নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাবরী চুলের এক সাদামাটা ছেলে\nআমিকি লালন?\nএখনো কেবলই বুকে\nতোমায় করেছি পালন।

zazafee

যখন কিছু করার থাকেনা তখন আমি কিছু লিখতে চেষ্টা করি। আর যখন লিখতে ইচ্ছে করেনা তখন অন্যের লেখা মন দিয়ে পড়ি।

zazafee › বিস্তারিত পোস্টঃ

নববর্ষের আগে এর ইতিহাসটা জেনে নিই

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৫

আনন্দ উৎসব করার আগে আমাদের কাছে যা ইংরেজী বা খৃষ্টাব্দ হিসেবে পরিচিত সেই গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডারের ইতিহাস জেনে নিন...



বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত বর্ষপঞ্জি ঃ

অতিপ্রাচীন কাল থেকে ক্যালেন্ডারের ব্যবহার শুরু হয়ে হাজার হাজার বছর ধরে আজকের এই দিন পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকৃতির ক্যালেন্ডার মানুষ ব্যবহার করে আসছে তার মধ্যে প্রধান কয়েকটি ধরন হচ্ছে : বিশুদ্ধ সৌর, বিশুদ্ধ চান্দ্র, সৌর-চান্দ্র সংকর বা নক্ষত্র পঞ্জি। বিশুদ্ধ চান্দ্র, সৌর-চান্দ্র সংকর বা নক্ষত্র পঞ্জির সবচেয়ে বড় অসুবিধা এই যে, এসব ক্যালেন্ডার ঋতুর হিসাবের সঙ্গে মিলেনা। জ্যোতির্বিজ্ঞান ভিত্তিক পর্যবেক্ষণলব্দ উপাত্ত থেকে পাওয়া তথ্য মতে সৌর বৎসর অর্থাৎ ঋতুসমূহের বৎসরই (ণবধৎ ড়ভ ঃযব ঝবধংড়হ) প্রকৃত বৎসর। ফলে ধর্মীয় উৎসব ছাড়া নাগরিক জীবনে বিশুদ্ধ চান্দ্র, সৌর-চান্দ্র সংকর বা নক্ষত্রিক বর্ষপঞ্জির ব্যবহার হয়না কিন্তু সৌর ক্যালেন্ডার ঋতুর সাথে তাল মিলিয়ে চলায় বর্তমান নাগরিক জীবনে এর ব্যবহার পৃথিবীর সর্বত্র।



বর্তমানে সারাবিশ্বে বহুল ব্যবহৃত বর্ষপঞ্জি বা ক্যালেন্ডারের নাম ‘গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার’। যা প্রমান ক্রান্তি বৎসরের (৩৬৫.২৪২২ সৌর দিবস বা ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড) হিসাব অনুযায়ী চলে। গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার হচ্ছে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের সংষ্কারকৃত রূপ।



গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার ঃ

খৃষ্টপূর্ব ৪৬ অব্দে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার তৎসময়ে প্রচলিত ক্যালেন্ডার সংস্কার করেন। তিনি তার বর্ষপঞ্জি বা ক্যালেন্ডারে বৎসরের ব্যাপ্তি ধরেন ৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টা (৩৬৫.২৫ সৌর দিবস) যা ১২ টি মাসে বিভক্ত ছিল। এর আগে রোমান ক্যালেন্ডারে ছিল ৩০৪ দিনের বছর। যার প্রচলন শুরু হয়েছিল উত্তর ইউরোপিয় অর্ধ বর্বর জনগোষ্ঠীর মধ্যে। কথিত আছে রোম সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা রোমুলাস রোমের এই প্রথম পঞ্জিকার প্রবর্তক যার বছর শুরু হতো বসন্তের প্রথমে ১লা মার্চ থেকে; ৩০৪ দিনের বছরে ছিল ১০ মাস, আর বছর শেষ হতো শীত কালীন ক্রান্তি বিন্দুতে ডিসেম্বরে। বাকী ৬১ দিন ছিল তাদের নিষ্কর্ম কাল (ঐুনবৎহধঃরড়হ), তখন শীতের প্রচন্ডতায় কোন কাজ কর্ম করা হতো না। এ সময়ের ১০ মাসের নাম যথাক্রমে: ১. মার্চ মাস, ২. এপ্রিল মাস, ৩. মে মাস, ৪. জুন মাস, ৫. কুইন্টিলিস মাস, ৬. সিকসটিলিস মাস, ৭. সেপ্টেম্বর মাস, ৮. অক্টোবর মাস, ৯. নভেম্বর মাস ও ১০. ডিসেম্বর মাস। এরপর গ্রীক জ্যোতির্বিদ নুমা পম্পিলিয়াস (৭১৫ – ৬৭২ খৃষ্টপূর্ব) প্রথম বারো মাসের বৎসর চালু করেন। তিনি পুরানো ১০ টি মাসের সাথে জানুয়ারী ও ফেব্র“য়ারী মাস যুক্ত করে ক্যালেন্ডার সংস্কার করেন। ১২ টি মাসের বৎসর হলেও বৎসরের পরিধি এক এক সময় এক এক রকম ছিল। কারণ ঐ সময়ের রোম সম্রাজ্যে মাস বা বৎসর হিসাব করতে চাঁদের উপরই নির্ভর করতে হতো। জুলিয়াস সিজার যখন রোমের সম্রাট তখন একবার দেখা গেল প্রকৃত সৌর বৎসরের সাথে পঞ্জিকার হিসেবে গরমিল প্রায় ৮০ দিন। পঞ্জিকা অনুযায়ী যখন হবার কথা বসন্তকাল তখন আসলে প্রচন্ড শীত। জ্যোতির্বিদদের পরামর্শ নিয়ে জুলিয়াস সিজার খৃষ্টপূর্ব ৪৬ অব্দে নির্দেশ দিলেন এখন থেকে বৎসর ধরা হবে ৩৬৫ দিনে; যে বছর চার দিয়ে বিভাজ্য হবে তাকে গণ্য করা হবে ‘অধিবর্ষ’ (খবধঢ় ণবধৎ) হিসেবে এবং সে বৎসর ফেব্র“য়ারী মাসে অতিরিক্ত ১ দিন যোগ করা হবে। এরপর এই ক্যালেন্ডারের ৫৭৮ বৎসর পেড়িয়ে গেলে ডাইও নিসিয়াম এক্সিগুয়াস নামের এক খৃষ্টান পাদ্রি একে তখনকার সময় থেকে ৫৩২ বৎসর পূর্বে যীশু খৃষ্টের জন্মের বৎসরকে ধারনা করে ৫৭৮ সালকে পরিবর্তন করে ৫৩২ (ক্রিশ্চিয়ান এরা) খৃষ্টাব্দ প্রবর্তন করেন। যদিও পরবর্তীতে দেখা যায় যীশু খৃষ্টের জন্ম বৎসর তারও চার বছর পরে।



কিন্তু জুলিয়াস সিজার প্রবর্তিত জুলিয়ান ক্যালেন্ডারেও রয়ে গেল কিছুটা ভুল। কারণ জুলিয়াস সিজার যেখানে বৎসরের ব্যাপ্তি ধরেছেন ৩৬৫.২৫ সৌরদিবস (৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টা), আসলে সেখানে হবে ৩৬৫.২৪২২ সৌর দিবস (৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড) যা জুলিয়ান ক্যালেন্ডার থেকে ১১ মিনিট ১৩ সেকেন্ড বা ০.০০৭৮ দিন কম। এই সামান্য গরমিল পাঁচ দশ বছরে কোন প্রভাব না পড়লেও জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৪৮৩ বৎসরে ১১ দিন অতিরিক্ত হয়। ১৫৮২ খৃষ্টাব্দে দেখা যায় বসন্ত বিষুবন পড়েছে ২১ মার্চের পরিবর্তে ১১ মার্চে। ঐ বছর রোমের ত্রয়োদশ পোপ সেন্ট গ্রেগরী (৮ম) ১৫৮২ সালের হিসাব থেকে ১০ দিন বাদ দিয়ে পঞ্জিকা সংশোধন করেন এবং জুলিয়ান পদ্ধতি সংস্কার করে সংশোধনীতে বলেন, যে শতবর্ষীয় সাল গুলো ৪০০ দ্বারা বিভাজ্য নয় সে সাল গুলোকে ‘অধিবর্ষ’ বা লিপইয়ার হিসেবে গন্য করা হবেনা। কারণ বৎসরের দৈর্ঘ্য ৩৬৫.২৪২২ সৌর দিবস হলে প্রতি চারশত বৎসরে লিপইয়ার প্রয়োজন ৯৭ টি ১০০ টি নয়। তাই প্রতি চার বৎসরে যে অধিবর্ষ বা লিপইয়ার ধরা হয় চার শত বৎসরে তার মধ্যে ৩টি বাদ দিতে হয়। গ্রেগরীয়ান নিয়ম অনুযায়ী চারশত বৎসরের চারটি শতবর্ষীয় লিপইয়ার সাল থেকে যে সালটি ৪০০ দ্বারা বিভাজ্য সেটিকে লিপইয়ার ধরে বাকী ৩টিকে লিপইয়ার হিসেবে গণ্য করা হবেনা।



