নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ ইউনুস আলী

আমি একজন সাংবাদিক। সাংবাদিকতা আমার কাছে খুবই সম্মানের আর পছন্দের পেশা। এর মাধ্যমে আ

মোঃ ইউনুস আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাতীবান্ধার মেয়ে গৃহকর্মী আর্জিনা বেগম টাঙ্গাইলে নির্মম নির্যাতনের স্বীকার

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:০৯


হাতীবান্ধার মেয়ে গৃহকর্মী আর্জিনা বেগম টাঙ্গাইলে নির্মম নির্যাতনের স্বীকার

সব বাবা-মায়ই তার সন্তানকে জীবনের চাইতে বেশি ভালবাসেন।
কোন বাবা মায়েই তার সন্তানকে অন্যের বাড়ীতে কাজের মেয়ে হিসাবে রাখতে চান না। যখন কোন বাবা মা তার নিস্পাপ শিশুর মুখে ঠিকমতো দুবেলা দুমুঠো খাবার তুলে দিতে পারেন না, তখনেই তারা বাধ্য হয়ে, সন্তানের মুখে দুবেলা ভালো খাবার জোটাতে অন্যের বাড়ীতে কাজের মেয়ে বা ঝি হিসাবে রাখেন।
আমাদের দেশে অনেক পশু সুলভ জানোয়ার আছেন! যারা কাজের মেয়ের সাথে জানোয়ারে চাইতে বেশি খারাপ আচরণ করে, নিউজের হেটলাইন হয়ে থাকেন।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার তিস্তার পাড়ের বাসিন্দারা, বারবার নদী ভাঙনের ফলে জমি জমা, বসত ভিটা সব হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছেন। অনেক পরিবারই তাদের সন্তানের মুখে ঠিকমত দুবেলা দুমুঠো খাবার তুলে দিতে পারেন না। তাই তারা বাধ্য হয়ে কোলের মেয়ে সন্তান, বুকের ধন , সোনামণিকে নিরুপায় হয়ে অন্যের বাড়ীতে কাজের মেয়ে হিসাবে রাখছেন।

কিন্তু সেই আদরের সোনামণি মেয়েটি যখন দীর্ঘ ৭ বছর অন্যের বাড়ীতে ঝিএর কাজ করার পর যখন শুন্য হাতে, কংকাল সার, ক্ষত বিক্ষত শরির নিয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় বাড়ীতে ফিরে আসে তখন কোন পিতা মাতার মাথা ঠিক বলেন?

তেমনি এক নির্মম ঘটনার শিকার হয়েছেন হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের আরাজি শেখ সুন্দর গ্রামের আনসার আলীর একটি নিস্পাপ মেয়ে আর্জিনা বেগম (১৩)।

রোববার (২ অক্টোবর) দুপুরে মেয়েটিকে মুমুর্ষ অবস্থায় ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় ।

প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, ২০০৯ সালে হাতীবান্ধা উপজেলার আরাজি শেখ সুন্দর গ্রামের আনসার আলীর কন্যা আর্জিনা বেগম (৬) কে টাঙ্গাইল জেলা সদরের বিশ্বাস বেতটার সিংনাত পাড়ার আমির উদ্দিনের পুত্র তাজুল ইসলামের বাড়ীতে কাজে মেয়ে হিসাবে পাঠানো হয়।

মেয়েটি দীর্ঘ ৭ বছর ধরে সেখানে কাজ করছিল। গত ১ বছর থেকে মেয়েটিকে তাজুল ইসলামের স্ত্রী আমেনা বেগম ও কন্যা লাভলী আক্তার নির্মম নির্যাতন ও অত্যাচার করে আসছে। তাদের অত্যাচারের নির্মম নিষ্ঠুরতায়
মেয়েটি এখন ঠিকমত কথাও বলতে পারছে না। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা পোড়া ক্ষতের দাগ, ডান হাত ও কোমড়ের হাড় ভাঙ্গা, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন, মাথার চুল কাটা অবস্থায় মেয়েটি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

