নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাসয়াত রহমান জিকো (Rashat Rahman Zico)

কিছু মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে। কিছু মানুষ স্বপ্নটা সত্যি করার জন্য ঘুম থেকে জেগে উঠে। জীবন আপনার কাছে সেভাবেই ধরা দিবে আপনি যেরকম থাকবেন।

জিকসেস

লেখালেখির কোন অংশই লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা (ব্লগ লিংক ফেসবুক শেয়ার করা যাবে)। বাক্য গঠন এবং বানান ভুল পাওয়া যাবে এ জন্য দুঃখিত। সেগুলো ধরিয়ে দিতে সাহায্য করলে সেগুলাকে ঠিক করে দেই। ফেসবুক - http://www.facebook.com/rrzico

জিকসেস › বিস্তারিত পোস্টঃ

চোখ দিয়ে অনুভব করা আর মন দিয়ে দুনিয়া দেখা।

২১ শে জুন, ২০১১ রাত ২:৪৩

আমি ধর্ম নিয়ে কখনো খুব চিন্তা ভাবনা করি নাই। আমি জানি একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন, তিনি আল্লাহ। তিনি আমাদের সবাইকে সৃষ্টি করেছেন। কেন তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন এটা আমি আমার মত করে ছোটবেলায় খুব ভাবতাম। আমার জ্ঞান সীমিত। আমার ভাবনাও তাই বাচ্চাদের মতই। পৃথিবীর সেরা সৃষ্টি হিসেবে তিনি আমাদেরকে বেছে নিলেন কেন? আমাদের আদি-পিতাকে সম্মান করার জন্য তিনি যাদের আগুন দিয়ে বানিয়েছেন তাদেরকেও আমাদেরক সম্মান করতে বলেছেন কেন? এ থেকেই বুঝা যায় আল্লাহ তার নিজের সৃষ্টি মানব-জাতিকে কতটা পছন্দ করেন। আল্লাহ এটাও পছন্দ করেন যখন আমরা তাকে পছন্দ করি। তাকে পছন্দ করা মানে তার নির্দেশ অনুযায়ী চলা। আল্লাহকে ভয় করা শ্রদ্ধা করা মানেও আল্লাহকে পছন্দ করা। মানুষ জাতিকে কি যেকোন অবস্থায় আল্লাহকে পছন্দ করবে? তাই আল্লাহ বিবি হাওয়ার সামনে গন্ধম ফলের ব্যাপারটা আনলেন? তিনি দেখালেন কি জন্য তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমাদের পরীক্ষা করতে চান। তিনি আমাদের সবকিছুই দিয়েছেন কিন্তু কোন কিছুতেই বাড়াবাড়ি করা যাবেনা। তিনি আমাদের কাছে চান ধৈর্য্য, সংযম, মহানুভবতা। যাদের এগুলা আছে আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন। যাদের নেই তাদের হয়তো সুযোগ দেন।



