নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.. তবুও আমি আঁধার পথিক, আঁধারের অতিথি হয়েছি আজ বিনা নোটিশে। ঘুম নেই চোখে, ক্লান্তি নেই চরণে... জানি না চলছি কোন্ মেঠো পথ ধরে! *facebook.com/shimulzia *facebook.com/ziaulshimul *ziaulshimul.blogspot.com

জিয়াউল শিমুল

মনের বাগিচা পায়ে দলে হালের অবার্চীন, মুখোশের অন্তরালে তারা মরুয়তে দীন

জিয়াউল শিমুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

চন্দ্র ।। পর্ব - ২০

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৮

আধা ঘন্টা পরে পানি থেকে মাথা তুললো রুদ্র। তারপর পোশাক পাল্টিয়ে নদির ঘাটে আবুলের পাশে এসে বসলো। আবুল চোখ বড় বড় করে অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো রুদ্রের মুখের দিকে। ওর ঘোর কাটছে না। এটাও কি সম্ভব! কিভাবে একটা মানুষ টানা আধা ঘন্টা পানির নিচে ডুবে থাকতে পারে? রুদ্র ওর দিকে তাকাতেই প্রশ্নবোধক দৃষ্টি ছুড়লো আবুল।

রুদ্র আবুলকে চিকন একটা প্লাস্টিকের পাইপ দেখিয়ে বললো- এটার সাহায্যে। এটা আগে থেকেই পকেটে রেখেছিলাম। ডুব দেয়ার পরে নদির কিনারায় চলে আসি। তারপর পাইপটার এক দিকে মুখ দিয়ে অপর দিকটা পানির উপরে বেড় করে দেই। যার জন্য পাইপ দিয়ে নিশ্বাস নিতে তেমন সমস্যা হয় নি। এবার চল, বাড়ি যাই।

বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যে হয়ে এলো। মাগরিবের নামায পড়ে নানা বোরহান উদ্দিনের সাথে পুকুরের উপরে দেখা করলো রুদ্র। ওদের বাড়ির সামনে বিশাল একটা পুকুর আছে। পুকুর পাড়ের চারদিক আম, জাম, কাঠাল, নারকেল, তাল গাছসহ বিভিন্ন রকম ফলের গাছে ভরে আছে। পুকুরের মাঝ বরাবর বাশ দিয়ে সুন্দর একটি সাকো তৈরি করা হয়েছে। সাকো যাতে ভেঙ্গে না যায় এ জন্য নিচে ব্যবহার করা হয়েছে কংক্রিটের পিলার। সাকোর ঠিক মাঝে গোল করে বসার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। উপরে ছনের চাল। মাঝে মাঝে সন্ধ্যার পরে হ্যাচাক জালিয়ে ওখানে বসেন বোরহান উদ্দিন। আজও বসেছেন, সাথে রুদ্র। হ্যাচাকের আলোয় রুদ্র দেখলো বোরহান উদ্দিনের মুখ গম্ভির হয়ে আছে। রুদ্র বোরহান উদ্দিনের গম্ভির মুখের দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলো- চন্দ্রকে কিডন্যাপের বিষয়ে কি কিছুই জানতে পারো নি নানু?

বোরহান উদ্দিন একটা দির্ঘশ্বাস ফেলে শুধু বললেন- নাহ্!

- কালো বাদুর কি সত্যিই নেই?

- না। কালো বাদুর লোকদের বানানো কাহিনি।

- কালো বাদুরের নাম নিয়ে হয়তো অন্য কেউ এটা করতে পারে।

- ঠিক বুঝতে পারছি না। চন্দ্রকে যেই কিডন্যাপ করুক না কেন সেটা নিশ্চয় আমার জন্য করেছে। তারা আমার কাছে কিছু চায়। কিন্তু কি চায় তারা? এখনো কেন যোগাযোগ করছে না?

- হয়তো এখনো তাদের সময় হয় নি।

- কখন তাদের সময় হবে? তারা আরো কতো সময় নিবে? চন্দ্র কেমন আছে? কোথায় আছে? চন্দ্রের সাথে কি আচরন করছে ওরা? আমি প্রচন্ড অসহায় বোধ করছি। জিবনে এতোটা খারাপ পরিস্থিতিতে আমি কখনো পড়ি নি। আমার পরিবারে হাত দেয়ার কার এতো দুঃসাহস!

