নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিলঃ
--------------------
১৯৬৯ সালের এপ্রিল মাসে আমাকে নিয়োগ
করা হলো জয়দেবপুরে। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয়
ব্যাটেলিয়নে আমি ছিলাম সেখানে সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।
অফিসার কমান্ডিং লেঃ কর্নেল আবদুল কাইয়ুম ছিল একজন
সাহসী পাকিস্তানী। একদিন ময়মনসিংহের এক ভোজসভায়
ধমকের সুরে সে ঘোষণা করলো- বাংলাদেশের জনগণ
যদি সদাচরণ না করে তাহলে সামরিক আইনের সত্যিকার ও
নির্মম বিকাশ এখানে ঘটানো হবে। আর তাতে হবে প্রচুর
রক্তপাত। এই ভোজসভায় কয়েকজন বেসামরিক ভদ্রলোকও
উপস্থিত ছিলেন। তাদের মাঝে ছিলেন ময়মনসিংহের তদানীন্তন
ডেপুটি কমিশনার জনাব মোকাম্মেল।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাইয়ুমের এই দম্ভোক্তি আমাদের
বিস্মিত করলো। এর আগেও কাইয়ুম এক গুরুত্বপুর্ণ
পদে অধিষ্ঠিত ছিল। ইসলামাবাদে পাকিস্তানী নীতি নির্ধারকের
সাথে সংযোগ ছিল তার। তার মুখে পুরানো প্রভুদের মনের কথাই
ভাষা পেয়েছে কিন্তু, তাই আমি ভাবছিলাম। পরবর্তী সময়ে এ
ব্যাপারে আমি অনেকগুলো প্রশ্ন করি এবং এর
কোনো কথা থেকে আমার কাছে এটা স্পষ্ট
হয়ে উঠে যে সে যা বলেছে, তা জেনেশুনেই বলেছে। উপযুক্ত
সময়ে কার্যকরী করার জন্য সামরিক ব্যবস্থার এক
পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। আর কাইয়ুম
সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আমি এতে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ি।
এই সময়ে আমি একদিন চতুর্দশ ডিভিশন সদর দফতরে যাই।
জিএসও-১ (গোয়েন্দা) লেঃ কর্নেল তাজ আমাদের রাজনৈতিক
নেতাদের কয়েকজন সম্পর্কে আমার কাছে অনেক কিছু
জানতে চায়। আমি তার এসব তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্য
সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা করি। সে আমাকে জানায় যে,
তারা বাঙালি নেতাদের জীবনী সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ
করছে। আমি বারবার তাকে জিজ্ঞেস করি- এসব খুঁটিনাটির
প্রয়োজন কি? এই প্রশ্নের জবাবে সে জানায়- ভবিষ্যৎ
রাজনৈতিক গতিধারায় এগুলো কাজে লাগবে। গতিক
যে বেশি সুবিধার নয়, তার সাথে আলোচনা করেই
আমি তা বুঝতে পারি। সেই বছরেই সেপ্টেম্বর মাসে চার মাসের
জন্য আমি পশ্চিম জার্মানী যাই। এ সময়ে বাংলাদেশের সর্বত্র
এক রাজনৈতিক বিক্ষোভ-ঝড় বয়ে যায়। পশ্চিম
জার্মানীতে অবস্থানকালে আমি একদিন দেখি, সামরিক
এ্যাটাচি কর্নেল জুলফিকার সে সময়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক
পরিস্থিতি নিয়ে কারিগরি এ্যাটাচির সাথে কথা বলছিল। এই
ব্যক্তিটি ছিল এক সরলমনা পাঠান অফিসার। তাদের সামনে ছিল
করাচীর দৈনিক পত্রিকা ডন-এর একটা সংখ্যা। এতে প্রকাশিত
হয়েছিল ইয়াহিয়ার ঘোষণা- ১৯৭০ সালেই নির্বাচন হবে।
সরলমনা পাঠান অফিসারটি বলছিল, “নির্বাচন
হলে আওয়ামী লীগ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে জয়ী হবে, আর
সেখানেই পাকিস্তানের পরিসমাপ্তি।” এর জবাবে কর্নেল
জুলফিকার বললো, “আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের
সংখ্যাগিরষ্ঠতা লাভ করতে পারে কিন্তু
কেন্দ্রে সে ক্ষমতা পাবে না। কেননা অন্যান্য দল
মিলে কেন্দ্রে আওয়ামী লীগকে ছাড়িয়ে যাবে।
আমি এটা জেনে বলছি। এ সম্পর্কে আমার কাছে বিশেষ খবর
আছে।”
এরপর আমি বাংলাদেশে ফিরে এলাম। ১৯৭০ সালের
সেপ্টেম্বরে আমাকে নিয়োগ করা হলো চট্টগ্রামে। এবার ইস্ট
বেঙ্গল রেজিমেন্টের অষ্টম ব্যাটেলিয়নের সেকেন্ড-ইন-
কমান্ড। এর কয়েকদিন পর আমাকে ঢাকা যেতে হয়। নির্বাচনের
সময়টা আমি ছিলাম ক্যান্টনমেন্টে। প্রথম থেকেই
পাকিস্তানী অফিসাররা মনে করতো চূড়ান্ত বিজয় তাদের হবে।
কিন্তু নির্বাচনের দ্বিতীয় দিনে তাদের মুখে আমি দেখলাম
হতাশার সুস্পষ্ট ছাপ। ঢাকায় অবস্থানকারী পাকিস্তানী সিনিয়র
অফিসারদের মুখে দেখলাম আমি আতংকের ছবি। তাদের এ
আতংকের কারণও আমার অজানা ছিল না। শিগগিরই জনগণ
গণতন্ত্র ফিরে পাবে, এই আশায়
আমরা বাঙালি অফিসাররা তখন আনন্দে উৎফুল্ল
হয়ে উঠেছিলাম।
চট্টগ্রামে আমরা ব্যস্ত ছিলাম অষ্টম
ব্যাটেলিয়নকে গড়ে তোলার কাজে। এটা ছিল রেজিমেন্টের
তরুণতম ব্যাটেলিয়ন। এটার ঘাঁটি ছিল ষোলশহর বাজারে। ১৯৭১
সালের এপ্রিল মাসে এই ব্যাটেলিয়নকে পাকিস্তানের
