নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জেবিদ

"অবশ্যই আমার নামাজ আমার এবাদাত আমার জীবন আমার মৃত্যু সবকিছুই সৃষ্টিকুলের মালিক আল্লাহর জন্যে।"

বইপাগল

"... তোমরা যা কিছু করছো আল্লাহ তায়ালা তার সব কিছুই দেখছেন।" (সূরা আল হাদীদঃ আয়াত ৪) ///////// "তিনি চোখের খেয়ানত সম্পর্কে (যেমন) জানেন, (তেমনি জানেন) যা কিছু (মানুষের) মন গোপন করে রাখে (সে সব কিছুও)।" (সূরা আল মোমেনঃ আয়াত ১৯) ///////// "যিনি জন্ম ও মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন, যাতে করে এর দ্বারা তিনি তোমাদের যাচাই করে নিতে পারেন, কর্মক্ষেত্রে কে (এখানে) তোমাদের মধ্যে বেশি ভালো, ..." (সূরা আল মূলক, আয়াত ২) ///////// "... অবশ্যই আমার নামাজ, আমার এবাদাত, আমার জীবন, আমার মৃত্যু - সব কিছুই সৃষ্টিকুলের মালিক আল্লাহ তায়ালার জন্যে।" (সূরা আল আনয়ামঃ আয়াত ১৬২)

বইপাগল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাহান্নামের চিত্র - পর্ব ৩

২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:৪৮

জাহান্নামের শ্রেণী বিন্যাস



তাতে থাকবে সাতটি (বিশালকায়) দরজা; (আবার) এগুলোর প্রতিটি দরজা (দিয়ে প্রবেশ করার) জন্যে থাকবে (শয়তানের অনুসারীদের) একটা নির্দিষ্ট অংশ। (সূরা আল হেজরঃ আয়াত ৪৪)



অর্থাত্ জাহান্নাম হচ্ছে পরলোকের এমন একটি বিশাল এলাকা যেখানে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির জন্য ভিন্ন ভিন্ন এলাকা নির্ধারিত আছে। সেগুলোকে প্রধানতঃ সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ



(১) হাবিয়া (২) জাহীম (৩) সাকার (৪) লাযা (৫) সাঈর (৬) হুতামাহ্‌ (৭) জাহান্নাম



বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীরা শাস্তি ভোগ করবে। যেমনঃ কাফের, মুশরিক, ব্যভিচারী, সুদখোর, ঘুষখোর ইত্যাদি, সবার জন্যই ভিন্ন ভিন্ন স্তরে শাস্তি নির্দিষ্ট আছে। আবার প্রত্যেকটি স্তরের অনেকগুলো ঘাঁটি আছে। যথাঃ



গাছছাকঃ এটা একটি হ্রদ। যা জাহান্নামীগণের রক্ত, ঘাম ও পুঁজ ইত্যাদি প্রবাহিত হয়ে সেখানে জমা হবে।



গিছলিনঃ এটা হচ্ছে জাহান্নামীদের মল-মুত্র জমা হওয়ার স্থান। জাহান্নামীরা যখন খুব ক্ষুধা-তৃষ্ণা অনুভব করবে তখন উপরোক্ত দু'জায়গা হতে পানাহার করতে দেয়া হবে। তাছাড়া "তীনাতুল খবল" নামক বিষ ও পুঁজে পরিপূর্ণ আরেকটি কুপের কথাও হাদীসে উলেখ করা হয়েছে।



সাউদঃ এটা তীনাতুল খবলের পাড়ে অবস্থিত একটি বিশাল পাহাড়। এক শ্রেণীর জাহান্নামীদেরকে ঐ পাহাড়ের উপর উঠায়ে সজোরে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলা হবে, পুণরায় উঠানো হবে এবং ফেলা হবে এভাবে শাস্তি দেয়া হবে। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন, অচিরেই আমি তাকে (শাস্তির) শীর্ষ দেশে আরোহণ করাবো; (সূরা আল মোদ্দাস্‌সেরঃ আয়াত ১৭)



যুব্বুল হজনঃ এটা জাহান্নামীদের আরেকটি ঘাঁটি। এখানে রিয়াকার ও অহংকারী লোকদেরকে শাস্তি দেয়া হবে।



গাইঃ এটা জাহান্নামের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জায়গা। কেননা "গাই" য়ের ভীতিজনক হুংকার শুনে জাহান্নামের অন্যান্য স্থান প্রতিদিন 'গাই' হতে চার শত বার আশ্রয় প্রার্থনা করে।





জাহান্নামের একটি বিশেষ মাথা



নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন জাহান্নাম থেকে একটি বিশেষ মাথা বের হবে। তার দুটো চোখ কান থাকবে যা দিয়ে সে দেখতে ও শুনতে পাবে এবং একটি জিহ্বাও থাকবে, তা দিয়ে সে কথা বলবে। সে বলতে থাকবেঃ আমাকে তিন ব্যক্তির উপর প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। (১) অহংকারী, বিদ্রোহী (২) যে ব্যক্তি আলাহ ছাড়া আর কাউকে ইলাহ্‌ মনোনীত করেছে এবং (৩) চিত্রকর। (তিরমিযি)