কি লিখতে বসেছিলাম এটাই মনে নাই। কেন মানবসৃষ্টির আদিকালে চলে গেলাম ব্যাপারটা আমার জানা নেই। ১ সপ্তাহ হবে রুমানা ম্যাডাম আর হাসান সাইদকে নিয়ে পেপারে, টিভিতে, ব্লগে একগাদা লেখা পড়লাম, খবর দেখলাম। যেদিন প্রথম দেখলাম শঙ্কিত হলাম। অনেক ধরনের মারামারির ছবি দেখেছি। কিন্তু নিজের স্ত্রীকে কি এভাবে মারা যায়? চোখ অন্ধ করতে চাওয়ার কারনটা কি? অপেক্ষা করলাম পরবর্তী খবরের জন্য। সাইদ ধরা পড়েছে। ইরানী ছেলের সাথে ম্যাডামের পরকীয়ার খবর এনেছে। ইরানী ছেলের নামও কোথায় যেন দেখলাম। এই নাম ফেসবুক থেকে সরাতেই যদি এত ঝামেলা তাহলে সেই একাউন্ট কই? কোথায় ইরানী ছেলে? রুমানা ম্যাডাম এতদিন ঢাকায় ছিলেন কোনদিন তাকে নিয়ে কেউ কিছু বলেনি তিনি কানাডায় গিয়ে পরকীয়া শুরু করবেন কেন? আর যদি তার পরকীয়াই করতে হয় ইরানী ছেলেকে নিয়েই যদি তিনি ভবিষ্যত দেখেন তাহলে তার দেশে ফিরার দরকার নেই। সেখানেই ইরানী ছেলেকে নিয়ে কাটিয়ে দিতে পারতেন। ব্লগে , ফেসবুকে মানুষ দুইভাগ হয়ে গেল। রুমানা ম্যাডামের পরকীয়ার প্রমান খুঁজতে লাগল। বেশিরভাগ মানুষ এটা ভুলে গেল ম্যাডাম আর চোখে দেখেন না। তিনি জন্মান্ধ নন। কাজেই এই ব্যাপারটার সাথে নিশ্চয়ই তার পরিচয় নেই। চোখ বন্ধ করে অনুভব করার চেষ্টা করলাম দুনিয়াটা কেমন লাগে। খুব বেশি না। ৫ মিনিটেই দুনিয়াটা অসহ্যবোধ হল। চোখ অমূল্য সম্পদ কেউ এমনি এমনি বলেনা। এই দুনিয়ার যে এত চমৎকার সব রঙ দিয়ে ভরা সেটা অনুভব করার জন্য চোখ লাগে। এই প্রথমবারের মত আমি বুঝতে পারলাম অনুভব করার জন্য হৃদয় না- চোখটাই বেশি জরুরি। একজন জন্মান্ধের জন্য এই অনুভবটা বুঝতে পারতাম না কিন্তু রুমানা ম্যাডামের জন্য বুঝতে পারি।



সাইদকে অনেকে সহানুভুতি দেখানো শুরু করেছেন। "একহাতে তালি বাজেনা" এরকম কথা দেখলাম। তালি জিনিসটা আসলে কোন খারাপ জিনিশ না। মানুষ এখানে তালির উদাহরন দিচ্ছে কেন তাই চিন্তা করলাম। তালি তখনই হয় যখন তাল মিলে, আনন্দ প্রকাশে আমাদের দুই হাত যখন সমান চলে তখন হাত দিয়ে একটি তাল হয় যেটা হচ্ছে তালি। রুমানা ম্যাডাম আর সাইদের ব্যাপারে তালি আসল কোথেকে? এখানে তো সমান-সমান ব্যাপারটাই নেই!! সাইদ প্রথমে বলল, ধস্তাধস্তির সময় এমন হতে পারে । কিন্তু এত ধস্তাধস্তিতে সাইদের চশমাটার পর্যন্ত কিছু হলনা আর রুমানা ম্যাডাম অন্ধ হয়ে গেল?? আর মানুষ এটাকে বলছে এক হাতে তালি বাজেনা? রুমানা ম্যাডাম যে পরকীয়া করতেন এটা এক অন্ধ সাইদ ছাড়া আর কেউ জানেনা? রুমানা ম্যাডাম কানাডায় কি করতেন সেটা সাইদের থেকে ভাল তাদের জানার কথা যারা কানাডায় ছিলেন। তাদের পাঠানো চিঠিও এই ব্লগেই আছে। রুমানা ম্যাডাম কখনই সাইদের বিরুদ্ধে কারো কাছে অভিযোগ করেননি, তিনি সবার কাছে জানতে চেয়েছেন কিভাবে তার কন্যা আর স্বামীকে কানাডায় আনা যায়। সাইদ তো আর বসে থাকবেনা তাহলে সাইদ কানাডায় কিভাবে ব্যবসা করতে পারে- সেটাও ছিল একটা চিন্তা। এত কিছুর মাঝে পরকীয়া ব্যাপারটা কোথায়? ম্যাডাম যদি সেরকম কোন চিন্তা করেই থাকতেন তাহলে সাইদকে নিশ্চয়ই কানাডায় নেওয়ার চিন্তা করতেন না!!