খারিয়ানে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এর জন্য আমাদের
সেখানে পাঠাতে হয়েছিল দুশ’ জওয়ানের এক দ্রুতগামী দল।
অন্যরা ছিল একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ের সৈনিক। আমাদের
তখন যেসব অস্ত্র-শস্ত্র দেয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল ৩শ’
পুরানো ০০৩ রাইফেলস, চারটা এলএমজি ও দুটি তিন
ইঞ্চি মর্টার। গোলাবারুদের পরিমাণও ছিল নগণ্য। আমাদের
এন্টিট্যাঙ্ক বা ভারি মেশিনগান ছিল না। ফেব্রুয়ারির শেষ
দিকে বাংলাদেশের যখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিস্ফোরণোন্মুখ
হয়ে উঠেছিল তখন আমি একদিন খবর পেলাম তৃতীয়
কমান্ডো ব্যাটালিয়নের সৈনিকরা চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন
এলাকায় ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বিহারীদের বাড়িতে বাস
করতে শুরু করেছে। খবর নিয়ে আমি আরো জানলাম
কমান্ডোরা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-শস্ত্র আর গোলাবারুদ
নিয়ে বিহারী বাড়িগুলোতে জমা করেছে এবং রাতের অকারে বিপুল
সংখ্যায় তরুণ বিহারীদের সামরিক ট্রেনিং দিচ্ছে, এসব
থেকে এরা যে ভয়ানক রকমের অশুভ একটা কিছু করবে তার
সুস্পষ্ট আভাসই আমি পেলাম।
তারপর এলো ১ মার্চ। এই সময়ে আমার ব্যাটেলিয়নের
এনসিওরা আমাকে জানালো, “প্রতিদিন সন্ধ্যায় বিংশতম বালুচ
রেজিমেন্টের জওয়ানরা বেসামরিক পোশাক
পরে ট্রাকে করে কোথায় যেন যায়। তারা ফিরে আসে আবার শেষ
রাতের দিকে।” আমি উৎসুক হলাম, লোক লাগালাম খবর নিতে।
খবর নিয়ে জানলাম প্রতি রাতেই তারা যায় কতগুলো নির্দিষ্ট
বাঙালি পাড়ায়, নির্বিচারে হত্যা করে সেখানে বাঙালিদের। এই
সময় প্রতিদিন ছুরিকাহত বাঙালিদের হাসপাতালে ভর্তি হতেও
শোনা যায়।
এই সময়ে আমাদের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল
জানজুয়া আমার গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রাখার জন্যে লোক
লাগায়। মাঝে মাঝেই তার লোকেরা গিয়ে আমার সম্পর্কে খোঁজ-
খবর নিতে শুরু করে। আমরা তখন আশংকা করছিলাম, আমাদের
হয়তো নিরস্ত্র করা হবে। আমি আমার মনোভাব দমন করে কাজ
করে যাওয়ার সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করি। বাঙালি হত্যা ও
বাঙালি দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
আমাদের নিরস্ত্র করার চেষ্টা হলে কি ব্যবস্থা গ্রহণ
করবো কর্নেল (তখন মেজর) শওকতও আমার
কাছে তা জানতে চান। ক্যাপ্টেন শমসের মবিন
এবং খালেকুজ্জামান আমাকে জানান যে, স্বাধীনতার জন্য
আমি যদি অস্ত্র তুলে নেই তাহলে তারাও দেশের মুক্তির জন্য
প্রাণ দিতে কুণ্ঠবোধ করবে না। ক্যাপ্টেন অলি আহমদ আমাদের
মাঝে খবর আদান-প্রদান করতেন। জেসিও এবং এনসিওরাও
দলে দলে বিভক্ত হয়ে আমার কাছে বিভিন্ন
স্থানে জমা হতে থাকলো। তারাও আমাকে জানায় যে, কিছু
একটা না হলে বাঙালি জাতি চিরদিনের জন্যে দাসে পরিণত হবে।
আমি নীরবে তাদের কথা শুনতাম। কিন্তু আমি ঠিক করেছিলাম
উপযুক্ত সময় এলেই আমি মুখ খুলবো। সম্ভবত ৪
মার্চে ক্যাপ্টেন অলি আহমদকে ডেকে নেই। আমাদের ছিল
সেটা প্রথম বৈঠক। আমি তাকে সোজাসুজি বললাম, সশস্ত্র
সংগ্রাম শুরু করার সময় দ্রুত এগিয়ে আসছে। আমাদের সব সময়
সতর্ক থাকতে হবে। ক্যাপ্টেন আহমদও আমার সাথে একমত হন।
আমরা পরিকল্পনা করি এবং প্রতিদিন আলোচনা বৈঠকে মিলিত
হতে শুরু করি।
৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবের ঘোষণা আমাদের
কাছে গ্রীন সিগন্যাল বলে মনে হলো। আমাদের
পরিকল্পনাকে চূড়ান্ত রূপ দিলাম। কিন্তু তৃতীয়
কোনো ব্যক্তিকে তা জানালাম না। বাঙালি ও
পাকিস্তানী সৈনিকদের মাঝেও উত্তেজনা ক্রমেই চরমে উঠছিল।
১৩ মার্চ হলো শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ইয়াহিয়ার আলোচনা।
আমরা সবাই ক্ষণিকের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।
আশা করলাম,
পাকিস্তানী নেতারা যুক্তি মানবে এবং পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তানীদের সামরিক
প্রস্তুতি হ্রাস না পেয়ে দিনদিনই বৃদ্ধি পেতে শুরু করলো।
প্রতিদিনই পাকিস্তান থেকে সৈন্য আমদানি করা হলো। বিভিন্ন
স্থানে জমা হতে থাকলো অস্ত্র-শস্ত্র আর গোলাবারুদ।
সিনিয়র পাকিস্তানী সামরিক
অফিসাররা সন্দেহজনকভাবে বিভিন্ন গ্যারিসনে আসা-যাওয়া শুরু
করলো। চট্টগ্রামে নৌ-বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করা হলো।
