![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধু সাবধান !!! জামায়াতের আমির যখন “বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান” !!!
====================================
০১) দেশের সকল পুরুষদের অবশ্যই জামায়াত প্রদত্ত মাপ অনুযায়ী পায়জামা পাঞ্জাবি পরতে হবে, দাড়ি রাখতে হবে কিন্তু গোঁফ রাখা যাবে না। এই নির্দেশ সব ধর্মের পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য । অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে “জামায়াত অনুমোদিত ইসলামিক আইনে” আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে (সর্বনিন্ম ১০০ দোররা, ১(এক)দিনের জেল সহ ৫,০০০ টাকা জরিমানা এবং সর্বোচ্চ ৫০০ দোররা, ৭(সাত) দিনের জেল সহ ২০,০০০ টাকা জরিমানা প্রদান করতে হবে, সকল জরিমানা জামায়াত পরিচালিত বাইতুল মাল ফান্ডে জমা হবে ।
০২) যে সকল মেয়েরা জামায়াত প্রদত্ত মাপ অনুসারে ঠিক মত বোরখা পরবে না তাদেরকে শাস্তি স্বরূপ কমপক্ষে ৩(তিন) দিন এবং সর্বোচ্চ ৩(তিন) মাস জামায়াতের “রুকন”-দের আওতাধীন নির্দিষ্ট “মহিলা টর্চার সেল” এ বন্দী রাখা হবে এবং এমন ভাবে তালিম দেয়া হবে যাতে জীবনে আর কখনো লজ্জায় কাউকে মুখসহ অন্য কোন অঙ্গও দেখাতে না পারে, সবসময় মুখ এবং গতর ঢেকে রাখতে হয় এবং বাসায়ও বোরখা পরতে হয় । বন্দী থাকা কালীন প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০(পঞ্চাশ) টি দোররা মারা হবে । এই সেলে বন্দী মেয়েদের কাছ থেকে কোন প্রকার জরিমানা গ্রহন করা হবে না ।
০৩) প্রাপ্তবয়স্ক অবিবাহিত ছেলে-মেয়ে একসাথে ঘর থেকে বাহির হতে পারবে না । তবে বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যক্তিগন জামায়াত অনুমোদিত “বাহিরে যাওয়ার কার্ড” সাথে নিয়ে বের হতে পারবে। স্বামী-স্ত্রী একসাথে ঘর থেকে বাহির হলে অবশ্যই তাদের সাথে বিয়ের কাবিননামার আসল কপি বা জামায়াতের “রুকন” দ্বারা সত্যায়িত ফটোকপি রাখতে হবে । অন্যথায় শাস্তি স্বরূপ তাদের বিরুদ্ধে “জামায়াত অনুমোদিত ইসলামিক আইনে” আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে (সর্বনিন্ম ১০০ দোররা ও ৩(তিন) দিনের জেল/টর্চার সেলে বন্দী সহ ১,০০০ (এক হাজার) টাকা জরিমানা এবং সর্বোচ্চ ৫০০ দোররা ও ১(এক) বছরের জেল/টর্চার সেলে বন্দী সহ ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা জরিমানা প্রদান করতে হবে, সকল জরিমানা জামায়াত পরিচালিত “বাইতুল মাল” ফান্ডে জমা হবে।
০৪) দেশের সকল মসজিদের ইমামদের অবশ্যই জামায়াত অনুমোদিত সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং “সাথী” ট্রেনিং থাকতে হবে ।
০৫) শুধুমাত্র জামায়াত অনুমোদিত ৫(পাঁচ)টি দৈনিক ইসলামিক সংবাদপত্র, ৫(পাঁচ)টি সাপ্তাহিক ইসলামিক ম্যাগাজিন, ৫(পাঁচ)টি মাসিক ইসলামিক পত্রিকা এবং ৫(পাঁচ)টি ইসলামিক টিভি চ্যানেল ছাড়া অন্য সকল অনৈসলামিক/নাস্তিক পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেল বন্ধ করা হবে । কারো বিরুদ্ধে অনৈসলামিক/নাস্তিক কিংবা জামায়াতের অনুমোদন ছাড়া পত্রিকা/টিভি চ্যানেল খোলার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেলে তার এবং তার পরিবার ও সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে কঠোর “জামায়াত অনুমোদিত ইসলামিক আইনে” আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে (সর্বনিন্ম ১ মাসের জেল/টর্চার সেলে বন্দী সহ ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা জরিমান এবং সর্বোচ্চ ২(দুই) বছরের জেল/টর্চার সেলে বন্দী সহ ৫,০০,০০,০০০ (পাঁচ কোটি) টাকা জরিমানা প্রদান করতে হবে, সকল জরিমানা জামায়াত পরিচালিত “বাইতুল মাল” ফান্ডে জমা হবে ।
০৬) দেশের সকল ছিনেমা হলে শুধুমাত্র জামায়াত অনুমোদিত ইসলামিক ছিনেমা প্রচার করা যাবে, অন্যথায় উক্ত ছিনেমা হল বন্ধসহ ছিনেমা হলের মালিক, তার পরিবার এবং তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে “জামায়াত অনুমোদিত ইসলামিক আইনে” আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
০৭) দেশের সকল মন্দির গির্জা প্যাগোডাতে উপাসনা শুরুর পূর্বে অবশ্যই কোরআন পাঠ করতে হবে । অন্যথায় ঐ সকল উপাসনালয় চিরতরে বন্ধ করে দেয়া হবে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে “জামায়াত অনুমোদিত ইসলামিক আইনে” আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
০৮) যে সকল বিধর্মী ইসলাম গ্রহন করতে চাইবে তাদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হবে ।
০৯) জামায়াত অনুমোদিত নির্দিষ্ট পোশাক ছাড়া অন্য কোন পোশাক তৈরি এবং বিক্রি করা যাবে না । এ ধরনের কাউকে পাওয়া গেলে তার, তার পরিবার এবং সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে “জামায়াত অনুমোদিত ইসলামিক আইনে” আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
