![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সহ আমার বাকি চার ভাইবোনের জন্ম হয়েছিল একটা গোয়াল ঘরে। সে ঘরে প্রতিদিন সাপ এসে গাভির দুধ খেয়ে যেত। আমরা আতংকে জড়সড় হয়ে সাপের দুধ খাওয়ার দৃশ্য দেখতাম। সাপ সম্ভবত কুকুরের সাথে খুব একটা বিবাদে যায় না। আমাদের সাথে সে সাপের বিবাদের কথা কেউ কখনো বলেনি।
দশ বছর। লম্বা সময়, দীর্ঘ তার পথপরিক্রমা। ৩৬৭০ দিন, ৮৮০৮০ ঘন্টা, ৫২৮৪৮০০ মিনিট এবং ৩১৭০৮৮০০০ সেকেন্ড প্রায়। এই সুদীর্ঘ সময়ে পৃথিবী তার নিকটতম নক্ষত্রের চারদিকে বাধা পরেছে দশ পাকেরও বেশি, চন্দ্র পৃথিবীর পরিসীমায় নিজেকে বেধেছে ১২৯.৫৫ বারেরও অধিক। এই সময়ে আমেরিকা শাসন করেছে অন্তত তিনজন প্রেসিডেন্ট, রাশিয়া দুইজন, ভারত দুইজন, পাকিস্তান দুইজন এমনকি কমিউনিস্ট চায়নাতেও ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে অত্যন্ত স্বাভাবিক নিয়মে। যেসব দেশে গনতন্ত্র নেই, গনতন্ত্রের নাম মুখে আনাও যেখানে পাপ, সেই উত্তর কোরিয়া, সৌদি আরাবিয়া কিংবা কিউবাতেও রাজার পরিবর্তন হয়েছে। নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ কিংবা যুদ্ধে যুদ্ধে নি:শেষ হয়ে যাওয়া দেশ আফগানিস্তানে ক্ষমতার হাত বদল হয়েছে। অথচ মডারেট মুসলিম ডেমোক্রেটিক কান্ট্রি খেতাব পাওয়া নন রেসিং স্টেট ( যে জাতি যুদ্ধ করেনা ) বাংলাদেশে ২০০৬ সালে সেই যে চেপে বসেছে রাক্ষসের দল, তাদের কোন নড়নচড়ন নেই, সেসবের কোন লক্ষনও নেই।
এখানে পিউরলি ডেমোক্রেটিক উপায়ে তাসের উপর তাস পড়ে অথচ সেই তাসের ঘরে কোন খেলোয়াড় নেই। ইলেকশনের নামে যে জুয়ার আসর বসেছিল সেখানে কিছু কুকুরের রোদ পোহানোর দৃশ্য ছাড়া আর কিছু দেখা যায়নি। এটাকেই এখানকার তথাকথিত প্রধানমন্ত্রী দেখেন বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরা হিসেবে। ককুরের সমর্থনে স্বাক্ষাত ক্ষমতার একেবারে শীর্ষ পদে চলে যাওয়া। যে নির্বাচনী প্রহসনে তাসের স্তুপ দিয়ে ভরে ফেলা ব্যালটের বাক্স গুলো বহন করার লোকও ছিল না যথেষ্ট সংখ্যায়। কি অসম্ভব বিচিত্র আর অসভ্য উপায়ে বন্দী হয়ে আছে এদেশের সতের কোটি মানুষ !! যারা এই খেলার পরিচালক তারা সবাই ওপাড়ের লোক। এখানে কাজ করে তাদের নিয়োগ দেয়া দাসানুদাসেরা যাদের রিক্রুটমেন্ট শুরু হয়েছিল সেই ১৯৬২ সাল থেকে 'স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ' নামের কুখ্যাত এক সংগঠনের চকচকে মোড়কে। কাজটা করেছিল ১৯৬২ আর ১৯৬৫ সালে চায়না এবং পাকিস্তানের হাতে বেদম মার খাওয়া ভারতীয় ক্ষুধার্ত, রক্তলোভী, চানক্য বিদ্যার প্রয়োগকারী একদল হিংস্র হায়েনা।