১৭ মার্চ স্টেডিয়াম ই বি আর সি’র লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ
আর চৌধুরী, আমি চূড়ান্ত যুক্ত-পরিকল্পনা গ্রহণ করলাম।
লেঃ কর্নেল চৌধুরীকে অনুরোধ করলাম নেতৃত্ব দিতে।
দু’দিন পর ইপিআর-এর ক্যাপ্টেন (এখন মেজর) রফিক আমার
বাসায় গেলেন এবং ইপিআর বাহিনীকে সঙ্গে নেবার প্রস্তাব
দিলেন। আমরা ইপিআর বাহিনীকে আমাদের পরিকল্পনাভুক্ত
করলাম।
এর মধ্যে পাকিস্তানী বাহিনীও সামরিক তৎপরতা শুরু করার
চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করলো। ২১ মার্চ জেনারেল আবদুল
হামিদ খান গেল চট্টগ্রাম ক্যান্টমেন্টে। চট্টগ্রামে সামরিক
ব্যবস্থা গ্রহণের চূড়ান্ত পরিকল্পনা প্রণয়নই তার এই সফরের
উদ্দেশ্য। সেদিন রেজিমেন্ট সেন্টারে ভোজসভায় জেনারেল
হামিদ ২০তম বালুচ রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার
লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাতেমীকে বললো, “ফাতেমী, সংক্ষেপে,
ক্ষিপ্রগতিতে আর যত কম সম্ভব লোকক্ষয় করে কাজ
করতে হবে।” আমি এ কথাগুলো শুনেছিলাম।
২৪ মার্চ ব্রিগেডিয়ার মজুমদার ঢাকা চলে এলেন। সন্ধ্যায়
পাকিস্তানী বাহিনী শক্তি প্রয়োগে চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার
পথ করে নিল। জাহাজ ‘সোয়াত’ থেকে অস্ত্র নামানোর জন্যেই
বন্দরের দিকে ছিল তাদের এই অভিযান। পথে জনতার
সাথে ঘটলো তাদের কয়েক দফা সংঘাত। এতে নিহত হলো বিপুল
সংখ্যক বাঙালি। সশস্ত্র সংগ্রাম যে কোন মুহূর্তেই শুরু
হতে পারে, এ আমরা ধরেই নিয়েছিলাম। মানসিক দিক
দিয়ে আমরা ছিলাম প্রস্তুত। পরদিন আমরা পথের ব্যারিকেড
অপসারণের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তারপর এলো সেই কালোরাত
২৫ ও ২৬ মার্চের মধ্যবর্তী কালো রাত। রাত ১ টায় আমার
কমান্ডিং অফিসার আমাকে নির্দেশ দিলো নৌবাহিনীর
ট্রাকে করে চট্টগ্রাম বন্দরে গিয়ে জেনারেল আনসারির
কাছে রিপোর্ট করতে। আমার সাথে নৌবাহিনীর (পাকিস্তানী)
প্রহরী থাকবে তাও জানানো হলো। আমি ইচ্ছা করলে আমার
সাথে তিনজন অফিসারও থাকবে। অবশ্য কমান্ডিং অফিসাররের
মতে, সে যাবে আমাকে গার্ড দিতে।
এ আদেশ পালন করা আমার পক্ষে ছিল অসম্ভব।
আমি বন্দরে যাচ্ছি কি না তা দেখার জন্য লোক ছিল। আর
বন্দরের (সশরীর) প্রতীক্ষায় ছিল জেনারেল আনসারি।
হয়তো বা আমাকে চিরকালের মতোই স্বাগত জানাতে।
আমরা বন্দরের পথে বেরুলাম। আগ্রাবাদে আমাদের
থামতে হলো। পথে ছিল ব্যারিকেড। সেই
সময়ে সেখানে এলো মেজর খালেকুজ্জামান চৌধুরী, ক্যাপ্টেন
অলি আহমদের কাছ থেকে এক বার্তা নিয়ে এসেছে।
আমি রাস্তায় হাঁটছিলাম।। খালেক আমাকে একটু দূরে নিয়ে গেল।
কানে কানে বললো ‘তারা ক্যান্টনমেন্ট ও শহরে সামরিক
তৎপরতা শুরু করেছে। বহু বাঙালিকে ওরা হত্যা করেছে।”
এটা ছিল একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণের চূড়ান্ত সময়। কয়েক
সেকেন্ডের মধ্যেই আমি বললাম, “আমরা বিদ্রোহ করলাম।
তুমি ষোলশহর বাজারে যাও। পাকিস্তানী অফিসারদের গ্রেফতার
করো। অলি আহমদকে বলো ব্যাটেলিয়ন তৈরি রাখতে,
আমি আসছি।”
আমি নৌবাহিনীর ট্রাকের কাছে ফিরে এলাম।
পাকিস্তানী অফিসার, নৌবাহিনীর চীফ অফিসার ও
ড্রাইভারকে জানালাম যে আমাদের আর বন্দরে যাওয়ার দরকার
নেই। আমি নৌবাহিনীর ট্রাকের কাছে ফিরে এলাম। এতে তাদের
মনে কোনো প্রতিক্রিয়া হলো না দেখে আমি পাঞ্জাবী
ড্রাইভারকে ট্রাক ঘুরাতে বলালম। ভাগ্য ভালো বলব,
সে আমার আদেশ মানলো। আমরা আবার ফিরে চললাম।
ষোলশহর বাজারে পৌঁছেই
আমি গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমে একটা রাইফেল তুলে নিলাম।
পাকিস্তানী অফিসারটির দিকে তাক করে তাকে বলালম, “হাত
তোল। আমি তোমাকে গ্রেফতার করলাম।”
সে আমার কথা মানলো। নৌবাহিনীর লোকেরা এতে বিভ্রান্ত
হয়ে পড়লো, পর মুহূর্তেই আমি নৌবাহিনীর অফিসারদের
দিকে রাইফেল তাক করলাম। তারা ছিল আটজন। সবাই আমার
নির্দেশ মানলো এবং অস্ত্র ফেলে দিল।
আমি কমান্ডিং অফিসারের জীপ নিয়ে তার বাসার
দিকে রওয়ানা দিলাম। আর বাসায় পৌঁছে হাত রাখলাম
কলিং বেলে। কমান্ডিং অফিসার পাজামা পরেই বেরিয়ে এলো,
খুলে দিল দরজা। ক্ষিপ্রগতিতে আমি ঘরে ঢুকে পড়লাম
এবং গলা শুদ্ধ তার কলার টেনে ধরলাম।
দ্রুত গতিতে আবার
দরজা খুলে কর্নেলকে আমি বাইরে আনলাম। বললাম,
“বন্দরে পাঠিয়ে আমাকে মারতে চেয়েছিলে?
আমি তোমাকে গ্রেফতার করলাম। এখন লক্ষ্মী সোনার
