![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"... তোমরা যা কিছু করছো আল্লাহ তায়ালা তার সব কিছুই দেখছেন।" (সূরা আল হাদীদঃ আয়াত ৪) ///////// "তিনি চোখের খেয়ানত সম্পর্কে (যেমন) জানেন, (তেমনি জানেন) যা কিছু (মানুষের) মন গোপন করে রাখে (সে সব কিছুও)।" (সূরা আল মোমেনঃ আয়াত ১৯) ///////// "যিনি জন্ম ও মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন, যাতে করে এর দ্বারা তিনি তোমাদের যাচাই করে নিতে পারেন, কর্মক্ষেত্রে কে (এখানে) তোমাদের মধ্যে বেশি ভালো, ..." (সূরা আল মূলক, আয়াত ২) ///////// "... অবশ্যই আমার নামাজ, আমার এবাদাত, আমার জীবন, আমার মৃত্যু - সব কিছুই সৃষ্টিকুলের মালিক আল্লাহ তায়ালার জন্যে।" (সূরা আল আনয়ামঃ আয়াত ১৬২)
*** ইয়াকীন শব্দের অর্থ নিশ্চিত ও দৃঢ় বিশ্বাস যাতে কোন প্রকার সন্দেহ, দ্বিধা, সংকোচ ও সংশয় নেই।
*** তাওয়াক্কুল শব্দের অর্থ আস্থা স্থাপন করা, ভরসা ও নির্ভর করা। পূর্ণ উদ্যমে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হয়ে কোন কাজ করার সাথে সাথে তার সাফল্যের জন্য আল্লাহর উপর আস্থা সহকারে ভরসা ও নির্ভর করার নাম তাওয়াক্কুল।
_________
"যাদের - মানুষরা যখন বললো, তোমাদের বিরুদ্ধে (কাফেরদের) এক বিশাল বাহিনী জমায়েত হয়েছে, অতএব তোমরা তাদের ভয় করো, (এ বিষয়টাই যারা যথার্থ ঈমানদার) তাদের ঈমান আরো বাড়িয়ে দিলো, তারা বললো, আল্লাহ তায়ালাই আমাদের জন্যে যথেষ্ট এবং তিনিই হলেন উত্তম কর্মবিধায়ক। অতঃপর আল্লাহর নেয়ামত ও অনুগ্রহ নিয়ে এরা (এমনভাবে) ফিরে এলো যে, কোনো প্রকার অনিষ্টই তাদের স্পর্শ করতে পারলো না, এরা আল্লাহর সন্তুষ্টির পথই অনুসরণ করলো; (বস্তুত) আল্লাহ তায়ালা মহা অনুগ্রহশীল।"
(সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত ১৭৩-১৭৪)
"(খাঁটি) ঈমানদাররা যখন (শত্রু) বাহিনী দেখলো, তখন তারা বলে উঠলো, এ তো হচ্ছে তাই, যার ওয়াদা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসূল আমাদের কাছে আগেই করেছিলেন, আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসূল অবশ্যই সত্য কথা বলেছেন, (এ ঘটনার ফলে) তাদের ঈমান ও আনুগত্যের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পেলো;"
(সূরা আল আহযাবঃ আয়াত ২২)
"... সংকল্প একবার যখন নিয়ে নেবে তখন (তার সফলতার জন্যে) আল্লাহর ওপর ভরসা করো; অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা (তাঁর ওপর) নির্ভরশীল মানুষদের ভালোবাসেন।"
(সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত ১৫৯)
"মোমেন তো হচ্ছে সেসব লোক, (যাদের) আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করানো হলে হৃদয় কম্পিত হয়ে ওঠে এবং যখন তাদের সামনে তাঁর আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করা হয়, তখন তাদের ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং তারা (সব সময়) তাদের মালিকের ওপর নির্ভর করে।"
(সূরা আল আনফালঃ আয়াত ২)
"...আর ঈমানদারদের তো (এসব ব্যাপারে) আল্লাহর (ফয়সালার) ওপরই নির্ভর করা উচিত।"
(সূরা ইবরাহীমঃ আয়াত ১১)
"(হে নবী,) তুমি সেই চিরঞ্জীব সত্তার ওপর নির্ভর করো, যাঁর মৃত্যু নেই, তুমি তাঁরই সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো; তিনি তাঁর বান্দাদের গুনাহখাতা সম্পর্কে সম্যক ওয়াকেফহাল।"
(সূরা ফোরকানঃ আয়াত ৫৮)
"... যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তার জন্যে আল্লাহ তায়ালাই যথেষ্ট; ..."
(সূরা আত তালাক্বঃ আয়াত ৩)
ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, হে আল্লাহ ! আমি তোমার জন্য ইসলাম গ্রহণ করেছি, তোমার দিকে ধাবিত হয়েছি এবং তোমার নিকট ফয়সালাপ্রার্থী হয়েছি। হে আল্লাহ ! আমি তোমার সম্মানের আশ্রয় চাই, যাতে তুমি আমাকে পথভ্রষ্ট না করো। তুমি ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই। তুমি চিরঞ্জীব। তুমি মরবে না। আর জিন ও মানুষ সবাই মরে যাবে। (বুখারী ও মুসলিম)
আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতে এমন অনেক লোক যাবে যাদের দিল পাখীর দিলের মত হবে (অর্থাৎ তাদের দিল নরম এবং তারা আল্লাহর উপর ভরসা করে। (মুসলিম)
উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যদি তোমরা আল্লাহর উপর ভরসা করার মত ভরসা করতে, তবে তিনি পাখীকে রিযিক দেওয়ার মতই তোমাদেরকেও দিতেন। পাখী তো সকালে খালি পেটে বের হয়ে যায় এবং সন্ধ্যায় ভরা পেটে ফিরে আসে। (তিরমিযী)
বারাআ ইবনে আযেব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে অমুক ! যখন তুমি তোমার বিছানায় শয়ন করতে যাও তখন বলো, "হে আল্লাহ ! আমি নিজেকে তোমার নিকট সমর্পণ করলাম, আমি আমার চেহারাকে তোমার দিকে ফিরিয়ে দিলাম, আমার ব্যাপারটা তোমার নিকট সোপর্দ করলাম এবং আমার পিঠখানা তোমার দিকে লাগিয়ে দিলাম। আর এসব কিছুই তোমার ভয়ে এবং তোমার পুরস্কারের আশায় করেছি। তুমি ছাড়া কোথাও আশ্রয়ের জায়গা নেই, তুমি ছাড়া বাঁচবার কোন স্থান নেই। আমি তোমার কিতাবের উপর ঈমান এনেছি, যা তুমি নাযিল করেছো, তোমার প্রেরিত নবীর প্রতিও ঈমান এনেছি।" রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি তুমি ঐ রাতেই মারা যাও তাহলে ইসলামের অবস্থায় তোমার মৃত্যু হবে, আর যদি সকালে জীবিত থাক তাহলে কল্যাণ লাভ করবে। (বুখারি ও মুসলিম)
আবু বাক্র সিদ্দীক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সাওর পাহাড়ের) গুহায় থাকাকালীন মুশরিকদের পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখলাম। তারা তখন আমাদের মাথার উপরে ছিল (এটা হিজরতের ঘটনা)। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! যদি এখন তাদের কেউ তার দুই পায়ের নীচ দিয়ে তাকায়, তবে আমাদেরকে দেখে ফেলবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আবু বাক্র ! এমন দু'জন ব্যক্তি সম্পর্কে তোমার কি ধারণা, যাদের সাথে তৃতীয়জন হচ্ছেন আল্লাহ (বুখারী ও মুসলিম)।
আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমলে দুই ভাই ছিল। তাদের একজন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসত, আর একজন নিজ পেশায় মগ্ন থাকত। কর্মব্যস্ত ভাই তার ভাই-এর বিরুদ্ধে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে অভিযোগ করল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, খুব সম্ভব তোমাকে তার উসীলায় রিযিক দেয়া হয় (তিরমিযী)।
২| ১২ ই আগস্ট, ২০০৭ ভোর ৫:৫৬
বইপাগল বলেছেন: ধন্যবাদ ফজল, প্রথমে উল্লিখিত দুইটি সূরার আয়াতসমূহ (সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত ১৭৩-১৭৪ এবং সূরা আল আহযাবঃ আয়াত ২২) ইয়াকীন সম্পর্কিত এবং পরেরগুলো তাওয়াক্কুল সম্পর্কিত।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই আগস্ট, ২০০৭ ভোর ৬:২১
ফজল বলেছেন: ভালো কালেকশন হবে। জাযাকাল্লাহ্।
আয়াতগুলোর জন্যও আয়াতের ভাবার্থ অনুযায়ী "বিষয়" নির্ধারণ করতে পারেন। (একান্তই আমার মত)