![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাহেদুল ইসলাম
গত ৭ জানুয়ারী ফেলানী হত্যার দুই বছর পূর্ণ হলো। ২০১১ সালের এইদিনে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে গুলি হত্যা করা হয় ফেলানীকে। বিএসএফ ফেলানীকে খুব কাছে থেকে গুলি করে তার লাশ কাটাতারের মাঝে ঝুলিয়ে রেখেছিল। ফলে বিনা চিকিৎসায় সেখানেই মারা যায় ফেলানী। একপর্যায়ে বিএসএফ পশুর মতো লাশটির হাত-পা বেঁধে বাঁশে ঝুলিয়ে কাঁধে করে নিয়ে যায়। আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো সেসময় এ ধরনের হত্যাকান্ডকে মারাত্বক অপরাধ, মানবাধিকারের চরম বিপর্যয় এবং বিচার বহির্ভুত হত্যা বলে উল্লেখ করেছিল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংস্থা বিএসএফ এর এধরনের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষন করে তাদের একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী বাহিনী বলে আখ্যা দিয়েছিল। কিন্তু তার পরও টনক নড়েনি ভারতের, বন্ধ হয়নি তাদের এ সীমান্ত হত্যার মত অপকর্ম। আজ ফেলানী হত্যার দুই বছর পূর্ণ হলো কিন্তু ফেলানী হত্যার পরে সরকার বা পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে যে সব ওয়াদা করা হয়েছিল তার কোন কূটনৈতিক সূফল আমরা পাচ্ছি না। এমনকি ভারতের পক্ষ থেকেও সীমান্ত হত্যার বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও আজো তা বন্ধ হয়নি। ২০১৩ সালের শুরুতেই চার বাংলাদেশীকে বিএসএফ বাহিনী হত্যা করে নববর্ষের শুভোচ্ছ দিয়েছে। সীমান্ত হত্যা আজ যেন এক চলমান প্রক্রিয়ায় রূপ নিয়েছে, যা কখনোই বন্ধ হবার নয়। গতবছর এক কিশোরকে ধরে নিয়ে বিবস্ত্র করে বিএসএফ বাহিনী যে পাশবিক নির্যাতন চালায় তার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু তার পরও টনক নড়েনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের। এ ধরনের হত্যাকান্ডের ঘটনা নতুন নয় বরং তা দিনের পর দিন তা বেড়েই চলেছে। বৈঠকের পর বৈঠক করেও কিছুতেই তা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিক নির্যাতিত হচ্ছেন এবং তাদের গুলিতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন ও মানবাধিকারের কোন তোয়াক্কা করছে না তারা। কখনও কখনও সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভেতরেও প্রবেশ করে মানুষ হত্যা করতে পিছপা হচ্ছে না। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার হিসাব অনুযায়ী গত তিন বছরের ব্যবধানে বিএসএফ সদস্যরা ১২৮ বাংলাদেশী নাগরিককে গুলি ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। তার মধ্যে ২০১০ সালে ৭৪ জন ও ২০১১ সালে ৩১ জন এবং ২০১২ সালে প্রায় ২১ জন বাংলাদেশী নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছে ১৬০ জন এবং বিভিন্ন সময়ে অপহƒত হয়েছেন আরো ৬০ জন।
আমরা ভারতকে সবাই বন্ধু রাষ্ট্র বলেই জানি, এমনকি আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতের জন্য একটা বড় জায়গা রাখা হয়। তাকে এড়িয়ে আমারা কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারি না। ভারত বন্ধুত্বের দাবিদার ১৯৭১ সাল থেকে, স্বাধীনতা যুদ্ধে সময় আমাদের পাশে দাড়িয়ে অবশ্যই বন্ধুর মতো সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল যেটা আমরা কখনই অস্বীকার করতে পারব না। কিন্তুপ্রশ্ন হলো ভারতের বর্তমান কার্যকলাপ দেখে তাকে কি বন্ধু ভাবা যায়, সে কতটুকু আমাদের বন্ধুত্বের মূল্যায়ন দেয়? একের পর এক সীমান্ত হত্যা বেড়েই চলেছে। শুধু সীমান্ত হত্যাই নয় আরো অনেক ক্ষেত্রেই সে আমাদের চারদিক থেকে শোষণ করেই চলেছে। তার শোষনের মাত্রা এত বড় যে বাংলাদেশের মত একটা ক্ষুদ্র দেশকে খুব সহজেই ধ্বংস করা সম্ভব। স্বাধীনতার পরেই বাংলাদেশ এবং ভারতের মাজে যে সমস্যা দেখা দেয় তা হল ফারাক্কা ও অন্যান্য নদী গুলোর পানি বন্টন সমস্যা। ৬০’র দশকে ভারত গংঙ্গা নদীর উপর বাঁধ নির্মান করে এবং ১৯৭৫ সালে এ বাঁধ চালু করে। ১৯৭৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ এবং ভারতের মাঝে ৫ বছর মেয়াদী পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যার মেয়াদ শেষ হয় ১৯৮২ সালে। এই