মতো আমার সঙ্গে এস।” সে আমার কথা মানলো,
আমি তাকে ব্যাটেলিয়নে নিয়ে এলাম। অফিসারদের মেসে যাওয়ার
পথে আমি কর্নেল শওকতকে (তখন মেজর) ডাকলাম। জানালাম,
সমস্ত পাকিস্তানী অফিসারকে কী করে রাখা হয়েছে।
আমি অফিসে গেলাম। সবচেষ্টা ব্যর্থ হলো। তারপর রিং করলাম
বেসামরিক বিভাগে টেলিফোন অপারেটরকে। তাকে অনুরোধ
জানালাম- ‘ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট, কমিশনার,
ডিআইজি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের জানাতে যে, ইস্ট বেঙ্গল
রেজিমেন্টের অষ্টম ব্যাটেলিয়ন বিদ্রোহ করেছে। বাংলাদেশের
স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করবে তারা। এদের সাথে আমি টেলিফোন
যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু কাউকে পাইনি।
তারা অনুরোধ রক্ষা করতে রাজী হলো। সময় ছিল অতি মূল্যবান।
আমি ব্যাটেলিয়নের অফিসার, জেসিও আর জোয়ানদের ডাকলাম
এবং তাদের নির্দেশ দিলাম সশস্ত্র সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে।
তারা সর্বসম্মতিক্রমে হৃষ্টচিত্তে এ আদেশ মেনে নিলো।
আমি তাদের একটা সামরিক পরিকল্পনা দিলাম।
তখন রাত ২টা বেজে ১৫ মিনিট, ২৬ মার্চ, ১৯৭১ সাল। রক্তের
আঁখরে বাঙালির হৃদয়ে লেখা একটি ক্ষণ। বাংলাদেশের জনগণ
চিরদিন স্মরণ রাখতে ভালোবাসবে। এই ক্ষণটিকে তারা কোনদিন
ভুলবে না, কোন দিন না। ((শহীদ জিয়ার নিজের লেখা ))
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮
জিসান সালীম বলেছেন: ভাবছিলাম লাগিয়ে দিব বীর মুক্তিযোদ্ধা জিসান।কারণ ১৯৭৯ তে জন্ম দেয়া একজনকে দেখলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দটা লাগিয়ে দিতে।কারণ ছাত্র লিগ করেন বলেই হয়ত !!তবে এই প্রতারণা খুভি ভয়ঙ্কর তাই পারলাম না।
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬
াহো বলেছেন:
বিএনপি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের দিনটি নিয়ে উদাসীন হলেও দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান স্বীকার করেছিলেন দিনটির ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা।
১৯৭৪ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত এক লেখায় জিয়া নিজেই লেখেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণই ছিল তার স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা।
এখন বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনকের স্বীকৃতি দিতে বিএনপির আপত্তি থাকলেও ওই লেখায় জিয়া নিজেই শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক বলে উল্লেখ করেন।
http://bangla.bdnews24.com/politics/article528531.bdnews
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬
াহো বলেছেন:
৭১ জিয়াউর রহমান ভারতে গিয়েছিল .পাশাপাশি ভারত ভাইয়ের মতো দাঁড়িয়ে সংগ্রাম করতে উদ্বুদ্ধ করেছে
মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে লড়ার আগে থেকে ভারতীয় সৈন্যদের সম্পর্কে উচ্চ ধারণার কথাও লিখেছেন জিয়া।
১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তার লেখায় বলা হয়েছে- “যুদ্ধবিরতির সময় বিভিন্ন সুযোগে আমি দেখা করেছিলাম বেশ কিছু সংখ্যক ভারতীয় অফিসার ও সৈনিকের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে কোলাকুলি করেছি, হাত মিলিয়েছি। তখন দেখেছিলাম, তারা অত্যন্ত উঁচু মানের সৈনিক।
“তাদের সঙ্গে হৃদ্যতা গড়ে উঠেছিল, আমরা বন্ধুতে পরিণত হয়েছিলাম। এই প্রীতিই দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাশাপাশি ভাইয়ের মতো দাঁড়িয়ে সংগ্রাম করতে উদ্বুদ্ধ করেছে আমাদের।”
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯
াহো বলেছেন:
৭ মার্চের ভাষণ জিয়ার কাছে ছিল ‘গ্রিন সিগন্যাল’
মুনীরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2012-03-07 05:22:46.0 BdST Updated: 2014-12-17 21:13:32.0 BdST
http://bangla.bdnews24.com/politics/article528531.bdnews
বিএনপি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের দিনটি নিয়ে উদাসীন হলেও দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান স্বীকার করেছিলেন দিনটির ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা।