সাইদ সম্পর্কে একজায়গায় সাইদের ক্যাডেটের এক বন্ধুর কমেন্ট পড়লাম। সাইদ নাকি বিড়াল হত্যা করে নির্মল আনন্দ পেত। নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গমের কথা নাকি মুখে বলে বেড়াত। এগুলা বাদ দিলাম। কিছুক্ষন নিজেকে সাইদের জায়গায় নিয়ে গেলাম। চিন্তা করে দেখলাম কেমন লাগে যদি আমি কিছুই করতে না পারি আমার বিবাহিত বউ অনেকদূর চলে যায়। এটা একজন ছেলের জন্য মানা কঠিন বিশেষ করে আমাদের সমাজে। আমরা সবসময়েই এটা ভাবি ছেলেরাই উপরে থাকবে। শিক্ষা দীক্ষায় ছেলেরা বেশি হলেই সব কিছু ব্যালেন্স হবে। এমনি যদি হয় মানসিকতা- তবে কারো অযোগ্যতার ফল তো তাকেই ভোগ করতে হবে। তারা যখন প্রেম করেন তখন একজন ছিলেন বুয়েটের ছাত্র আরেকজন ঢাবি এর ছাত্রী। বুঝায় যাচ্ছে দুইজনেরই জীবনে লক্ষ্য আছে। সেটাই আমরা মনে করি। যেই ছেলেটা বুয়েটে ইলেক্ট্রিকালে পড়বে সেটা আর যাই হোক কোন এম্বিশনলেস ছেলে হবেনা। কিন্তু বুয়েট থেকে ডিগ্রি নেওয়া সাইদের সম্ভব হয়নি। রুমানা ম্যাডাম নিজেকে থামিয়ে রাখেননি। জ্ঞান অর্জনের স্বাধীনতা যেহেতু আছে তিনি নিজেকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন। ঢাবি এর শিক্ষক হয়েছেন। একজন মেয়ে ঢাবি এর শিক্ষক হয়েছে এটা যে তার পরিবারের প্রতি কত বড় সম্মানের ব্যাপার তা আমাদের পরিবার থেকেই আমি জানি। তাহলে এখান থেকেই দুরত্ব শুরু হচ্ছে। একজন ইন্টার পাস আরেকজন ঢাবি এর শিক্ষক। একজনের কমেন্ট পড়লাম সাইদ রিপিটেড ইগ্নোরেন্সের স্বীকার। তার বউ এত উপরে উঠছে আর তাকে ছোট করছে। এখন আরেকজন উঠতে পারবেনা দেখে রুমানা ম্যাডাম পড়বেননা? আজকে থেকে ২০ বছর আগে আমার আরেক মেয়ে কাজিনের কথা মনে পড়ল। পিএইচডি এর অফার পাওয়ার পরেও যাওয়া হয়নি কারন দুলাভাই যেতে দেননি। ২০ বছর আগের সাথে এখনকার পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে বলেই জানি। এখন একটা পরিবার ছেলের লেখাপড়া এবং নিশ্চয়তার জন্য যেরকম পরিশ্রম করে মেয়ের জন্যও করে। এখন ছেলে পড়ালেখা করবে উচ্চতর শিক্ষার জন্য আর মেয়ে পড়ালেখা করবে ভালো জামাই পাওয়ার জন্য - এরকম চিন্তার দিন আশা করি শেষ হয়েছে। আমরা মেয়েদের শিক্ষার কথা বলি, একটা দেশের অগ্রগতির জন্য মেয়েদের শিক্ষাকে আলাদা প্যারামিটার হিসাবে গন্য করি তাহলে নিশ্চয়ই তাদের আমরা আটকিয়ে রাখতে পারিনা? কেউ যদি এরকম মনে করে মেয়েদের বাইরে পড়তে দিলেই তারা পরকীয়া করবে তাহলে সেটা তার ভুল চিন্তা তাদের মানসিকতার সমস্যা। পরকীয়ার সাথে বাইরে পড়তে যাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। এটা সম্পূর্ন আলাদা জিনিস। এটা আমাদের সমাজে বৈধ না কিন্তু আমাদের সমাজের ব্যাধি। কারা পরকীয়া করে এটার কোন রেঞ্জ নাই। এটা বস্তিতে হয়, গ্রামে গঞ্জেও হয় এটা হাইক্লাস ফ্যামিলিতেও হয়।



