নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রবাসের ব্যস্ত সময় বয়ে যাচ্ছে সময়ের নিয়মে শ্যামল সবুজ বাংলার বহতা নদীর মত। সময়ের সাথে জীবনের অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে, শুধু যার গেছে সেই জানে কিভাবে গেছে। আমি অন্তঃস্থল থেকে উপলব্ধি করি আমার আমিত্বকে, আমার জীবনে যাকে না পেলে পুরো জীবনটা অসমাপ্ত রয়ে যেত যা.

জিসান সালীম

জিসান সালীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি জিজ্ঞাসা এবং উত্তর চাই। ৩০ লাখ শহীদ এবং ৩ লাখ নারীর সম্ব্রম, এইভাবে না বলে আমরা কি অসংখ্য শহীদ আর অসংখ্য নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে আমদের এই স্বাধীনতা বলতে পারিনা??

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২



একটি জিজ্ঞাসা এবং উত্তর চাই। ৩০ লাখ শহীদ এবং ৩ লাখ নারীর সম্ব্রম, এইভাবে না বলে আমরা কি অসংখ্য শহীদ আর অসংখ্য নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে আমদের এই স্বাধীনতা বলতে পারিনা?? ৩০ লাখের উপরেওত হতে পারে আবার ৩ লাখের উপরেওত হতে পারে।উপরে হলে তখন কি তাদের তাদের আত্মত্যাগ কে অপমান করা হবেনা??। যেহেতু শহীদ বা নির্যাতিত নারীর সঠিক তথ্য আজো আমাদের জানা নেই।তাহলে কেন একটি মিথ্যা জাতির উপুর চাপিয়ে দেয়া হবে, এই মিথার ভার সবাইকে কেন নিতে হবে?? এই মিথ্যার শাস্তি আমি,আমরা,আপনারা নিবো কেন?? আমার পরিবারের সবাই মুক্তিযুদ্ধের লোক, তারাও আমাকে সঠিক তথ্য দিতে পারেনি, আমার প্রশ্ন - ৩০০০০০০ লক্ষ ভাগ ৬৮০০০ গ্রাম- প্রতি গ্রামে শহীদের সংখ্যা হবে ৪৪ জন, আমার থানায়- ৫৬৪ টি গ্রামে শহীদ সংখ্যা পেলাম ২১১ জন।যা হবার কথা ছিলো ২৪,৮১৬ জন। আবার ৩০০০০০ লক্ষ ভাগ ৬৮০০০ গ্রামে ধর্ষিতা বা নিযাতিতা সংখ্যা হবে ৪.৫ জন করে,কিন্তু আমি আমার থানায় পেলাম ১৪ জনকে যা হবার কথা ছিল ২৫৩৮।এই ভাবে খোজ নিলেই আসল তথ্য বের হবে।আমরা আজো এটি কেন করিনি?? কার জন্ন্য করিনি?? আবুল মুহিত দুইদিন আগে বললেন তিনি আমেরিকা থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।তাহলে এই ভাবেই কি ভুয়া মুক্তিযুদ্ধাদের ধাপটে আমরা আসল মুক্তিযোদ্ধাদের আড়াল করছি কি??প্লিজ আমাকে প্রকৃত সংখ্যা দিন।তথ্য ভিত্তিক।অন্যথায় এই ধরনের মিথ্যার শাস্তি কিন্তু ভয়াবহ।এর শাস্তি আমি,আপ্নি,আপনার পরিবার,দেশ ও জাতীকে পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত পেটে হবে।
নিম্নের এতগুলি বই পড়েও আমি কোন ৩০০০০০০ লক্ষ / ৩০০০০০ লক্ষের কোন পরিসংখ্যান পাইনি।আপনি আপনারা পাইলে আমাকে এই সত্য প্রচার এবং এই নিয়ে বিভ্রান্ত দূর করতে সহযোগীতা করবেন।
আমার পড়া বই সমুহ-
মা।
১৯৭১।
ফিরে দেখা ১৯৭১।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
মূলধারা ৭১।
জোসনা ও জোছনার গল্প।
একাত্তরের দিন গুলি।
একাত্তরের চিঠি।
অনিল বাগিচার একদিন।
শ্যামল ছায়া।
দুই মুক্তিযোদ্ধা।
the vanquished generals and the liberation war of bangladesh।
বিদেশী সংবাদ পত্র ১৯৭১।
সেই পাকিস্থানী যুদ্ধ অপরাধী।
জিনোসাইড ইন বাংলাদেশ, ১৯৭১।
স্পিচ অব তাজউদ্দিন।
মুক্তিযুদ্ধে সিলেটের ভুমিকা।
ভেতরে বাহিরে।
বংগবন্ধু।
মুক্তি যুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার তালিকা ( চাদপুর মহকুমা- লাকসাম,রামগঞ্জ,রায়পুর,লক্ষীপুর ও ফেনী কে নিয়ে গঠিত হয়েছিল)
সর্বশেষ মুক্তিযুদ্ধারা আমাদের অহংকার,আমাদের আত্মা,আমাদের আদর্শ।মুক্তিযোদ্ধারা কারো ব্যাক্তিগত বা দলের সম্পদ নয়,এরা জাতীয় সম্পদ।এদের তুরুপের তাস হিসেবে যারা ব্যাবহার করছে তারাই রাজাকার। তারাই ভুয়া, তারাই আমেরিকা,ইউকে আর ভারতে বসে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে তাদের ধিক্কার এবং এদের মুলতপাটনে এখনই আমাদের রুখে দাড়াতে হবে।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০