১৯৭৪ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত এক লেখায় জিয়া নিজেই লেখেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণই ছিল তার স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা।
এখন বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনকের স্বীকৃতি দিতে বিএনপির আপত্তি থাকলেও ওই লেখায় জিয়া নিজেই শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক বলে উল্লেখ করেন।
শুধু তাই নয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কীভাবে বিষোদগার করা হত, তাও উঠে এসেছে জিয়ার লেখনীতে।
লেখায় মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর জিয়ার আস্থাও ফুটে উঠেছে। তিনি নিজেই লিখেছেন, ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ ও ’৭০ এর নির্বাচনে রাজনৈতিক সংগ্রামের কথা। বলেছেন, ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বিদ্রোহের পর তিনি নিজেই আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন।
১৯৭৪ সালে স্বাধীনতা দিবস সংখ্যায় জিয়াসহ মুক্তিবাহিনীর তিন ফোর্সের অধিনায়কের স্মৃতিকথা ছেপেছিল। অন্য দুজন হলেন খালেদ মোশাররফ ও কে এম সফিউল্লাহ।
‘মুক্তিযুদ্ধের বিখ্যাত ত্রয়ী ও তাদের স্মৃতিকথা’ শিরোনামের এই অংশে প্রকাশিত তিনটি লেখাই ১৯৭২ সালে দৈনিক বাংলা এবং দৈনিক গণবাংলায় প্রকাশিত হয়েছিল বলে বিচিত্রায় উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে বিচিত্রাসহ তিনটি পত্রিকাই বন্ধ।
‘একটি জাতির জন্ম’ শিরোনামের ওই লেখায় জিয়া লেখেন, ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিস্ফোরণোম্মুখ হয়ে উঠলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে থাকা বাঙালি কর্মকর্তারাও তার আঁচ পেতে থাকে। ভেতরে ভেতরে আলোচনা চলতে থাকে।
“৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ঘোষণা আমাদের কাছে গ্রিন সিগন্যাল বলে মনে হল। আমরা আমাদের পরিকল্পনাকে চূড়ান্ত রূপ দিলাম,” লিখেছেন জিয়া।
রেসকোর্স ময়দানে ওই ভাষণেই বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয় বাঙালির মনের কথা- “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও ওই দিনই স্বাধীনতার ডাক বঙ্গবন্ধু ইঙ্গিতে দিয়েছিলেন বলে মনে করেন তৎকালীন রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সব বাঙালি, যা জিয়ার লেখায়ও স্পষ্ট।
লাখো মানুষের মহাসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে; যা অনুসরণ করে সশস্ত্র সংগ্রামের মহড়া শুরু করে দেয় ছাত্র সংগঠনগুলো, যাতে বিপুল সংখ্যক ছাত্রীর উপস্থিতি প্রেরণা যোগায় সবাইকে।
তবে এরপর বঙ্গবন্ধু ও ইয়াহিয়া খানের আলোচনা শুরুকে পরিস্থিতির উন্নতি বলে মনে করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন ‘জেড’ ফোর্সের অধিনায়ক জিয়া। কিন্তু তা আর হয়নি।
রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের হত্যায়, সেই সঙ্গেই শুরু হয় সশস্ত্র প্রতিরোধ, শুরু হয় স্বাধীনতা যুদ্ধ।
জিয়া লিখেছেন, ২৫ মার্চ রাতে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অষ্টম ব্যাটালিয়ন তার নেতৃত্বে বিদ্রোহ করে। আর বিদ্রোহের পরই তিনি বিষয়টি জানাতে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়েছিলেন।
“সমস্ত পাকিস্তানি অফিসারকে বন্দি করলাম।... রিং করলাম বেসামরিক বিভাগের টেলিফোন অপারেটরকে। তাকে অনুরোধ করলাম ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপার, ডিআইজি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের জানাতে যে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অষ্টম ব্যাটালিয়ন বিদ্রোহ করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করবে তারা,” লিখেছেন জিয়া। তবে গোলযোগপূর্ণ ওই সময়ে কারো সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি অপারেটর।
এরপর আসে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রামের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, যা চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারের ব্যবস্থা করেন বেলাল মোহাম্মদসহ দুঃসাহসী কয়েকজন। এতে পরে সংশ্লিষ্ট হন জিয়াউর রহমানও।
বিএনপি দাবি করে আসছে, জিয়াই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তবে বেলাল মোহাম্মদ এই বিষয়টি স্পষ্ট করে ২০১০ সালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান। এরপর করেছিলেন জিয়া।
