![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সহ আমার বাকি চার ভাইবোনের জন্ম হয়েছিল একটা গোয়াল ঘরে। সে ঘরে প্রতিদিন সাপ এসে গাভির দুধ খেয়ে যেত। আমরা আতংকে জড়সড় হয়ে সাপের দুধ খাওয়ার দৃশ্য দেখতাম। সাপ সম্ভবত কুকুরের সাথে খুব একটা বিবাদে যায় না। আমাদের সাথে সে সাপের বিবাদের কথা কেউ কখনো বলেনি।
---------------------------------------------------------------------------
৭৪ এর দুর্ভিক্ষপীড়িত এ জনপদে মাত্র পাচ টাকায় বিক্রি হত সদ্যজাত কোনও সন্তান, এক মালসা ফেন/ভাতের মাড়ের বিনিময়ে মিলত একেবারে অক্ষত টসটসে কোন যুবতী। সে সময়ে সাংবাদিক এবং ইন্টেলেকচুয়াল'রা কলম হাতে দাঁড়িয়ে থাকতেন ভাড়া খাটার আশায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে সে সময়ে জাতির বিবেক বলে খ্যাত এই শ্রেনীটার বাজার মুল্য ছিল সবচে কম। ৭৪ এর সাংবাদিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, যোনী পুজারী লুসিফার গং টা আবার স্ব রুপে ফিরে এসেছে ২০১৪ তে এসে। আমি একবার লিখেছিলাম, আগে সাংবাদিকদের মাঝে দু'একটা শুয়োর দেখা যেত। এখন চিত্রটা ঠিক উল্টো'। মুজিব বাহিনীর সরকার তার দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর পর থেকে এ শ্রেনীটা কলমের স্থানে নিয়েছে কালি। নিজেরা কিছু লিখেনা, কেউ কিছু লিখলে তাদের কাজ হচ্ছে হাতের কালির কালো থাবা দিয়ে সেসব মুছে ফেলা। রাষ্ট্রীয় হত্যাকান্ডকে দেশের মানুষের জন্যে প্রয়োজনীয় বলে অগ্রিম স্বীকৃতি দিয়ে দেয়া। সরকারী খুন গুলোকে তদন্তের আগেই জামাতি ট্যাগ দিয়ে মানুষের আলোচনার পথ রুদ্ধ করে দেয়া।
গত বিজয় দিবসের বিশেষ সংখ্যায় আসিফ নজরুল যে নিবন্ধটি লিখেছিলেন জিয়াকে নিয়ে তার বিপরীতে উইকিপিডিয়ায় কি লেখা আছে চলুন একটু দেখি। তিনি সেখানে লিখেছিলেন, জিয়া, তাহের -জলিল-খালেদ মোশাররফদের মত সাহসী ফিল্ড যোদ্ধা ছিলেন না। তিনি বুঝিয়েছেন জিয়া যুদ্ধ পরিচালনা করা একজন কাগুজে যোদ্ধা ছিলেন। অন্যদিকে উইকি বলছে,-
১৯৬৫ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে একটি কোম্পানী কমান্ডার হিসেবে খেমকারান সেক্টরে তিনি ( জিয়া ) অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। যুদ্ধে দুর্ধর্ষ সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য যেসব কোম্পানী সর্বাধিক বীরত্বমুলক পুরস্কার লাভ করেন জিয়ার কোম্পানী ছিল তাদের অন্যতম। এই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য পাকিস্তান সরকার জিয়াকে হিলাল-ই-জুরাত খেতাবে ভুষিত করেন।
জিয়া ৪৬৬ জন সৈন্যের একটি বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন। সেই বাহিনীই প্রথম ভারতীয় বাহিনীর সামনে পরে। তাজুল ইসলাম নামের একজন জওয়ান নিজের বুকে মাইন বেধে ভারতীয় ট্যাংকের সামনে শুয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেন।'
জাফ্রিক বাল, আসিফ নজরুলের মত শুয়োর গুলোই এদেশের ইতিহাস লিখে। এদের একমাত্র কাজ ইতিহাস থেকে সত্য গুলোকে মুছে দেয়া। এরা কিছু দিন পর সের দরে বিক্রি হবে হয়ত। আশায় আছি। ৭৪ সালের সাংবাদিকদের চেহারা ছবি আরেকবার দেখব বলে।
©somewhere in net ltd.