নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সতীত্ব খোয়ানো নারীর গর্ভে সোনা জন্মালো নাকি তামা জন্মালো তাতে কি আসে যায় ? আমি কলংকের সোনা।

zaku

আমি সহ আমার বাকি চার ভাইবোনের জন্ম হয়েছিল একটা গোয়াল ঘরে। সে ঘরে প্রতিদিন সাপ এসে গাভির দুধ খেয়ে যেত। আমরা আতংকে জড়সড় হয়ে সাপের দুধ খাওয়ার দৃশ্য দেখতাম। সাপ সম্ভবত কুকুরের সাথে খুব একটা বিবাদে যায় না। আমাদের সাথে সে সাপের বিবাদের কথা কেউ কখনো বলেনি।

zaku › বিস্তারিত পোস্টঃ

জলের লেখনি

০৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

কেনই বা এতো ভালোবেসে আমাকে আকাশে চড়ালেন আবার কেনই বা সেই মহাশুন্যে থেকেই নির্মম ভাবে ছুড়ে ফেলেদিলেন? একবারও কি ভেবেছিলেন আমার এই অতলে পতনের পরিনতি কি হতে পারে? না, তা যে ভাবেননি আমি জানি। আমি তো মাসিক দুইশ টাকার বাজেটে সুখেই ছিলাম বেশ। আমার সর্বোচ্চ বিনোদন ছিল আট টাকায় পাওয়া যায় এমন একটা চকবার্।গহীনে লুকিয়ে গোপনে এক দুই টান সিগারেট। আমরা জোস্নার জন্য দীর্ঘ দিবস রজনী অপেক্ষা করে থাকতাম। যখন এমনই আলোকিত রজনী সন্ধায় তার ঘ্রান ঢেলে দিত, আমরা সকলে আটটা সাইকেল নিয়ে চলে যেতাম দুরদেশের এক চরে। নির্জন চরের পেয়ারা বাগানে বসে বসে এমন রাত কাটিয়েছেন কখনো? জানি এসব সঞ্চয় আপনার শুন্য। কি? বিশ্বাস হচ্ছেনা? আরে থামুন, থামুন তো। রিয়েল নামের নস্টটাকে চিনেন? চিনেন দেখছি। তাহলে বরং তাকেই একটিবার জিজ্ঞেস করে দেখুন না কেমন ছিল সেইসব দিনগুলো। আপনার ইচ্ছে অনিচ্ছে, খেয়াল খুশি, ভালো লাগা কিংবা মন্দলাগাকে আমি সন্মান দেখিয়েই মুল্যায়ন করেছি। যেসব খামখেয়ালি পছন্দ করতে পারতাম না সেসব মুখ বুজে নিরবে সহ্য করেছি। আপনার বিপদে কতবার যে নিজের পিঠ বিছিয়ে দিয়েছি তার হিসেব কি হয়েছে কখনো? আচ্ছা একটিবার অন্তত খুব ভালো করে মনে করে বলুন তো - জীবনে কবার এই আমি আমার ব্যক্তিগত কোন লাভের আশায় কোন কিছু প্রত্যাশা করেছিলাম কিনা। জলে জন্মে আপনি পদ্ম মধুর খেতাবটি চিরতরে ছিনিয়ে নিলেন বিশ্ব ফুলের দরবার থেকে। একটিবারও কি অন্তত ভদ্রতা করে আপনার বলতে ইচ্ছে করেনি- হে দিঘী তোমায় ধন্যবাদ। মানে সামান্য একটু কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ইচ্ছেও জাগেনি মনে? অথচ দেখুন না আপনার মত লক্ষ কোটি পদ্মের জন্ম দিয়েও গত কত কত সহস্র বছরে একবারও নিজের পরিচয় প্রকাশের ইচ্ছে পর্যন্ত প্রকাশ করেনি আপনার জননী দিঘী মা।

এ সংসারে চেতনার কি অসম্ভব বিচিত্রতা, তাইনা? না না মন খারাপ করবেন না আমার প্রান প্রিয় ভাইটি। আপনার চোখে আংগুল দিতে আজ এখানে আসিনি। আপনি যদি কিছুটা লজ্জা পেয়েই যান তাও সইবার ক্ষমতা আমার নেই। আপনার কোন দুখের ভার বইবার ক্ষমতাও আমার নেই। আমিতো এখানে আজও এসেছি আপনার পাহারাদার হয়ে। যেমনটি ছিলাম বিশ্বস্ত ছড়ির মত। আজো তেমনই আছি। দিঘীতে জল তলানীতে এসে ঠেকেছে। তাই মিটিমিটি করে টিকে থাকতে চাইছি। ভয় নেই, কিছু চাইতেও আসিনি। এটা দেখে বেশ ভালো লাগছে যে, পদ্ম দিঘীর প্রয়োজন আপনার ফুরিয়েছে চিরতরে। আপনার নতুন পরিচয় এখন পদ্ম মধু হিসেবে। আপনি চাইলেই দুনিয়ার সকল অন্ধকে ভালো করে দিতে পারেন চোখের পলকে।

প্রিয় জনাব, ভালো থাকবেন। ও হা আরেকটা কথা। পুরানো এ দিঘীতে কিন্তু ভুলেও আর পা ছোয়াবেন না যেন। পানির অভাবে এখানে নিয়ত মারা পরছে মাছ, শামুক ঝিনুক সহ সকল জলজ। এখানকার পানি এখন মরন ঘাতী বিষ। এ বিষে আমি নিজেও আক্রান্ত হয়ে গেছি। জনাব, এ জনম জলে ভুলেও হাত ছোয়াবেন না যেন। আপনার কোন কষ্ট আমি সইতে পারব না। হাজার বার পরও একই কথা বলে গেছি জনম জনম ধরে। জনম জনম ধরে। জনম জনম জনম জ ন ম জ ন ম জ ন ম জ ন ম.....................

Like · · Share

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.