স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের বিষয়ে জিয়ার সম্পৃক্ততা তুলে ধরে বেলাল বলেন, “আমি তখন কী মনে করে উনাকে (জিয়া) বললাম, মেজর, এখানে তো আমরা সবাই মাইনর, একমাত্র আপনিই মেজর। আপনি কি নিজের কণ্ঠে কিছু বলবেন।
“তারপর তাকে কাগজ দেওয়া হলে তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করেন।”
বিচিত্রার যে সংখ্যায় জিয়ার লেখা ছাপা হয়েছিল, সেই সংখ্যায় ‘কে’ ফোর্সের অধিনায়ক খালেদ মোশাররফের লেখায়ও উল্লেখ রয়েছে, মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন শেখ মুজিবের পক্ষে।
দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক ওঠানোর পর বিষয়টির অবসান ঘটাতে উচ্চ আদালতও নির্দেশ দেয়, জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক না বলতে। জীবদ্দশায় জিয়া নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে প্রচার না করলেও বিএনপির তারপরও তা করছে। এমনকি মঙ্গলবার জিয়ার স্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক অনুষ্ঠানে বলেন, জিয়াই ছিল স্বাধীনতার ঘোষক।
মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিষয়টি বিএনপি নেতারা সবসময় উপেক্ষা করে এলেও জিয়ার লেখায় স্পষ্ট রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি তার আস্থা।
জিয়ার লেখার শুরুই হয়েছিল এভাবে- “পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই ঐতিহাসিক ঢাকা নগরীতে মি. জিন্নাহ যেদিন ঘোষণা করলেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা, আমার মতে সেদিনই বাঙালি হৃদয়ে অঙ্কুরিত হয়েছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ।”
পাকিস্তানিদের দৃষ্টিভঙ্গীদের অস্বচ্ছতা অল্পবয়সেই পীড়া দিত বলে উল্লেখ করেছেন জিয়া। সামরিক বাহিনীতে যাওয়ার পর এই অনুভূতি আরো গাঢ় হয়।
জিয়ার ভাষায়- “আমাদের ওরা দাবিয়ে রাখত, অবহেলা করত, অসম্মান করত, বলত- ‘আওয়ামী লীগের দালাল’। একাডেমির ক্লাসগুলোতেও সবসময় বোঝানো হত- আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন ওদের রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শত্রু।”
মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে লড়ার আগে থেকে ভারতীয় সৈন্যদের সম্পর্কে উচ্চ ধারণার কথাও লিখেছেন জিয়া।
১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তার লেখায় বলা হয়েছে- “যুদ্ধবিরতির সময় বিভিন্ন সুযোগে আমি দেখা করেছিলাম বেশ কিছু সংখ্যক ভারতীয় অফিসার ও সৈনিকের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে কোলাকুলি করেছি, হাত মিলিয়েছি। তখন দেখেছিলাম, তারা অত্যন্ত উঁচু মানের সৈনিক।
“তাদের সঙ্গে হৃদ্যতা গড়ে উঠেছিল, আমরা বন্ধুতে পরিণত হয়েছিলাম। এই প্রীতিই দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাশাপাশি ভাইয়ের মতো দাঁড়িয়ে সংগ্রাম করতে উদ্বুদ্ধ করেছে আমাদের।”
৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫০
াহো বলেছেন:
বই / ভিডিও প্রয়োজন নেই .বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে, প্রথম রাষ্ট্রপতি কে এসবই বলা আছে .
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ ১০ এপ্রিল ১৯৭১(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিব নগর থেকে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র জারি করা হয় এবং এর মাধ্যমে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। শপথ গ্রহণ করেন ১৭ এপ্রিল।
স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর । যতদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলেছে ততদিন মুজিবনগর সরকার পরিচালনার অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান হিসেবে এই ঘোষণাপত্র কার্যকর ছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পরও এই ঘোষণাপত্র সংবিধান হিসেবে কার্যকর ছিল। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান প্রণীত হয় তখন সংবিধান হিসেবে এর কার্যকারিতার সমাপ্তি ঘটে।
সেদিন মুজিবনগরে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। তবে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।
এপ্রিল ১৭ তারিখে গণপরিষদের সদস্য এম ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন.