লালূ বলেছেন: মুক্তি যুদধে কত লোক মারা গেছে সে বিতর্কে আমি যাব না তবে আমি মনে করি
দুটি কারনে মুক্তিযুদ্ধে নীহতের তালিকা দরকার ১) সরকার সীদধানত নিয়েছে শহীদ পরিবারকে মাসে ২২ হাজার করে টাকা ভাতা দিবে ! ! শহীদ পরিবারকে ভাতা দেয়ার জন্যেই শহীদের সঠিক তালিকা দরকার কেউ যাতে বাদ না পড়ে আর ভুয়া কেউ যাতেভাতা না পেতে পারে ! ২) বাংলাদেশের গ্রামের যে সব মানুষ একাওরে শহীদ হয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের সামনে সমৃতি ফলক তৈরি করে তাদের নামের তালিকা খোদ:াই করে রাখা হোক । প্রজনম থেকে প্রজনম শ হীদের তালিকা দেখে তাদের সমমান জানাবে !

! মুকতিযোদধার পরিসংখনের চেয়ে মুকতিযুদধে শহীদের সংখা নির্নয়ন অধিকরও সহজ ! জীবিত লোকেদের লোভ লালাসা কাজ করে ! মুকতিযোদধার তালিকা করতে হবে জীবিত লোকেদের উপর আর সে তালিকা তৈরি করতে লোভ লালসায় অসমভব হয়ে উঠবে ঐ কাজ বিধায় কাজটি দুরুহ । তার চেয়ে বরং স হ জ কাজ হবে একাওরে কত লোক নীহত হয়েছে । মৃত লোকের তালিকা তাই লোভ লালসার কোন বালাই নাই এখানে । নির্ভেজাল তালিকা করা যেতে পারে স হজেই !

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

জিসান সালীম বলেছেন: একমত আপনার সাথে , তবে এই কাজ আমাদেরই করতে হবে, না হয় একটি মিথ্যার পাপ সবাইকে গ্রাস করবে।কারণ রাজনৈতিক ফায়দা নেবার জন্য কেউ করবেনা এটি।

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

গেদু চাচা বলেছেন: শুনেন বক্তব্য দিয়ে মেলা আবেগ ছড়ানো যায়। কিন্তু বাস্তবতা কে অস্বীকার কার যায়না। মুক্তিযোদ্ধা আর শহীদ দের সংখা নিয়ে বিতর্ক কি আজকের.।এটা অনেক আগের। দেশটা বাংলাদেশ বলেই মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদদের তালিকা হওয়া আরো বেশী প্রয়োজন। কেনান এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যাবসা হয়। ব্যাবস। এদেশে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃত সত্য। এদেশে মুক্তিযুদ্ধের ভুয়া শহীদদের রেফারেন্স দিয়ে সরকারী জমি হাতিয়ে নেওয়া হয়। এদেশে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সচিব ডাঃ মন্ত্রী সব হয়। কাজেই এই দেশে মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদদের তালিকা তাবি করা তাদের কাছেই অন্যায় যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শব্দতা শুনতে লজ্জিত হন না।