- তোমার কাছে অনেক বড় কিছু চাইবে তারা। সেটা সময় হলেই চাইবে। এমন কিছু চাইবে যেটা তুমি দিতে পারবে না।

- হ্যা, না দেয়ার মতোই কিছু তারা চাইবে। কিন্তু কি সেটা? সেটার ধারনা করতে পারলেও চন্দ্রকে তাড়াতাড়ি উদ্ধার করা সম্ভব। শুধু পুলিশ নয়, অনেক বড় শক্তিও চন্দ্রকে দিনরাত খুজে বেড়াচ্ছে। কিন্তু কেউ কিছু করতে পারছে না কেন?

- যারা চন্দ্রকে কিডন্যাপ করেছে তারা নিশ্চয়ই পুরোপুরি গা ঢাকা দিয়েছে। ওকে হয়তো দেশেই রাখে নি। কেবল সময় হলেই তারা সক্রিয় হবে। হয়তো তারা সক্রিয় না হওয়া পর্যন্ত আমরা চন্দ্রকে অপহরনের কারনটা ধরতেই পারবো না।

- আমি চাচ্ছি তারা দ্রুত সক্রিয় হোক। তাদের কি দাবি সেটা জানাক। একবার যদি ধারনা করতে পারি চন্দ্রকে কে কিডন্যাপ করেছে তাহলে সে যতো শক্তিধরই হোক না কেন খুন করবো আমি।

- তারাও তোমার শক্তি জানে নানু। তাই তাদের সময় না হওয়া পর্যন্ত তারা কখনোই সক্রিয় হবে না। গত বছর পাশের গ্রাম থেকে যে দুই জন ছেলেমেয়ে হারিয়ে গেছে সেটার সাথে চন্দ্রকে কিডন্যাপের বিষয়টা কি যুক্ত থাকতে পারে নানু?

- পারে, আবার নাও পারে। ছেলেমেয়ে দুটোকে কিডন্যাপ করে বিনিময়ে কিছু চাওয়া হয় নি। যদি কিডন্যাপাররা চন্দ্রের জন্য আমার কাছেও কিছু না চায় তাহলে কি করবো ঠিক বুঝতে পারছি না। ও দুজনকেও অনেক খোজা হয়েছে কিন্তু আমরা পুরোপুরি ব্যার্থ হয়েছি। চন্দ্রের ক্ষেত্রেও যদি এমনটা হয়! এটা নিয়েও আমি টেনশনে আছি। বলতে পারিস ভয়েও আছি। আমি চাই ওরা আমার কাছে যা ইচ্ছা চাক। শুধু একবার চাক। তুই অনেক ছোট, তোকে এ সব বলা হয়তো আমার ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু দিন দিন আমি ভেঙ্গে পড়ছি।

- তুমি আমাকে সবই বলো নানু। আমার সমস্যা হবে না। আমি এ সব আগেই ভেবেছি। আর জেনে রেখো, চন্দ্রের ক্ষেত্রে তুমি যা ভয় করছো সেটা হতে দিচ্ছি না আমি। চন্দ্রকে আমি ঠিক খুজে বেড় করবো। কেউ কিছু করতে না পারলেও আমি করবো। গত বছর যে দুইজন ছেলেমেয়েকে কিডন্যাপ করা হয়েছে সেটার কারন আর চন্দ্রকে কিডন্যাপের কারন সম্ভবত এক নয়। কারন তাদেরকে কিডন্যাপ করার জন্য বিশেষ অবস্থার তৈরি করা হয় নি। কিন্তু চন্দ্রকে মেলায় টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য সার্কাস পার্টির আয়োজন করা হয়েছে, খুন করা হয়েছে। আমার মন বলছে তারা তোমার কাছে অবশ্যই কিছু চাইবে।

- তোর কথাই যেনো ঠিক হয়।

- তুমি যাদেরকে সার্কাস পার্টির খোজে পাঠিয়েছিলে তারা কি এসেছে?

- হ্যা। তারা সন্দেহজনক কিছু পায় নি।

- সার্কাস পার্টিকে মেলায় কে ডেকে এনেছে? আর টাকা দিয়েছে কে?

- মেলার সভাপতি রাজেন্দ্র ঠাকুরের ছেলে ওদের সাথে দেখা করে। টাকা রাজেন্দ্র ঠাকুরই দেয়। রাজেন্দ্র ঠাকুরের সাথে আমি কথা বলেছি। মেলা কমিটির সিদ্ধান্তে মেলাটাকে জাকজমক করার জন্য সার্কাস পার্টিকে ডাকা হয়। আগেও অনেক বার তারা সার্কাস পার্টি আনার চেষ্ঠা করেছে কিন্তু টাকার জন্য আনতে পারে নি। এবার মনিষ মুখার্জি টাকা দেয়ায় আনতে পেরেছে। যদি তারা আগে আনার চেষ্ঠা না করতো তাহলে সন্দেহ করা যেতো। কিন্তু তারা তো আগেও অনেক বার সার্কাস পার্টি আনার চেষ্টা করেছে। কাজেই এবার যে চন্দ্রকে কিডন্যাপের জন্যই সার্কাস পার্টি আনা হয়েছে সেটা সন্দেহাতিত ভাবে বলা যায় না। আর চন্দ্রকে কিডন্যাপিংয়ে সাহায্য করার সাহস রাজেন্দ্র ঠাকুরের নেই। এমনিতেই উনি সহজ সরল ভদ্র মানুষ।