========================
২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার বিষয়ে ১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া, আমেরিকান বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের নানা রিপোর্ট রয়েছে। যা রিপোর্ট করা হয়েছিল সেটা অবিকৃতভাবে দেয়া হলো
এখানে ।
লিস্টের কয়েকটি নাম উল্লেখ করা হল রিপোর্টিং ডেইটসহ:
১. আমেরিকান ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সী (২৬শে মার্চ, ১৯৭১)
২. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট টেলিগ্রাম (৩১শে মার্চ, ১৯৭১)
৩. আমেরিকান সিনেট রিপোর্ট (জুলাই ২৭, ১৯৭১)
৪. নিউ ইয়র্ক টাইমস ,The Times UK(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
৫. ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল (২৯শে মার্চ, ১৯৭১)
৬. টাইম, নিউজউইক (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)
৭. বাল্টিমোর সান (৪ই এপ্রিল, ১৯৭১)
৮. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট- রিসার্চ স্টাডি (ফেব্রুয়ারী ২,১৯৭২)
9-Times of India 27 March 1971
===========================
শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন,
যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান; এবং
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ
তারিখ: ১০ এপ্রিল ১৯৭১
=======================
তাজউদ্দীনের ভাষণ
২৫শে মার্চ মাঝরাতে ইয়াহিয়া খান তার রক্তলোলুপ সাঁজোয়া বাহিনীকে বাংলাদেশের নিরস্থ মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়ে যে নরহত্যাযজ্ঞের শুরু করেন তা প্রতিরোধ করবার আহ্বান জানিয়ে আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের যুদ্ধকালীন প্রথম ভাষণ
জিয়া সহ পাঁচ সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ তাদের যুদ্ধের জন্য
তাজউদ্দীনের ভাষণ link---http://www.samakal.net/2013/07/23/7512
http://www.amadershomoys.com/content/2014/04/28/middle0174.htm
=========================
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)
(১০ এপ্রিল, ১৯৭১)
যেহেতু ১৯৭০ সালের ০৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি শাসনতন্ত্র রচনার অভিপ্রায়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল
এবং
যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ১৬৯ জন প্রতিনিধির মধ্যে ১৬৭ জনই আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত করেছিলেন
এবং
যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খান একটি শাসনতন্ত্র রচনার জন্য ১৯৭১ সালের ০৩ মার্চ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন
এবং
যেহেতু আহূত এ পরিষদ স্বেচ্ছাচার ও বেআইনিভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়
এবং
যেহেতু পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের প্রতিশ্রুতি পালনের পরিবর্তে বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলাকালে একটি অন্যায় ও বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করে
এবং
যেহেতু উল্লেখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্যে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান
এবং
যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী একটি বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনাকালে বাংলাদেশের অসামরিক ও নিরস্ত্র জনসাধারণের বিরুদ্ধে অগুনতি গণহত্যা ও নজিরবিহীন নির্যাতন চালিয়েছে এবং এখনো চালাচ্ছে
এবং
যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অন্যায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একত্র হয়ে একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে ও নিজেদের সরকার গঠন করতে সুযোগ করে দিয়েছে
এবং
যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের দ্বারা বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের উপর তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে
সেহেতু
সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষে যে রায় দিয়েছে, সে মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য বিবেচনা করে আমরা বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি এবং এতদ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি
এবং
এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন
এবং
রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক হবেন,
রাষ্ট্রপ্রধানই ক্ষমা প্রদর্শনসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী হবেন,
তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী ও প্রয়োজনবোধে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য নিয়োগ করতে পারবেন,
রাষ্ট্রপ্রধানের কর ধার্য ও অর্থব্যয়ের এবং গণপরিষদের অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবির ক্ষমতা থাকবে এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্যে আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন।
বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি, যে কোনো কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা কাজে যোগদান করতে না পারেন অথবা তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যদি অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা ও দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পালন করবেন।
আমরা আরও ঘোষণা করছি যে, বিশ্বের একটি জাতি হিসেবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য আরোপিত হয়েছে তা আমরা যথাযথভাবে পালন করব।
আমরা আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি যে, আমাদের স্বাধীনতার এ ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকরী বলে গণ্য হবে।
আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার জন্যে আমরা অধ্যাপক ইউসুফ আলীকে ক্ষমতা দিলাম এবং রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করলাম।
==================================
নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
Click this link for online archive of
নিউ ইয়র্ক টাইমস
http://select.nytimes.com/gst/abstract.html?res=F50F10F63A55127B93C5AB1788D85F458785F9
LEADER OF REBELS IN EAST PAKISTAN REPORTED SEIZED; Sheik Mijib Arrested After a Broadcast Proclaiming Region's Independence DACCA CURFEW EASED Troops Said to Be Gaining in Fighting in Cities -Heavy Losses Seen
The Pakistan radio announced today that Sheik Mujibur Rahman, the nationalist leader of East Pakistan, had been arrested only hours after he had proclaimed his region independent and after open rebellion was reported in several cities in the East.
New York Times - Mar 27, 197
---------------------================================
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা আমার বইতে স্পষ্ট উল্লিখিত।
[১৪৭-১৪৮, ২৭৪-২৯১, ৩০১-৩১০ পৃষ্ঠা]
শারমিন আহমদ: শিক্ষাবিদ ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা।
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/341656/===================================================================================
1971/1972 সংবাদপত্রে
বিএনপি নেতার নাম খুঁজে পাচ্ছি না.
