![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"প্রাচীরের ছিদ্রে এক নাম-গোত্রহীন, ফুটিয়াছে ছোট ফুল অতিশয় দীন। ধিক ধিক করে তারে কাননে সবাই, সূর্য উঠি বলে তারে, ভাল আছ ভাই।"
জরুরী অবস্থায় পাবলিক টয়লেট না পেলে কি করবেন?
ছোটবেলা থেকেই আমার কমন রোগ হচ্ছে পেট খারাপ। সারাবছর লেগেই থাকে, আর রিচফুড পেটে গেলে তো কোন কথাই নাই। তাই রাস্তাঘাটে প্রায়ই জরুরী অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়
এমন অবস্থায় আশেপাশে কোন পাবলিক টয়লেট না পেলে কি করবেন?
বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে সমাধান দিচ্ছেন "জনসেবক জাকারিয়া মুবিন"
১। মসজিদঃ মাথায় প্রথমেই যদিও আসে তবুও বলে রাখি নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় মসজিদের টয়লেটগুলো তালা মারা থাকে, আর জরুরী অবস্থা যদি কোন মহিলার হয় তাহলে এই অপশন বাদ।
২। ব্যাংকঃ ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের কাছের লোক এমন ভাব নিয়ে ব্যাংকে ঢুকে দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করেন "ফ্রেশরুম"টা কোন দিকে। ভুলেও টয়লেট বা পায়খানার কথা বলবেন না, তাইলে সন্দেহ করতে পারে।
৩। হাসপাতালঃ যদিও পাবলিক হাসপাতালের টয়লেটগুলোর অবস্থা করুণ তারপরও জরুরী অবস্থায় সেটাও চলবে।
৪। ক্লিনিকঃ টয়লেটের অবস্থা ভালো, বাট ভাব ধরতে হবে নতুন বাচ্চা দেখতে আসছেন। সেক্ষেত্রে হাতে মিষ্টি বা গিফ্টের প্যাকেট থাকলে সোনায় সোহাগা।
৫। ডায়াগনস্টিক সেন্টারঃ বিলাসবহুল এসি লাগানো টয়লেট পাবেন এখানে। তবে রিসিপশনের সামনে দিয়ে গটগট করে হেটে সোজা দোতলায় চলে যেতে হবে, এবার একটু খুজলেই পেয়ে যাবেন কাঙ্খিত স্থান।
৬। মার্কেটঃ বড় বড় মার্কেট গুলোতে মোটামুটি ক্যাটাগরির টয়লেট পাবেন। কোন ভাব ধরতে হবে না এখানে।
৭। রেস্টুরেন্টঃ কোন ব্যাস্ত রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়ুন। একটা টেবিলে ১ মিনিটের জন্য বসুন। তারপর হাত ধুয়ে এসেই অর্ডার দেবেন এমন ভাব নিয়ে টয়লেটে ঢুকে পড়ুন। কাজ শেষে ফোন কানে ধরে হুদাই কথা বলতে বলতে বেরিয়ে যান।
৮। স্কুল / কলেজঃ হেড স্যার বা প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে আসছেন, আর পরিচয় বলার মত কিছু না পাইলে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঢুকেন। একটু পামপট্টি মারেন যে সংবাদপত্রে ফিচার করতে চান ওনার প্রতিষ্ঠান নিয়ে। স্যারের কাছে যাওয়ার আগে বা পরে টিচার্স রুমে একটা ঢু মারেন। ওখানেই পেয়ে যাবেন আপনার অনেক আকাঙ্খিত "টয়লেট"।
৯। কোচিং সেন্টারঃ বেশী জরুরী ভিত্তিতে রিকোয়েস্ট করেন, কাজ হওয়ার কথা।
১০। ডাচ-বাংলা ফাস্টট্র্যাকঃ অন-রিকোয়েস্ট, সত্যি কথাই বলেন। কাজ না হইলে আমার পরিচয় দিয়া ফোন ধরাইয়া দেন। আপনার এই কঠিন বিপদের সময় পাশে না দাড়াইলে কেমনে হবে বলেন
নোটঃ ইহা মোটেও কোন ফান পোস্ট নয়। অতিব জরুরী পোস্ট। এই পোস্ট টিকে ভুলেও হালকা ভাবে নিবেন না। একজন এই পোস্ট নিয়ে মশকরা করেছিলো, সে এখন পাবলিক টয়লেটের টাকা তোলে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৭
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ফানি নয় জ্ঞানী পোস্ট। ধন্যবাদ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২
টারজান০০০০৭ বলেছেন: এই পোস্ট টিকে ভুলেও হালকা ভাবে নিবেন না। একজন এই পোস্ট নিয়ে মশকরা করেছিলো, সে এখন পাবলিক টয়লেটের টাকা তোলে। কোন সে পাবলিক ঝাতি ঝানতে চায় !
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৫
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: আপনি চিনবেন না
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৫
সেয়ানা পাগল বলেছেন: @ বারিধারা
ভারতে প্রতিটি rail station এবং শহরে প্রতি ২ কিমি অন্তর রাস্তার পাশে pay and use Toilet পাবেন। যেখানে ২-৩ টাকার বিনিময়ে আপনি use করতে পারবেন। উপরে উল্লিখিত এত ছল চাতুরীর দরকার পড়ে না
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৭
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: আমরা বাঙালি ঐতিহ্য বজায় রাখতে ছল চাতুরী করতে ভালোবাসি।
৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮
সেয়ানা পাগল বলেছেন: @ বারিধারা
" চালুনি বলে সুচ তর পিছনে ফুটো "
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৮
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: চলুক
৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩
অত্র এলাকার বড় ভাই বলেছেন: গবেষণাধর্মী ও সময়োপযোগী রচনা, অনেকের কাজে দেবে।
বাই দা রাস্তা, ঢাকা শহরেও এখন আধুনিক পাব্লিক টয়লেট হয়েছে, খুবই সুন্দর দেখতে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৯
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: ধইন্যা
৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
গড়াই নদীর তীরে বলেছেন: সেয়ানা পাগল,
গবেষণায় যে পাওয়া যায় ইন্ডিয়ার প্রায় অর্ধেক মানুষ এখনো খোলা আকাশের নিচে হাগে। এটা কি মিথ্যা?
টাকা দিয়ে টয়লেট করবে কি? ক'দিন আগে পত্রিকায় পড়েছিলাম ভারত সরকার উল্টো ইনসেন্টিভ দিয়ে টয়লেট ব্যবহারে অভ্যস্ত করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪০
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: মাইরালা
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬
বারিধারা বলেছেন: আপনার এই থিউরি দেখে ইন্ডিয়ানরা হাসবে। তাদের মলমূত্র ত্যাগ করতে টয়লেটই লাগেনা। ড্রেন না পেলে রাস্তা। কাজ চলে মেথর থেলে মিনিস্টার পর্যন্ত।