চুক্তিতে বাংলাদেশর জন্য ৩৪ হাজার কিউসেক পানি রাখা হলেও বাংলাদেশকে বরাবরই তার ন্যায্য ভাগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ৮০’র দশকে স্বল্পমেয়াদের আরো কয়েকটি চুক্তি স্বক্ষরিত হলেও ভারতের অসহযোগীতাপূর্ন আচরনের জন্য সেগুলোর কোন কার্যকারিতা ছিল না। এরপর ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেব গৌড়া এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ নিজ দেশের পক্ষে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানিবন্টন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। গত ১২ ডিসেম্বর এ চুক্তির মেয়াদ ১৬ বছর পূর্ন হলেও চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে এ পর্যন্ত কোনো বছরেই বাংলাদেশ তার পানির ন্যায্য হিস্যা পায়নি। ফলে পদ্মা নদীবেষ্টিত ৬টি জেলায় তীব্র মরুকরন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রমত্তা পদ্মা এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। যার ফলে প্রতি বছর বাংলাদেশ প্রায় ২০০ কোটি টাকার ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
১৯৭৪ সালে চুক্তি হওয়া সত্বেও ভারত বাংলাদেশের কাছে তিন বিঘা করিডোরকে হস্তান্তর করেনি। অথচ এই চুক্তি অনুযায়ী বেরুবাড়ী করিডোরকে বাংলাদেশ ভারতের কাছে হস্তান্তর করেছিল। বরং ভারত বাংলাদেশের স্বার্থকে মূল্যায়ন না করে শুধু নিজ স্বার্থ ভেবে দীর্ঘদিন এ সমস্যাকে ঝুলিয়ে রেখেছে। বঙ্গোপসাগরের মাঝে জেগে ওঠা দক্ষিন তালপট্টি দ্বীপ নিয়ে যে জটিলতার তৈরি হয়েছিল সেখানেও ভারত একতরফা ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছিল। বাংলাদেশ সরকার এর মালিকানা নিয়ে যৌথ জরিপ দাবী করলেও সে দাবীকে উপেক্ষা করে ১৯৭৮ সালের মার্চে পশ্চিম বাংলা সরকার সেখানে একতরফা ভাবে ভারতীয় পতাকা উত্তোলন করে। অথচ আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন অনুযায়ী এ দ্বীপের মালিকানা বাংলাদেশের।
বানিজ্যের দিক থেকেও ভারত বাংলাদেশকে শোষন করে চলেছে। যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে সহযোগীতা পাওয়ার কথা সেখানে ভারতের সাথে বাংলাদেশের পাহাড় সমান বানিজ্য ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ভারত থেকে আমদানী করেছিল ১১ হাজার ১৩৮ কোটি টাকার পন্য যেখানে রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল মাত্র ৫৯০ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এখানে ঘাটতির পরিমান ছিল ১০ হাজার ৫৪৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা (বাংলাবাজার, ২৬ জুন’৯৭)। এতবড় বাণিজ্য ঘাটতি থাকা স্বত্বেও ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে ট্রানজিট থেকে বাংলাদেশের লাভ হবে। কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে তার বিপরীত। বাংলাদেশ এর থেকে যতটুকু না লাভবান হচ্ছে তার চেয়ে বেশী ক্ষতির শিকার হচ্ছে। ভারতে বাংলাদেশী পন্য রপ্তানীকে নিরুৎসাহীত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অসুল্ক বাঁধা এবং পদ্ধতিগত জটিলতার সৃষ্টি করছে ভারত। যার ফলে ভারতের সাথে বানিজ্য ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। এমনকি ট্রানজিন সুবিধা প্রদান করায় ভারতের পন্যবাহী বড় বড় ট্রাক গুলো অবাধে দেশের অভ্যন্তরে চলাচল করছে যা দেশের রাস্তা-ঘাটগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে। এমনকি তাদের যানবাহন চলাচলের জন্য তিতাস নদীর উপর বাঁধ দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন নদী প্রবাহকে ব্যহত করে কৃষি নির্ভর অর্থনীকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দিয়েছে। যেখানে বিশাল পরিমান লাভ হওয়ার কথা তার বিপরীতে বাংলাদেশকে প্রতিবছর কোটি কোটি লোকসানের হিসাব গুনতে হচ্ছে।
এরপর আসা যাক টিপাইমুখ প্রসঙ্গে, অনেক আন্দোলন ও বিতর্ক সত্বেও ভারত টিপাইমুখে বাধ নির্মান করে চলেছে। এর ফলে সিলেট অঞ্চলের প্রায় ১৬ টি জেলায় মরুকরন শুরু হবে যা একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দেবে। মরুকরণ সৃষ্টি হবে, খাবার পানির সংকট দেখা দেবে এবং লোনা পানি প্রবেশের ফলে প্রতি বৎসর বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকার কৃষি সম্পদ নষ্ট হবে। বর্ষা মৌসুমে টিপাইমুখে অতিরিক্ত পানি ছাড়ার কারনে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন ও ভূমিধ্বস দেখা দেবে। এমনকি এটা বাংলাদেশে বড় ধরনের বন্যাও সৃষ্টি করতে পারে।
