![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আজ নিজের কিছু কথা বলব। নিজেকে নিয়ে। হয়ত কিছু মানুষ তাদের সাথে আমার মিল খুঁজে পাবেন।....খুব অল্প বয়সে আমি আমার মা কে হারাই। তখন পারিবারিক অনেক সমস্যার সম্মুখীন হই আমি,যা এই লেখার মুখ্য বিষয় না। আমি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ি। অতিরিক্ত বিষন্ন হয়ে পড়ি আমি। যার কারণে আমার বাবা আমাকে একজন মানসিক রোগের চিকিৎসক এর পরামর্শ মতো ঔষধ খাওয়াতে থাকেন। এ ব্যাপার গুলো আমাদের 'বিশ্বস্ত' কিছু কাছের মানুষদের কল্যাণে আমাদের প্রতিবেশী রা জেনে ফেলেন। এই প্রতিবেশী 'মানুষ' রা আমাকে নিয়ে কানাঘুষা শুরু করেন। যেন আমি অন্য গ্রহের কোন প্রাণী! একদিন আমার ফ্রেন্ডের কাছে শুনলাম 'মানুষ' গুলোর আলোচনা। সেই প্রতিবেশী রা আমার ফ্রেন্ডের মা কে ও চিনতেন। শুধু জানতেন না আমার আর আমার ফ্রেন্ডের ভাল বন্ধুত্বের কথা। তাঁরা বলছিলেন ''জানেন ভাবী, অমুক মানুষের মেয়েটা (আমি) না একটা পাগল।" আন্টি অবাক হয়ে বলেন, ''মানে?'' তারা বলে, "হ্যাঁ, ভাবী। আপনি জানেন না? দেখে বুঝবেন না। কিন্তূু ও একটা পাগল। পুরা পাগল।" শুধু তাই নয়, আমি ঘর থেকে বের হলেই তারা আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকাত, এবং মুখ টিপে হাসত। অথচ অস্বাভাবিক কোন আচরণ না দেখেই তারা কাজগুলো করত। এভাবে আমাদের সকল প্রতিবেশী রাই আমাকে 'পাগল' নামেই চিনত। কি সুন্দর ভালো মানুষ আমাদের সমাজে বাস করেন! তারা কত 'ভাল' তার কিছু উদাহরণ দেই তাহলে। আমার মা এর মৃত্যুর দিন আমি যখন শোকাহত, তখন এই সমাজ এর ই একজন মানুষ আমাকে সান্তনা দেন এই ভাবে, ''মা, তুমি মন খারাপ কোরো না। তুমি তোমার ফিগার এর দিকে খেয়াল রেখ। ফিগার ভাল রেখ।'' হে আল্লাহ! যে মানুষ ঐ পরিস্হিতি তে এমন আজব কথা বলতে পারে, সে সুস্থ্য। আর আমি পাগল? যে মানুষ গুলো অন্যের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে অবসর সময়ে শুধুমাত্র নিজেদের মনোরঞ্জনের জন্য একজন মানুষের নামে দুর্নাম ছড়াতে দ্বিধাবোধ করেনা, তারা ই সুস্থ্য। পাগল আমি। যারা একটা মানুষের কষ্ট দেখে অস্বাভাবিকভাবে হাসতে পারে,কিন্তূু তাদের মানসিকতা বিকৃত না। তারা সুস্থ্য। পাগল আমি। যারা বিশ্বাসঘাতকতা করে, তারাও সুস্থ্য। পাগল আমি ই! হাহ! যদি সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষের উদাহরণ এরূপ হয়,তবে পাগল হয়ে থাকতে আমার কোনো আপত্তি নেই। মানসিক সমস্যায় আমরা যে কেউ পড়তে পারি। সেই মানসিক সমস্যায় জর্জরিত মানুষ টা কে 'পাগল' নামে আখ্যায়িত করবেন না কি তাকে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখবেন সেটা আপনাদের সিদ্ধান্ত। সাহায্য না করুন,কিন্তূু ক্ষতি করবেন না।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫৭
আকাশ দেখা ঘুড়ি বলেছেন: দেশের সব থেকে বড় সমস্যা এই সমাজ। এই সমাজের কারণেই আমরা অনেকটা পিছিয়ে আছি।
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:০৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জাস্ট এভয়ড দেম, ইগনোর দেম। কে কি বলল সেটা মুখ্য নয়, আপনি কি বললেন সেটাই মুখ্য।
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা নিরন্তর।
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২০
শামসুদ্দীন হাবিব বলেছেন: ভাল লিখেছেন,তবে একটা যায়গায় একটি খটকা আছে তা হল,আমার মনে হয় কোন মানুষই একটা মেয়ের মায়ের মৃত্যুর দিনে ফিগারের দিকে খেয়াল রেখ,ফিগার ভালো রেখ এই ধরনের কথা বলতে পারে না।সর্বোপরি বলতে পারে শরীরের দিকে খেয়াল রেখ,শরীর ভালো রেখ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯
জিয়ানা বলেছেন: আপনার খটকা লাগাটাই স্বাভাবিক। আমার ও লেগেছিল। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন,কথাটা পুরোপুরি সত্য। প্রতি টি শব্দ। তাই তো অসুস্থ্য বলতে চেয়েছি আমি। মায়ের মৃত্যুর ঘটনার দিন নিয়ে আমি মিথ্যে বলব এতটা অমানুষ আমি নই। ধন্যবাদ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৬
জিয়ানা বলেছেন: এবং কথাগুলো আমি ভুল ও শুনি নি। কথা গুলো শোনার পর আমার ফ্রেন্ড রা আমাকে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে আসে। তারা কম বিস্মিত হয় নি। কতটা অদ্ভুত হলে মানুষ এ কথা টি বলতে পারে? বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যাপার। কিন্তূু মা এর মৃত্যুর দিনের ঘটনা নিয়ে আমি মিথ্যে বলব এমন অমানুষ আমি নই।
৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
শামসুদ্দীন হাবিব বলেছেন: দুঃখিত জিয়ানা,আমার ধারণা ভুল ছিল।আপনার জন্য সমবেদনা।আপনি আপনার সমস্যা কাটিয়ে উঠুন এই দোয়া করি এবং বিশ্বাস করি তা পারবেন।কারন মন্দ খুব ক্ষণস্থায়ী।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের বেশীর ভাগ মানুষ নানা কারণে মানসিক চাপে থাকে; ফলে, অনেকই স্বাভাবিক নয়; তদের কথার কোন দাম নেই; আপনি তাদের বুঝতে পেরেছেন।