![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
My sins are like the highest mountains; my good deeds are very few, they're like a small pebble!
শুরুর আগে…
ইসলাম এর পাপ আর প্রায়শ্চিত্তের ধারণা আমার কাছে সবসময়ই আকর্ষণীয়। তাওবা সংক্রান্ত আয়াত আর হাদীসগুলো এতো ইতিবাচক যে তা আমার পাপী হৃদয়ে আশা জাগায়; ক্ষমার আশা, করুণার প্রত্যাশা। সূরা যুমার-এ যখন পড়িঃ হে আমার বান্দাহরা, যারা নিজেদের উপর অত্যাচার করেছো! আল্লাহর করুণা থেকে নিরাশ হয়োনা! নিঃসন্দেহে আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দেন! (৩৯ : ৫৩) অথবা যখন পড়ি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কথাঃ আল্লাহ তাঁর বান্দাহর প্রত্যাবর্তনে তারও চেয়ে বেশী খুশি হন যতখানি খুশি তোমরা হও মরুভূমিতে হারিয়ে ফেলা উট খুঁজে পেয়ে! (বুখারী)
এতো সহজে কি আর কোথাও ক্ষমা পাওয়া যায়? মা- বাবাও তো এতো তাড়াতাড়ি মাফ করেন না। তারাওতো নানান শর্ত জুড়ে দেন। খ্রিষ্টান ধর্মে দেখি মানুষের পাপমোচনের জন্য যিশুকে আত্মদান করতে হয়! আর আমার ধর্মে? ফিরে আসো, অতীত ভুলের জন্যে মাফ চাও! ব্যস! আল্লাহ তোমার ফিরে আসায় তোমার থেকেও খুশী! তিনিই আর রাহমান। পরম করুণাময়।
এর পরের থেকে নিচের লিখা আর আমার নিজের না। আমি অনুবাদ করেছি মাত্র। ইন্টারনেট থেকে। অসাধারন ইংলিশ ব্লগ humblei.com (http://thehumblei.com) এর এই লিখাটা আমার মনে হলো সবার পড়া উচিত। মূল লেখা আছে এখানেঃ Click This Link লেখকের কাছে অনুবাদ করার অনুমতি চেয়েছিলাম ব্লগ এর কমেন্ট সেকশনে। আলহামদুলিল্লাহ, উনি সম্মতি দিয়েছেন। এই ব্লগ থেকে আরো কিছু অনুবাদের আশা রাখি।
তাওবা সম্বন্ধে ইবন জুযায়ী
আমাদের ইমামদের মতে তাওবা হলো আল্লাহর পথে কারোর যাত্রার একদম শুরুর জায়গা, যাকে বলে starting point। যেসব ইমাম অন্তঃরাজ্যের কারিগর ছিলেন (সুফী সাধক হিসেবে যারা সমধিক পরিচিত), তাঁদের ভাষায়ঃ “ইন্নাল যুনুব, হিজাবুন ‘আনিল মাহবুব”- “পাপ কাজ বান্দাহ আর আল্লাহর মাঝে অন্তরায়”। এ বিষয়ে কুরআনের নির্দেশনাঃ হে বিশ্বাসীরা! আল্লাহর দিকে ফেরো, যেনো সফলতা অর্জন করতে পারো। (সূরা নূরঃ ৩১)
তাওবার মূলে রয়েছে ‘ফেরা’ বা ‘প্রত্যাবর্তন’- পাপ থেকে প্রত্যাবর্তন। অন্যভাবে বলতে গেলে, আল্লাহবিমুখতা থেকে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা। তাওবা না করলে আমাদের গুনাহগুলো ক্রমশঃ জমে জমে অন্তরে অন্ধকারের অবগুণ্ঠন টেনে দেয়। ক্রমে এই আড়ালের পুরুত্ব বাড়তেই থাকে। একসময় হৃদয় অন্ধ হয়ে যায়; ঐশ্বরিক জ্যোতি সে আর দেখতে পায় নাঃ বস্তুত চোখতো মোটেও অন্ধ নয়, অন্ধ হচ্ছে হৃদয় যা আছে বুকের ভিতর। (সূরা হাজ্জঃ ৪৬) কুরআনে আরো আছেঃ না! তাদের হৃদয়ে জং ধরেছে, তাদের কার্যকলাপের কারণে। (সূরা মুতাফফিফীনঃ ১৪)