একটা মেয়ে যখন লেখাপড়া নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামে তখন ছেলেদের সাথেই তার পাল্লা হয়। বুয়েটে, ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় ছেলেদের সাথে মেধার লড়াইয়ে জয়ী হয়ে তারা ভর্তি হয়। জ্ঞানের জগত হল স্বপ্নের জগত। এই চমৎকার জগতের গাছে যখন আমরা তাদের উঠিয়ে দেই তখন তাদের মই কেড়ে নেওয়ার দরকার নেই। আর একজন ছেলের কর্তব্য কি? আমাদের ধর্মেই সম্ভবত একটা কথা বলা আছে। স্ত্রী যদি ধনী হয় তারপরেও স্বামীকে স্ত্রীর এবং সন্তানদের দায়িত্ব নিতে হবে। স্ত্রীর-এর ভর পোষনের দায়িত্ব। নিজেদের ছেলে মেয়ের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালন করার পর তার স্ত্রীকে শাসন করার অধিকার সে পায়। এরপর স্ত্রী যদি পরকীয়া করে স্ত্রীকে ত্যাগ করার অধিকার সে পায়- তাকে হত্যা করার বা চোখ তুলে ফেলার নয়।



ঠিক আছে স্ত্রী-এর কথা বাদ দিলাম সাইদের কি নিজের মেয়ের প্রতি এতটুকু মমতা ছিলনা? তার মেয়ের ভরন-পোষন নিশ্চয়ই মা দেয়। নিজের বউকে যদি হত্যা করতেই হয় তাহলে সেটা নিজের মেয়েকে আড়াল করেই করত। নিজের মেয়ের সামনে করার দরকার কি?



তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম রুমানা ম্যাডামের পরকীয়া সম্পর্ক আছে। যদিও সেটার কোন প্রমান নেই। সাইদ নিজেই রিমান্ডে বলেছে সে হীনমন্যতাবোধে ভুগত। শেয়ার বাজারে লসের কারনে তা আরও প্রকট আকার ধারন করে। স্ত্রীর চোখ তুলতে নয় তাকে হত্যা করতেই গিয়েছিল। একটা চোখ তুলাও সহজ ব্যাপার নয়। মনে হয় চোখ খুব নরম কিছু। চোখ আসলে খুব শক্ত কিছু। খুব সহজে এর ক্ষতিসাধন সম্ভব না। আমার এই লেখা পড়ে অনেকেই বলবে একতরফা লেখা। দুইদিকেই ভাবা উচিত ছিল। এই ব্যাপারটা আর ভাবতে চাইনা। কয়েক মাস ধরেই এই ব্যাপারটাতে আমি খুব বিরক্ত। কিছু হলেই মানুষ যে ভিক্টিম তারই দোষ খোঁজা শুরু করে। যে গুলি খায় কেউ কেউ বলে নিশ্চয়ই তার কোন দোষ ছিল। যাকে রেপ করা হয় নিশ্চয়ই তার কোন দোষ ছিল নাইলে রেপ হল কেন? কয়েকদিন আগেই পেপারে পড়লাম এক মেয়েকে রেপ করা হয়েছে আবার তাকেই দোররা মারা হয়েছে। অনেক ভেবেই কিছু চিন্তা করে বের করতে পারলাম না তাকে দোররা মারা হল কেন? হতে পারে রেপ করার সময় বাধা দেওয়াও এখন একটা অপরাধ।



কেউ আমার লেখায় কিছু মনে করেননা আমারা আসলে মন খুব খারাপ। আমি খুব আশা নিয়ে ছিলাম ম্যাডামের এক চোখ ভাল হবে কিন্তু কিছুক্ষন আগে খবরে জানতে পারলাম সেই সুযোগ নাকি নেই। ম্যাডাম চিরতরে অন্ধ হয়ে গেছেন। তিনি বারবার বলছেন " আমি আমার মেয়েকে আর দেখতে পাবনা"। তিনি কিন্তু তার বাবার কথা বলেননি, তার প্রফেশনের কথা বলেননি। তিনি এই সবুজ পৃথিবীর কথা বলেননি তিনি বলেছেন তার মেয়ের কথা। একজন নারী বিবাহিত জীবনে স্বামীর কাছে বিশ্বাস-ঘাতকতা হয়ত করতে পারে কিন্তু একজন মা পারেন না। সেই ছোট মেয়ের কাছে তিনি পুরোপুরিই মা।



