নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ ইউনুস আলী

আমি একজন সাংবাদিক। সাংবাদিকতা আমার কাছে খুবই সম্মানের আর পছন্দের পেশা। এর মাধ্যমে আ

মোঃ ইউনুস আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়ের বান্ধবীর সাথে প্রেম করে বাল্য বিয়ে! বাধাদানে ১ম স্ত্রীর উপর নির্যাতন!

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

আবারও ১০ শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ের এক বান্ধবীর সাথে প্রেমে ফেলে তাকে বাল্যবিয়ে করলেন সাইদুল ইসলাম নামের এক লম্পট। আর ঐ বিয়ের প্রতিবাদ করায় প্রথম স্ত্রীর কাবিনা খাতুনের উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। নির্যাতনের স্বীকার মহিলাটি এখন হাতীবান্ধা মেডিকেলে ভর্তি হয়ে আছেন। আর এনিয়ে এলাকাজুড়ে চলছে নানা সমালোচনার ঝড়।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম) দিনগত রাত ২ টার দিকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বুড়া সারডুবি গ্রামে নির্যাতনের এ ঘটনাটি ঘটে। সাইদুল ইসলাম ঐ এলাকার সামসুল হাজীর ছেলে।

প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বুড়া সারডুবি গ্রামের সাইদুল ইসলাম ৩ সন্তানের জনক। তার বড় মেয়ে শাহানাজ পার্ভিন রিপু (১৫) বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ শ্রেণীতে পড়ে। প্রতিবেশী লুৎফর রহমানের মেয়ে লতিফা খাতুন (১৫) পড়ে বড়খাতা গার্লস স্কুলের ১০ শ্রেণীতে। মেয়ের বান্ধবী ও প্রতিবেশী হবার সুবাদে সাইদুলের বাড়িতে অবাধে যাতায়াত ছিলো লতিফা খাতুনের। এরি এক পর্যায়ে লতিফার সাথে প্রেমে সম্পর্ক গড়ে ফেলেন লম্পট সাইদুল ইসলাম।

লতিফাকে নিয়ে গত ২৭ রমযানে অজানার উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায় সাইদুল ইসলাম। দীর্ঘদিন তারা বাহিরে থাকার পরে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। গত কোরবানির ঈদের আগের দিন তারা স্বামীস্ত্রী বাড়িতে আসে। লতিফা বর্তমানে গর্ভবতী বলে জানা গেছে।
এদিকে প্রথম স্ত্রী কাবিনা খাতুন (৩০) তাদেরকে বাড়িতে ঢুকতে না দিলে তার উপর নেমে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন। নতুন বউকে নিয়ে অন্য জায়গায় বাড়ি করার জন্য প্রথম স্ত্রী কাবিনার কাছে ২ লক্ষ টাকা চায় লম্পট সাইদুল আর টাকা দিতে না পারায় গত শনিবার (২৩ সেপ্টেম) দিনগত রাত ২ টার দিকে কাবিনাকে শারীরিক নির্যাতন করে সাইদুল। খবর পেয়ে কাবিনার মা লাইলী বেগম তাকে হাতীবান্ধা মেডিকেলে এনে ভর্তি করান।

হাতীবান্ধা মেডিকেলে গিয়ে নির্যাতনের স্বীকার কাবিনা খাতুনের বলেন, মানুষ এতো খারাপ হতে পারে তা জীবনে ভাবতেই পারিনা। মেয়ের বান্ধবীকে কি কেউ বিয়ে করে? আর সেই কাজ করে আমার স্বামী সাইদুল।
তিনি আর বলেন, ২০০০ সালে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বুড়া সারডুবি গ্রামের শামসুল হাজীর ছেলে সাইদুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার বাবামা বিয়ের যৌতুক বাবদ নগদ দেড় লক্ষ টাকা, বিয়ের গহনা, আসবাবপত্রসহ প্রায় প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল শহিদুলকে দেন।

