![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাহেদুল ইসলাম
গত ৬ জানুয়ারি যখন ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট খেলা চলছিল। ঠিক সেই সময়ে ফুসে উঠেছে পাক-ভারত সম্পর্কের নতুন দাবানল। কাশ্মীর সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সেখানে ভারতের সেনাদের গুলিতে এক পাক সেনা নিহত হয়। এর দু’দিন পরে ৯ জানুয়ারি আবার পাকিস্তানী সেনাদের হামলায় দু’জন ভারতীয় সেনা নিহত হলে দেশদুটির সম্পর্ক উন্নয়নের সকল প্রচেষ্টাই ভেস্তে যায়, যা দক্ষিণ এশিয়ার সংহতির ও ঐক্যের প্রচেষ্টাকে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করে। স্বাধীনতার পর থেকে দেশদুটির মাঝে কখনই সম্পর্ক ভালো ছিল না। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ভারতীয় পার্লামেন্টে আত্মঘাতি হামলার পর দেশদুটির সম্পর্ক সর্বনি¤œ পর্যায়ে নেমে এসেছিল, ভারতীয় হাই কমিশনারকে ফেরৎ আনা হয়েছিল এবং পরবর্তি কিছুদিন দেশদুটির মাঝে বাস ও রেল যোগাযোগও বন্ধ ছিল। এরপর ২০০৭ সালের ভারতে পাকিস্তানগামী সমঝোতা এক্সপ্রেস ট্রেনে বোমা হামলা এবং মোম্বাই হামলার পর পাক-ভারত সম্পর্ক বলা চলে প্রায় বন্ধই হয়ে যায়। ভারত এসব হামলার জন্য পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা, জয়সা ই মোহাম্মদ প্রভৃতিকে দায়ি করে। সাম্প্রতি এই সম্পর্ক উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্দ্যোগ গ্রহন করা হয়েছিল, সর্বশেষ প্রচেষ্টা ছিল ক্রিকেট কূটনীতি। যার অংশ হিসেবে পাকিস্তানী ক্রিকেট দল ভারতে এসেছিল। পাকিস্তানী ক্রিকেট দলের এই সফরে তারা সিরিজ জয় পেয়েছে। যখন শেষদিনের খেলা চলছিল ঠিক তখনই কাশ্মীর সীমান্তের সংঘর্ষ পাক-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নের সকল পথই বন্ধ করে দিল। একই সাথে হুমকির মুখে ঠেলে দিল দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন, আঞ্চলিক সংহতি এবং ঐক্য প্রচেষ্টাকে।
১৯৮৭ সালের দেশভাগের পর থেকেই মুলত ভারত-পাকিস্তান কাশ্মীরকে নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িত। তারা এপর্যন্ত মোট তিন বার যুদ্ধে জড়িয়েছে যার দুটিই হয়েছে কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে, প্রথমটি ১৯৪৭-৪৮ সালে দ্বিতীয়টি ১৯৬৫ সালে। দেশ বিভাগের আগে ব্রিটিশরা কাশ্মীরকে বাফার স্টেটের মর্যাদা দিয়েছিল। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় স্বাধীনতার পর থেকে। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় স্বাধীনতা আইনে কশ্মীরকে ভারত বা পাকিস্তান যে কোন একটি দেশের সাথে যোগ দেওয়ার স্বাধীনতা প্রদান করা হয়। কশ্মীর ছিল একটি মুসলিম প্রধান অঞ্চল, কিন্ত এর শাসন ক্ষমাতায় ছিল একজন হিন্দু রাজা হরি সিং। ফলে সংখ্যাগরিষ্ট কাশ্মীরি মুসলিম জনগনের আগ্রহ ছিল তারা পাকিস্তানে যোগ দেবে। কিন্তু রাজা হরি সিং কাশ্মীরকে ভারতের সাথে যুক্ত করার ঘোষণা দেন। ফলে কাশ্মীরের মুসলিম অধুষ্যিত উত্তরাঞ্চলে ব্যপক বিদ্রোহ শুরু হয় যাতে প্রত্যক্ষ মদদ দিয়েছিল পাকিস্তান। এই বিদ্রোহের জের ধরেই ১৯৪৭ সালের অক্টোবরে প্রথম পাক-ভারত যুদ্ধের সুচনা হয় এবং পাকিস্তান সমর্থিত বিদ্রোহীরা একটি বিশালা অঞ্চল দখল করে তার নাম দেয় আজাদ কাশ্মীর, যা এখন পাকিস্তানের একটি প্রদেশভুক্ত। ১৯৬৫ সালে কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিতীয় যুদ্ধ হয়। এসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বন্ধ, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, বানিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানো এবং কাশ্মীর বিষয়ে একটি স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ইত্যাদি বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব দিয়ে ভারতের লাল বাহাদুর শাস্ত্রী এবং পাকিস্তানের আইয়ুব খান ১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি তাসখন্দ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এরপর ১৯৭২ সালে ইন্দিরা গান্ধি ও জুলফিকার আলী ভুট্টোর মাঝে সিমলা চুক্তি স্বাক্ষর হলে কাশ্মীর সমস্যার সাময়িক নিরসন হয় এবং এক ধরনের শান্তি অবস্থা বিরাজ করতে থাকে।
সিমলা চুক্তির মধ্য দিয়ে সাময়িক স্থিতিশীলতা আসলেও পাক-ভারত সম্পর্ক কখনই ষোলকলা পূর্ন হয়নি। বিভিন্ন সময় তাদের মাঝে ছোট-খাট দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত। ১৯৭১ সালে তৃতীয় পাক-ভারত যুদ্ধ, ১৯৯৯ সালের কারগিল সংকট নিয়ে যুদ্ধাবস্তা এবং সীমান্ত সমস্যা নিয়ে মাঝে মাঝেই উত্তেজনা পরিস্থিতি ছিল দেশ দুটির নিয়মিত ঘটনা। তবে সবচেয়ে বড় সংকট তৈরি হয় যখন ১৯৯৮ সালে ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই পারমানবিক বিস্ফোরন ঘটায়। ফলে তাদের নিয়ে পারমানবিক যুদ্ধের আশংকা তৈরি হয়, যা শুধু ভারত-পাকিস্তানেরই নয় বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ইস্যুতে পরিনত হয়। উল্লেখ্য যে, এ দেশদুটি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ সামরিক শক্তির অধিকারী। ভারতের সেনা সংখ্যা প্রায় ১৩ লাখ, অত্যাধুনিক ট্যাংক রয়েছে ২২৯৫ টি, পারমানবিক ওয়ারহেড রয়েছে প্রায় ৬০-৮০টি, আধুনিক যুদ্ধবিমান রয়েছে প্রায় ৬০০টি। অপরদিকে পাকিস্তানের সেনা বাহিনী রয়েছে প্রায় ৬ লাখ ২০ হাজার, ট্যাংক রয়েছে ৩৬২০ টি, পারমানবিক ওয়ারহেড আছে ৯০-১০০ টি, যুদ্ধবিমান রয়েছে প্রায় ৪০০টি (সমকাল, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৩)। তবে ২০০০ সালের পর থেকে বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার পরও তাদের মাঝে সম্পর্ক উন্নয়নের জোর প্রচেষ্টা চলতে থাকে। ২০০৩ সালের অস্ত্রবিরতি চুক্তি মেনে দেশ দুটির মাঝে শান্তিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হলেও চলমান সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে সেই সম্পর্ক উন্নয়ন প্রচেষ্টা আবার ব্যহত হলো।
এখন প্রশ্ন হলো ভারত-পাকিস্তানের চলমান সংঘর্ষ আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কতটুকু প্রভাব ফেলবে বা এরূপ পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক অখন্ডতা বা ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে কি-না? এটা স্পষ্টতই বলা যায় তা সম্ভব হবে না বরং প্রতিনিয়ত বাধাপ্রাপ্ত হবে। এমনকি তাদের এই বিরোধের প্রভাব পরবে অন্যান্য দেশগুলোর উপর। আমরা জানি দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগী, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিন সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি উদ্দ্যোগ হলো সার্ক গঠন। সার্ক প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পার হলেও যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার অনেক কিছুই এখনো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি, নেপথ্যে একটাই কারণ এই অঞ্চলের দুই পারমানবিক শক্তি ভারত-পাকিস্তানের চির প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সার্কের যে কোন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় সর্ব সম্মতভাবে। তাই সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যখন কোন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় তখন দেখা যায় স্বার্থের নূন্যতম ঘাটতি হলেই ভারত-পাকিস্তান একে অন্যের বিরোধীতা করে। ফলে কোন সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয় না। শুধু যে আঞ্চলিক ফোরামেই এরূপ চিত্র চোখে পরে তা নয় বরং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনের এই দেশদুটি পরস্পর বিপরীতমুখী অবস্থানে থাকে। ফলে দেখা যায় দক্ষিণ এশিয়া আজ সকল দিক থেকে পিছিয়ে। সার্কের আজ তেমন সফলতা চোখে পড়ে না। সার্কের অনেক পড়ে প্রতিষ্ঠিত হলেও নাফটা আজ একটি সফল আঞ্চলিক জোট হিসেবে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে আমরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আর একটি জোট আসিয়ানকে দৃষ্ঠান্ত হিসেবে উল্লেখ করতে পারি। তাদের তুলনায় সাফটা আজ অনেক পিছিয়ে। দক্ষিণ এশিয়ায় মুক্তবাণিজ্য প্রতিষ্ঠার যে উদ্যোগ তাতে সাফটা সফল হয়নি। বরং বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মতো দেশগুলোতে আজ অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে। গত এক দশকে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে ৩৯ ভাগ এবং বানিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ২৩ ভাগ। একই সাথে বাড়ছে মুদ্রাস্ফিতিও। ভারতের মতো বড় অর্থনীতির পাশে বাণিজ্য করতে এসব ছোট অর্থনীতির দেশগুলো টিকে থাকতে পারছে না বা লাভবান হচ্ছে না। বড় অর্থনীতি ছোট অর্থনীতিকে শোষণ করছে। এছাড়া চলমান বিশ্বরাজনীতির আর একটি গুরুত্বপূর্ন ইস্যু হলো জলবায়ু যেখানে বাংলাদেশ ও ভুটান রয়েছে খুব ঝুকিতে থাকলেও ভারত সমস্যা সমাধানে তেমন উদ্যোগী নয়। অথচ সে অন্যতম একটি কার্বণ নিঃসরণকারী দেশ। ফলে এই দেশগুলো চরম নিরাপত্তা ঝুকিতে রয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো কাশ্মীর সমস্যার সমাধান কি কখনই হবে