''পঁচিশ বছর আগে "মিলিয়ন" এবং "বিলিয়ন" শব্দ দুটি বিদেশে বহুল প্রচলিত থাকলেও আমাদের দেশে ঐ ইংরেজি শব্দ দুটির ব্যবহার তখন খুবই সীমিত ছিল বিধায় একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমার ধারণা ছিল যে, "এক মিলিয়ন"-এর অর্থ হচ্ছে "এক লাখ"। আসলে "এক মিলিয়ন"-এর অর্থ যে "দশ লাখ" তা তখন জানতাম না। একাত্তরে আমি যখন বিভিন্ন প্রেস কনফারেন্সে "থ্রী মিলিয়ন" শহীদ হওয়ার কথা বলেছিলাম তখন আসলে "তিন লাখ" শহীদ হওয়ার কথাই বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমার অজান্তেই ৩০ লাখ শহীদ হওয়ার কথা বলেছিলাম। যার ফলে শ্রোতারা আমার বক্তব্যকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেছিলেন। মিলিয়ন শব্দের সঠিক অর্থ না জেনে ভুল বলায় আসলে আমাদের উপকারই* হয়েছিল।" ............................................. মুহাম্মদ নূরুল কাদির (এডভোকেট, সুপ্রীম কোর্ট। সাবেক ভ্রাম্যমাণ কূটনৈতিক প্রতিনিধি। মুজিবনগর সরকার।) / দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীনতা ॥ [ মুক্ত প্রকাশনী - মার্চ, ১৯৯৭ । পৃ: ৩৪৫-৩৪৬]

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

জিসান সালীম বলেছেন: ধন্যবাদ গেদু চাচা কে, অনেক তথ্য জানানোর জন্য।

৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

গেদু চাচা বলেছেন:

Ian Jack (21 May) mentions the controversy about death figures in Bangladesh's liberation war. On 8 January 1972 I was the first Bangladeshi to meet independence leader Sheikh Mujibur Rahman after his release from Pakistan. He was brought from Heathrow to Claridge's by the Indian high commissioner Apa Bhai Panth, and I arrived there almost immediately.

Mujib was puzzled to be addressed as "your excellency" by Mr Panth. He was surprised, almost shocked, when I explained to him that Bangladesh had been liberated and he was elected president in his absence. Apparently he arrived in London under the impression that East Pakistanis had been granted the full regional autonomy for which he had been campaigning. During the day I and others gave him the full picture of the war. I explained that no accurate figure of the casualties was available but our estimate, based on information from various sources, was that up to "three lakh" (300,000) died in the conflict.

To my surprise and horror he told David Frost later that "three millions of my people" were killed by the Pakistanis. Whether he mistranslated "lakh" as "million" or his confused state of mind was responsible I don't know, but many Bangladeshis still believe a figure of three million is unrealistic and incredible.

Serajur Rahman

Retired deputy head, BBC Bengali Service


click here

৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

গেদু চাচা বলেছেন: Bose's case-by-case arithmetic leads her in the end to estimate that between 50,000 and 100,000 people died in 1971. One lakh, in other words, at most. One cannot say that she absolutely proves this, but her evidence points in that direction, and, in any case vastly away from the figure of 3 million still proclaimed in Bangladesh and India.

Dead Reckoning by Sarmila Bose - review

৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

জিসান সালীম বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ গেদু চাচা কে , তথ্য আর তথ্য দেবার জন্.।

৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: সঠিক মুক্তিযুদ্ধার তালিকা তৈরি করার পাশাপাশি
ভুয়া মুক্তিযুদ্ধাদের তালিকা তৈরি করে এদেরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
নতুবা আমাদের যুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন করা হবেনা।

৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

জিসান সালীম বলেছেন: নুর ইসলাম রফিক , আপনাকেও ধন্যবাদ , আমরা নতুন প্রজন্মই এই তালিকা করবো , আপনারা ও আমাদের সহজোগিতা করবেন

১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশ বাদে পৃথিবীর কোন দেশ নিজ দেশবাসিদের উপর নৃসংস আচরনকারি খুনিদের সমর্থন করে না।
নিজদেশে নিজ দেশবাসির উপর হানাদার দ্বারা গণহত্যা অস্বীকার করে না।
আমাদের দুর্ভাগ্য এসব দেখতে হচ্ছে।

আমার লেখাটি পড়ুন

১১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

জিসান সালীম বলেছেন: হাসান : আমাদের দেশে এখন কোন হানাদার বলেনতো ??? মায়ের পেটের শিশু গুলিবিদ্দ!ছেলের সামনে মায়ের ধর্ষণ !! কোন হায়েনারা !! মেয়রকে কুপিয়ে,তার পর গুলি করে তার পর পুড়িয়ে ,কোন হায়েনারা বলুন তো , বাকি গুলি বাদ ই দিলাম, আগে নিজের হায়নাকে শেষ করুন , তার পর অনি হায়েনাদের ধিক্কার দিন, না হয় আপন হেয়েনারা আপনাকে ছেলে মেয়ে বউ,ভাই বন কাউকেই ছাড় দিবেনা। ..