- তোমার লোকেরা সার্কাস পার্টির গাড়িগুলো চেক করে দেখেছে? গাড়িগুলোতে কোন চোরা কুঠুরির খোজ করেছিলো তারা?

- হ্যা। গাড়িতে কোন চোরা কুঠুরি ছিলো না।

- সার্কাস পার্টির একটা মেয়ে আর দুইটা ছেলে নিজেদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলো তাদের সাথে তোমার লোকেরা কথা বলেছিলো?

- ওরা সবার সাথেই কথা বলেছে। যারা ছিলো না তাদের সাথে হয়তো বাড়িতে গিয়ে কথা বলেছে। ঠিক জানি না। তবে কথা যে বলেছে এতে কোন সন্দেহ নেই। ফাহিমেরা কখন ফিরবে?

- ওরা দুপুরে রওনা দিয়েছে। যে কোন সময় ফিরে আসবে। আবাসিক হোটেলগুলোতে লোক লাগিয়ে দিয়েছো?

- হ্যা। ওদেরকে বলা আছে আশপাশের জেলার হোটেলগুলোতেও যেনো খোজ নেয়। সন্দেহজনক কিছু পেলেই সাথে সাথে জানাবে। চন্দ্রকে কিডন্যাপের দিন যারা হোটেল ত্যাগ করেছে তাদের ঠিকানা নিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখা করার জন্যও বলে দিয়েছি। এতে করে হোটেলে কেউ ভুয়া পরিচয়ে থেকেছে কিনা সেটা জানা যাবে।

- ভালো করেছো। কোন অপরিচিত কেউ এখানকার কারো কাছে আমাদের তথ্য নিয়েছে কিনা, এটা জানার জন্য এলাকায় লোক লাগিয়ে দিয়েছিলে?

- হ্যা। কিন্তু সবাই বলেছে, সে রকম কেউ তাদের কাছে আমাদের বিষয়ে কোন তথ্য নেয় নি।

- তাহলে চন্দ্রের বিষয়ে কিডন্যাপাররা এতো তথ্য পেলো কি করে? চন্দ্র মেলায় যায় না সেটা তারা জানে। সার্কাসের প্রতি চন্দ্রের দুর্বলতাও তারা জানে। এ জন্য চন্দ্রকে মেলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এবার তারা সার্কাসের ব্যবস্থা করে। এ ব্যবস্থাটা এমন ভাবে করে যাতে করে মেলা কমিটির কেউ বুঝতেও পারে না তাদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেহেতু অপরিচিত কেউ এখানকার কারো কাছে চন্দ্রের খোজ করে নি সেহেতু স্থানিয় কারো এই কিডন্যাপিংয়ে যুক্ত থাকার সম্ভাবনা আছে, যে চন্দ্রের খুটিনাটি বিষয়গুলো জানে। এদিকে শুধু চন্দ্রকে কিডন্যাপের জন্যই যে সার্কাস পার্টির আয়োজন করা হয়েছে সেটাও নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। কালো বাদুরকে সন্দেহ করা হচ্ছে কিন্তু কালো বাদুর সত্যিই আছে কিনা সেটাও জানা যাচ্ছে না। তুমি বলছো নাই কিন্তু পুলিশ তাদের পিছনেই ছুটছে। আবার মেলায় নগেন নামের যে লোকটা খুন হলো তার খুনিকে সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না, খুনের কারনটাও জানা যাচ্ছে না। অন্যদিকে কিডন্যাপাররাও যোগাযোগ করছে না। তারা যোগাযোগ করবে কিনা সেটাও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। কোন দিক দিয়েই এগুনো যাচ্ছে না। আমরা একটা অথর্ব পরিস্থিতিতে পড়ে গেছি। কিন্তু এভাবে কতো দিন?

- রুদ্র, আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না সামনে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে। আজ তোকে একটা কথা বলি, যদি আমার কখনো কিছু একটা হয়ে যায়, বুঝতে পারছিস তো কি বলছি আমি?

