিসের দরজায় দু’বার ‘ঠক ঠক’- শব্দ হলো।

দরজা খোলা হলো।

সবার চোখ আঁটকিয়ে গেলো দরজার দিকে।

দরজায় দাঁড়িয়ে আছে একটি মেয়ে। গায়ে মখমলের তৈরি বিশাল আলখেল্লা, শুধু চোখজোড়া দেখা যাচ্ছে। গাড় নীল চোখ, কোমর অব্দি সোনালী চুল। আর হাতে-

অসম্ভব সুন্দর বিশাল এক বাঁশি। মেয়েটার মধ্যে এমন কিছু ছিলো যা সেখানে উপস্থিত পুরুষদেরকে পাগল করে তুলছিলো। সবাই এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো তার দিকে। কথা বলতেও ভুলে গেলো।



মেয়েটি বুঝতে পারলো। এরপর সে কথা বলা শুরু করলো।

মেয়েটি বললো, সে ‘র-নগরের’ এই ঝামেলার কথা শুনেছে এবং ই.টি-দের হাত থেকে শহরকে রক্ষা করার জন্যই সে এসেছে।

কথাটা শুনে সবাই খুশিতে আত্মহারা। মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি পেয়ে কেউ আর একটা কথাও বাড়ালো না। সবাই এক বাক্যে বলল, যতো দ্রুত সম্ভব আমাদের মুক্ত করো এ ঝামেলা থেকে। কিন্তু তুমিও তো একটা মেয়ে, কিভাবে এ সমস্যার সমাধান করবে?

মেয়েটি রহস্যের হাঁসি হেঁসে বলল- আমার এই বাঁশি, সাধারন কোন বাঁশি নয়। এতে অনেক ধরনের সুর খেলা করে। আমি এ বিপদ থেকে আপনাদের মুক্ত করতে পারবো তবে, এর জন্য আমাকে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হবে।

মেয়র বললো- যতো টাকা চাইবে, দেবো। টাকা পয়সা আমাদের জন্য কোন ব্যাপার না। তুমি শুধু আমাদেরকে এই ঝামেলা থেকে মুক্ত করো, ব্যাস।



মেয়েটি বললো- ঠিক আছে।

এরপর সে ঘুরে দাঁড়িয়ে ঠোঁটের কাছে তুলে নিলো আজব বাঁশিটি। মুখের নেকাবটি সরিয়ে নিয়ে শুরু করলো বাজানো। যারা সে মায়াবী চেহারা দেখলো- স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে গেলো। অমন সুন্দর চেহারা কেউ আগে কখনও দেখেনি।



বাঁশি বাঁজাতে বাঁজাতে সে এগিয়ে যেতে লাগলো সামনের দিকে। সমস্ত 'র- নগর' ভেসে গেলো বাঁশির মায়াবী সুরে। সবাই অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো, মেয়েটির পিছনে পিছনে মন্ত্রমুগ্ধের মতো হাঁটছে বেশ কিছু বখাটে যুবক। কোন অদৃশ্য শক্তি যেন তাদেরকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কোথাও। সবাই বুঝতে পারলো, বাঁশির শব্দ দিয়ে মেয়েটি তাদেরকে সম্মোহন করে ফেলেছে। কারও চোখের পলক পড়ছে না। তারা আচ্ছন্নের মতো হাঁটছে তো হাঁটছেই।

কিন্তু কোথায়!