তার পরের ইতিহাস এদেশের প্রায় সবারই জানা। পরীক্ষামুলক বাধের নামে পদ্মায় বাধ দিয়ে একটা স্বাধীন জাতির যে নিধন প্রক্রিয়া শুরু তা প্রায় সমাপ্তির পথে এসেছে এদেশের চারিদিকে কাটাতারের বেড়ার মাধ্যমে। আন্তর্জাতিক আইনের নজীরবিহীন লংঘন এবং আগ্রাসী মনোভাবই এই মরন ফাদ ফারাক্কা আর কাটা তারের বেড়া। এর ফলে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ হয়ে গেল সবচে বড় কারাগার যার চারিদিকে সারাক্ষন পাহারা দিয়ে যাচ্ছে বিএসএফ নামের একদল পেশাদার খুনী চক্র। বেড়ার ধারেকাছে কেউ ঘেষলেই যাদের একমাত্র কাজ সেই মানুষটিকে নির্মম ভাবে হত্যা করে হয় লাশ নিয়ে যাওয়া নতুবা কাটাতারেই ঝুলিয়ে রেখে নিজেদের জোরের স্তুতি নিজেরাই করা। এই কারাগারে আবাল বৃদ্ধবনিতা, শিশু থেকে পশু কেহই রেহাই পায়নি। সবাই আপন মনে আর গোপন আতংকে কাজ করে যাচ্ছে। দিন শেষে সহীসালামতে ঘরে ফিরতে পারলেই নিজেকে দুনিয়ার সেরা ভাগ্যবান ভাবছে। প্রতিবাদ, প্রতিরোধহীন এমন শান্ত জনপদেও নিয়মিত ঘটে চলেছে খুন, গুম আর চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার বিস্তর ঘটনা। এসব এখন এতটাই স্বাভাবিক নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে যে, কোন ঘটনারই প্রতিবাদ করার সাহসও এ জাতি হারিয়ে ফেলেছে চিরতরে।
কেউ কেউ খুব গোপনে শংকা প্রকাশ করে বলেন যে, আমাদের অবস্থাও নাকি একদিন সিকিমের মত হবে। যারা এমন কথা বলেন তাদেরকে খুব বোকা মনে হয় আমার কাছে। আরে বাবা, ভারত সিকিম আর কাশ্মীর দখল করে কখনোই শান্তিতে ছিল না। কোন স্টেটকে নিজেদের সীমানায় নিয়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে সেই স্টেটের মানুষগুলিকে সকলের সমান মৌলিক অধিকার আইনগতভাবে হলেও নিশ্চিত করা। কিন্তু যদি তা না করেও ম্যাক্সিমাম উতপাদন করা যায় তবেই না লাভ বেশি, নাকি ? দেশের একজন নাগরিকের পেছনে রাষ্ট্র বছরে এক হাজার রুপিও খরচ করে তবে আমরা তাদের সীমারেখার বাইরে থাকলে তাদেরকে এক রুপিও খরচ করতে হবে না। মানে হচ্ছে, সীমার বাইরে রেখেই আমাদের সকল সহায় সম্পদের একচ্ছত্র মালিক হয়ে যাওয়া। যেখানে চাইলেও আমরা এই সীমা অতিক্রম করতে পারছি না। ফলে এদেশের সতের কোটি মানুষ বছর জুড়ে আয় করে যাবে তাবৎ দুনিয়া থেকে আর সব ধরনের খরচ করতে বাধ্য হবে সেই ব্রেকেটের মধ্যে থেকেই ভারতীয় বাজার থেকে। এখানকার সব বড় বড় চাকরি, ব্যাবসা বানিজ্য নিয়ন্ত্রন করে দেশের টাকা নিয়ে যাবে দিল্লীতে। এরপরেও মানুষ ব্যাংকে যা কিছু জমানে তা লুটের জন্যে ত আছেই শুভংকর সাহা'রা। বিনা পুজিতে সকল অরজন। ভারতের উন্নয়নের জন্য বিনা পুজিতে ভারত পেয়ে গেল সতের কোটি শ্রমিক, শিক্ষক, গায়ক,নায়ক থেকে সব। সবই বিনা পুজিতে। তাদের দেশের জনসংখ্যার চেয়েও বাড়তি সতের কোটি মানব সম্পদ। কি মজা তাই না ? আগে আফ্রিকা থেকে মানুষ শিকার করে বিভিন্ন দেশে বিক্রি করত সাদা'রা। আজকের দাদারা বিভিন্ন দেশের মানুষগুলোকে এভাবে আটকে রেখে নিজেদের সব কাজ করিয়ে নিচ্ছে। আদি পদ্ধতি আর আজকের পদ্ধতিতে ভিন্নতা এসেছে ঠিকই তবে কনসেপ্টে কোনও পরিবর্তন আসেনি।
১৮/০১/২০১৭ ইং
সীতাকুণ্ড থেকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের মানুষ কখনও ভালো ছিল না। সেটা শেখ মুজিব থেকে শুরু করে বর্তমান অবধি শেখ হাসিনা পর্যন্ত। তবে, মানুষ ভালো না থাকলেও দালালদের অবস্থান সব সময় ভালো ছিল। পাকি দালাল’রা তাদের পায়ের নিচে মাটি পেয়েছে। আর ইন্ডিয়ান দালাল’রা বর্তমানে ফ্রন্ট লাইনে আছে।
ভালো থাকবেন।