না? এই সমস্যার সমাধান না হলে যেমন আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না তেমনি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সংহতি প্রতিষ্ঠাও সম্ভব হবে না। তাহলে এর সমাধান কোন পথে? বিভিন্ন সময় এই সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘ উদ্যোগ গ্রহন করলেও বৃহৎ শক্তির ভেটো প্রদানের কারণে তা বাস্তাবায়ন করা সম্ভব হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন যেখানে পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছে সেখানে সোভিয়েত ইউনিয়ন সমর্থন দিয়েছে ভারতকে। সোভিয়েত ইউনিয়ন কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পক্ষে তিনবার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর বিষয়ে গণভোট এবং দ্বিপাক্ষীক আলোচনার প্রস্তাব উঠলে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম বারের মতো ভেটো ক্ষমতা প্রদান করে। এরপর ১৯৫৭ সালে কাশ্মীরে জাতিসংঘ বাহিনী প্রেরণের প্রস্তাব করা হলেও সোভিয়েত ইউনিয়ন তাতে ভেটো দেয়। ১৯৬২ সালে ইস্যুটি আবার নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করা হলে তৃতীয়বারের মতো সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো প্রদান করে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রও কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানকে নিরঙ্কুশ সমর্থন প্রদান করলে দুই বিরোধী জোটের প্ররোচনায় ভারত-পাকিস্তান কাশ্মীর সমস্যার প্রকৃত সমাধান আজো খুজে পায়নি। তবে দ্বিতীয় পাক-ভারত যুদ্ধের (১৯৬৫) পর সোভিয়েত সহযোগীতার হাত বাড়াতে তাদের মাঝে তাসখন্দ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং একটি স্থিতিবস্থার সৃষ্টি হয়। এতোদিন কাশ্মীরকে নিয়ে ভারত-পাকিস্তান উভয়েই দখল করার নেশায় মত্ত ছিল যা আজো সংকটের সৃষ্টি করছে। কিন্তু কাশ্মীর প্রকৃত অর্থে কি চায় সেটাই হলো দেখার বিষয়! ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর আজ স্বায়ত্বশাসন দাবি করছে। একই সাথে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরও স্বাধীনতা দাবি করছে। তারা পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামো থেকে বেরিয়ে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর অংশের সাথে জাড়িয়ে রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। যেটা পাকিস্তানের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয় কারণ পাকিস্তানের কৌশল পত্রেই উল্লেখ করা আছে যে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর আজাদ কাশ্মীরের সাথে একত্রিত হয়ে তা পাকিস্তানের ফেডারেল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত হবে। এছাড়া আফগানিস্তান ও পাকিস্তান জঙ্গি সংগঠনগুলোর সহযোগীতায় কাশ্মীরেও জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে যারা ঐক্যবদ্ধ কাশ্মীর প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে এবং দুই রাষ্ট্রেরই নিয়ন্ত্রন থেকে বেড়িয়ে আসতে চায়। এরূপ পরিস্থিতিতে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান ক্রমাগত কঠিন হয়ে পড়ছে।
তবে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অখন্ডতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সংহতি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ভারত-পাকিস্তানের এই বিরোধ নিরসন হওয়া জরুরি। এরূপ অরাজকতা বিদ্যমান থাকলে আঞ্চলিক অর্থনীতি এবং বানিজ্যের উপরও তা নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করবে। জঙ্গিবাদের উত্থানই ছিল আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের অন্যতম একটি কারণ। এখন এই অঞ্চলেও যদি জঙ্গিবাদ বৃদ্ধি পায় তাহলে সেখানে তৃতীয় শক্তির প্রভাব আরো বৃদ্ধি পাবে যা আঞ্চলিক ঐক্য প্রতিষ্ঠায় আরো বাধা সৃষ্টি করবে। তাই দক্ষিণ এশিয়ার ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হলো দুই পারমানবিক শক্তিকে দ্বন্দ্ব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যাসহ দ্বিপাক্ষীক অন্যান্য সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। উল্লেখ্য যে, সহিংসতা কোন সমাধান দিতে পারে না। তাই চলমান সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘ শান্তি আলোচনার যে প্রস্তাব দিয়েছে তা মেনে নিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান হউক সে প্রত্যাশাই থাকল।
জাহেদুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: onek kicui janlam