কাবিনা খাতুন আরও বলেন, বিয়ের পর ২০১৫ সালে আমাদের বিয়ের কথা গোপন রেখে পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা কামার পাড়ার সোলেমান গনির মেয়ে সাবিনার সাথে প্রেম করেন সাইদুল। এরপরে মেয়েটি বিয়ের কথা জানতে পেড়ে তাকে ডিভোর্স দেয়।

সাইদুল ইসলামের সাথে তার মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

হাতীবান্ধা থানার অফিসারস ইনচার্জ (ওসি) শামীম হাসান সরদার জানান, এবিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

"হাতীবান্ধা থানার অফিসারস ইনচার্জ (ওসি) শামীম হাসান সরদার জানান, এবিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । "

-নির্যাতন হলে কেইস হয় না, অভিযোগ করলে কেইস নেয়া হয়; এসব বেকুবেরা পুলিশ কিভাবে স্হান পেলো?

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫২

কানিজ রিনা বলেছেন: বুইড়া ভামের ভীমরতী, হুমায়ুন আর কি।

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: @কানিজ রিনা বলেছেন: "বুইড়া ভামের ভীমরতী, হুমায়ুন আর কি "| আপনার সাহস কবুল করলাম ! এই কথাটা নিহত/শহীদ হয়ে যাবার ভয়ে বলতেই পারতাম না !

৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩০

কানিজ রিনা বলেছেন: খুব উচ্চ স্তরের আর নিচু স্তরের মানুষ
সমাজে নোংরামী করে। উচ্চ স্তরের লোকের
দেখা দেখি নিচু স্তরের মানুষগুল শেখে।
মধ্যবিত্বরা সম্মানের দিকে তাঁকায়।
যদিও মুসলিমদের একটি হাদীস আছে চার
বিয়ে পর্যন্ত যায়েজ। আসলে হাদীসের আগে
পরে অনেক নিয়ম নীতি আছে। তা কোনও
লুচু জাতীয় লোক জানেই না।
যত চরিত্রহীন বাটপাড় লোক এই হাদীস
ব্যবহার করে হাদীসটি কলংকীত করেছে।
ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: হাদিসে নয়, এটা সূরা নিসায় বলা আছে আপনি আগে পরে যে শর্তের কথাগুলো বললেন সেগুলো উল্লেখ করে | সমস্যাটা হলো সেই আগের পরের শর্তের কথাগুলো কিন্তু কেউ বলে না, শুধু চারটে বিয়ের অনুমতি দেয়া আছে এটাই বলে | সৈয়দ মুজতবা আলী এটা নিয়ে একটা মজার কথা বলেছেন (তার কোনো একটা বইয়ে এটা আছে, ঠিক মনে করতে পারছিনা), তার সাথে একবার এক ব্রিটিশ ফান করেছিল এই চার বিয়ের ব্যাপারটা নিয়ে | উনি উত্তরে বললেন আমাদের দেশে এই চার বিয়ের অনুমতি থাকলেও বেশির ভাগ মানুষ এক বিয়ে করেই সারা জীবন কাটায় কিন্তু তোমরা হয়তো এক বিয়ের বেশি করোনা কিন্তু কতগুলো এক্সট্রা ম্যারিটাল এফ্যায়ার্স করো তার হিসেবে করেছো কখনো? এই উত্তর শুনে ব্রিটিশ লোকটা চুপ করে গেলো | মুসলিমরা ফান করার চমৎকার একটা ব্যাপার | অন্যদের আগে পরের ব্যাপার জেনে শুনেও কেউ কিছু বলে না | আপনি জোরে শোরে বললেন দেখে খুবই ভালো লাগলো | অনেক ধন্যবাদ |

৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

বারিধারা বলেছেন: নাস্তিক ধর্মে নাবালিকার প্রেমে পড়া বা তাকে ধর্ষণ করার মধ্যে অন্যায় কিছু নেই। প্রাণীজগতে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা অনেক ঘটে, তাই এই ঘটনা প্রকৃতি সমর্থন করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.