![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সহ আমার বাকি চার ভাইবোনের জন্ম হয়েছিল একটা গোয়াল ঘরে। সে ঘরে প্রতিদিন সাপ এসে গাভির দুধ খেয়ে যেত। আমরা আতংকে জড়সড় হয়ে সাপের দুধ খাওয়ার দৃশ্য দেখতাম। সাপ সম্ভবত কুকুরের সাথে খুব একটা বিবাদে যায় না। আমাদের সাথে সে সাপের বিবাদের কথা কেউ কখনো বলেনি।
এই উঠো, উঠো না প্লিজ? জানু প্লিজ উঠো......
-আমি কোনমতে চোখ মেলে তাকালাম ( চোখে জিজ্ঞাসা, এত সকালে উঠার কি আছে? )
বলতো আজ আমি কখন উঠেছি?
মনে মনে বললাম, মাগির শুরু হইছে। আমার সকাল হয় দুপুর বারোটার পর।
-আজ তোমার জন্য স্পেশাল রান্না করেছি। আলুর শাহী বরফি আর কাশ্মিরি রোস্ট। তারাতারি হাত মুখ ধুয়ে এসো।
-অবস্থাটা এমন যে, দৌড়ে কোথাও পালাব সেই সুযোগ আর নেই। একটা আস্ত মুরগি মোরব্বার মত কেচে ৬ ঘণ্টা চিনির শিরায় ডুবিয়ে রাখা হয়। সেখান থেকে তুলে মসলা মাখানো হয়। তারপর ভেজা কাপড় দিয়ে পেচিয়ে চার ঘণ্টা ডিপ ফ্রিজে রেখে মেডিনেট না কি যেন করা হয়। এইসব শেষ হলে ডোবা তেলে লাল লাল করে ভেজে আবার কয়েক সেকেন্ড শিরায় চাপ দিয়ে ভিজিয়ে সাথে সাথে তুলে ফেলে।
বাকি রইল শাহী মোরব্বা। সেদ্ধ আলু ভালো মত ঘি এবং প্রচুর চিনি দিয়ে মেখে পেস্ট করা হয়। সামান্য গুল মুরিচের গুড়ার সাথে একটু বিট লবন মিশিয়ে বড় একটা কাচের থালায় লেপটে দেয়। এইবার থালা শুদ্ধু ৩ মিনিট ওভেনে রান্না হয়। সেখান থেকে বের হলে ছুরি দিয়ে কেটে কেটে পিছ পিছ করে উপরে একটা একটা কিসমিস বসিয়ে দেয়। ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল শাহী মোরব্বা।
আমি বাথরুমে বসে বসে কিছুক্ষন আত্মহত্যা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করলাম। আমি যে একটা কাও সেটা অতীতেই ফয়সালা হয়ে গিয়েছে। রাগ করে আর দাত মাজলাম না। চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে বের হলাম হাবলঙ্গের পুল পাড়ি দিতে। চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি ভয়ঙ্কর জিনিস গুলো। চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছি কি কি বলে প্রশংসা করব।
০৪/০৯/১৩
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
স্বপনচারিণী বলেছেন: ভালও তো লাগতে পারে......এত ভয় পাচ্ছেন কেন? তাছাড়া কোন নতুন খাবার কাওকে না কাওকে তো টেস্ট করতে হবে। গিনিপিগটা না হয় আপনিই হলেন। প্রথম চেখে দেখার গর্বিত মালিক হন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
মদন বলেছেন: