নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জেবিদ

"অবশ্যই আমার নামাজ আমার এবাদাত আমার জীবন আমার মৃত্যু সবকিছুই সৃষ্টিকুলের মালিক আল্লাহর জন্যে।"

বইপাগল

"... তোমরা যা কিছু করছো আল্লাহ তায়ালা তার সব কিছুই দেখছেন।" (সূরা আল হাদীদঃ আয়াত ৪) ///////// "তিনি চোখের খেয়ানত সম্পর্কে (যেমন) জানেন, (তেমনি জানেন) যা কিছু (মানুষের) মন গোপন করে রাখে (সে সব কিছুও)।" (সূরা আল মোমেনঃ আয়াত ১৯) ///////// "যিনি জন্ম ও মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন, যাতে করে এর দ্বারা তিনি তোমাদের যাচাই করে নিতে পারেন, কর্মক্ষেত্রে কে (এখানে) তোমাদের মধ্যে বেশি ভালো, ..." (সূরা আল মূলক, আয়াত ২) ///////// "... অবশ্যই আমার নামাজ, আমার এবাদাত, আমার জীবন, আমার মৃত্যু - সব কিছুই সৃষ্টিকুলের মালিক আল্লাহ তায়ালার জন্যে।" (সূরা আল আনয়ামঃ আয়াত ১৬২)

বইপাগল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফতোয়া ২ - প্রসঙ্গ : আকাশের অস্তিত্ব

২৪ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:৩৫

প্রশ্ন : মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে আকাশ হচ্ছে মূলত বিভিন্ন রং-এর সমষ্টি। বিভিন্ন রংয়ের সমন্বয়ে যে রং শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে সেই রং হচ্ছে নীল। এ কারণেই আমরা আকাশকে নীল দেখতে পাই। পক্ষান্তরে কোরআনে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তায়ালা আকাশকে সুউচ্চে স্থাপন করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন,



'এরা কি উটনীটির দিকে তাকিয়ে দেখে না, কিভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে? আকাশের দিকে (দেখে না) কিভাবে তাকে উঁচু করে (ধরে) রাখা হয়েছে?' (সূরা আল গাশিয়া, আয়াত ১৭-১৮)



প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের বক্তব্য অনুযায়ী আকাশ যখন স্রেফ কিছু রংয়ের সমষ্টি, ঠুনকো কোনো জিনিস নয়, এমতাবস্থায় এর উচ্চতা এতো ওপরে হবার অর্থ কি?



উত্তর : প্রকৃতপক্ষে কোরআনের উক্ত আয়াতে এমন কোনো কথা বলা হয়নি, যা মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কথার সাথে সাংঘর্ষিক। শুধু এই আয়াতে নয় বরং সমগ্র কোরআনে একটি আয়াতও এমন নেই যে আয়াত বিজ্ঞানের সাথে বৈপরীত্য প্রমাণ করে।



মুসলমানদের উচিত হচ্ছে, আধুনিক জ্ঞানের প্রতি সম্মান দেখানো। কারণ এই জ্ঞানের ভিত্তি হচ্ছে অভিজ্ঞতা এবং প্রত্যক্ষ গবেষণা। ইসলাম আধুনিক জ্ঞানের শুধু পৃষ্টপোষকতাই করে না বরং এক্ষেত্রে মুসলমানদের অগ্রসর হওয়ারও শিক্ষা দেয়। দুঃখের বিষয় আমরা মুসলমানরা পাশ্চাত্যের সভ্যতা-সংস্কৃতিকে আত্মস্থ (গ্রহণ) করি কিন্তু পাশ্চাত্যের গবেষণালব্ধ জ্ঞান থেকে নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রাখি। অথচ জ্ঞান বিজ্ঞান অর্জন কোনো এলাকার সাথে বা কোনো ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত কোনো বিষয় নয়। জ্ঞান যে কোনো জায়গা থেকেই এবং কাফের বা মুসলমান যে কারো থেকেই আহরণ করা যায়।



কাজেই মহাকাশ বিজ্ঞানীরা যদি নিজেদের গবেষণা এবং অভিজ্ঞতার মাপকাঠিতে আকাশকে বহু রংয়ের সমষ্টিগত রূপ মনে করে থাকে, তবে এতে এমন কোনো কিছু নেই যা কোরআনের শিক্ষার বিপরীত। আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা, কোরআনে বর্ণিত বহু বিষয় আধুনিক বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণার মাধ্যমে সত্য প্রমাণ করেছেন।







*** জবাব দিয়েছেন শায়খ ইউসুফ আল কারদাওয়ী ***

*** অনুবাদ করেছেনঃ হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ ***

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +১০/-২

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:৫১

মাহমুদ রহমান বলেছেন: বইটি পুরা পড়েছেন? সব প্রশ্নোত্তরই চমৎকার। আমার ব্লগেও এরকম কিছু প্রশ্নোত্তর আছে।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:০৩

বইপাগল বলেছেন: @মাহমুদ রহমান - ধন্যবাদ, ভাই, বইটি পড়ছি, তবে এখনো পুরো শেষ করতে পারিনি, কিন্তু ব্লগারদের সাথে শেয়ার করার লোভ আর সামলাতে পারলাম না বলেই পোস্ট আকারে দিতে শুরু করলাম।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:১৩

ডক্তর অব ছাকন্দাইটিস বলেছেন: বই পাগল আপনে ভুল করতেসেন বিজ্ঞানকে তার জায়গা থাকতে দেন, আর বিশ্বাসকে বিশ্বাসের জায়গায়। ১ দিলাম

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:২১

সোনার বাংলা বলেছেন: ৫

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:২৪

সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন: ভালো পোস্ট। ৫

তবে কথা হলো-

বিজ্ঞান আকাশকে সংগায়িত করতে পারছে না। কারন আকাশের রূপের কোন স্থিতি নেই। দিনের বেলায় ভূপৃষ্ঠ থেকে এক রকম দেখায় আবার রাতের বেলা অন্য রকম। তাছাড়া আকাশকে বলা হচ্ছে গ্যাসীয় আবরনের স্তর। ভূপৃষ্ঠ থেকে দৃশ্যমান আকাশের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বিভিন্নমূখী।

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:৩৫

সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন: আকাশ সম্পর্কে ইংরেজি তথ্যগুলো দিতে পারছি না কেন? আচ্ছা আবার চেষ্টা করি।

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:২৮

অমিত বলেছেন: এই পোস্ট পড়ে হাসুম না কান্দুম বুঝতে পারছি না।
আপনি বললেন "মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে আকাশ হচ্ছে মূলত বিভিন্ন রং-এর সমষ্টি। "--কেমনে কি ? আকাশতো এম্পটি স্পেস ছাড়া আর কিছুই না। সূর্যের আলো আর বায়ুমন্ডলের মলিকিউলগোলার রিঅ্যাকশনেই আমরা আকাশ নীল এবং দিনের দুই সময়ে লাল আভাময় দেখতে পাই। যেহেতু রাতে সূর্য থাকে না, তাই আকাশের রঙও থাকে না।
আবার আপনি বললেন যে কোরআনে বলা আছে আকাশে উঁচু করে ধরে রাখা হয়েছে। এখন আপনি যদি বলেন কোরআনে আকাশ বলতে বায়ুকে বোঝানো হয়েছে তাহলে কিছু বলার নাই।
আবার আরেকজন বললেন "ভূপৃষ্ঠ থেকে দৃশ্যমান আকাশের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বিভিন্নমূখী। "
এসবের কি অর্থ ? এত সিরিয়াসলি এসব কথা বলতে একটুও খারাপ লাগে না ???

৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৪৪

রাশেদ বলেছেন: আরো কয়েকবার করেন, তারপর কমু কেমনে করতে হয়!!

৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৪৮

সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন: 'দি স্কাই ইজ দ্যা পার্ট অব দ্যা এটমোস্ফেয়ার অর অব আউটার স্পেস ভিজিবল ফ্রম দি সারফেইস অব এনি এসট্রনমিক্যাল অবজেক্ট। ইট ইজ ডিফিকাল্ট টু ডিফাইন প্রিসাইসলি ফর সেভেরেল রিজনস। '

@অমিত

১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৫৫

অমিত বলেছেন: ওকে বলা কথা। কিন্তু এখানে বিভিন্নমূখী বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কই পাইলেন ? বায়ুমন্ডল না থাকলে আপনি কোনটারে আকাশ বলতেন ? বায়ুমন্ডল থেকে বের হলে আপনি কি আর আকাশ দেখতে পান ?
আপনি যেখান থেকে জিনিসটা কপি পেস্ট মারতাসেন, তার একটু লিন্ক দেন।

১১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৫৭

অমিত বলেছেন: হুমম উইকির ফার্স্ট লাইন তুইলা দিলেন দেখলাম।

১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ২:০৬

সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন: লিংক সম্পর্কিত কথাটি বারবার পেস্ট করেও আসছিলো না। আকাশ সম্পর্কিত আমার জ্ঞান ও আপনার জ্ঞানে পার্থক্য নাই মুলত।
আমি বলতে চেয়েছি, বিভিন্নমূখি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা মানে আকাশ সম্পর্কিত তথ্য এখনো ক্লিয়ারলি আনরিজলভ্ড। আর আপনি তো জানেন সায়েন্টিফিক ডিসিশন অলওয়েজ প্রভিশনাল।
আশা করি আমার সম্পর্কে আপনার ভুল ধারণা ভেঙ্গেছে@অমিত

১৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ২:০৭

দুর্বাশা তাপস বলেছেন: বিজ্ঞান ধর্মের সাথে একমত হইলে ধর্ম ঠিক, না হইলেও ধর্ম ঠিক। তাল গাছটা চাই-ই চাই। এইসব ধান্দাবাজির কোন মানে হয় না।

১৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ২:৫১

অমিত বলেছেন: বিভিন্নমূখি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা মানে আকাশ সম্পর্কিত তথ্য এখনো ক্লিয়ারলি আনরিজলভ্ড। ---
কেম্নে কি ? আপনি আমারে বোঝান কি করে আনরিজলভড হল ?

১৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ২:৫৪

ইরতেজা বলেছেন: তথ্যমূলক ব্লগ। দারুন।
৫ দিলাম

১৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৩:০০

হাসিব বলেছেন: সারওয়ার দেখি আইনস্টাইনরে ফেল মারাইবো ।

১৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৩:০৮

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: বইপাগল,
সুযোগ পেলে আপনার ব্লগ এসে পড়ে যাই। কারাদাওয়ীর ইংরেজি লেখার সাথে পরিচিত, তাও এটা দেখে ভাল্লাগলো।

আমি এখানে বুঝতে পারছি না বিজ্ঞানের সাথে সংঘর্ষশীল কোনটা।
আকাশ বলতে কি বলা হয়েছে, দ্যাট ডিপেন্ডস অন স্পেকুলেশন। আল্লাহ সীমারেখা টেনে দেয় নি। একজন বিশ্বাসীর জন্য, এই সীমারেখাটা নিজের জন্য টেনে নেয়া কঠিন কিছু না। আকাশ বলতে যদি পৃথিবীর বায়ুমন্ডলকে বুঝানো হয়, তাহলে এই 'ধরে রাখার' ব্যাপারে কিসের ক্যাচাল, বায়ুমন্ডল কি জায়গামত পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষন শক্তির জন্যই আছে না? মাধ্যাকর্ষণ শক্তির স্রষ্টা কি আল্লাহ না? আল্লাহ যখন বলেন, আল্লাহ আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তার মানে কি আমি আকাশ থেকে পড়েছি? আমি আমার মায়ের গর্ভে হয়েছি, এখানে আমার মা বাবা মাধ্যম, কিন্তু সৃষ্টি তো ঠিকই আল্লাহ করেছেন। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষন শক্তি মাধ্যম, যেটার স্রষ্টা আল্লাহ। রুলসগুলো সেট করা আল্লাহর। আমি বুঝতেই পারছি না এখানে কিসের ক্যাচাল!

১৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৩:২৯

অনেক ভেবে চিন্তে একজন বলেছেন: আমার মনে হয় আকাশের অস্তিত্ব বিষয়ক আয়াতগুলো মেটাফোরিক। এগুলো ডিটেইলসে বুঝতে হলে বিভিন্ন ডাইমেনশন সম্পর্কে সম্যক ধারনা থাকা চাই। বিষয়গুলোর স্থুল ব্যাখ্যা করা উচিত না। সৃষ্টিকর্তা এসব নিয়ে চিন্তা করতে বলেছেন চিন্তা করুন। হয়তো অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে পারবেন।

১৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ ভোর ৪:৫৫

অমিত বলেছেন: ভিক্ষা চাইনা আম্মারা, কুত্তা সামলান !!!

২০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:০৫

বইপাগল বলেছেন: @ডক্তর অব ছাকন্দাইটিস - আমাদের ধর্ম বিজ্ঞানকে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে রাখেনি। সুতরাং আমি মনে করি না আমি ভুল করছি।

ধন্যবাদ @সোনার বাংলা, @রাশেদ, @ইরতেজা এবং @অনেক ভেবে চিন্তে একজন

@সারওয়ারচৌধুরী - ধন্যবাদ, আমিও তাই পেয়েছি যা আপনি উল্লেখ করেছেন। আপনার নষ্ট হয়ে যাওয়া মন্তব্যগুলো মুছে দিলাম। ধন্যবাদ।

@অমিত - আপনার কথার জবাব সম্ভবত সন্ধ্যাবাতি-র মন্তব্যে পাবেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ @সন্ধ্যাবাতি

২১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৩২

অমিত বলেছেন: বইপাগল, সন্ধ্যাবাতির মন্তব্যে শুধু আমার প্রশ্ন না, পৃথিবীর যাবতীয় প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে। আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে হলে আপনারা বলতেন আকাশ বলতে সাত আসমানকে বোঝানো হয়েছে। এখন বলছেন আকাশ বলতে বোঝানো হয়েছে বায়ুমন্ডলকে। আরও ১৪০০ বছর পর কি বলবেন কে জানে।
বিজ্ঞান ১৪০০ বছরে অনেক এগিয়েছে, আগামী ১৪০০ বছরে আরও এগিয়ে যাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা বিজ্ঞানের সুবিধা নিতে পারলেও সামগ্রিকভাবে সেটার দর্শনকে গ্রহণ করতে পারিনি।

২২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৫০

বইপাগল বলেছেন: @অমিত - হুমম্

২৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১১:২৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: "মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে আকাশ হচ্ছে মূলত বিভিন্ন রং-এর সমষ্টি।"
ভাই, আপনে যেই বই থিকা অনুবাদ করছেন, কাইন্ডলি একটু দেখবেন এইসব লেখকের মাথায় কিছু আছে কি না! কারন আমি যতদূর বুঝি এইসব তথাকথিত মাদ্রাসার আলেমরা বিজ্ঞান বুঝে নিজের ইচ্ছামতো। তারা মনে করে তার সব বিষয়েই জানে। মাগার দুই তিনটা কথা শুনলেই মনে হয় এদের সাথে থ্রিপাশ পুলাপানের মধ্যে তেমন কোনো তফাত নাই বিজ্ঞান বিষয়ে!

কারো বই থিকা না মাইরা আপনে নিজে লেখেন, আপনের কোরআনের অনুবাদ টাইপের পোস্ট গুলান কিন্তু খুব পছন্দ আমার !

২৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৩

দৃষ্টির ছায়া বলেছেন: বিজ্ঞানের থিওরীর মধ্যে যেগুলো পুরোপুরো আয়ত্বে আসেনি এখনো, সেগুলো নিয়ে নিশ্চয়তা দিয়ে কিছু না বলাই ভাল। কেননা, এসবের অধিকাংশই ধারণা আর ধারণা পরবর্তী বাস্তবতার সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে পারে।
অন্যদিকে বিজ্ঞান তো আমাদের সৌরজগতের সীমানাও অতিক্রম করতে সক্ষম হয়নি এখনো, তাহলে বিজ্ঞানীদের ধারণা মতে বিলিয়ন বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরবর্তী কোন গ্যালাক্সির পরেও কি আছে তার ধারণা পর্যন্ত করতে পারেননি। অতএব, কুরআনে বর্ণিত প্রথম আসমানের সীমানা স্পর্শ করা হয়ত মানব জাতির পক্ষে সম্ভব হবে না।

২৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

মাহমুদ রহমান বলেছেন: @বইপাগল, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে আমার কিছু পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ার এবং ৫ দাগানোর জন্য।

আপনার জন্য দোয়া রইল।

২৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:৩৯

চতুরভূজ বলেছেন: ৫
আমি এতো ক্যাচালে যেতে চাইনা। আমি বুঝে গিয়েছি কিছু কিছু মানুষের অন্তর আল্লাহ তায়ালা সীল মোহর মারিয়া দিয়েছেন।
শুধু এটুকুই আবার বলতে চাই-ইসলাম আধুনিক জ্ঞানের শুধু পৃষ্টপোষকতাই করে না বরং এক্ষেত্রে মুসলমানদের অগ্রসর হওয়ারও শিক্ষা দেয়।

২৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:৩৯

বইপাগল বলেছেন: @উদাসী স্বপ্ন - কারো না কারো বই 'থিকা না মাইরা' সবারে জানাবো কিভাবে যে একটা ভালো কিছু পড়লাম? কথায় আছে না, (বই-)পাগলে কি না করে?

ধন্যবাদ @দৃষ্টির ছায়া

@মাহমুদ রহমান - শুধু কষ্ট করে পড়িনি, বরং বেশ আগ্রহ নিয়েই পড়েছি এবং আলহামদুলিল্লাহ, অনেক কিছু জেনেছি। ধন্যবাদ আপনাকে। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

২৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:৪৪

সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:
@অমিত
'ইট ইজ ডিফিকাল্ট টু ডিফাইন প্রিসাইসলি'

অতএব আনিরজলভড কি বলা যায় না?

'অনেক ভেবে চিন্তে একজন' এর মন্তব্যটি যথার্থ মনে করি

আর কোরআন একটি মাল্টিলেয়ার্ড মিনিংফুল কিতাব। তাই মোফাসসিরগণও বিভিন্নমূখী ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন।
অতএব কোরআনের ভাষ্যের আক্ষরিক অর্থ নিয়ে বিপরীতার্থক মন্তব্য ঠিক না।

২৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৯:৩৬

মাহমুদ রহমান বলেছেন: ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

৩০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১০:৫৪

অমিত বলেছেন: সারওয়ারচৌধুরী, ঐখানে প্রিসাইসলি শব্দটা আছে কিন্তু। এই শব্দটা আনরিজলভড হওয়ার জন্য যথেষ্ট কি ?
ক্যান্সারের চিকিতসা আনরিজলভড, ইউনিভার্সের সীমানা আনরিজলভড,দারিদ্র পৃথিবী থেকে দূর হবে নাকি, এই সমস্যাও আনরিজলভড। এত বড় সমস্যাগুলার সংগে আপনে যদি আকাশের সীমানা আনরিজলভড বলে চালায় দেন তাইলে কেমনে হয় ?

৩১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:২৩

বইপাগল বলেছেন: @চতুরভূজ - আরে ! আমি খেয়ালই করিনি আপু যে আপনার মন্তব্য আমার আগে পোস্ট হয়েছে ! আপনার সাথে আমিও একমত। ধন্যবাদ।

৩২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:৩৬

সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন: @অমিত
বিজ্ঞানের অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। মানবজাতি একটি পূর্ণাঙ্গ থিওরী পাওয়ার আশায়। (হকিং)
তাছাড়া বিজ্ঞানের সব সূত্রই প্রভিশনাল। যেহেতু এখন প্রিসাইসলি ডিফাইন করা যাচ্ছে না, সেহেতু হাউ কুড উই সে দি স্কাই ইজ দ্যাট পারফেক্টলি?
বিজ্ঞানের লিমিটেশন সম্পর্কে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বই পড়েছি। আমার 'তোমাকে খুঁজে পেতে কতদূর যেতে পারি' সিরিজ লেখায় আগামীতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবো আশা করি। আপনি সিরিজ দু'টি পড়েছেন?

৩৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৪২

অমিত বলেছেন: বিজ্ঞানের লিমিটেশন সম্পর্কে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বই পড়েছি। -----
আপনি যেই একটি বই পড়েছেন সেটা কেন গুরুত্বপূর্ণ ? বই ও লেখকের নাম কি ?
ওকে আপনার জন্য খুব সামান্য একটা ব্যাপার থেকে শুরু করি।
আপনি আমাকে আকাশের ডেফিনেশন বলেন ।

৩৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৩৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জেবিদ ভাই, মাইন্ড লইয়েন না, একটা কথা কই।

আমি এমন কোনো বই পাই নাই, যেখানে বিজ্ঞানের সাথে ঠিক রেখে ইসলামের ব্যাখ্যা দিয়েছে। অবশ্য এটা কখনোই সম্ভব না। কারন ইসলামী আলেম-হুজুররা যেখান থেকে লেখাপড়া শেষ করে বা ডিগ্রী সেটা মোটেই বিজ্ঞান সম্মত না। তারা হাকাও একটা আন্দাজে একটা সিস্টেম করেছে। আর মিডল ইস্টের শিক্ষা ব্যাবস্হা খুব একটা ভালো না। ওদের আছে অঢেল টাকা। খুইলা ফেলছে দু-একটা ইউনিভার্সিটি। ভালো লাগলে পড়ে স্ট্যাটাস বজায় রাখার জন্য আর তেলের টাকাতো আছেই। এবং আমি যতো লোকের সাথে মিশছি যারা উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য এসব দেশে যায় তারা সবাই মানসিক রোগী হয়ে আসে।

আপনি যেই লোকের বই থেকে অনুবাদ করছেন সেও হয়তো নামের পাশে অনেক এই সব সন্দেহজনক ডিগ্রি নিয়া এক লাইনের নাম তিন লাইন বানাইছে। মাগার যখনই এরা বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলে তখনই মনে হয় জ্বীনের দ্বারা প্রেরিত জ্ঞান দিয়া বিশ্লেষন করেন। আপনি এদের এমন একটা বই দেখান যেখানে এরা কোরান থিকা বাইর হইয়া এমন একটা কিছু লেখছে যা এখনও আবিস্কার হয় নাই!

পারলে একটু দেখান!

আর পারলে আপনি নিজে কোরানের অনেক আয়াত জানেন। জানি না আপনের ব্যাক গ্রাউন্ড কি? তবে আপনি এর সাথে সংশ্লিস্ট হাদিস দিয়ে দেখান যে বিজ্ঞান কি বলছে। তাহলে বিজ্ঞান আর ইসলাম কতটা সমার্থক!

আর এসব জৌলুষ পূর্ণ ভন্ড ব্যাক্তির আজাইরা ক্যাচাল বইয়ের অনুবাদ লেইখা দেখবেন ইসলাম বিরোধী আঙ্গুল তুইলা হাসবো আর ইসলাম পন্হি বিজ্ঞান চর্চাকারীরা গালাগালি পারবো!

আপনের লেখা আমার বরাবরই ভালো লাগে। আপনি আমাকে হতাশ করবেন না আশা করি!

৩৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৪১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: "বিজ্ঞানের লিমিটেশন সম্পর্কে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বই পড়েছি।"

@সারোয়ার ভাই, হুজুর মোল্লাগো গে-হেরেম লাইফ আর মোটা বুদ্ধির ফতোয়াবাজী ব্যাবসা সম্পর্কে একটা ভালো বই পড়েছি, এটা সম্পর্কে আগামীতে পোস্ট দিবো ভাবছি! ধইরা নেন আমি ইহুদি সন্ত্রাসী মোসাদের এজেন্ট আর আপনি ইসলামী সন্ত্রাসী দেশ পাকিস্তানের আই এস আই এর এজেন্ট!