১২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৪

জিসান সালীম বলেছেন: হাসান : আমাদের দেশে এখন কোন হানাদার বলেনতো ??? মায়ের পেটের শিশু গুলিবিদ্দ!ছেলের সামনে মায়ের ধর্ষণ !! কোন হায়েনারা !! মেয়রকে কুপিয়ে,তার পর গুলি করে তার পর পুড়িয়ে ,কোন হায়েনারা বলুন তো , বাকি গুলি বাদ ই দিলাম, আগে নিজের হায়নাকে শেষ করুন , তার পর অনি হায়েনাদের ধিক্কার দিন, না হয় আপন হেয়েনারা আপনাকে ছেলে মেয়ে বউ,ভাই বন কাউকেই ছাড় দিবেনা। ..

১৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮

জিসান সালীম বলেছেন: দুর্ভাগ্য জনক ভাবে আমাদের স্বাধিনতা যুদ্ধের ইতিহাস ও এই ধরনের বিভ্রান্তি তে আক্রান্ত। কেন ১৯৭১ সালে এই স্বাধিনতা যুদ্ধ হল এবং মুক্তিযোদ্ধারা কেন সেটায় যোগ দিলেন এবং যারা বিরোধিতা করেছিলেন কেন বিরোধিতা করেছিলেন সেই নিয়ে কোন নির্ভরযোগ্য পক্ষপাতহীন গবেষনা এখনও হয়নি। তবে স্বাধিনতা যুদ্ধে অংশগ্রহনকারি অনেকেই বিভিন্ন পর্যায় থেকে তাদের স্মৃতিকথা লিখেছেন। আমি পাঠকদের স্বাধিনতা যুদ্ধের ইতিহাস এর নামে কিছু লেখক যে ভুলে ভরা বই গুলি লিখেছেন তার পরিবর্তে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহনকারি দের লিখা অভিজ্ঞতা পড়ার আহবান জানাচ্ছি। এই বিষয়ে এই ধরনের বইগুলি পড়লে পাঠকরা নিজেই মুক্তিযুদ্ধের পটভুমি ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটি পরিস্কার ধারনা করতে পারবেন। এই ধরনের কিছু বই এর পরিচিতি নিচে দেওয়া হল। পাঠক রাও নতুন বই এর নাম দিতে পারেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে আশাকরি এই বইগুলি সহায়তা করবে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী সকল পক্ষের মানুষের লিখাই এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। শুধুমাত্র বাংলায় প্রকাশিত ও অনূদিত বই এর নাম দেওয়া হল যা পাঠক দের জন্য সহজলভ্য।

১. দ্য লাস্ট ডেজ অব ইউনাইটেড পাকিস্তান- জি.ডব্লিউ চেীধুরি। ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত। লেখক বাঙ্গালি ইয়াহিয়া খানের উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দেশ ত্যাগ করে মার্কিন নাগরিকত্ব গ্রহন করেন। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন গবেষক ছিলেন।

২.এক জিবন এক ইতিহাস- সিরাজুর রহমান। ঐতিহ্য। বিবিসি খ্যাত সাংবাদিক সিরাজুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক স্বিকৃতি ও সহায়তা আদায় এ গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখেন। বইটি মুক্তি যুদ্ধ ছাড়াও বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ন দলিল।

৩.সামরিক জিবনের স্মৃতি- ব্রিগেডিয়ার(অবঃ) চেীধুরি খালেকুজ্জামান। ইউপিএল। চেীধুরি খালেকুজ্জামান ১৯৭১ সালে ৮ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এ নিয়োজিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরু এবং ইতিহাস সম্পর্কে একজন প্রত্যক্ষদর্শির বিবরন এটি।

৪.মুক্তিযুদ্ধ জাতিয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষানিতি-্মেজর জেনারেল(অবঃ) ইমামুজ্জামান।যোগাযোগ পাবলিশার্স। লেখক একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞার বিবরন।

