নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ ইউনুস আলী

আমি একজন সাংবাদিক। সাংবাদিকতা আমার কাছে খুবই সম্মানের আর পছন্দের পেশা। এর মাধ্যমে আ

মোঃ ইউনুস আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

লালমনিরহাটে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মেয়ে আংটি পড়িয়ে বিয়ে না করার অভিযোগ

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৫


লালমনিরহাটে মফিজুল ইসলাম (২২) নামের এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মেয়েকে আংটি পড়িয়ে বিয়ে না করার অভিযোগ পাওয়াগেছে।

উক্ত পুলিশ সদস্য সিলেট জেলায় সিএমপিতে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে।

সে সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের আনন্দবাজার (কালমাটি) এলাকার মাওলানা মকবুল হোসেনের পুত্র।

একজন মাওলানার পুত্র পুলিশ সদস্য কর্তৃক মেয়েকে আংটি পড়িয়ে বিয়ে না করার বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য এনামুল হক ও যুবলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম শিমুল এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, পাশ্ববর্তী ভাদাই (খোলাহাটি) গ্রামের মবিয়ার রহমানের অনার্স পড়ুয়া কন্যার সাথে ওই পুলিশ সদস্য দীর্ঘদিন যাবত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেম করার পাশাপাশি দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।

মেয়েটি কিছুদিন পুর্বে বিয়ে করার জন্য মফিজুলকে চাপ সৃষ্টি করলে সে মেয়েটির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

বিষয়টি উভয় অভিভাবকের মধ্যে জানাজানি হয়ে পড়লে গত ০৫ মে/১৬ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নুরুল ইসলাম মাষ্টার, আতাউর রহমান দুলাল মাষ্টার, প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী বুলু ও মোরশেদুল ইসলাম ও উক্ত পুলিশ সদস্য তার অভিভাবকসহ মেয়ের বাড়িতে জান।

কোরবানির ঈদের পরে আনুষ্টানিকভাবে বিয়ে করে ঘরে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সবার উপস্থিতিতে মজিজুল ইসলাম মেয়েটিকে বিয়ের আংটি পড়ান।

কোরবানির ঈদের পুর্বে সুচতুর পুলিশ সদস্য মফিজুল ইসলাম মেয়েটির পরিবারকে সাফ সাফ জানিয়ে দেন, সে ঈদে বাড়ি আসবেনা এবং তাদের মেয়েকে বিয়ে করবে না।

মেয়ের বাবা মবিয়ার রহমান বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করে উক্ত পুলিশ সদস্যের পরিবারের কাছে তার মেয়েকে বিয়ে করার চাপ সৃষ্টি করলে কোন সুরাহা পাননি। তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতার পাশাপাশি উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এদিকে একটি মহল ওই বিয়েটি বানচাল করতে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মেয়েটি সাংবাদিকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানান, উক্ত পুলিশ সদস্য মফিজুল আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে, সে আমাকে বিয়ে না করলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া জীবনে আর কোন রাস্তা আছে বলে আমার জানা নেই ।

মেয়েটির বাবা মবিয়ার রহমান বলেন, মফিজুলের কারনে আমার মেয়ের কোন ক্ষতি হলে, এর দায় দায়িত্ব তার পরিবারকেই নিতে হবে।

এব্যাপারে মোবাইল ফোনে পুলিশ সদস্য মফিজুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.