এই পদ্ধতি অনুসারে ইংল্যান্ডে ১৭৫২ সালের হিসাব থেকে ১১ দিন বাদ দিয়ে পঞ্জিকা সংশোধন করা হয়। সংশোধিত গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডারই আন্তর্জাতিক বা ওয়েস্টার্ণ ক্যালেন্ডার হিসেবে খ্যাত আমাদের কাছে যা ইংরেজী বা খৃষ্টাব্দ হিসেবে পরিচিত।



বিশ্বে ব্যবহৃত ক্যালেন্ডার সমূহ (উইকিপিডিয়া অনুসারে) ঃ



নং ক্যালেন্ডারের নাম খৃষ্টীয় ২০০০ সালে চলমান সাল

১ গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার ২০০০

২ অনঁৎনব ঈড়হফরপধ ২৭৫৩

৩ আরমেনিয়ান ক্যালেন্ডার ১৪৪৯

৪ বাহা’ই ক্যালেন্ডার ১৫৬ – ১৫৭

৫ বাংলা ক্যালেন্ডার ১৪০৭

৬ বারবার ক্যালেন্ডার ২৯৫০

৭ ইৎরঃরংয জবমহধষ ণবধৎ ৪৮ – ৪৯ এলিজা:

৮ বৌদ্ধ ক্যালেন্ডার ২৫৪৪

৯ বার্মিজ ক্যালেন্ডার ১৩৬২

১০ ইুুধহঃরহব ঈধষবহফবৎ ৭৫০৮ – ৭৫০৯

১১ চাইনিজ ক্যালেন্ডার ৪৬৩৫/৪৬৯৫ – ৪৬৩৬/৪৬৯৬

১২ কোপটিক ক্যালেন্ডার ১৭১৬ – ১৭১৭

১৩ ইথিওপিয়ান ক্যালেন্ডার ১৯৯২ – ১৯৯৩

১৪ হিব্র ক্যালেন্ডার ৫৭৬০ – ৫৭৬১

১৫ বিক্রম সম্বাত ২০৫৬ – ২০৫৭

১৬ ভারতীয় জাতীয় ক্যালেন্ডার ১৯২২ – ১৯২৩

১৭

১৮ ঐড়ষড়পবহব ঈধষবহফবৎ ১২০০০

১৯ ইরানিয়ান ক্যালেন্ডার ১৩৭৮ – ১৩৭৯

২০ ইসলামিক ক্যালেন্ডার (হিজরী)

২১ জাপানিজ ক্যালেন্ডার ঐবরংবর – ১২

২২ কোরিয়ান ক্যালেন্ডার ৪৩৩৩

২৩ থাই সৌর ক্যালেন্ডার ২৪৪৩

২৪ ইউনিক্স টাইম —



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৩

এইচ এম বিশ্বাস বলেছেন: চমতকার ইতিহাস জানলাম আজ।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫

zazafee বলেছেন: ব্লগ মানেই নিজে যা জানি অন্যকে তা জানাই। এভাবেইতো আমরা শিখতে পারি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.