নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সতীত্ব খোয়ানো নারীর গর্ভে সোনা জন্মালো নাকি তামা জন্মালো তাতে কি আসে যায় ? আমি কলংকের সোনা।

zaku

আমি সহ আমার বাকি চার ভাইবোনের জন্ম হয়েছিল একটা গোয়াল ঘরে। সে ঘরে প্রতিদিন সাপ এসে গাভির দুধ খেয়ে যেত। আমরা আতংকে জড়সড় হয়ে সাপের দুধ খাওয়ার দৃশ্য দেখতাম। সাপ সম্ভবত কুকুরের সাথে খুব একটা বিবাদে যায় না। আমাদের সাথে সে সাপের বিবাদের কথা কেউ কখনো বলেনি।

zaku › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি অনাথপ্রায় শিশুর বন্টন হবার গল্প ১

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫

যে শিশুটি আজকের গল্পে আলোচ্য, আমি চাই তাকে নিয়ে লেখা প্রতিটি পংক্তি, শব্দলামা ১৬৪ নাম্বার হিসেবে কোনও বিচারক তার রেজিস্টারি বইয়ে একটু শুদ্ধ বয়ান হিসেবে লিপিবদ্ধ করে নিক। নষ্ট এই সমাজে সভ্যতার খোলস নিয়ে অভিশপ্ত এক জীবন যাপনের চেয়ে প্রমানিত নষ্টদের সাথে জীবন কাটাতে খুব একটা খারাপ লাগবে বলে মনে হয় না।

যে মা শিশুটিকে জন্ম দিয়ে বিশাল কৃতিত্বের গোপন দাবিদার হয়েছিলেন ; তার জীবনের শুরুটা কোনও সুন্দর ফুলশয্যা ছিল না। আমি দেখেছি চির অসুস্থ এক মা সারাদিন শুয়ে থাকেন ময়লা আবর্জনা মাখা থকথকে একটা কাথায়। চারিদিকে রক্ত, পানি আর মাছির মাখামাখি। এসবের মধ্যেই তিনি দিনরাত শুয়ে থাকেন। আমি শুনেছি তিনি আর বাচবেন না। আমার মা প্রায়শই তার মরে যাবার ব্যাকুল দু:শ্চিন্তায় চোখ মুছেতেন। আর আমি অপেক্ষা করতাম, কখন তার শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করার মাহেন্দ্র ঘনিয়ে আসবে। আমি অপেক্ষা করতাম, জীবনে প্রথমবারের মত কাউকে গোরস্থানে নিয়ে যাব। এ অভিজ্ঞতা আমার হয়নি আজো। সুতরাং সে মরুক আর আমার ঝুলিতে একটা অভিজ্ঞতা যুক্ত হোক।

যত দিন যেতে লাগল ততই তার শরীর খারাপ থেকে খারাপতর হতে লাগল। এখন তিনি আর নিজে নিজে চলাফেরা করতে পারছেন না। বয়স তার কতই বা হবে? কুড়ি বাইশের চেয়ে বেশি না নিশ্চয়ই। অথচ চেহারা আর শরীরের কি হাল হয়েছে দেখ !

একদিন মাগরেবের আগ মুহুরতে তিনি লাঠিতে ভর দিয়ে টয়লেটের দিকে রওনা হয়েছেন। আমি দুশ্চিন্তা করছি যেখানে সেখানে তার পরে যাবার। হলোও তাই। ফিরে আসার পথে তিনি পড়ে গেলেন না, দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেই তিনি একটি জীবন্ত বাচ্চা, রক্ত আর মাংসের দলার মত একগাদা কিছু প্রসব করে বসলেন। আমি চোখ মুখ বন্ধ করে ভয়াবহ এই দৃশ্য দেখলাম। আমি দেখলাম উঠানের মাঝখানে ছোট্র একটা রক্তমাখা শিশু যেন কেঁদে উঠল। প্রসবকারী মা হায় হায় করে চিৎকার করে কেঁদে উঠলেন। উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়ির কুকুর গুলো গগনবিদারী চিৎকার জুড়ে দিল। কি করবে যেন ভেবে পাচ্ছে না। ছোট্র শিশুটিকে ঘিরে অবিরাম ডেকেই চলেছে। আমার কারো যেন কিচ্ছুটি করার নেই। সবাই যে যার মত ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছি।

কিছুটা ধাতস্থ হবার পর আমাদের মা চাচীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে রান্না ঘরে আগুনের পাশে শুইয়ে দিলেন। রক্ত মাংসের দলা কাচানো হলে সেসব একটা বালতিতে ভরে নিয়ে মাটি খুঁড়ে সেখানে ফেলে আসা হল। যে শিশুটা কিছুক্ষন আগে জন্ম নিয়েছিল এতক্ষনে সে কুকুরের পাহরায়...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.