![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সহ আমার বাকি চার ভাইবোনের জন্ম হয়েছিল একটা গোয়াল ঘরে। সে ঘরে প্রতিদিন সাপ এসে গাভির দুধ খেয়ে যেত। আমরা আতংকে জড়সড় হয়ে সাপের দুধ খাওয়ার দৃশ্য দেখতাম। সাপ সম্ভবত কুকুরের সাথে খুব একটা বিবাদে যায় না। আমাদের সাথে সে সাপের বিবাদের কথা কেউ কখনো বলেনি।
বিভীষণ পুষছে বিএনপি:
.................................
( এটি রি-পোষ্ট। আগে যাদের পড়তে সমস্যা হয়েছে বা বুঝতে পারেননি তাঁদের জন্যই ব্যাসিক্যালি এই লেখাটি দিলাম )।
দেশের সব চাইতে বড় বেসরকারী ব্যাংক ইসলামী ব্যাংককে সরকারের দলীয় লোকজন দিয়ে দখল করে নেয়া হলো। এর আগে গ্রামীন ব্যাংকেও হাত দেয়া হয়েছে। এই ঘটনা গুলো ইতমধ্যেই গতানুগতিক ঘটনা হয়ে গেছে। এগুলোর দীর্ঘ মেয়াদী ফলাফল ভোগ করবে বাংলাদেশের প্রাইভেট সেক্টর।
১) যেকোন দেশের অর্থনীতি গতিময় রাখার একটা মূল উপাদান হলো সেই দেশের Ownership Law এবং Ownership Protection. মানে কোন প্রতিষ্টান বেসরকারী খাতে বানানোর পরে কোন দেশে সেই বেসরকারী প্রতিষ্টানের মালিকানা কতোটা নিরাপদ সেটার উপর সেই দেশে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ নির্ভর করে। পৃথিবির সবচাইতে বিনিয়োগ বান্ধব Ownership Law এবং প্রটেকশন পাওয়া যায় যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সিংগাপুর, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, সুইডেন সহ গুরুত্বপূর্ন আরো কিছু অর্থনীতিতে। যে কেউ এইদেশ গুলোতে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বানায় নিশ্চিত থাকতে পারে সেই মালিকানায় সরকার কোনদিন হাত দেবে না।
২) বিনিয়োগ দুই প্রকারের হয়। একটা হলো ইকুইটি (Equity) বিনিয়োগ (যেমন শেয়ার কেনা), আর একটা হলো Debt বা লোন বিনিয়োগ। বিদেশী সংস্থা বা ব্যাংক যখন debt investor হিসেবে আসে তখন তাদের ক্রেডিট কমিটি একটা রেটিং দেয়, ভালো রেটিং না থাকলে লোন পাওয়া যায় না। এই রেটিং এর ক্ষেত্রে বেসরকারী মালিকানা কতটা শক্তিশালী তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। যেসব দেশে গত ২৫ বছরে সরকার কর্রতৃক বেসরকারী প্রতিষ্টান অধিগ্রহনের ইতিহাস থাকে সে সব দেশের বেসরকারী বিনিয়োগের রেটিং অনেক দূর্বল হয়।
৩) গ্রামীন ব্যাংক কিংবা ইসলামী ব্যাংক অনেক বড় প্রতিষ্টান। এই দুইটা প্রতিষ্টানের সাম্প্রতিক ইতিহাস বাংলাদেশের প্রাইভেট সেক্টরের বিদেশী লোন কিংবা ইকুইটি মার্কেট এক্সেস করার সুযোগ দীর্ঘ দিনের জন্যে কঠিন করে দিল। এই ব্যাপারটা বুঝার মতো লোক বাংলাদেশে কম থাকা স্বাভাবিক। কেননা সত্যিকার অর্থের আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ পরিবেশ এখানে নাই। কিন্তু থাকাটাই স্বাভাবিক ছিল।
৪) একাধিক বিদেশী ইনভেস্টর ইতোমধ্যেই তাদের শেয়ার ছেড়ে দিয়েছে ইসলামী ব্যাংকে। যারা ছেড়েছে তাদের অনেকেই বড় প্রতিষ্টান। তাদের অভিজ্ঞতা ব্যাংকিং সার্কেলে গল্প হিসেবে ঘুরতে থাকবে। ব্যানকিং সার্কেল্টা খুব ছোট এবং এই সার্কেল কোন তিক্ত অভিজ্ঞতা সহজে ভুলে না।
ইসলামী ব্যাংক খেয়ে ফেলার মাধ্যমে চেতনার বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরের যে দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি হলো, তার ক্ষতি চেতনার কারিগররা পোষাতে পারবে না।
