![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সহ আমার বাকি চার ভাইবোনের জন্ম হয়েছিল একটা গোয়াল ঘরে। সে ঘরে প্রতিদিন সাপ এসে গাভির দুধ খেয়ে যেত। আমরা আতংকে জড়সড় হয়ে সাপের দুধ খাওয়ার দৃশ্য দেখতাম। সাপ সম্ভবত কুকুরের সাথে খুব একটা বিবাদে যায় না। আমাদের সাথে সে সাপের বিবাদের কথা কেউ কখনো বলেনি।
সেই সকাল থেকেই কি বোর্ড নিয়ে বসে আছি। একটা বিন্দু বিসর্গ পর্যন্ত লিখতে পারিনি। কেন জানো ? কারন আমি আজ কিছুতেই তোমার চেহারা মনে করতে পারিনি। বিশ্বাস কর,তুমি দেখতে কেমন ছিলে, কেমন ছিল তোমার চাহনি কিংবা কথা বলার ঢং অথবা সেই বিখ্যাত সত্য নামের ছল- কিচ্ছু মনে নেই। বিশ্বাস কর আমার কিচ্ছু মনে নেই। শুধু মনে আছে তোমার খলখলানি হাসি, তামাসার কাশি আর কানে কানে বলে যাওয়া শেষ কথা, ‘ বাসি। তুমি একটা আস্ত বাসি।‘
অথচ এ সত্যটা বলার কথা ছিল আমার। আমার পরে অন্য পুরুষদের। আমি জানি কেউ সে সুযোগ পায়নি। তার আগেই তাঁদের কানে বেজে গেছে তোমার ঝংকারি বাশি। বাসি, তুমি একটা আস্ত বাসি। বেশির ভাগই পুরুষই এই মিথ্যেটা বিশ্বাস করে বসেছিল একেবারেই বিনা কারনে। এরা বিশ্বাসী। তোমরা যখন যা কিছু বলবে তারা তখনই সেসব বিশ্বাস করে বসে। আমি দেখেছি তাঁদের -সামান্য চন্দনের জন্য কত সহজেই না খুন হয়ে গেছে বিরাপ্পনের হাঁতে। সেদিকে তাকিয়ে তুমি একটা নিঃশ্বাসও ফেলার প্রয়োজন বোধ করনি।
নদীর গরম ঘোলা জ্বলে যখন মাছেদের বিয়ে হয় তখন তাঁদের গায়ের মাঝ বরাবর লম্বা লাল দাগ পরে। এমনই আষাঢ়ের অবেলায় যখন তুমি আমার হৃদয় ছুতে এসেছিলে তখন লাল দগদগে ক্ষত নিয়ে তোমার প্রেমিকের লাশ ভেসে যাচ্ছিল নতুন জলের উষ্ণ ধারায় অজানা কোন সাত সাগর বা তের নদীর দেশে। তুমি কোন ভুমিকা ছাড়াই বলে ফেলতে পেরেছিলে, একদম ভিজে গেছি, নির্ঘাত জ্বর এসে গেছে। তোমার কাছে কি বাড়তি লুঙ্গি বা টাউয়েল হবে? কাপড় গুলো ছড়িয়ে দিতে হবে। ঠিক আছে তাকিও না, আমি না হয় একটা কাথা গায়েই তোমার পাশে কিছুক্ষন শুয়ে থাকি। উড ইউ মাইন্ড?
তোমার স্বপ্নের ছক অনুযায়ী বলে বসেছি, নারী তুমি এতো সাহসী আর এতো সুন্দর ? আমরা এভাবেই কাটিয়ে দিয়েছিলাম অনেক অনেকগুলো দীর্ঘ বরষা মাস। আমার জীবনের সবচেয়ে আলোকিত প্রেম, হরিন আর জীবনানন্দের রাত ভর্তি কবিতায়। আমরা একসাথে কত কত কলসি পান করেছি তার কোন হিসেব বা মানে কিছু আছে বলে মনে হয় না। তবু সেসব প্রেমময় পেয়ালা, তোমার বুকের গন্ধ আমাকে এখনো হিংস্র জানোয়ার করে দেয় সোনা। সোনা আমি সব জেনেও আবার বনে যেতে চাই। চাই আরেকটা বর্ষা। যদিও গল্পের শেষটা আমি সবচে ভাল জানি। সত্যি বলছি, আমি না হয় না জানার অভিনয় করব। তুমি ধরতেই পারবেনা কোনটা অভিনয় অথবা কোনটা সত্য।
আমার মনে আছে, তুমি খুব কেঁদেকেটেই আমাকে চন্দনবনে পাঠিয়েছিলে। আমি বিরাপ্পনকে ফাকি দিয়েই বাটি ভর্তি চন্দন নিয়ে আসতে পারব- এ ভাবনা তোমার কোন কালেও ছিল না। ফিরে এসে দেখেছিলাম, তেজদিপ্ত তোমার নতুন পুরুষ বনে যাবার জন্য প্রস্তত হচ্ছে। তুমি হিসহিসিয়ে তার কানে রাতজাগা বেশ্যার সুরে সেই কথাগুলোই বলে যাচ্ছ যা পূর্বের সবাই একবার করে শুনেছিল কিন্তু কেউ আর ফিরে আসেনি। তুমি যুগের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়েই ভেসে রইলে। শুধু জাননা, আমি ফিরে এসেছি। তুমি জাননা, আমি এখন তোমার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছি। হুম খুব কাছেই এসে পড়েছি।
২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫
লেখোয়াড় বলেছেন:
খুবই ভাল লিখেছেন।
ভাল লাগল।
+++++++++++++++
৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৩
zaku বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
তাসলিমুল আলম তৌহিদ বলেছেন: খুবই ভালো লেগেছে...