নিচে আমরা তাওবার একটা সংক্ষিপ্ত প্রক্রিয়া তুলে ধরছি। এটি লিখেছেন ইবন জুযায়ী আল- কালবি রাহিমাহুল্লাহ (মৃত্যুঃ ৭৪১ হিজরি, ১৩৪০ ঈসায়ী)। এটি নেয়া হয়েছে তাঁর লিখিত কুরআন এর বিখ্যাত তাফসীর, আল- তাহসিল লি উলুম আল- তানযীল, (ওহী বিজ্ঞান সহায়িকা) থেকে। অতি সংক্ষেপে ইবন জুযায়ী এখানে তাওবার প্রক্রিয়া, তাওবাকারীর মানসিক অবস্থা এবং তাওবার পূর্বশর্ত তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে তিনি যেভাবে তাওবার ধাপগুলো চিত্রায়িত করেছেন তা খুবই উপকারী; এতে করে মু’মিনের আল্লাহর দিকে ফিরে আসা দৃঢ়তর হয়, সে তার রাব্ব এর আরোও কাছাকাছি আসতে পারে।
ইবন জুযায়ী লিখেছেনঃ
হে বিশ্বাসীরা! আল্লাহর দিকে ফেরো, যেনো সফলতা অর্জন করতে পারো। (সূরা নূরঃ ৩১)কুরআন, সুন্নাহ-র দলিল এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্যমতের ভিত্তিতে এটা প্রতিষ্ঠিত যে তাওবা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ঈমানদারের জন্য অবশ্যকর্তব্য; ফরজ।
তাওবায় করণীয় তিনটিঃ (১) অনুশোচনা; এই অনুতাপ কোন পার্থিব ক্ষতির জন্য নয়, বরং হতে হবে আল্লাহর নির্দেশ অমান্যের জন্য। (২) গড়িমসি বা অবহেলায় সময় নষ্ট না করে অবিলম্বে গুনাহ থেকে নিবৃত্ত হতে হবে এবং (৩) ভুলের পুনরাবৃত্তি না করার শপথ নিতে হবে। যদি কেউ ওয়াদা পালনে সক্ষম না হয়, তাহলে নতুন করে আবার সংকল্পবদ্ধ হতে হবে।
তাওবার বৈশিষ্ট্য তিনটিঃ (১) সম্পূর্ণ অসহায়ত্বের অনুভূতি নিয়ে নিজের গুনাহর স্বীকারোক্তি দেয়া (২) অনুনয়- বিনয়ের সাথে আল্লাহর কাছে ক্ষমাভিক্ষা বৃদ্ধি করা এবং (৩) অতীতের পাপমোচনের লক্ষ্যে বেশী বেশী ভালো কাজ করা।
তাওবার রয়েছে সাতটি স্তরঃ (১) অবিশ্বাসীর তাওবা; অবিশ্বাস থেকে বিশ্বাসের দিকে (২) আন্তরিক বিশ্বাসীর তাওবা; গুরুতর অপরাধ (কবীরা গুনাহ) থেকে (৩) মর্যাদাবান বিশ্বাসীর তাওবা; লঘু অপরাধ (সাগীরা গুনাহ) থেকে (৪)আন্তরিক পরহেজগার ব্যক্তির তাওবা, আলসেমি থেকে (৫) পথচারীর তাওবা, হৃদয়ের দোষ- ত্রুটি থেকে (৬) উন্নত হৃদয়- বিবেকবান ব্যক্তির তাওবা, সন্দেহজনক বিষয় থেকে (৭) আত্মিকভাবে আল্লাহকে প্রত্যক্ষকারীর তাওবা, আল্লাহ থেকে অমনোযোগী হয়ে যাওয়া থেকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
তারান্নুম বলেছেন: r likhchhen na keno??