****
এই অতি জরুরী পোষ্টটি যিনি লিখেছেন তিনি হচ্ছেন শাফকাত রাব্বি অনীক। এখানে লাইক এসেছে ৪১৮ টি এবং শেয়ার হয়েছে ৬০ টি। তিনি নিঃসন্দেহে তথ্য নির্ভর এবং গ্রহণযোগ্য লোক। কৌতুক জমে উঠেছে এর পরে। সেখানে বিএনপির জলবায়ু ও পরিবেশমন্ত্রী জনাব একেএম ওয়াহিদুজ্জামান ওরফে এ্যাপলো ওরফে কম্পিউটার চোরা তাঁর স্বভাব সুলভ তশরিফ রেখেছেন। উপযাজক হয়ে এসেছেন উপদেশ দিতে। সেখানে তিনি সরকারের ডিপি রেইল কোম্পানির সাথে সম্পাদিত চুক্তিকে টেনে আনতে চাইছেন নির্দিষ্ট একটি দিকে কিন্তু নিজে কিছু বলছেন না। তাঁর কমেন্টের পরপরই Miguel Foxtrot নামে কেউ একজন জনাব আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ( সদস্য, স্থায়ী কমিটি ), শামা ওবায়েদ ( বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ) এবং জি-৯ নামক একটি থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে জানতে চায় তাঁরা কত পারসেন্ট পেয়েছেন। ( নিচে স্ক্রিনশট গুলো দেখুন )।
সরকারের ডিপি রেইল প্রজেক্টে বিএনপি বা বিএনপি’র কেউ টাকা খেয়েছে এমন উদ্ভট প্রশ্ন তোলার কারন কি?এটা অবশ্যই উদ্দেশ্যমুলক।চলুন দেখি এই দুই বক্তব্যের আগে পরের কিছু বিষয়। বাংলাদেশ সফরে এসেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট মেম্বার রুশনারা আলী। রাষ্ট্রীয় স্বাভাবিক রীতি অনুযায়ী এসব হাই প্রোফাইল অতিথিরা এলে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সাথে দেখা স্বাক্ষাত করেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেছেন।
সরকার ডিপি রেইলের সাথে ৬০ হাজার কোটি টাকার যে চুক্তি করেছে সেখানে এদেশের পক্ষে বগিমন্ত্রী মুজিবুল হক এবং ব্রিটেনের পক্ষে রুশনারা উপস্থিত ছিলেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এখানে বিএনপি বা বেগম জিয়া কিংবা যাদের নাম উল্লেখ করা হলো তাঁদের ভুমিকা কি এবং কোথায় ? বিএনপি কি সরকারে আছে নাকি বিরোধী দলে আছে যে তাদেরকে আমলে নিতে হবে ? নাকি হাসিনা সরকার বিএনপি কিংবা সাধারন জনমতের কোনও তোয়াক্কা করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে? ওয়াহিদুজ্জামান কেন এই বিসয়ে সরকারের কোন ভুমিকার প্রশ্ন না তুলে পুরো বিষয়টাকে বিএনপি’র দিকে ঢেলে দিতে চাইছেন?দলীয় দায়িত্বশীলেরা যেখানে দল রক্ষা করে সেখানে তিনি দলের নেতাদের গায়ের জোরে দোষী বানাতে এসেছেন কেন? এসবের কান্ডের মাধ্যমে ওয়াহিদুজ্জামান ঠিক কি করতে চাইছেন? আপনারা এই প্রশ্নের স্থানে সম্পুরক পাল্টা প্রশ্ন করতে পারেন, আপত্তিকর কথা তো বলেছেন Miguel Foxtrot নামের আইডি। এর সাথে টাকলার সম্পর্ক কি ? তাহলে চলেন দেখি এই মিগুয়েলের ওয়াল, এবাউট,টাইমলাইন... ইত্যাদি।
প্রথমেই বলি ফেসবুক আইডি তে মিগুয়েলের কোন ফটো নেই। টোটাল বন্ধু ৬৪০ জন, বাড়ি গোপালগঞ্জ। নিজেকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র একজন এক্টিভিস্ট বলে দাবি করেন।তাঁর লাস্ট পাঁচটা পোষ্টের তারিখ যথাক্রমে ফেব্রু-৮/২০১৬, জানু-২২/২০১৬, জুলা-১৮/২০১৫, মে-৮/২০১৫ এবং সেপ্ট-১৪/২০১৪। অর্থাৎ প্রায় তিন বছরে সে পোষ্ট করেছে পাঁচটা যার মধ্যে একটা কার্টুন, একটা ভিডিও, একটা ঈদের শুভেচ্ছে আর একটা ওয়াহিদুজ্জামানের লেখার শেয়ার। যিনি তিন বছরে মাত্র পাঁচবার নিজের টাইমলাইন শেয়ার করেছেন যেখানে নিজে একটি লাইনও লিখেননি সেখানে তিনি কোন জাতের এক্টিভিস্ট?আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, হয় এটি ফেইক একাউন্ট নতুবা ভাড়া খাটানো ঘেটু মার্কা ছেলে দিয়ে চালানো কোন একাউন্ট যা শুধুমাত্র নিজের প্রয়োজনে কেউ ব্যাবহার করে থাকে। খেয়াল করুন পাঠক, এখানে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির মেম্বার, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জি-৯ এর মত গ্রুপের নাম উল্লেখ করে মিগুয়েলের অত্যন্ত খারাপ, অরুচিকর মন্তব্যের পরেও এ্যাপোলো সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করেনি, ডিলিট করেনি, পাল্টা কিছু বলেন নি।এর মানে তিনি এই মন্তব্যেকে মেনে নিচ্ছেন। যিদি দলের একজন সম্পাদক তিনি বা তাঁর সামনে অথবা তাঁর কাছের কেউ দলের এতবড় সর্বনাশ করবে/করার চেষ্টা করবে কিংবা বিএনপি’র দুঃসময়ে দলকে মিগুয়েল মার্কা কেউ দল ও দলের নেতাদের দশ হাত মাটির গভীরে নিয়ে যাবে তিনি বিএনপির আপন কিভাবে বিশ্বাস করি। তিনি কবে থেকে বিএনপি করেন ? তিনি বিএনপির জন্য কয়দিন জেল খেটেছেন ? তিনি কি খিলগাঁয়ের যুবক জনিদের চেয়েও বড় বিএনপি ? ১৭ টা গুলি খেয়েও জনি বলেনি আমি বিএনপি করব না। জনি বলেছে- আমার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। আমাকে ছেড়ে দিন, তাকে নিয়ে দুরে চলে যাব। তারপরেও জনি খুন হয়েছে। জনি’র মা সেজন্যে বেগম জিয়া কিংবা বিএনপিকে দায়ী করেননি। জনির স্ত্রী সন্তান প্রসবের পরে জনির স্ত্রী বলেছে, আরেকজন জাতীয়তাবাদীর জন্ম হল।হ্যা,এটাই জাতীয়তাবাদ এবং জাতীয়তাবাদের দর্শন যা আসে বীজ থেকে, বাম থেকে নয়।
আপনাদের হয়ত মনে থাকবে গত বছরের এই সময়ে এই ওয়াহিদুজ্জামান-ই ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আর ব্যারিস্টার পারভেজের পেছনে লেগেছিল।অকারন অকথ্য ভাষা ব্যাবহার করে তাদের দুরে সরাতে চেয়েছিল যারা এই সময়ে বিএনপি’র জন্য যতদুর সম্ভব কাজ করে চলেছেন।খেয়াল করুন এবার অকারনে হ্যারাজ করার চেষ্টা করছে শ্রদ্ধেয় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামা ওবায়েদ সহ জি-৯ কে। দুটি কান্ড-ই দুই শীত কালের উগ্রতা। যারা শীতের সময় এমন উন্মাদ হয়ে উঠে তাদেরকে বলা হয় সিজনাল পাগল। এ রকম-ফেরের সাথে যোগ বা বিয়োগ হয় ছাগল শব্দটি। দুই দিনের বৈরাগী বিএনপি করতে এসে ধরা’রে সরা জ্ঞান করতে শুরু করছে। বেড়ার ক্ষেত খাওয়ার দশা শুরু করছে এই কম্পিউটার চোর। আমি শুনেছি সে এখন মালয়েশিয়ায় রাজার হালতে থাকে।দেশের বিপদে সে দেশের বাইরে থাকে কেন? সেখানে তাঁর আয়ের উৎস কি ? সময়ে সব কিছুরই তদন্ত হবে। কে কার পারপাস সারভ করছে তাও বের হবে। বিএনপির অসময়ে দেশের বাইরে বসে বসে বিএনপি’র নিন্দামন্দ করবেন আর দেশের লক্ষ কোটি মানুষ আপনাকে ফুল দিয়ে বরন করার জন্য তৈরি থাকবে তা মনে করার কোন কারন নেই। সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার লোপাট, গনহত্যা, অবিরাম অসাংবিধানিক চর্চার কোন বিরোধিতা নাই আপনার মুখে। আপনি দেশের সীমানার বাইরে বসে বসে এইসব করবেন তা হবে না। কিছুতেই হবে না। হুজুরের গলায় প্রশ্ন করবেন, নারী কণ্ঠে উত্তর দিয়ে মানুষকে জ্বিনের ভয় দেখাবেন, তা হবে না। আপনাকে মুখোমুখি করা হবে, সব কিছুর কড়ায় গন্ডায় হিসেব দিতে হবে। আপনি অনেকদিন ধরেই বিএনপি’র পিছনে লেগে আছেন। লেঞ্জা ইজ ভেরী ডিফিকাল্ট টু হাইড।
জিহ্বা সামলে কথা বলুন। তা না হলে জনগন জিহ্বার বাড়তি অংশ ছিড়ে ফেলবে।
©somewhere in net ltd.