৩৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১১:১০

অন্যরকম বলেছেন: তুমি ত দেখি মিডলইস্টের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর স্পেশালীস্ট! @ উঃদা।

৩৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১১:২৩

বইপাগল বলেছেন: @উদাসী স্বপ্ন - মাইন্ড করি নাই ভাই, বলে যান ... তার মানে কি আপনি এটা বলতে চাচ্ছেন যে কোরআনের মধ্যে বা এর সাথে বিজ্ঞানের কোনো সম্পর্ক নাই?

৩৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ২:৩৩

আসল-ট্রাপ বলেছেন: বইপাগল বলেছেন :
২০০৭-১০-২৬ ১১:২৩:৪৭

@উদাসী স্বপ্ন - মাইন্ড করি নাই ভাই, বলে যান ... তার মানে কি আপনি এটা বলতে চাচ্ছেন যে কোরআনের মধ্যে বা এর সাথে বিজ্ঞানের কোনো সম্পর্ক নাই?
-------------------------------------
কোরআনের সাথে বিজ্ঞানের সম্পর্ক আছে কি নাই এইটা তো ভাই বিজ্ঞানীর বাইর করবো। ফাজিল, কামিল পাস হুজুরদের ব্যাখ্যা দিয়া আপনে কুরআনের সাথে বিজ্ঞানের মিল খুজলে ধর্মগ্রন্থের অবমাননা হয়, কারণ বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেয়া হয় ভূল ব্যাখ্যা।

৩৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৭ ভোর ৪:৩৫

বইপাগল বলেছেন: @আসল-ট্রাপ - এখানে যিনি জবাব দিয়েছেন তিনি হলেন শায়খ ইউসুফ আল কারদাওয়ী !

৪০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:০৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: "তার মানে কি আপনি এটা বলতে চাচ্ছেন যে কোরআনের মধ্যে বা এর সাথে বিজ্ঞানের কোনো সম্পর্ক নাই?"
আপনেতো দেখি আমার বক্তব্যই বুঝেন নাই। আপনে ভাই এরকম না। তাও বুঝেন জিনিশ খান:

আসলে কোরআনের আয়াত গুলো বেশীর ভাগ সাহিত্যের ধারায়। যেমন একজায়গায় অনেকটা এরকম, "যেখানে আকাশ আর জমিনসমূহ একই জায়গায় ছিলো" আবার আরেকটা জায়গায়,"পুন্জিভূত তারকার কছম"। এখানে প্রথমে বিগ ব্যাং আর দ্বিতীয়টায় আছে ব্লাক হোল। আমার কিন্তু কনফ্লিক্ট ইসলাম বা বিজ্ঞান নিয়া কনফ্লিক্ট নাই। আমার কনফ্লিক্ট হলো মানসিক বিকার গ্রস্হ আলেম যারা অল্পতেই মহাজ্ঞানী আর মাদ্রাসা সর্বোপরি মুসলিম শিক্ষাব্যবস্হা। এটা বড়ই ঠুনকো। আর একজন মোল্লা যখন জ্যেতির্বিজ্ঞানের মতো জটিল জিনিশ নিয়া নাড়াচাড়া করে তখনই ভান্ডা ফাটে! কেন যে তারা বোঝে না তাদের মস্তিস্ক এক ছটাক!

৪১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ২:১৪

বইপাগল বলেছেন: @উদাসী স্বপ্ন - ভাই, জটিলতা আমি আসলেই বুঝিনা, আপনি এই কথাটা দ্বারা কি বোঝালেন? "আর একজন মোল্লা যখন জ্যেতির্বিজ্ঞানের মতো জটিল জিনিশ নিয়া নাড়াচাড়া করে তখনই ভান্ডা ফাটে! কেন যে তারা বোঝে না তাদের মস্তিস্ক এক ছটাক!"

এখানে সেই "মোল্লা"টি কে? আমি কি? লেখাটি কিন্তু আমার নয় ... তো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.