আমার জীবনে সফলতার থেকে ব্যর্থতা বেশি কিন্তু আমার বন্ধু বান্ধব সবাই জানে আমি সবসময় আশার কথা বলি। আমার দৃষ্টিভঙ্গি সবসময় ইতিবাচক। রুমানা ম্যাডাম আপনি চিন্তা করবেন না। আপনি এখন আপনার মেয়ের চোখে দুনিয়া দেখবেন। অন্ধ হয়েও আপনি অনেক কিছু করে ফেলতে পারবেন। হুমায়ুন আহমেদের বইয়েই তো পড়েছিলাম অন্ধ ছেলের পলিমার কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করার কাহিনী। এবার আপনি কাহিনী গড়ুন। চোখ দিয়ে যেমন অনুভব করা যায়। মন দিয়ে হয়ত দুনিয়াও দেখা যায়। আপনি দুনিয়া দেখুন মন দিয়ে আর অনুভব করুন আপনার মেয়ের চোখ দিয়ে।

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৩০/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ২:৫২

নোমান নমি বলেছেন: আমাদের মন প্রায় দূষনের পর্যায়ে চলে গেছে।
আর যেসব মনে পঁচন ধরেছে তারাই হাসান সাঈদ।আমরাও মনে হয় ওই পথেই আছি।

২১ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:২৫

জিকসেস বলেছেন: মনটা খারাপ আছে।

২| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:০০

সাকিব নূর আশরাফ বলেছেন: as usual ... অসাধারণ ।

২১ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:২৬

জিকসেস বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:১২

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: valo laglo pore.rumana apur jnno shuvokamona roilo...:(

৪| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:১৩

সুদীপ্ত কর বলেছেন: রুমানা ম্যাডাম নিশ্চয়ই থেমে থাকবেন না। দোয়া করি উনার জন্য। বিচার হোক পশুটার।
অনেক ভাল লিখেছেন ভাইয়া।

৫| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:২০

জেমসবন্ড বলেছেন:

...............আইন কখনও নিজের হাতে তুলে নিতে নেই । অপরাধ যাই হোক । তবে শয়তানের প্ররোচনায় মানুষ নিজেকে নিচে নামিয়ে ফেলে ।

৬| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:২৫

ৈজয় বলেছেন: ম্যাডামের দুটোচোখই নষ্ট হয়ে গেছে শুনে খুব খারাপ লেগেছে। তার বাচ্চার কথাটাই ভাবছি বেশি।

৭| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:২৬

মোঃ গোলাম কিবরিয়া বলেছেন: সুদীপ্ত কর বলেছেন: রুমানা ম্যাডাম নিশ্চয়ই থেমে থাকবেন না। দোয়া করি উনার জন্য। বিচার হোক পশুটার।
অনেক ভাল লিখেছেন ভাইয়া।

৮| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:২৭

সহ্চর বলেছেন: এক হাঁতে তালি বাজে না!!!! কি হাস্যকর কথা।

এই ভাবে বললে তো কিছু দিন পরে এই কথাও শুনতে হবে "যুদ্ধের সময় যারা রাজাকার ছিল তাদের ও কোন দোষ নাই"।তারা যে মনবতা বিরোধী কাজ করছে এর পিছনে নিশ্চয়ই কোন কারন ছিল কেনোনা এক হাতে তালি বাজে না।
এই পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ মানব আমাদের নবী,তার ও কিন্তু শত্রু ছিল। তাহলে কি এই কথা বলব যে উনার ও কোন দোষ(নাউজুবিল্লাহ) ছিল!!!!! কেনোনা এক হাতে তো তালি বাজে না!!!!

