![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ছোটবেলা থেকেই ভাল কিছু করে দেখাতে চাইতাম। স্পেশালি আমার দেশের জন্য... আমি ধান-শালিক আর মেঠোপথের এই বাংলাদেশকে খুব ভালবাসি। দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টায় আমার নিরন্তর পথচলা। আমি বিশ্বাস করি চিরসবুজ বন্ধুত্বে। তাইতো আমি সবসময় বন্ধুসলভ, নির্মল বন্ধুত্বে না নেই। অতি কম সময়ের এ পৃথিবীতে আশেপাশে যারা আছেন যাদের সাঙ্গ করেই আমাদের পথচলা সেইসব প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ভাতৃত্বের সম্পর্ক নষ্ট করতে খুবই অপছন্দ করি। প্রতিটি মানুষের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ভালমানুষটিকে আমি সম্মান করি। প্রিয় রঙ সবুজ, নীল এবং এর বিভিন্ন শেড।
বন্ধুতা জিন্দাবাদ
আমার কাছের বন্ধুদের মধ্যে একজন মিল্টন। আমি যখন রংপুর সরকারি কলেজে পড়তাম প্রথম বর্ষ থেকেই তার সঙ্গে চলাফেরা, সময়ের চাকা ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধু হয়ে যাই আমরা। এরপর একসঙ্গে হোস্টেলে থাকা, শাপলায় সিনেমা দেখা, পৌর মার্কেটে ভাপা পিঠা খাওয়া আরও অনেক কিছু দেখতে দেখতেই কেটে গেল দুইটি বছর। যতদুর চিনেছি বন্ধু আমার বেশ শান্ত ঝগড়ার আশেপাশেও নেই।
ঢাকায় আসার পর মিল্টনের মাধ্যমে পরিচয় হয় সৈকতের সঙ্গে। বরিশাল্লাইয়া পোলা কিন্তু বেশ চুপচাপ, সরল আর লাজুক। একই ভার্সিটি আর একই হলে থাকায় খুব অল্প দিনেই জমে ওঠে মিল্টন আর সৈকতের বন্ধুত্ব। মানিকজোর হয়ে তাদের পথচলা। আমি মাঝে-মধ্যেই মিল্টনের হলে যেতাম বা টিএসসির প্রাণবন্ত আড্ডায় মেতে উঠতাম। অল্পদিনের মধ্যেই আমাদের (আমি, মিল্টন ও সৈকত) বন্ধুত্ব জমে ওঠে।
কিন্তু কিছুদিন আগে শুনেছিলাম নোংরা রাজনীতির স্বীকার হয়ে দুজনে কথা কাটাকাটি কথাবলা বন্ধ করে দেয়। প্রথমেতো বিশ্বাসই হচ্ছিল না, একদিন বরাবরের মতো মিল্টনের দাওয়াতে ওর হলে গেলাম রাস্তায় সঙ্গে দেখা হলো কিন্তু সৈকত আমার সঙ্গে কথা বললো কিন্তু মিল্টনকে কেমন পাশ কাটিয়ে গেল মিল্টনও তাই। আমার খুব খারাপ লাগলো ঐদিন রাতে মিল্টনকে বললাম যে বন্ধু সব মিচুয়াল করে ফেল, লক্ষ্য করলাম মিল্টন চুপচাপ।
ঈদ এরপর আজ আমি আর মিল্টন সঙ্গেছিল বন্ধু প্লাবন ; সবাই টিএসসিতে আড্ডা দিচ্ছিলাম। গল্প করতে করতে মিল্টন বললো জানিস আমার আর সৈকতের ঝগড়া আর নেই। বেশ ভালছিল তখন এরপর শুনলাম তাদের অভিমান ভাঙ্গার গল্প, সৈকত তার প্রিয় বন্ধুর থোঁজ নিত অন্যবন্ধু ছোটভাইদের কাছ থেকে মিল্টনও নানাভাবে প্রিয় বন্ধুর ভালমন্দের খবর নিত এই ব্যাপারগুলো তারা জেনে গিয়েছিল। আর দীর্ঘদিনের জমিয়ে রাখা গল্পদিয়ে পেট যেন ফেটে যাচ্ছিল তাদের। আর তর সইছিল না কিছুতেই তাইতো একদিন সকল মান অভিমান ভুলে বন্ধুত্বের টানে ছুটে গেল দুজন-দুজনার কাছে। ওহ ঐদিন নাকি সারারাত তারা ঘুমোতে যায়নি। রাতভর জমিয়ে রাখা গল্পগুলো শেয়ার করেছে একে অন্যের সঙ্গে।
এরপর আড্ডায় যোগদিল সৈকত তার চিরচেনা লাজুক-লাজুক হাসি হেসে সঙ্গে ছিল হাস্যোজ্বল কেয়া। ঘন্টা খানেক আড্ডা দিয়েই বিদায় নিয়ে আসলাম।
বন্ধুত্ব জিনিসটাই আসলে অন্যরকম বাধনহারা, মান-অভিমান আর ছোট-ছোট টুকরো গল্প দিয়ে ভরা। আর প্রিয় মানুষদের কাছ থেকে দুরে থাকা সত্যিই কষ্টকর। বন্ধুত্ব বেঁচে থাক চিরদিন। বন্ধুতা জিন্দাবাদ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:১০
যাকরিয়া ইবনে ইউসুফ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৫৭
মনে নাই বলেছেন: বন্ধু সবুজ চিরদিন, বন্ধুত্বের বয়স বাড়ে না।
বন্ধুত্ব বেচে থাক চিরদিন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৫
নীল হৃদয় বলেছেন: ভাল লাগলো।
বন্ধুত্ব বেঁচে থাক চিরদিন।