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-২

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:৫৩

ডোরাকাটা বলেছেন: অ আইচ্চা...আমার জ্ঞান বাড়িতেচে দিনে দিনে; জ্ঞানে জ্ঞানে জ্ঞানান্বিত করিবার জইন্য ধইন্যবাদ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:১২

বইপাগল বলেছেন:

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:৫৮

নাদান বলেছেন: অর্থাত্ জাহান্নাম হচ্ছে পরলোকের এমন একটি বিশাল এলাকা যেখানে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির জন্য ভিন্ন ভিন্ন এলাকা নির্ধারিত আছে। সেগুলোকে প্রধানতঃ সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ

(১) হাবিয়া (২) জাহীম (৩) সাকার (৪) লাযা (৫) সাঈর (৬) হুতামাহ্‌ (৭) জাহান্নাম

-------

এইটুকু বুঝলাম না। জাহান্নামের ৭ ভাগের মধ্যে আবার জাহান্নাম থাকে কি করে?

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১:০৩

লাল দরজা বলেছেন: ঈদের দিনে বেহেস্তের কথা বলেন জনাব। দোযখের গপ্পো আরেক দিন না হয় শোনাইয়েন।

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১:০৪

মদনবাবু বলেছেন: সবই কল্পকাহিনী।

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১:০৯

ডোরাকাটা বলেছেন: আমার মনে লয়, এইগুলা জাহান্নাম না, দোজখের ক্লাসিফিকেশ। সাতখান দোজখের মইধ্যে, জাহান্নাম জায়গাটি অতি উৎকৃষ্ট হওয়ায় পুরা দোযখটাই এইটার নামে পরিচিত হইয়া গেচে। এই ধরেন, নিঊইয়র্কের কতা কইলেই আমাগো চৌক্ষে মানহাটনের চবি ভাইসা উডে, নিউইয়র্কের কুইন্স ফুইন্স এর চিন্তা মাতাই আহে না। ঠিক বলছি না বই পাগল ভাই?

৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১:২১

সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন: +

সালাম আলাইক

সাত ভাগের সাতটি নামকরণ। সাতটি জাহান্নাম। আবার সব মিলিয়েও একটি জাহান্নাম এলাকা হিসাবে বুঝে নিতে পারেন।@নাদান

২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:১৪

বইপাগল বলেছেন: ওয়ালাইকুম আসসালাম
ধন্যবাদ

৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১:২৪

"কুদরত আলী" বলেছেন: ছালোয়ার ভাই আপনে তো বহুত খুব মেধাবী

৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১:৪৩

ছায়ার আলো বলেছেন: বইপাগল ভাই, ঈদের দিনে জাহান্নাম নিয়ে পোস্ট দিলেন?
তাড়াতাড়ি জান্নাত নিয়ে একটা পোস্ট দেন :)
ঈদ মোবারক।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:১৫

বইপাগল বলেছেন: ছায়ার আলো ভাই, জাহান্নামের ভয়ে আসা করি সবাই জান্নাতে যাবার কাজে মগ্ন হবে ...

৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:২৪

ফজলে এলাহি বলেছেন: আল্লাহর আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে ও জাহান্নামে যাওয়ার কারণস্বরূপ সকল অপকর্ম থেকে হেফাযত করুন। আমীন।

১০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৭

প্রশ্নোত্তর বলেছেন:

হুমমমম

আল্লাহ নিজেই আদম বানালেন, তার জন্য সঙ্গী হাওয়া বানালেন, দুনিয়া বানালেন, আদম-হাওয়ার ভুলের কারণে তাদেরকে দুনিয়ায় রোপন করলেন, তাদের সন্তানেরা যখন অনাচারে দুনিয়া ভরে দিল তখন পথপ্রদর্শক পাঠালেন। অনেক কাজ করলেন, কিন্তু এই আদম-সন্তানদের নিয়ন্ত্রন করলেন না; তারা পাপ করলো, পাপের শাস্তি দেয়ার জন্য আল্লাহ বানালেন সাত ভাগে বিভক্ত বিশাল শাস্তিখানা (তার আবার মাথাও গজাবে!)!

আল্লাহ কারো কারো বিবেক সীল্গালা করে দিলেন আবার কারো কারো অন্তর পূর্ণ দিলেন ইহ-পারোলৌকিক জ্ঞানে। যাদেরকে আল্লাহ জ্ঞান দিলেন তারা মেনে চলবে আল্লাহর আদেশ। তাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে দুধ-মধু-শুরার নদী দ্বারা পূর্ণ মহা শান্তির স্থান জান্নাত, যেখানে আল্লাহ প্রথম আদম-হাওয়াকে থাকতে দিয়েছিলেন। আর যাদের অন্তর সীল্গালা করা তারা দেখতে পাবে না, শুনতে পাবে না, পাপ করে যাবে আমরণ। তাদের জন্যই রয়েছে ভয়াবহ সেই আযাবের স্থান, জাহান্নাম!


আল্লাহ তো দেখি ভীষন পক্ষপাতদুষ্ট আর হিংস্র!

১১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:০৩

প্রশ্নোত্তর বলেছেন:

১২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৪১

প্রশ্নোত্তর বলেছেন:
(আরে কমেন্ট কো? ব.পা. ভাই এটা মুছে দিয়েন)

১৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৪৪

সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন: প্রশ্নোত্তরের উদ্দেশে দেয়া আমার কমেন্ট গেল কই?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.