৫.এক জেনারেল এর নিরব সাক্ষ্য স্বাধিনতার প্রথম দশক।- মেজর জেনারেল (অবঃ) মইনুল হোসেন চেীধুরি। মাওলা ব্রাদার্স। মুক্তিযুদ্ধের সময় অন্যতম সেনানায়ক। পরবর্তিতে তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা। এই বইটিতে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর এবং পরবর্তিতে বাংলাদেশ পরিস্থিতি বিষয়ে অত্যন্ত নিরপেক্ষ বর্ননা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে বইটি অবশ্যপাঠ্য।

৬. একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ রক্তাক্ত মধ্য আগষ্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর- কর্নেল শাফায়াত জামিল (অবঃ)। সাহিত্য প্রকাশ। লেখক একজন মুক্তিযোদ্ধ। যুদ্ধের সময় ৪র্থ ও ৩য় ইষ্ট বেঙ্গল এর অধিনায়ক ছিলেন। তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ও ইতিহাস এর বিবরন দিয়েছেন।

৭. মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস- উইং কমান্ডার(অবঃ) হামিদুল্লাহ খান। কোঅপারেটিভ বুক সোসাইটি। লেখক এর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য সহযোদ্ধা দের বিবরন থেকে লিখা। তিনি প্রথমে সাবসেক্টর ও পরে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এটি মুক্তিযুদ্ধের সময় অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ন যুদ্ধগুলি সম্পর্কে জানতে অত্যন্ত ভাল একটি উৎস।

৮. যখন সময় এলো- জাতিয় অধ্যাপক সৈয়দ আলি আহসান। নওরোজ কিতাবিস্তান। মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজিবিদের ভুমিকা এবং ভারতিয় বুদ্ধিজিবিদের মানসিকতা সম্পর্কে জানতে একটি গুরুত্ব পূর্ন বই।

৯. আমার দেখা রাজনিতির পঞ্চাশ বছর-আবুল মনসুর আহমদ। আহমদ পাবলিশিং। লেখক আওয়ামিলিগ নেতা বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। পাকিস্তানের অস্থায়ি প্রধানমন্ত্রি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ সহ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি বই।

১০. সেনাবাহিনির অভ্যন্তরে আটাশ বছর- মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম।

১১. রক্তেভেজা একাত্তর-মেজর(অবঃ) হাফিজুদ্দিন আহমদ।

১২. জিবনের যুদ্ধ,যুদ্ধের জিবন- লেঃকঃ (আবঃ)নুরন্নবি খান।

১৩. যুদ্ধে যুদ্ধে স্বাধিনতা-মেজর (অবঃ) নাসিরুদ্দিন।

১৪. মুক্তিযুদ্ধের নয়মাস- মেজর জেনারেল (অবঃ) সুবিদআলি ভুইয়া।

১৫. মূলধারা ৭১-মইদুল হাসান।

১৬. আগরতলা মামলা ও আমার নাবিক জিবন-কমান্ডার (অবঃ) আবদুর রউফ। মীরা প্রকাশন। লেখক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা আসামি ছিলেন। পরে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং বাংলাদেশ নেীবাহিনির এডুকেশন ব্রাঞ্চ এ কমান্ডার পদে উন্নিত হন।

১৭. ১৯৭১ ভিতরে বাইরে- এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) একে খন্দকার। প্রথমা। লেখক মুক্তিযুদ্ধের সময় ডেপুটি চিফ অফ ষ্টাফ ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে আটক থাকা বাঙ্গালিদের সম্পর্কে জানতে কয়েকটি বই।

১৮. আমার সৈনিক জিবন,পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ- মেজর জেনারেল (অবঃ) মনজুর রশিদ খান। প্রথমা প্রকাশন।

১৯. পূর্বাপর ১৯৭১ পাকিস্তানি সেনা গহ্বর থেকে দেখা- মেজর জেনারেল (অবঃ)মুহাম্মদ খলিলুর রহমান। সাহিত্য প্রকাশ। লেখক ১৯৭১ সালে ব্রিগেডিয়ার হিসেবে পাকিস্তান সেনাবাহিনির হেডকোয়ার্টারে কর্মরত ছিলেন।