এই সব ফালতু কথা বলে মইনের মতো ক্রিমিনাল কে বাঁচানোর মতো কোন রাস্তাই নাই।সে অবশ্যই দোষী।এবং তার সর্বচ্চ সাজা কাম্য।

আর ম্যাডামের জন্য বলতে চাই আপনি দুনিয়া দেখুন মন দিয়ে আর অনুভব করুন আপনার মেয়ের চোখ দিয়ে।

@লেখকঃআরেকটি অসাধারন লেখা +

৯| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:২৮

মনে নাই বলেছেন: একটানে সবটুকু লেখা পড়ে ফেললাম, কিছু জায়গায় চোখের পানি আটকিয়ে রাখতে পারিনি, এখন লিখতে পারছিনা, পরে আবার এসে কমেন্ট করে যাবো। খারাপ লাগছে।

১০| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:২৮

সহ্চর বলেছেন: সরি মইন না সাইদ হবে

১১| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:৩১

একরামুল হক শামীম বলেছেন: রুমানা ম্যাডামের জন্য জীবনযাপন অনেক কঠিন হয়ে গেল। :(

১২| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:৩২

বিতর্কিত মানব বলেছেন: দারুণ লাগল লেখাটা জিকসেস ভাই। কদিন ধরেই এসব কথা পড়তে পড়তে আমি ক্লান্ত। বিরক্ত লাগছিল খুব। আমাদের চিন্তাধারা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে? আমরা কেমন মানুষ! লেখাটা পড়তে গিয়ে মনে হল কোথাও না কোথাও আমার নিজের বলতে চাওয়া কথা গুলোই বলছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আর ম্যাডামের জন্য শুভকামনা। যদিও জানিনা এই শুভকামনা তার কতটুকু কাজে আসবে।

১৩| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:৩৮

রাহীম বলেছেন: ভালো লাগলো । আসলে বাস্তবতা হলো মানুষ বড় অসহায় ! ধন্যবাদ এমন একটি লিখার জন্য ।

১৪| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:৪৮

আম-আঁটির ভেঁপু বলেছেন: কিছু লেখার মত মানসিকতা নাই। আল্লাহর কাছে রুমানা আপার জন্য দোয়া করি। তিনি যেন সব প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে জীবনযুদ্ধে জয়ী হন। মেয়েটা যেন মানুষ হয়।

১৫| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:৫৬

বোরহান উদদীন বলেছেন:
ভাই একদম খাঁটি কথা বলছেন। তিনি আমাদের কাছে চান ধৈর্য্য, সংযম, মহানুভবতা সুন্দর লিখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ২১ শে জুন, ২০১১ ভোর ৪:৪৭

নীল২০১০ বলেছেন: বিতর্কিত মানব বলেছেন: দারুণ লাগল লেখাটা জিকসেস ভাই। কদিন ধরেই এসব কথা পড়তে পড়তে আমি ক্লান্ত। বিরক্ত লাগছিল খুব। আমাদের চিন্তাধারা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে? আমরা কেমন মানুষ! লেখাটা পড়তে গিয়ে মনে হল কোথাও না কোথাও আমার নিজের বলতে চাওয়া কথা গুলোই বলছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আর ম্যাডামের জন্য শুভকামনা। যদিও জানিনা
এই শুভকামনা তার কতটুকু কাজে আসবে।

সহমত।

১৭| ২১ শে জুন, ২০১১ ভোর ৪:৫৩

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: অতিরিক্ত অসাধারণ একটা লেখা! গত অনেকদিনে এ বিষয়ে অনেক লেখা পড়েছি!! কিন্তু এটা একটু অন্যরকম, একটু ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে লেখা। আপনাকে ধন্যবাদ!

১৮| ২১ শে জুন, ২০১১ ভোর ৫:৩০

চশমখোর বলেছেন: আপনার লেখার সাথে সহমত।

রুমানা ম্যাডামের জন্য দোয়া রইলো। তিনি পৃথিবী দেখবেন তার মেয়ের চোখে। সুন্দর দেখবেন তার মেয়ের চোখে।

১৯| ২১ শে জুন, ২০১১ ভোর ৬:৩৭

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: post er sathe sohomot.............vhaiya......ar ki bolbo,esob shunlei mon kharap lage..........

২০| ২১ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:০৬

বীরেনদ্র বলেছেন: A crime is always a crime and a criminal should be punished. Nothing can justify what Syed did.