স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সাহায্য করেছিল তার ৪০ বছল পার হলেও ভারতের কাছ থেকে আর বন্ধুসুলভ আচরন পাওয়া যায়নি, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সীমান্ত নানা দিক থেকে ভারত নিজ স্বার্থ অর্জনে ব্যস্ত থেকেছে আর বংলাদেশকে সব দিক থেকে করছে বঞ্চিত। তাই এ ধরনের একটি রাষ্ট্রের সাথে বন্ধু নামক শব্দটি কখনই শোভা পায়না। ভারতের চাটুকারিতামুলক কথায় বিশ্বাস না করে দেশের স্বার্বভৌমত, দেশের অর্থনীতি, জনগনকে নিয়ে ভাবতে হবে, তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। ভারতের কাছ থেকে সীমান্ত হত্যার যথাযথ বিচার আদায় করতে হবে এবং ভবিষতে এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারত যেহেতু তার স্বার্থ ছাড়া কিছু বোঝে না সেহেতু বাংলাদেশেরও উচিত হবে তার স্বার্থেকে প্রাধান্য দেওয়া। মনে রাখতে হবে, রাজনীতিতে আগে নিজের স্বার্থ পরে বন্ধুত্ব।
জাহেদুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১
বীরেনদ্র বলেছেন: স্বার্থের কাছে বন্ধু বলে কোণ শব্দ নেই। ভারত তার স্বার্থ দেখে সুতরাং বাংলাদেশকেও তার স্বার্থ দেখতে হবে এ ব্যাপারে একমত। সীমান্ত হত্যা এক অপরাধ, এবং পানি প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ।
কিন্তু এর কোন সমাধান ও তো দেখা যাচ্ছে না। ভারতকে বন্ধু ভাবুন বা শত্রু ভাবুন তা নিয়ে ভারতের কোন মাথাব্যাথা আছে বলে মনে হয় না। কারন হল ভারত বড় এবং শক্তিশালী দেশ।
তবে বানিজ্যের ব্যাপারে ভারতের খুব বেশী কিছু করনীয় আছে কিনা ? বানিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার দুটো উপায় ১) ভারত থেকে আমদানী কমানো এবং ২)ভারতে রফতানী বাড়ানো
বানিজ্য হয় লাভের ভিত্তিতে। বানিজ্য যদি লাভজনক না হয় তাহলে যত বড় বন্ধুই হোক না কেন বানিজ্য চলবে না আর লাভজনক হলে শত্রু হলেও বানিজ্য চলবে।
উদাহরন ঃ- ভারত চিরশত্রু পাকিস্তনের কাছে বছরে ১০ লক্ষ গরু রফতানী করে। বাংলাদেশের প্রধান রফতানী পন্য পোষাক, ভারত নিজেও পোষাক রফতানী কারক দেশ, তাই বাংলাদেশ থেকে তারা অতি সামান্যই পোষাক কিনে থাকে।
বাংলাদেশকে ভাবতে হবে নিজের কিছু করার আছে কিনা যেমন ফারাক্কার বিকল্প বাধ দিয়ে পানি ধরে রাখা সম্ভব কিনা, নিজস্ব উৎপাদন বাড়িয়ে বানিজ্য ঘাটতি কমানো যায় কিনা
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
জানতে চায় বলেছেন: ভারতের মত বন্ধু থাকলে তার আর শত্রুর প্রয়োজন হয় না...।
৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
জােহদুল ইসলাম বলেছেন: আমি লেখার শেষে বলেছি- রাজনীতিতে আগে নিজের স্বার্থ পরে বন্ধুত্ব।
জাতীয় স্বার্থের উর্ধএ অন্য কিছুই প্রাধান্য পেতে পারে না।
৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৩
মেঘকন্যা বলেছেন:
৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮
চারু হক বলেছেন: প্রতিবেশিদেশ কখনো বন্ধু হয় না, ভারত এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ ।
৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
রাসেল মেটামোরফোজ বলেছেন: ভারত হচ্ছে পৃথিবীর নিকৃষ্টতম দেশ, যে তার সব প্রতিবেশী দেশের সাথে খারাপ সম্পর্ক জিইয়ে রেখেছে।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
জােহদুল ইসলাম বলেছেন: ঠিক বলেছেন!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
জহির মোর্শেদ বলেছেন: "আমরা ভারতকে সবাই বন্ধু রাষ্ট্র বলেই জানি, এমনকি আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতের জন্য একটা বড় জায়গা রাখা হয়। তাকে এড়িয়ে আমারা কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারি না।"
কিন্তু ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে সাধারন মানুষের জীবন নিয়ে যেভাবে খেলছে---তাতে কি ভারতকে আমাদের বন্ধু রাস্ট্র বলা যায়?