একসময় বখাটেদের দল ভারী হলো। একে একে দলে যোগ দিতে লাগলো 'র- নগরের' সমস্ত ই.টি। বিশাল এক বাহিনী নিয়ে মেয়েটি এগিয়ে যেতে লাগলো ওল্ড রিভারের দক্ষিন প্রান্তে, শহরের শেষ সীমানায়। যেখানে রয়েছে গভীর এক খাঁদ। 'র- নগরের' সবাই যেটাকে মৃত্যু- খাঁদ নামেই চেনে।

মেয়েটি বাঁশি বাজাতে বাজাতে খাদের একদম সামনে যেয়ে থেমে গেলো। তবে বাঁশির আওয়াজ থামলো না।

সবাই অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো, টপাটপ করে একের পর এক 'ই. টি' পড়ে যেতে লাগলো গভীর খাঁদে।



বাতাস ভারী হয়ে গেলো তাদের আর্ত- চিৎকারে। কিন্তু কেউ এগিয়ে এলো না। সবাই যে যার জায়গায় জমে গেলো। তারা বুঝতে পারছিলো তাদের চোখের সামনে কি ঘটছে। একসময় সমস্ত ই. টি তাদের প্রান হারালো মৃত্যু- ফাঁদে। একজনও বাকি রইলো না।



ঘটনার বেশ কিছুক্ষন পর সবাই স্বাভাবিক চেতনায় ফিরে এলো। সবার মাঝে দেখা গেলো মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ দুঃখ করলো, কেউবা খুশিতে গান গাওয়া শুরু করে দিলো। তবে বেশীরভাগ মানুষই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।

ঘটনার পর রহস্যময় মেয়েটি উপস্থিত হলো মেয়রের অফিসে। মেয়রের মুখ ভারী। কোন কথা বলছে না। মেয়েটি বলল- আমার কাজ শেষ, শর্ত অনুযায়ী আমার পারিশ্রমিক দিন এবার। মেয়র শুকনো মুখে বলল - কতো টাকা চাও তুমি?

- শর্ত ছিলো , আমি যতো টাকা চাইবো ততো টাকাই আপনারা দেবেন। তো, আমাকে ২ কোটি টাকা দিন।

মেয়র আঁতকে উঠে বললো- বলে কি? ২ কোটি টাকা? টাকা কি গাছে ধরে নাকি?

আর তুমি যে কাজ করেছো সেটা তো জনকল্যাণমূলক একটা কাজ। এরজন্য এতো টাকা চাইছো কেনো?

মেয়েটি বললো- দেখুন, এই কাজটা আমি এমনিতেই করে দিতাম। টাকা চাইতাম না। তবে টাকাটা আমার দরকার কারন এই টাকা আমি আপনাদের ভালোর জন্যই ব্যায় করবো।



মেয়র আর কথা বাড়ালো না। হ্যামিলনের বাশিওয়ালার কাহিনীটা তার জানা ছিলো। মনে ভয় হলো এই মেয়েটিও যদি সেরকম কিছু করে বসে!

চুপচাপ টাকা বের করে দিলো মেয়র।

মেয়েটি চলে যাওয়ার আগে কৌতূহল বশত মেয়র জিজ্ঞেস করলো-

কি কাজে তুমি এই টাকা ব্যায় করবে তা কি জানতে পারি?

মেয়েটি হাসিমুখে বললো- নিশ্চয়ই জানতে পারেন। আপনাদের এই শহরে এমন কিছু মেয়ে আছে যারা বেশ অসভ্য পোশাকে চলাফেরা করে। বলছিনা সবাই, কিছু মেয়ে। আর এই কিছু মেয়ের কারনেই বেশীরভাগ মেয়ে হয়তো টিজিং-এর শিকার হয়। তাই তাদের জন্য কিছু সভ্য পোশাক কিনবো; যেনো আমাকে আবার আসতে না হয়...



মেয়র বুঝতে পারলো মেয়েটার কথা। এরপর মেয়েটি বিদায় নিয়ে চলে গেলো।



টীকা-

'র- নগর'= রোমিও নগর

'ই.টি'= ইভ টিজার



বিঃদ্রঃ- উপরোক্ত গল্পটি প্রতীকী এবং কাল্পনিক। বাস্তবের কোন কিছুর সাথে এর মিল নেই।

--------------------------------------- :) -------------------------------------

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৯

নোবিতা রিফু বলেছেন: ছবিগুলা কি তুমি একেছ? চ্রম হইছে...