রুদ্র আর্তনাদ করে বললো- নানু তুমি এ সব কি বলছো! তোমার কিছুই হবে না।

বোরহান উদ্দিন যেনো রুদ্রের কথা শুনতেই পারলেন না। আগের কথার জের ধরেই বললেন- যা ধারনা করছিস সেটাই, যদি সত্যিই আমার তেমন কিছু হয়ে যায় তাহলে তোর নানি তোকে একটা রুপোর সিন্দুক দিবে। সিন্দুকটা খুলবি। সেখানে হাতে লেখা একটা বই পাবি। বইটা পড়বি, একা। আমার একটা চিঠি পাবি। চিঠিতে যা লেখা আছে সে অনুযায়ি কাজ করবি। তবে মনে রাখবি বইটা এবং আমার চিঠিটা একা পড়বি। শুধুই একা। এটা আমার আদেশ।

- নানু তোমার কিছুই হবে না।

- হবে তা তো বলি নি! বলেছি যদি হয়। সিন্দুকের পাসওয়ার্ডটা ভালো করে মনে রাখ- ৯৬৩৮৫। পাসওয়ার্ডটা যদি কখনো ভুৃলে যাস তবে এটা মনে করার একটা কৌশল আছে। কৌশলটা হচ্ছে, ১ থেকে ৯ পর্যন্ত একটা সার্কেল তৈরি করবি। সার্কেলের সব চেয়ে বড় অংক হচ্ছে ৯। পাসওয়ার্ডের প্রথম অংকটাও হবে ৯। ৯ এর আগের জোড় অংকের পরের জোড় অংক হবে পাসওয়ার্ডের দিতিয় অংক। অর্থাত ৯ এর আগের জোড় অংক হচ্ছে ৮, ৮ এর আগের জোড় অংক হচ্ছে ৬। তাই পাসওয়ার্ডের দিতিয় অংক হবে ৬। এরপর ৬ এর পরে একই সুত্র মেনে নিতে হবে বিজোর অংক। অর্থাত ৬ এর আগের বিজোর অংক হচ্ছে ৫, ৫ এর আগের বিজোর অংক হচ্ছে ৩। তাই পাসওয়ার্ডের তৃতিয় অংক হবে ৩। এরপর আসবে জোর অংক। ৩ এর আগের জোড় অংক হচ্ছে ২, ২ এর আগে কোন জোড় অংক নেই। কিন্তু ১ থেকে ৯ পর্যন্ত যেহেতু একটি সার্কেল ধরা হয়েছে তাই ২ এর পরে হবে ১, ৯, ৮...... এভাবে। তাই ২ এর পরের জোড় অংক ধরতে হবে ৮ কে। এই ৮ই পাসওয়ার্ডের চতুর্থ অংক। এরপর আসবে বেজোড়। ৮ এর পরে বেজোড় হচ্ছে ৭, ৭ এর পরে বিজোর হচ্ছে ৫। তাই ৫ হবে পাসওয়ার্ডের পঞ্চম এবং শেষ অংক। সুত্রটা বুঝতে পারছিস?

- হ্যা নানু। ৯ কে ধরতে হবে পাসওয়ার্ডের প্রথম অংক। তারপর ৯ এর আগের জোর অংক বাদ দিয়ে পরের জোর অংক ৬ নিতে হবে। এরপর ৬ এর আগের বিজোর অংক বাদ দিয়ে পরের বিজোর অংক ৩ নিতে হবে। এভাবে একটা জোর বাদ দিয়ে পরের জোরকে ৮ এবং একটা বিজোর বাদ দিয়ে পরের বিজোর ৫ নিতে হবে।

- ঠিক ধরেছিস। আর কোন কথা আছে তোর?

- না।
.
- তাহলে তুই এখন যা। আমি একটু একা থাকবো।

রুদ্র উঠে দাড়ালো। সিন্দুকের ভিতরে কি আছে সেটা ও অনুমান করে নিয়েছে। তবে পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। ও সবার ছোট, অথচ ওদের বংশের পরবর্তি প্রজন্মকে কি ওরই নেতৃত্ব দিতে হবে! এভাবেই কি ওদের বংশে এক জনের পর আরেক জনের উপরে নেতৃত্বের দায়িত্ব আসে? রুদ্র চলে আসার আগে বোরহান উদ্দিনকে বললো- নানু, যদি কখনো দেখো আমি কিছু দিনের জন্য হারিয়ে গেছি, তবে চিন্তা করো না। আমি ঠিক থাকবো।

বোরহান উদ্দিন রুদ্রের চলে যাওয়ার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলেন।

চলবে.......

চন্দ্র উপন্যাসের ভুমিকা ও পর্ব সমুহের সুচিপত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.