২১| ২১ শে জুন, ২০১১ সকাল ৮:২০

যৈবন দা বলেছেন: নিজেকে বুয়েট ইলেক্ট্রিকালের ছাত্র বলে পরিচয় দেবার আগে এখন বুকটা কেপে উঠে ;(

২২| ২১ শে জুন, ২০১১ সকাল ৮:৩১

ভারসাম্য বলেছেন: বুঝলাম কিন্তু শুরুতে ধর্ম,আল্লাহ এসব টেনে আনলেন কেন? আর এনেছিলেনই যখন তখন আরেকটু আনতেন। তাহলে আপনার আল্লাহ কোরানের না বাইবেলের বোঝা যেত। কোরানের আল্লাহ কিন্তু শুধু হাওয়া(আঃ) এর সামনে গন্ধমের ব্যাপার এনেছিলেন এমনটা বলেননি। কোরানে আদম-হাওয়া উভয়ের কথা আছে, কখনো শুধু আদম আর গন্ধম বলে কোন নাম উল্লেখিত হয়নি।
অতএব যা নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করেননি সীমিত জ্ঞানে তাই দিয়ে শুরু কতটা যৌক্তিক হল?

পোষ্ট এর মাঝখানে দোররা মারার একটা ঘটনা উল্লেখ করলেন। এটার অবশ্য মিল আছে এই পোষ্ট এর সাথে কিন্তু মূল ফতোয়া কিন্তু এমনটা করতে বলেনা। হাসান সাইদ এর পক্ষাবলম্বনকারীরা কিন্তু অনেকটা এমন কাজই করেছে কিছুটা।

রুমানা'র যদি কোন দোষ থাকেও তার একটাও এই সময়ে মিডিয়াতে আসার কোন যৌক্তিকতা ছিলনা। ধিক্কার জানাই সুপন রায় ও তাঁর মত মানুষগুলোকে।

২১ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:৪৬

জিকসেস বলেছেন: শুরুর কথাটার উপসংহার হল- আমাদের আল্লাহর বিধান মেনে চলা উচিত। এর বাদে সেখানে কোন জটিলতা নেই।

২৩| ২১ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:১৩

শিমন বলেছেন: অসাধারন লেখা। প্রিয়তে নিলাম।

২৪| ২১ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৫২

অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: ভালো লাগলো ।

২৫| ২১ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৫৫

বাদ দেন বলেছেন: উনাকে আরো ভাল চিকিতসার জন্য সিঙ্গাপুর কিংবা বা আমেরিকায় নিয়ে যায় না, আমার এক আত্বীয়ের আঘাত পাওয়া চোখ সিঙ্গাপুরে গিয়ে ঠিক হয়েছিল।
আমরা সবাই সাহায্য করতে পারি।

আমি সাইদের অজুহা্ত জানবার প্রয়জনীয়তা টি কি বুঝলাম না কারন কোন অজুহাতই এনাফ না। তারে ডাইরেক্ট জেলে পাঠানোই উচিত ছিল, কি কারনে করছে এটা জানবার কি দরকার সে করসে, এটাই শাস্তি পাবার জন্য যথেস্ট

পোস্টে ++++++++++++

২৬| ২১ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৫৩

দুর্বলতার অমিত বলেছেন: শুধু পড়ে চোখের পানি ফেলতে পারি আর তো কিছুই করতে পারি না...অনেক অসহায়

২৭| ২১ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:০৮

কি নাম দিব বলেছেন: সাইদকে অনেকে সহানুভুতি দেখানো শুরু করেছেন। "দুই হাতে তালি বাজেনা" এরকম কথা দেখলাম। তালি জিনিসটা আসলে কোন খারাপ জিনিসনা। মানুষ এখানে তালির উদাহরন দিচ্ছে কেন তাই চিন্তা করলাম। তালি তখনই হয় যখন তাল মিলে, আনন্দ প্রকাশে আমাদের দুই হাত যখন সমান চলে তখন হাত দিয়ে একটি তাল হয় যেটা হচ্ছে তালি। রুমানা ম্যাডাম আর সাইদের ব্যাপারে তালি আসল কোথেকে? এখানে তো সমান-সমান ব্যাপারটাই নেই!! ধস্ত্বাধস্ত্বির সময় এমন হতে পারে - সাইদ প্রথমে বলল কিন্তু সাইদের চশমারও কিছু হলনা আর রুমানা ম্যাডাম অন্ধ হয়ে গেল?? আর মানুষ এটাকে বলছে দুই হাতে তালি বাজেনা?