আর্জিনার মা আনজু বেগম জানান, ৩ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে আর্জিনাই সবাই বড়। সংসারে অভাব অনাটনের কারনে ২০০৯ সালের আর্জিনাকে যখন টাইঙ্গলে তাজুলের বাড়ীতে পাঠাই তখন তার বয়স ছিলো ৬ বছর। মেয়েটি সেখানে এতদিন ভালই ছিলো। প্রতি ঈদে সে বাড়ী আসত। আসার সময় পরিবারের জন্য নতুন কাপড় চোপড় নিয়ে আসত।
গত ৬ মাস থেকে মেয়েটির সাথে তাদের কোন যোগাযোগ নেই। মেয়ের সাথে কথা বলার জন্য এই ৬ মাস যাবত তাজুলের ফোন কল দিলে, সে বলে আমি বাহিরে আছি । বাড়ীতে গিয়ে ফোন দিব কিন্তু মোবাইলে আর কল আসে না।
গত ঈদুল ফিতরের সময় মেয়েটি বাড়ী আসেনি । তাজুল বলেছিল পরের ঈদে বাড়ী যাবে কিন্তু কোরবানীর ঈদে মেয়েটি বাড়ীতে না আসলে আমাদের সন্দেহ হয়।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে আমার চাচা নুর মোহাম্মদ আর্জিনাকে আনতে গিয়ে সেখানে দেখেন, মেয়েটি বিছানা থেকে উঠতে পারছে না। অনেক কষ্ট করে তিনি শনিবার সকালে মেয়েটিকে টাঙ্গাইল থেকে ডিমলার সুটিবাড়ী নিয়ে আসে।

মেয়েটি এহেন গ্রুতর অবস্থা দেখে গয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ ইবনে ফয়সাল মুন রোববার দুপুরে তাকে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।

ডিমলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার ইয়াজমিন ইসলাম বলেন, মেয়েটিকে দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে তাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পোড়ার দাগ রয়েছে। তার ডান হাতের বাহুর হাড়, কোমড়ের হাড় ভাঙ্গা, হাতের নখগুলোতে সিরিজ ডুকানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। মেয়েটি বর্তমানে গ্রুতর অসুস্থ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যত দ্রুত সম্ভব রংপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার উচিৎ ।

এবিষয়ে টাঙ্গাইলের তাজুল ইসলামের সাথে মোবাইলে (০১৭১২-৬৮১২৬৭) কথা হলে সে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন! আমার পরিবার কর্তৃক মেয়েটির উপর নির্যাতনের বিষয়টি সত্য নয়। মেয়েটির ডান হাতের ও কোমড়ের হাড় আগে থেকেই ভাঙ্গা ছিল এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে চর্ম রোগের ঘায়ের। দাগ রয়েছে।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউর করিম বলেন, মেয়েটিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তাকে চিকিৎসার বিষয়য়ে তকারকি করতে বলা হয়েছে। মেয়েটির পরিবারকে থানায় দ্রুত মামলা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৩২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: পরিবারটি কি আইনের আশ্রয় নিয়েছে? আর বাংলাদেশে বিভিন্ন সংস্থা এসব ব্যাপারে আইনি সাহায্য দিয়ে থাকে।

অত্যাচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:২২

মো: সাকিব আহমদ মুছা বলেছেন: পরিবারটি কি আইনের আশ্রয় নিয়েছে?

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:০৩

সম্রাট৯০ বলেছেন: কিছু বলার নেই, ভাষা হারিয়ে ফেলেছি ছবিটার দিকে তাকিয়ে।

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:১৪

দিয়া আলম বলেছেন: উফফ!!!!!!! এরাকি মানুষ? মানুষের পর্যায়ে পড়ে এরা? এখন মিডিয়া কোথায়? এরা এখন চুপ কেন?

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আগামী ১০ বছরে ৩১ লাখ মেয়ে চাকরাণী হবে, এদের পড়ানোর জন্য সরকারকে বলুন; আমাদের সম্পদ আছে সবাইকে ফ্রি পড়ানোর।

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৫

সজীব মোহন্ত বলেছেন: :(

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১১

পথহারা মানব বলেছেন: ছবিগুলো দেখে আতঁকে উঠলাম.....হায় হায় মানুষ কি করে এত নিষ্টুর হতে পারে :``>> :``>>
মেয়েটি যেন উপযুক্ত বিচার পায় সে দাবি করছি।

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
এসব ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। মানুষরূপী এসব জন্তুগুলো কোন শাস্তিও পায় না। একটাবার শাস্তিদিলেও তো কিছু মানুষ ঠিক হতে পারতো।

কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও নাই। কর্মসংস্থানের ভাল সুযোগ থাকলে তো এইসব কিশোর বয়সী ছেলে-মেয়েগুলোকে মানুষের বাড়িতে কাজের জন্য যেতে পারতো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.