নিউ ইয়র্ক টাইমস
নিউজউইক
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে
===================
বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
1) পাকিস্তান এখন শেষ --শেখ মুজিব---15 মার্চ 1971
2)শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন --Apr. 05, 1971
--The World: Pakistan: Toppling Over the Brink
3)গত মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর বিশ্বব্যাংকের পরিদর্শকদের একটি বিশেষ টিম কিছু শহর প্রদক্ষিণ করে বলেছিলেন, ওগুলোকে দেখতে ভুতুড়ে নগরী মনে হয়। এরপর থেকে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এহেন ধ্বংসলীলার ক্ষান্তি নেই। ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই। পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন। ---শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / টাইম সাময়িকী ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২
4)Bangladesh have suffered three consecutive years of natural or man-made disasters—a calamitous cyclone in 1970, the civil war in 1971, and a crop-crippling drought this year. Jan. 01, 1973
বাংলাদেশ পরপর তিন বছর প্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয় ভোগ করে, এবং 1970 বিপন্ন ঘূর্ণিঝড় ,1971 স্বাধীনতা ,1972 একটি ফসল-অসমর্থকরণ খরা হয়েছে. জানুয়ারী 01, 1973
5)শেখ মুজিবের সময়কালে ৬০০০ হাজারের ও বেশী মানুষ সহিংসতা নিহত (মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু Time Magazine USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫).
6)বাংলাদেশ. "বাস্কেট কেস", নয়, Jan. 01, 1973
লন্ডনের টাইমস পত্রিকায় ২৭শে মার্চ, ১৯৭১
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর
নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর
-Times of India 27 March 1971
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর
এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971
এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971
একে খন্দকার স্বীকার করছেন তিনি সঠিক তথ্য ব্যবহার করেননি।
দ্বিতীয় সংস্করণে নিজেই স্বীকার করছেন যে, প্রথম সংস্করণে তিনি সঠিক তথ্য ব্যবহার করেননি।
৩২ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় স্তবকে আমি লিখেছিলাম– এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় পাকিস্তান’। আসলে তা হবে ‘এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’।’’
যিনি জাতিকে ইতিহাসের বয়ান দেবেন তিনি ইতিহাসের ওই সময়টাতে ‘এমএলএ’ ছিল, নাকি এমপিএ ছিল সেটা জানবেন না, তা কী করে হয়? যদি না-ই জানেন, তাহলে তো স্পষ্টত বোঝা যায় তিনি রাজনীতির খবরাদি রাখতেন না, সেই সময়ের সরকারের অনুগত হিসেবে বিমানবাহিনীর চাকরিটিই ঠিকমতো করে গেছেন। তো, যিনি ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণের রাজনীতির গতিধারা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতেন না, তিনি জাতিকে ইতিহাসের বয়ান দিতে আসেন কীভাবে? Click This Link
আব্দুল করিম খন্দকার
২৫ মার্চ ১৯৭১, রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে তাদের ঢাকা বেইসের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন।
১২ মে ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যু্দ্ধে যোগ দেন। মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় ১০ এপ্রিল ১৯৭১।
মুজিবনগর সরকার যে সরকারের প্রধান ছিলেন শেখ মুজিব, তাদের কাছ থেকেই মাসে মাসে মাইনে নিয়েছে জনাব আব্দুল করিম খন্দকার। কেন, কী কারণে আব্দুল করিমের ৪৭ দিন সময় লেগেছিলো পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করতে সে কারণটি অজানাই রয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের পক্ষে ছোট একটি পদে থেকে মার্চ-এপ্রিল, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে কী ঘটেছে তা অনুমান করা নিঃসন্দেহে দূরহ কাজ এবং সেখানে সেই পাকিস্তানি দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুকে মূল্যায়ন করা অসম্ভব।
শেখ মুজিবের সঙ্গে জিয়ার তুলনা করতে চাইলে
পড়ে দেখতে পারেন ১৯৭১ সালের সংবাদপত্রগুলো–
কোথাও জিয়ার নাম খুঁজে পাচ্ছি না।
নিউ ইয়র্ক টাইমস, টাইম ম্যাগাজিন, ইউএসএ এবং টাইমস সংবাদপত্র, ইউকেএর ওই সময়কার কপি পেতে পারেন তাদের ওয়েবসাইট থেকে, মাত্র ১ ডলারের বিনিময়ে।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা
আমার বইতে স্পষ্ট উল্লিখিত।
[১৪৭-১৪৮, ২৭৪-২৯১, ৩০১-৩১০ পৃষ্ঠা]
শারমিন আহমদ
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা।
http://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/21163
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়ে–
১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া, নিউ ইয়র্ক টাইমস (২৭ মার্চ, ১৯৭১), টাইমস সংবাদপত্র, ইউকে (২৭ মার্চ, ১৯৭১), টাইম Magazine, USA (৫ এপ্রিল, ১৯৭১), আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট– history.state.gov ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, ওয়াশিংটন সময় বিকাল ৩.০৩ – ৩.৩২ গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’এর প্রতিনিধি মি. রিচার্ড হেলমস জানান–
“শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন।’’
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৯
স্বপ্নীল পরান বলেছেন: প্রথমে তো ভেবেছিলাম আপনিই সে...…………