১০) দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার জামায়াতের আমির । উক্ত প্রতিষ্ঠানের যে কোন ব্যাপারে তার সিদ্ধান্তই চুরান্ত বলে গণ্য হবে ।
১১) নামাজের সময় কোন পুরুষ বাহিরে ঘোরাঘুরি করতে পারবে না, উক্ত সময় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সহ অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে । অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে “জামায়াত অনুমোদিত ইসলামিক আইনে” আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
১২) ইসলামিক গান ছাড়া অন্য সকল প্রকার গান গাওয়া এবং শোনা নিষিদ্ধ করা হবে । গান-বাজনা সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করা হবে । সঙ্গীতের সকল প্রকার যন্ত্রপাতি (বাদ্য যন্ত্র) ধ্বংস করার হবে । সঙ্গীতের কোন প্রকার যন্ত্রপাতি তৈরি এবং বিক্রি করা যাবে না । এ ধরনের কাউকে পাওয়া গেলে তার, তার পরিবার এবং সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে “জামায়াত অনুমোদিত ইসলামিক আইনে” আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
১৩) জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী সহ সকল প্রকার অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হবে । কোন ধরনের অনুষ্ঠানেই গান-বাজনা করা যাবে না।
১৪) নববর্ষ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ভালবাসা দিবস, মা দিবস, বাবা দিবস, আন্তর্জাতিক নারী দিবস সহ অন্যান্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সকল দিবস পালন নিষিদ্ধ করা হবে । শুধুমাত্র জামায়াত অনুমোদিত নির্দিষ্ট ইসলামিক দিবস পালন করা যাবে।
১৫) জামায়াত অনুমোদিত নির্দিষ্ট মিলাদ-মাহফিল ছাড়া অন্য কোন ধরনের সভা-সমাবেশ করা যাবে না।
১৬) জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র শিবির ও ইসলামী ছাত্রী সংস্থা ছাড়া অন্যান্য সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন (নাস্তিক বা কাফেরদের দল) নিষিদ্ধ করা হবে । কারন জামায়াত-শিবির’ই হল এক মাত্র সঠিক এবং সহি ইসলামিক দল।
১৭) জামায়াত অনুমোদিত কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠান হতেই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে । সেক্ষেত্রে জামায়াত অনুমোদিত শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু সাইট ব্যবহার করতে পারবে । অন্যথায় তার, তার পরিবার এবং সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে “জামায়াত অনুমোদিত ইসলামিক আইনে” আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৮) জামায়াত অনুমোদিত একটিমাত্র প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য সকল মোবাইল অপারেটর বন্ধ করা হবে । উক্ত মোবাইল কোম্পানির চেয়ারম্যান মজলিশে সূরা কর্তৃক প্রদত্ত নির্দিষ্ট ব্যক্তি হতে হবে ।
১৯) সকল প্রকার মোবাইল ম্যাসেজ ও কল মনিটরিং করা হবে । মোবাইল-এ কোন প্রকার অনৈসলামিক কথা-বার্তা বলা এবং মেসেজ লিখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে। মোবাইল এ কোন প্রকার ছবি বা ভিডিও সংরক্ষন করা যাবে না।
২০) এক জেলা হতে অন্য জেলায় প্রবেশ করা যাবে না । তবে, জামায়াত অনুমোদিত বিশেষ কার্ড সাথে নিয়ে যে কোন স্থানে যেতে পারবে।
২১) বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রেও জামায়াত অনুমোদিত “বিশেষ কার্ড” সাথে রাখতে হবে । অন্যথায় তার বিরুদ্ধে “জামায়াত অনুমোদিত ইসলামিক আইনে” আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
২২) সকল প্রকার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে মাসিক লাভের ১৫% জামায়াত পরিচালিত “বাইতুল মাল” ফান্ডে জমা করতে হবে। অন্যথায় উক্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ প্রতিষ্ঠানের মালিক, তার পরিবার এবং তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে “জামায়াত অনুমোদিত ইসলামিক আইনে” আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপরোক্ত নিয়মকানুন সবাইকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে । যারা এই সকল নিয়মকানুন মেনে চলবেনা তারা সকলেই নাস্তিক/কাফের, তারা ইসলাম বিরোধী। তাদের বা তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে “জামায়াত অনুমোদিত ইসলামিক আইনে” হাত-পা এর রগ কাটা এবং জবাই করে মৃত্যুদণ্ড সহ আরও কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে । জামায়াতের মজলিশে সূরা যখন যে আদেশ প্রদান করবে তা “ইসলামিক আইন” বলে গণ্য হবে।
©somewhere in net ltd.