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

ইউসুফ খান বলেছেন: নারে ভাই, আমি আঁকি নাই। একটু এডিট করসি ;)
ধন্যবাদ রিফু :)

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০০

হৃদয় জিনিয়াস বলেছেন: আরে বাপ!!!! অসাধারন লিখছেন.....

লেখাটা এখন ও কি কোনো ফেইসবুক পেইজ এডমিনের চোখে পড়েনাই? এতক্ষনে তো ফেইসবুক ছেয়ে যাওয়ার কথা B:-/ B:-/

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৪

ইউসুফ খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। :)
ব্লগের মানুষেরই তো চোখে পরে নাই এখনও ;)
ভাল থাকবেন।

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০০

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ছবিগুলান পাইলেন কই? চরম হইছে! ;)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৫

ইউসুফ খান বলেছেন: ছবিগুলা ভাই বিভিন্ন সাইট থেকে কালেক্ট করে এডিট করা।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৫

হৃদয় জিনিয়াস বলেছেন: নির্বাচিত পোষ্ট...... রাত ৯:১১ এ পোষ্ট করলেন

এখন ১১টা ১৭, মাত্র ৩টা মন্তব্য..................


আসলে আমার মনে হয় সামু তার জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে :(

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

ইউসুফ খান বলেছেন: হতে পারে-
যাই হোক, ব্যাপার না ভাই।
আসলে, পোষ্টের 'ম্যাসেজটা' সবাই বুঝতে পারলেই আসল সার্থকতা।

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: এক কথায় অসাধারন :)

৫ম +

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

ইউসুফ খান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিন্স হেক্টর :)
শুভকামনা।

৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: সব কিছু মিলাইয়া চমৎকার একটা পোষ্ট

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪০

ইউসুফ খান বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুম।

৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫২

তামিম ইবনে আমান বলেছেন: অস্থির। পিলাস

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

ইউসুফ খান বলেছেন: :)

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০২

মুনতা বলেছেন: ফেবুতে শেয়ার দিলাম। অস্থির লিখছেন।
++++

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

ইউসুফ খান বলেছেন: ধন্যবাদ মুনতা।

৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

আরজু পনি বলেছেন:

দারুন হইছে! অনেকগুলা প্লাস +++++++++++++++

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

ইউসুফ খান বলেছেন: অনেকগুলা ধন্যবাদ।

১০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

শায়মা বলেছেন: মজার!!!!


:)

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

ইউসুফ খান বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা আপু। :)

১১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

কালোপরী বলেছেন: ভাল লাগল :)

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪০

ইউসুফ খান বলেছেন: ধন্যবাদ কালোপরী :)

১২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: পুরাই অস্থির!!!!!!!!!!!!!!!!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

ইউসুফ খান বলেছেন: ধন্যবাদ বর্ষণ। শুভকামনা।

১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

নূর আদনান বলেছেন: বাশিওয়ালির পিকটা কিন্তুক ভালা হইচে :P

আপনাদের এই শহরে এমন কিছু মেয়ে আছে যারা বেশ অসভ্য পোশাকে চলাফেরা করে। বলছিনা সবাই, কিছু মেয়ে। আর এই কিছু মেয়ের কারনেই বেশীরভাগ মেয়ে হয়তো টিজিং-এর শিকার হয়। তাই তাদের জন্য কিছু সভ্য পোশাক কিনবো; যেনো আমাকে আবার আসতে না হয়...

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

ইউসুফ খান বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

১৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:

আপনার কাজ দেখে আমি মুগ্ধ!

আর পোস্ট তো পুরাই অস্থির!!

অনেক অনেক প্লাস ++++++++

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

ইউসুফ খান বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো প্রেইস। ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইলো। :)

১৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

আরজু পনি বলেছেন:

আবার শুরু করুন প্লিজ।
অনেক মিস করি :(

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ইউসুফ খান বলেছেন: ইনশাআল্লাহ্‌
সেরকমই ইচ্ছা আছে। দেখি --- :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.