নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সরল পথের পথিক

আমি সরল পথের পথিক

জোবায়ের হোসেন

I have no comment .

জোবায়ের হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈমান কি জিনিস?

০৬ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

عن عمر بن الخطاب ؓ قال : بین ما نحن عند رسول اللہ۔ﷺ۔ ذات یوم اذ طلع علینا رجل شدید بیاض الثیاب شدید سواد الشعر لا یری علیہ اثر السفر و لا یعرفہ منا أحد حتی جلس الی النبی ۔ﷺ۔ فاسند رکبتیہ الی رکبتیہ و وضع کفیہ علی فخذیہ و قال :...أخبرنی عن الایمان ‘ قال : أن تؤمن باللہ و ملٰئکتہ وکتبہ ورسلہ والیوم الاٰخر وتؤمن بالقدر خیرہ وشرہ قال : صدقت۰ رواہ مسلم فی ’’صحیحہ‘‘ برقم (۱) کتاب الایمان . باب بیان الایمان و الاسلام والاحسان.





অর্থ: হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে (হাদীসে জিবরাঈলে) বর্ণিত আছে, তিনি বলেন: একদা আমরা প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে অবস্হান করছিলাম, ইত্যবসরে এক ব্যক্তি এসে আমাদের মাঝে উপস্থিত হল যার পোষাক ছিল ধবধবে সাদা, চুলগুলো ছিল কুচকুচে কালো, তার মাঝে সফরের কোন চিহ্ন পরিলক্ষিত হচ্ছিল না। আমাদের কেউ তাকে চিনতেও পারছিলনা। লোকটি এসে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে বসে পড়ল এবং নিজের হাঁটুকে তার হাঁটুর সাথে টেক লাগিয়ে বসল, আর স্বীয় হাতকে স্বীয় রানের উপর রাখল। তারপর (সে কয়েকটি প্রশ্ন করল তার মধ্যে একটি প্রশ্নে) সে জিজ্ঞেস করল: আপনি আমাকে বলুন যে, ঈমান কি জিনিস? (অর্থাৎ ঈমানের আরকান কয়টি?) তিনি জবাব দিলেন যে, ঈমান হল: ১-তুমি আল্লাহ্‌র প্রতি ২-তাঁর ফেরেশতাগণের প্রতি ৩-তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি ৪-তাঁর রাসূলগণের প্রতি ৫-শেষ দিবসের প্রতি ৬-ভাল-মন্দ ভাগ্যের প্রতি বিশ্বাস স্হাপন করবে। (প্রিয় নবীজীর এ জবাব শুনে) লোকটি বললঃ আপনি সত্যিই বলেছেন। সূত্র:মুসসিম শরীফ হাদীস নং(১)





উল্লেখ্য যে, বর্ণিত হাদীসে প্রশ্নকারী ব্যক্তিটি ছিলেন হযরত জিবরাঈল (আঃ), তিনি সাহাবায়ে কিরামকে দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো শিক্ষা দেওয়ার জন্য আল্লাহ তা’আলা পক্ষ থেকে মানুষের আকৃতিতে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে এসেছিলেন, যা হাদীসের শেষাংশে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।





বলা বাহুল্য, বর্ণিত হাদীসে ঈমানের হাকীকত কি? এ প্রশ্নের জবাবে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ছয়টি জিনিস উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হল ঈমানের আরকান, এর সব গুলোকে এবং তার আনুসাঙ্গিক বিষয়কে মনে প্রাণে বিশ্বাস করার নাম হল ঈমান এবং বিশ্বাসকারীকে বলা হয় মুমিন । এর মধ্য হতে কোন একটিকে অস্বীকার করলে বা সন্দেহ করলে বা ঠাট্টা করলে তার ঈমান থাকবে না বরং সে কাফির হয়ে যাবে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: পড়ে ভালো লাগল +++++

২| ০৬ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঈমাণ অর্থ বিশ্বাস।

আপনি কি কি বিশ্বাস ধারন করেন? তাই আপনার ঈমান বা বিশ্বাস।

আগুনে হাত পোড়ে, পানিতে ডুবে যায় সবই আপনার ঈমান। আপনার বিশ্বাস মানুষ আদম আ: থেকে এসেছে
ডারউইনবাধীদের ঈমান বা বিশ্বাস বানরের লেজ খসে মানুষ হয়েছে!
বাঙালীর ৭১ এ ঈমান ছিল জয় বাংলা বা দেশের স্বাধীনতা!! এইতো?....

আপনি ভোগবাদে বিশ্বাস করেন, আপনার জীবনাচরন, কর্ম সেই মূখী তো আপনি ভোগবাদী!!!

আপনি পূজিবাদে বিশ্বাস করেন, আপনার জীবনাচরন, কর্ম সেই মূখী তো আপনি পূজিবাদী!!!

আপনি সাম্যবাদে বিশ্বাস করেন, আপনার জীবনাচরন, কর্ম সেই মূখী তো আপনি সাম্যবাদী!!!

এইবার বলেনতো প্রকৃত ইসলামে বিশ্বাসী, জীবনাচরন, কর্মমূখীতায় সেই প্রকৃত বিশ্বাসী আপনি কতজন পেয়েছেন?

মুসলমান আর মুমিনতো আরও দূরের পথ।

৩| ০৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮

সত্য৭৮৬ বলেছেন: আল-কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন-
সূরা আল বাক্বারাহ (মদীনায় অবতীর্ণ)
১) আলিফ লাম মীম।

২) এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,

৩) যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে

৪) এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে।

৫) তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম।

১৭৭) সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রাসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতিম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেজগার।

৪| ০৭ ই মে, ২০১৪ রাত ২:২৭

সৃজনশীলপ্রয়াস বলেছেন: জাজাকাল্লাহ! মহান আল্লাহ আমাদের ঈমান বোজার সহায় হোন। আামাদের সমাজের কেউ কেউ আরকানুল ঈমান বলতে ৫টি,৬টি ও ৭টি বলে থাকেন। রাসুল্লাহ (সাঃ) ৬ টি বলার কারনে আমাদেরও ৬টি বলা উচিত। এবং প্রতিটির একাধিক শাখা রয়েছে যে গুলো জানা সকল মুসলিমের একান্ত কর্তব্য।

৫| ০৭ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:১৯

জোবায়ের হোসেন বলেছেন: ধারা বাহিক ভাবে প্রকাশ হবে ইন-শা-আল্লাহ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.