২০. ফেলে আসা সৈনিক জিবন- লেঃকঃ (অবঃ) এম এ হামিদ।

২১. ১৯৭১ সালে পাক সাবমেরিন ছিনতাই এর চাঞ্চল্যকর গল্প- কমোডর (অবঃ) এসএস নিজাম। ১৯৭১ সালে লেখক ও তার কয়েকজন সহযোগি একটি সাবমেরিন ছিনতাই করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ব্যার্থ হন। এর চমকপ্রদ বিবরন সাথে মুক্তিযুদ্ধের পটভুমি সম্পর্কেও কিছু তথ্য আছে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ভারতিয় ও পাকিস্তানি সামরিক অফিসার দের লিখা কয়েকটি গুরুত্বপুর্ন বই।

২২. বাংলাদেশের জন্ম- মেজর জেনারেল(অবঃ) রাও ফরমান আলি খান। ইউপিএল।

২৩. পাকিস্তান যখন ভাঙলো- লেঃজেঃ(অবঃ) গুল হাসান। ইউপিএল। লেখক ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনির তৃত্বিয় সর্বোচ্চ পদ চিফ অফ জেনারেল ষ্টাফ হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। পরে সেনাপ্রধান হন।

২৪. নিয়াজির আত্মসমর্পন এর দলিল- ব্রিগেডিয়ার সিদ্দিক সালিক। নভেল পাবলিকেশন্স। সিদ্দিক সালিক আর্মি এডুকেশন কোর এর অফিসার। ১৯৭১ সালে পাবলিক রিলেশন এর দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি জিয়াউল হক এর সাথে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন।

২৫. বিট্রেয়াল ইন ইষ্ট পাকিস্তান- লেঃ জেঃ এএকে নিয়াজি।

১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানি সশস্ত্রবাহিনির প্রধান। বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন যদিও তার ব্যাক্তিগত দৃষ্টি থেকে লিখা। তার দাবি ও যুক্তি গুলি অবশ্যই বিবেচনাযোগ্য।

২৬. সারেন্ডার এট ঢাকা,বার্থ অফ এ নেশন- লেঃজেঃ জেএফআর জ্যাকব। ইউপিএল। ১৯৭১ সালে জ্যাকব ছিলেন ভারতিয় সেনাবাহিনির ইষ্টার্ন কমান্ড এর প্রধান ষ্টাফ অফিসার।

২৭. স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়- মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং। মীরা প্রকাশন। লেখক ১৯৭১ সালে ভারতিয় সেনাবাহিনির অতি গুরুত্বপূর্ন অপারেশন ডাইরেক্টরেট এর উপ পরিচালক ছিলেন।

এই বই গুলি ছাড়া আরও অনেক বই আছে। তবে আমার মনে হয় এই বই গুলি থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ে অনেক স্বচ্ছ ধারনা পাওয়া যাবে।

১৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
১৯৭১ সালে এই স্বাধিনতা যুদ্ধ হল, যারা বিরোধিতা করেছিলেন কেন বিরোধিতা করেছিলেন সেই নিয়ে কোন নির্ভরযোগ্য পক্ষপাতহীন গবেষনা এখনও হয়নি।

কেন বিরোধিতা করেছিলেন?
এই ফালতু কাহিনী নিয়ে গুবেশনার টাইম নাই। বই পড়ারও প্রয়জন নেই।
যারা এই দেশটি শৃষ্টির বিরোধিতা করেছিলেন, এবং বিরোধীতার প্রয়জনে হানাদার পাকিসেনাদের প্রকাশ্য সহযোগী হয়ে হিন্দু হত্যা, বুদ্ধিজিবী গণহত্যায় মেতে ছিলেন। এইসব জল্লাদ মিরজাফরদের এই স্বাধীন দেশটিতে নিঃস্বাস নেয়ার কোন অধিকার নেই। যারা দেশটিই চায়নি তারা কোন প্রয়জনে এখানে থাকতে চায়? আবার এদেশে রাজনীতিও োদায়।
তাদের স্থান ফাসির দড়ি নতুবা পালিয়ে পাকিস্থান।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২০

জিসান সালীম বলেছেন: বিরোধিতা এখনো করি কারণ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার ব্যবসা করতে আর দেয়া হবেনা বলেই।ফাসির দড়ি ঝুলছে ,ঝুলবে। আজ যখন বাংলার বীর কাদের সিদ্দিকী , একে খন্দকার ,মেজর জলিল সহ অনেক সেক্টর কমান্ডার রা রাজাকার বনেছে,তখন ফাসির রসিও অনেকের জন্য তৈরী হয়েই আছে. জয় বাংলা বলে আগে বারো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.