ভাইয়া, এখানে এক হাতে তালি বাজে না হবে মনেহয়।

আর রুমানা ম্যাডামের উপর এই নির্যাতনের পরও ব্লগের মানুষ কিভাবে দুই ভাগ হয়ে গেল ভাবতেই ঘেন্না লাগে। :(

২৮| ২১ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:২১

সাদরিল বলেছেন: "কিছু হলেই মানুষ যে ভিক্টিম তারই দোষ খোঁজা শুরু করে" আপনার এই বাক্যটির সাথে আমিও একমত।রুমানা ম্যাদামেড় চোখ দুটি আর ভালো হবে না যেনে আমারো খারাপ লেগেছে।চোখ দুটি কি প্রতিস্থাপন করাও সম্ভব নয়???

২৯| ২১ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৭

রাজসোহান বলেছেন: এইখানে যাই হোক রুমানা ম্যাডাম কোনভাবেই দোষী নন।

৩০| ২১ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪২

অসামাজিক প্রাণী বলেছেন:
"কিছু হলেই মানুষ যে ভিক্টিম তারই দোষ খোঁজা শুরু করে। যে গুলি খায় কেউ কেউ বলে নিশ্চয়ই তার কোন দোষ ছিল। যাকে রেপ করা হয় নিশ্চয়ই তার কোন দোষ ছিল নাইলে রেপ হল কেন?"
অদ্ভূত আমাদের মনু্ষ্যত্ব..........সত্যিই অদ্ভূত.......।

৩১| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৩৮

এ.কে.এম. সাঈদ বলেছেন: আমি আর কখনও আপনার লেখা পড়িনি। ফেসবুকে অনেক লিংক পেয়েছি কিন্তু পড়া হয়নি। আজ পড়লাম এবং সেইসাথে নিয়মিত পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।

আর একটা কথা যদি বলি অসাধারণ তাহলে খুব কমন শোনাবে একটু উল্টে বলি অনন্য সাধারণ। সেই সাথে সুন্দর একটি লিখা। ধন্যবাদ।

২১ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৫৪

জিকসেস বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। পূর্ববর্তি লেখাগুলো পড়ে দেখতে পারেন। তবে সবগুলা হয়ত আপনাকে সমান ভাবে তুষ্ট নাও করতে পারে।

৩২| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:০৮

ছোটমির্জা বলেছেন:
জিকো ভাই,
সাধারণ মানুষের সুর আপনের লেখায় এসেছে।
ব্লগে যা দেখছি তাতে মনে হয় একটা ঘটনা ঘটলেই আমরা আমরা দুইভাগ হয়ে যাই।
ব্যাপারটা যা ঘটেছে তার নির্মমতাকে পাশ কাটিয়ে কেন ঘটেছে তার জন্য বসে থাকি।
অনেকেই, ''কিছু একটা আছেই', মেয়েটাও খারাপ', ' সাঈদের আসলে পরিস্হিতিরা স্বীকার ' বলে উল্টা কথা বলছে।
আচ্ছা তাইলে- অপরাধটা কি, অন্যায় কি? আমার মাথায় ঢুকে না।!!আজব!!

একটা জিনিস নির্মমভাবে ঘটে গেছে আর একটা জিনিস প্রমানের কাছেই যায়নি।
আসেন ভাই কমের পক্ষে প্রমাণ পাবার আগ পর্যন্ত - এই নোংরা জীবটাকে ঘৃনা করি।

এক মায়ের, মেয়ের, মানুষের চোখ হারানোর দু:খ চোখটা বন্ধ করে ২০ মিনিট ধরে ভাবি '''আমি আর দেখতে পাবনা''।

চমৎকার লিখেছেন। ভাল লাগল খুব।

৩৩| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:৪২

বড় বিলাই বলেছেন: আমাদের দেশের নিয়ম তো এটাই, ভিকটিমেরই যত দোষ। আমরাই অস্বাভাবিক যে এটা এখনও মেনে নিতে শিখলাম না।

৩৪| ২৬ শে জুন, ২০১১ ভোর ৪:০৮

মিন্ট বলেছেন: এই রাতে ঘুমানোর আগে একটা ভাল লিখা পড়লাম।
ধন্যবাদ

৩৫| ০১ লা জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শায়েরী বলেছেন: Kedei fellam vaiaaa
Valo lagchy na

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.